মক্কা ক্লক টাওয়ার দর্শনের অভিজ্ঞতা।
আমরা যেখানে থাকি সেখান থেকে ক্লক টাওয়ারের দূরত্ব খুব একটা বেশি নয়। পায়ে হেঁটেই সেখানে যাওয়া যায়। যেহেতু আমি মসজিদে আল-হারামে নামাজ পড়তে এসেছিলাম। ক্লক টাওয়ার ঠিক তার পাশেই অবস্থিত। তাই চিন্তা করলাম যেহেতু এত কাছাকাছি রয়েছে তাই একটু সেখান থেকে ঘুরে যায়। আপনারা হয়তো চিন্তা করতে পারেন ফজরের নামাজের পরে কিভাবে মানুষ ঘুরতে যায়? আর ওই সময় কোন কিছু খোলা থাকে নাকি? যারা সৌদি আরবে হজের জন্য এসেছেন তারা জানেন মসজিদ আল-হারাম এর আশেপাশের প্রায় ২৪ ঘন্টায় লক্ষ লক্ষ লোক ঘোরাফেরা করতে থাকে। যার ফলে সেখানে আশেপাশের সমস্ত দোকানপাট প্রায় ২৪ ঘন্টা খোলা থাকে। যাইহোক আমি যেহেতু সেদিন একা ছিলাম তাই প্রথমে সেখানে যেতে কিছুটা দ্বিধা দ্বন্দ্বে ভুগছিলাম। কারণ চিন্তা করেছিলাম আমার রুমমেট যারা রয়েছে তাদের সাথে একবারে ঘুরতে আসবো।
তবে ফজরের নামাজ পড়ার পরেও যখন দেখি ঘুম আসছে না তখন চিন্তা করলাম অল্প সময়ের জন্য হলেও সেখান থেকে একবার ঢু মেরে যায়। সেই চিন্তা থেকেই সরাসরি ঢুকে গেলাম মক্কা ক্লক টাওয়ারে। যাই হোক সৌদি আরব আসার পর থেকেই যেহেতু পরিকল্পনা ছিলো সেখানে যাওয়ার। তাই শেষ পর্যন্ত সেখানে ঘুরতে যেয়ে বেশ ভালোই লাগছিলো। তবে ভিতরে ঢুকে আমি যতটা আশা করেছিলাম তেমন কিছু দেখতে পাইনি। সেখানে নিচতলা থেকে চারতলা পর্যন্ত ছিলো বিশ্ব বিখ্যাত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের শোরুম আর খাবারের দোকান। আমি চারতলা পর্যন্ত উঠেছিলাম ঘুরতে ঘুরতে। তবে একটা জিনিস খেয়াল করে দেখলাম। সেখানে প্রত্যেকটা জিনিসের দাম অনেক বেশি। হয়তো সেগুলোর কোয়ালিটি ও অনেক ভালো হবে।
তবে সেখানকার বেশিরভাগ জিনিসের দাম দেখলাম সাধারণ মানুষের ক্ষমতার বাইরে। অবশ্য হওয়াটাই স্বাভাবিক। কারণ এই জায়গাটা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। আমি ধীরে সুস্থে বেশ কিছু দোকানপাট ঘুরেফিরে দেখতে লাগলাম। সেখানে নিচতলায় দেখতে পেলাম বেশ কিছু পারফিউমের দোকান রয়েছে। যেগুলোতে অনেক দামী দামী পারফিউম রাখা ছিলো। তবে মক্কায় ঘুরতে এসে আমি সব সময় একটা সমস্যা দেখতে পাই সেটা হচ্ছে ভাষাগত সমস্যা। সেখানকার মানুষ আরবি ছাড়া অন্য কোন ভাষা প্রায় বলতে গেলে পারেই না। যাইহোক বেশ কিছুক্ষণ সেখানেই ঘোরাফেরা করে আমি আমার হোটেলের উদ্দেশ্যে ফিরে চললাম। তবে যাওয়ার আগে মনে মনে পরিকল্পনা করেছি। একদিন রুমের সবাইকে নিয়ে এখানে ঘুরতে আসবো।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | মক্কা, সৌদি আরব |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাইয়া আপনি আপনার আম্মাকে নিয়ে হজ্জে গিয়েছেন জেনেছি।আপনি ঘুরতে পছন্দ করেন তা আমার অজানা নয়।আর দেশের বাইরে গেলে সেই আগ্রহ কিছুটা বৃদ্ধি পায় এটাই স্বাভাবিক।ভোরে নামাজ শেষ করার পর ঘুম আসেনি তাই ঘুরতে ঘুরতে মক্কা ক্লক টাওয়ারে গেলেন।সেখানে ৪ তলা পর্যন্ত নানা রকমের দোকান। এর মধ্যে খাবারের দোকান ও ছিল।তবে সবকিছুর দাম বেশী বললেন।দাম তো হবেই জায়গাটা তো একদম মেইন পয়েন্টে।এরা সবাই আরবী ভাষাতে কথা বলছিল।আসলে বাইরে গেলেই নিজের ভাষার প্রতি ভালোবাসা অনেক বৃদ্ধি পায় কথা বলতে না পারার কারনে।আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে।আপনি আপনার রুমমেটের সবার সাথে আবার সেখানে যাবেন।আশাকরি সুন্দর সময় কাটাচ্ছেন।আপনাদের হজ্জ আল্লাহ কবুল করে নিন,আমিন।
বিখ্যাত মক্কা ক্লক টাওয়ার পরিদর্শন করে দারুন অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। আসলে সেখানে যেহেতু প্রতি মিনিটে হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ মানুষ চলাচল করে,সেহেতো সেখানে সবকিছুর দাম বেশি হওয়া স্বাভাবিক। আপনার ফটোগ্রাফির মধ্যে একটি ফার্মেসি দেখলাম, সেটাও মনে হয় মক্কা ক্লক টাওয়ারের ভিতরে। সেখানে প্রত্যেকটা শপের নাম, আরবির পাশাপাশি ইংরেজিতেও লেখা রয়েছে। এর মাধ্যমে যারা আরবি না পারবে তারা ইংলিশটা দেখে সহজে বুঝতে পারবে। ধন্যবাদ।
মক্কা ক্লক টাওয়ার সামনা-সামনি কখনো দেখার সুযোগ হয়নি, তবে আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফিতে দেখতে দারুণ লাগছে। যাইহোক ফজর নামাজের পর সেখানে ঘুরাঘুরি করে বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছেন ভাই। আসলে এসব জায়গায় জিনিসপত্রের দাম বেশি হওয়াটা স্বাভাবিক। যেকোনো দেশে ঘুরতে গেলে ভাষাগত সমস্যা হবেই। তবে যে দেশে ঘুরতে যাওয়া হয়,সেদেশের মানুষ যদি ইংরেজি বুঝে তাহলে বেশ সুবিধা হয়। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমিও শুনেছি ভাইয়া সেখানকার প্রতিটি জিনিসের দাম অনেক বেশি। হয়তো মানের দিক থেকে অনেক ভালো বলেই দাম অনেকটা বেশি। একা একাই দেখছি বেশ ভালো ঘোরাফেরা করেছেন ভাইয়া। সুযোগ পেয়ে এই সুন্দর জায়গাগুলোতে ঘুরতে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া।