ঢাকা যাওয়ার অভিজ্ঞতা (প্রথম পর্ব)।
শেষ পর্যন্ত রওনা দেয়ার সময় পেছাতে পেছাতে প্রায় দুপুরের দিকে টিকেট কাটলাম। আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠেই ফোন দিয়েছিলাম আমাদের জেলা থেকে যেই বাসে করে ঢাকায় যায় সেই বাসের কাউন্টারে। ফোনে তারা জানালো বেলা বারোটার দিকে একটা এসি বাস আছে। তার আগে অবশ্য আরো একটা এসি বাস ছিলো। তবে সেটার সিট শুধু পিছনের কয়েকটা ফাঁকা ছিলো। তাই আমি সেই বাসে যাওয়ার পরিকল্পনা ক্যানসেল করে দেই। তারপর যখন ১২ টার বাসের কথা জানতে পারলাম তখন সেখানে চারটা সিট বুকিং দিতে বললাম। কিন্তু তারা অপারগতা প্রকাশ করলো। তারা বলল তারা ফোনে অগ্রিম টিকেটের বুকিং নেয় না। বিষয়টা আমার কাছে খুবই খারাপ লাগলো। আমাদের শহর থেকে ঢাকা যাওয়ার জন্য আমরা যে পরিবহনের উপর নির্ভর করে থাকি তারা আসলে একচেটিয়া ভাবে ব্যবসা করছে।
ফরিদপুর থেকে ঢাকায় তারা ছাড়া আর কারো ভালো কোনো বাস নেই। তাই তারা তাদের ইচ্ছা মতো কাজকর্ম করে থাকে। যাই হোক ফোনে সিট বুকিং দিতে না পেরে তখন আমি আমার এক বন্ধুকে ফোন দিলাম যে ওই বাসের সবচাইতে বড় যে কাউন্টার সেখানে চাকরি করে। কিন্তু তার ফোন বন্ধ পেলাম। তারপর চিন্তা করছিলাম এখন কি করবো। একবার চিন্তা করলাম যে গিয়ে টিকেট কেটে নিয়ে আসি। কারণ এই গরমের ভেতর এসি বাসের টিকিট না পেলে যেতে খুব কষ্ট হবে। যাইহোক যখন এই চিন্তা করছিলাম তখন আমার বড় মামা আর মামি বাসায় এসে উপস্থিত হোলো। বড় মামা আমার কাছে টিকেট বুকিং দিতে না পারার কথা শুনে আমাকে বললো তাহলে আমার সাথে চল আমি মোটরসাইকেল এনেছি। মোটর সাইকেলে করে গিয়ে টিকিট বুকিং দিয়ে আসি।
মামার প্রস্তাবটা আমার বেশ পছন্দ হোলো। সাথে সাথে মামাকে নিয়ে রওনা দিলাম গোল্ডেন লাইন পরিবহনের কাউন্টারের উদ্দেশ্যে। সেখানে পৌঁছে চারটি টিকিট কেটে তারপর বাসায় ফিরে এলাম। যদিও আমরা যখন বাসায় ফিরি তখন সোয়া দশটার মত বাজে। আমাদেরকে সাড়ে এগারোটার দিকে রওনা দিয়ে কাউন্টারে চলে যেতে হবে। মাত্র ১ ঘন্টা সময় বাঁচানোর জন্য এই অগ্রিম টিকিট কাটতে হোলো। যাইহোক শেষ পর্যন্ত আমরা বেলা ১১:৩০ টার দিকে বাসা থেকে বের হলাম। বের হয়ে একটি অটো রিক্সা নিয়ে চলে গেলাম গোল্ডেন লাইন পরিবহনের কাউন্টারে। কাউন্টারটি তারা চমৎকার করে তৈরি করেছে। বাংলাদেশের জেলা পর্যায়ে আর কোনো পরিবহনের এতো সুন্দর কাউন্টার আছে কিনা সেটা আমার জানা নেই। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ফোনে অগ্রিম টিকিট কনফার্ম করার সিস্টেম না থাকলে বিষয়টি সত্যি অনেক বিরক্তিকর লাগে।কারণ অনেকের বাসা হয়তো কাউন্টার থেকে দূরে হয়। তারা গিয়ে টিকিট কেটে আবার ফিরে আসবে এটা কেমন জানি বিরক্তিকর ব্যাপার। অবশেষে আপনার মামা চলে এসে ভালোই হয়েছিল ভাইয়া। তাই তো আপনার মামার সাথে মোটরসাইকেলে করে টিকিট কাটতে যেতে পেরেছিলেন। আমাদের এদিকে তো সুন্দর করে কাউন্টার সাজানো দেখিনি কখনো ভাইয়া।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর একটি অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। আপনি সকালের দিকে ঢাকায় যাওয়ার জন্য টিকিট কাউন্টারে ফোন দিলেন। এবং জানতে পারলেন যে দুপুর ১২ টার দিকে একটা এসি বাস রয়েছে। যদিও তার আগেও একটা বাপ ছিল কিন্তু সে বাসের সিট ছিল অনেক পিছনে তাই সে বাসে না গিয়ে আপনি দুপুরের বাসে গেলেন। এখন যে গরম এতে এসি বাসে জার্নি করলে অনেক ভালো লাগে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এই অভিজ্ঞতার প্রথম পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঢাকা হলো সব কাজের প্রাণকেন্দ্র। তাই প্রয়োজনীয় সব কাজেই ঢাকায় যেতে হয়। আপনি পরিবার নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছেন জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। তবে টিকিট সংগ্রহ করা নিয়ে বেশ ভোগান্তির মধ্যে পড়েছিলেন বুঝতে পারছি ভাইয়া। আজকাল অনেক জায়গাতেই কাউন্টারের পরিবেশ বদলানো হচ্ছে। যাতে করে যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দ্যে অপেক্ষা করতে পারে।
আসলে বেশিরভাগ মানুষ বাধ্য হয়েই ঢাকায় যাতায়াত করে এবং অনেকে বসবাস করে। তবে ঢাকায় বসবাস করাটা খুবই বিরক্তিকর। যাইহোক আপনার বড় মামা সময়মতো আপনাদের বাসায় গিয়েছিল বলে, খুব সহজেই কাউন্টারে গিয়ে বাসের টিকেট কিনতে পেরেছেন। এই গরমে নন এসি বাসে চড়লে অবস্থা একেবারে খারাপ হয়ে যায়। আশা করি ঠিকঠাক মতো ঢাকায় পৌঁছাতে পেরেছেন। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঢাকা যেহেতু বাংলাদেশের প্রাণকেন্দ্র, তাই ইচ্ছে থাকুক কিংবা না থাকুক, সবাইকেই প্রয়োজনের তাগিদে সেখানে যেতে হয়। তবে আপনি অনলাইনে টিকিট কাটতে পারেননি, এটা শুনে আমি বেশ খানিকটা অবাক হলাম দাদা। কারণ এখন তো সবই প্রায় অনলাইনে হয়ে গেছে। এতে করে সময়ও খানিকটা বাঁচে। যাইহোক, আপনি যে শেষ পর্যন্ত টিকিট কাটতে পেরেছিলেন, এটা জেনে বেশ কিছুটা আশ্বস্ত হলাম আমি।