চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়া।
সেদিনও তাই করেছিলাম। তবে টেপাখোলা যাওয়ার পথে আমি রাসেলকে জিজ্ঞেস করলাম ফেরদৌসের সাথে কথা হয়েছে নাকি? রাসেল বলল ফেরদৌস সম্ভবত আজকে বের হতে পারবে না। ওর মনে হয় ব্যক্তিগত কোন কাজ রয়েছে। আমরা চিন্তা করলাম ফেরদৌস না আসলে আজকে আমরা টেপাখোলাতেই আড্ডা দেবো। আড্ডা দেয়ার উদ্দেশ্যে রাসেল বন্ধু দেবাশীষ ব্যানার্জি এবং প্রদীপ কে ফোন দিলো। ওরা জানালো ওরা এলাকাতেই আছে। তারপর ওদের সাথে কথা বলে আমরা প্রদীপের বাড়ির কাছাকাছি একটা পুকুরঘাট রয়েছে সেখানে দেখা করতে বললাম। সেখানে গিয়ে আমরা পৌঁছে দেখি প্রদীপ আগে থেকে এসে বসে রয়েছে। কিছুক্ষণ পর বন্ধু দেবাশীষ ব্যানার্জি ও আমাদের সাথে এসে যোগ দিলো।
প্রথমে আমরা গল্প করতে করতে বাঁধের দিকে হাঁটতে লাগলাম। আমরা সাধারণত বন্ধু-বান্ধব এক জায়গায় হলে দু তিন জায়গায় আড্ডা দেই। তার ভেতরে একটি পছন্দের জায়গা হচ্ছে টেপাখোলা বেরিবাধ। সেখানে পৌঁছে আমরা চার বন্ধু মিলে নানা বিষয় নিয়ে গল্প গুজব করতে লাগলাম। এর ভেতর ফেরদৌসকে আরেক দফা ফোন দেয়া হলে সে বলল সন্ধ্যার আগে বের হতে পারবে না। যাইহোক আমরা আমাদের আড্ডা চালিয়ে যাচ্ছিলাম। এদিকে সন্ধ্যা হয়ে এলে আমি চলে গেলাম মাগরিবের নামাজ পড়তে। মাগরিবের নামাজ পড়া শেষ হলে আমি এসে ওদের সাথে আবার যোগ দিলাম। তারপর আমরা টেপাখোলা বাস স্ট্যান্ডের দিকে রওনা দিলাম। সেখানে যাওয়ার আগে হঠাৎ করে একটা ভাজাপোড়ার দোকান দেখে চার বন্ধু মিলে সেখানে থামলাম। তারপর সেখান থেকে গরম গরম সিঙ্গারা, পিয়াজু, চপ এগুলো খেলাম। গরম থাকার কারণে সবকিছুই খেতে বেশ ভালো লেগেছিলো।
ভাজাপোড়া খাওয়া শেষ হলে আমরা চার বন্ধু চিন্তা করতে লাগলাম এখন এক কাপ তাহলে মন্দ হয় না। সেই চিন্তাতেই আমরা স্ট্যান্ডের দিকে যেতে লাগলাম। যাওয়ার পথে বন্ধু প্রদীপ বলছিলো ওদের এলাকাতে ছোট্ট একটা দোকান হয়েছে একেবারেই নতুন। যেখানে ফ্রাইড রাইস, চাওমিন, সুপ এগুলি পাওয়া যায়। সেইসাথে চা কফি ও পাওয়া যায়। তখন আমি বললাম তাহলে চল সেখান থেকেই চা খেয়ে দেখি। আমরা কথা বলতে বলতেই সে দোকানটাতে পৌঁছে গেলাম অল্প সময়ের ভেতরেই। দেখলাম ছোট্ট একটি দোকান মোটামুটি সুন্দর করে সাজিয়ে নিয়েছে। দোকানের যে মালিক সে নিজেই শেফ। আর তার খাবারগুলি নাকি সব বাড়ি থেকে তৈরি করে নিয়ে আসে। ছেলেটা দেখলাম আমার বন্ধুদের বেশ পরিচিত।
আমরা সেখানে বসে কিছুক্ষণ গল্প গুজব করে চারজনের জন্য চায়ের অর্ডার করলাম। তিনজনের জন্য মাসালা চা এবং একজনের জন্য দুধ চায়ের অর্ডার করেছিলাম। চা অর্ডার করে আমরা গল্প করতে লাগলাম। এদিকে অনেকক্ষণ পার হয়ে গেলেও দেখি চা পরিবেশন করছে না। তখন ছেলেটিকে তাড়া দিলে সে বলল ভাই হাতের কাজটা শেষ করেই আপনাদের চা দিচ্ছি। তার কিছুক্ষণের ভেতরেই আমাদের টেবিলে চা পরিবেশন করলো। আমরা তিনজনে নিয়েছিলাম মাসালা চা। সেখানে রং চায়ের ভিতরে নানারকম মসলা দেয়া ছিলো। চা টা খেতে খারাপ ছিলো না। আর রাসেলের জন্য অর্ডার করেছিলাম দুধ চা। রাসেল খেয়ে বললো সেই চা টাও বেশ ভালো। চা খাওয়া শেষ হলে আমরা আরো কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে তারপর যার যার বাড়ির পথে রওনা দিলাম।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ভাইয়া যে বেশ বন্ধু খোর তা আপনার পোস্ট গুলো পড়লেই বুঝা যায়। বেশ দারুন সময় পার করেন আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে। আসলে দিনের একটি সময় যদি এমন করে বন্ধুদের সাথে কিছুটা সময় ঘুরে বেড়ানো যায় তাহলে কিন্তু দেহ আর মন দুটোই বেশ উৎফুল্ল থাকে। তবে আপনার মুখে শুনে মনে হচ্ছে টেপাখোলা বেরিবাধটি দেখতে বেশ দারুন হবে। যদি কখনও ঐদিকটায় যাওয়া পড়ে তাহলে একবার দেখে আসার চেষ্টা করবো।
ভাইয়া তাহলে বন্ধুদের সাথে অনেক ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন।আপনার পোস্টটি পড়ে আমার বান্ধবীদের সাথে কাটানো সময়ের কথা মনে পরে গেলো। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কাটানো এতো সুন্দর মুহূর্তটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে বন্ধুদের সাথে জমিয়ে আড্ডা দিয়েছেন ভাই। বন্ধুদের সাথে বিকেলে বা সন্ধ্যায় ঘুরাঘুরি করতে এবং আড্ডা দিতে দারুণ লাগে। শীতকাল হচ্ছে ঘুরাঘুরি করার জন্য একেবারে পারফেক্ট সময়। কারণ প্রথমত মেঘ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না, দ্বিতীয়ত অনেকক্ষণ ঘুরাঘুরি করলেও শরীর থেকে ঘাম বের হয় না। সবমিলিয়ে আপনারা দারুণ সময় কাটিয়েছেন ভাই। যাইহোক এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।