মনোরম বিকেলে দুই বন্ধুর ঘোরাফেরা ও আড্ডাবাজি।

তারপর গতকাল আর ফেরদৌসের সাথে দেখা হয়নি। আজকে বিকেলে আবার দুই বন্ধু মিলে ঘুরতে বের হওয়ার প্লান করেছিলাম। সকালে যখন দুজনের দেখা হয়েছিলো তখন পরিকল্পনা করেছিলাম বিকাল পাঁচটার দিকে দুজন এক জায়গায় দেখা করবো। তারপর সেখান থেকে কোথাও ঘুরতে যাবো। যথা সময়ে আমি নির্ধারিত জায়গায় হাজির হলাম। কিন্তু সেখানে পৌঁছে দেখি ফেরদৌস তখনও আসেনি। আমি বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরে দেখতে পেলাম ফেরদৌস সাথে দুটো বাচ্চাকে নিয়ে সেখানে আসছে। ফেরদৌসের সাথে যে বাচ্চা দুটো ছিল তাদের একজন ছিলো ফেরদৌসের ছেলে আর একটা ছিলো ফেরদৌসের ভাস্তি। বাচ্চা দুটোকে নিয়ে আসার কারণ আমি আগে থেকেই জানি।

ফেরদৌস ফরিদপুর আসলে তার বাচ্চাটা সবসময় বাইরে ঘোরাফেরা করতে চায়। এজন্য বাবাকে বাইরে বের হতে দেখলেই সে মোটরসাইকেলে উঠে বসে। বাধ্য হয়ে ফেরদৌসকে তাদের সাথে নিয়েই বের হতে হয়। ফেরদৌস এলে আমিও মোটর সাইকেলে উঠে বসলাম। তারপর বাচ্চা দুটোকে কয়েক প্যাকেট জুস কিনে দিয়ে ফেরদৌস বাসায় নামিয়ে দিয়ে এলো। তারপর দুই বন্ধু মিলে রওনা দিলাম রাফসানের এলাকার দিকে। সারাদিন প্রচন্ড গরম থাকলেও বিকালের দিকটা কিছুটা ঠান্ডা ছিলো। যার ফলে মোটরসাইকেলে ঘুরতে বেশ ভালো লাগছিলো। দুই বন্ধু গল্প করতে করতে রাফসানের শোরুমের দিকে যাচ্ছিলাম। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখতে পেলাম রাফসানের শোরুম বন্ধ। রাফসানের শোরুম বন্ধ দেখে আমি ফেরদৌসকে বললাম তাহলে চলো আমরা গিয়ে সেই ব্রিজের উপর বসি। রাফসানদের এলাকা থেকে একটু দূরে একটা ব্রিজ রয়েছে। সেই জায়গাটা আমাদের সকল বন্ধু-বান্ধবের কাছে বেশ প্রিয় জায়গা। তাই রাফসানদের এলাকাতে ঘুরতে গেলে আমরা বেশিরভাগ সময় সেই ব্রিজের উপর বসে আড্ডা দেই। আমি বলামাত্রই ফেরদৌস সেদিকে রওনা দিলো।

তারপর সেখানে পৌঁছে দুই বন্ধু মিলে বেশ কিছুক্ষণ আড্ডা দিলাম। আড্ডার এক পর্যায়ে আমরা দুজন সিলেট ট্যুরের পরিকল্পনা করলাম। আমি ফেরদৌসকে বললাম এই মাসের শেষের দিকে আমাকে জরুরী একটা ব্যক্তিগত কাজে বাইরে যেতে হবে। আমি ফেরদৌসকে বললাম চলো আমি বাইরে যাওয়ার আগেই চলো আমরা একটা ট্যুর দিয়ে আসি। ফেরদৌস আমার প্রস্তাবে রাজি হোলো। আমি তখন বললাম সাথে করে আমাদের আরেক বন্ধুর রাসেল এবং সুমনকে নিতে হবে। সুমন যেহেতু ফেরদৌসের খালাতো ভাই হয়। তাই আমি ফেরদৌসকে বললাম তুমি সুমনকে আগে থেকেই বলে রেখো। সিলেটে ট্যুরদেয়ার পরিকল্পনা আমি অনেকদিন ধরেই করছি। কিন্তু সেই পরিকল্পনাটা আর বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। কারণ আমরা সবাই যার যার কাজে ব্যস্ত থাকি। যার ফলে সবাই একসাথে ছুটি ম্যানেজ করতে পারি না। এই কারণে ট্যুর দেয়া হচ্ছে না। যাই হোক দেখা যাক এবার যদি পরিকল্পনাটা সফল করতে পারি কিনা। সেখানে বসে বেশ কিছুক্ষণ আড্ডা দেয়ার পরে আমি আর ফেরদৌস আমাদের এলাকার দিকে ফিরতে লাগলাম।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।

|| Join the Discord Server for more Details ||

---

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote

---

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

---

---

🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩

@rupok