বেশ কিছুদিন পর দুই বন্ধুর ঘোরাফেরা ও আড্ডা দেয়া (শেষ পর্ব)।
অবশ্য কিছুদিন আগ পর্যন্ত যে প্রচন্ড বৃষ্টিপাত হয়েছে সেই কারণেই হয়তো নদীতে পানি অনেক বেশি ছিলো। তাছাড়া ইন্ডিয়াতে বন্যা হওয়ার ফলে সেখান থেকেও প্রচুর পানি এসেছে বাংলাদেশে। সে কারণেও নদীতে পানি বেশি থাকতে পারে। যে কারণেই হোক নদীতে পানি বেশি দেখলে আমার কাছে ভালো লাগে। পানি ছাড়া শুকনো নদী আমার কাছে খুব একটা ভালো লাগে না। আমি আর ফেরদৌস সেখানে পৌঁছে মোটরসাইকেল থেকে নেমে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করলাম। সেই সাথে নিজেদের ভেতর গল্প করছিলাম। আর সাথে তো ছবি তোলা চলছিলোই। বিকালের এই সময়টাতে নদীর পাড়ে থাকতে আমার কাছে বরাবরই ভালো লাগে। কেমন যেন মনটা কিছুটা বিষন্ন হয়ে ওঠে। কিন্তু সেই বিষন্নতাটা উপভোগ করতে ইচ্ছা করে।
পশ্চিম আকাশে সূর্যটা ধীরে ধীরে অস্ত যাচ্ছিলো। আমি দারুন উপভোগ করি এই সময়টা। নদীর পাড় থেকে আমার যেতে ইচ্ছা করে না। কিন্তু ফেরদৌস বলল চলো হালকা কিছু খেয়ে নিই। হাজীগঞ্জের বাজারে গেলে সেখান থেকে আমরা ভাজাপোড়া খাই। যাই হোক ফেরদৌসের কথা অনুযায়ী তার সাথে গেলাম ভাজাপোড়া খেতে। সেখানে গিয়ে পেয়াজু, সিঙ্গারা, ডিমের চপ খেলাম। সবকিছু কেবল গরম গরম ভেজে ওঠানো হয়েছে। খেতে বেশ ভালই লেগেছিলো। খাওয়া-দাওয়া শেষ হতেই আমরা রওনা দিলাম রাফসানের শোরুম এর উদ্দেশ্যে। তবে হাজিগঞ্জ বাজার থেকে রাফসানের শোরুম এর দূরত্ব বেশ ভালই। যার ফলে সেখানে যেতে আমাদেরকে আমাদের বেশ খানিকটা সময় লাগবে। তবে আমি চাচ্ছিলাম রাফসানদের এলাকাতে গিয়ে মাগরিবের নামাজ আদায় করতে। সেই জন্য ফেরদৌস একটু দ্রুত মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলো।
ঠিক মাগরিবের নামাজের কিছুক্ষণ আগে আমরা রাফসানের শোরুমে পৌঁছলাম। আমি ফেরদৌসকে শোরুমে বসতে বলে চলে গেলাম নামাজ পড়তে। নামাজ পড়ে এসে আর বেশিক্ষণ সেখানে দেরি করিনি। বন্ধু রাফসানের সাথে কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলে আমরা বাড়ির দিকে ফিরতে লাগলাম। দীর্ঘদিন পর ফেরদৌসের সাথে ঘোরাফেরা করে মনটা বেশ ফ্রেশ হয়েছিলো। এবার ফেরদৌসের চাকরিটা নেয়ার সময় আমি তাকে বলেছিলাম চেষ্টা করো ফরিদপুরের আশেপাশে কোথাও পোস্টিং নিতে। কিন্তু ফেরদৌসের কিছুটা গাফিলতির জন্য আর সেটা হয়নি। না হলে মুন্সিগঞ্জে পোস্টিং নেয়ার একটা সুযোগ ছিলো।
মুন্সিগঞ্জ থেকে ফরিদপুর আসতে খুবই কম সময় লাগে। এখন ফেরদৌস আফসোস করছে। যদিও আমি তাকে পরামর্শ দিয়েছি তুমি তোমার বসের সাথে কথা বলে রেখো। যদি কোন সুযোগ থাকে তাহলে যেন তোমাকে মুন্সিগঞ্জ পোস্টিং দেয়। ও ওর বসের সাথে কথা বলে রেখেছে। বস ওকে আশ্বস্ত করেছে সুযোগ হলে ফেরদৌসকে মুন্সীগঞ্জে পোস্টিং এর ব্যবস্থা করে দেবে। যাই হোক ফেরার সময় ফেরদৌস জানালো দুই সপ্তাহ পরে আবার ফরিদপুর আসবে। এবার আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রেখেছি ফেরদৌস এলে আবার আমরা ঘোরাফেরা করবো।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এখন বেশিরভাগ খালি জায়গায় ঘর বাড়ি এবং মিল-কারখানা নির্মাণ করা হচ্ছে। তাই খালি জায়গার বড্ড অভাব এখন। আসলেই বিকেলে নদীর পাড়ে সময় কাটাতে দারুণ লাগে। ভাজাপোড়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর হলেও মাঝেমধ্যে গরম গরম পেঁয়াজু, ডিমের চপ, সিঙ্গারা, সমুচা খেতে বেশ ভালোই লাগে। ঘুরাঘুরি এবং খাওয়া দাওয়া করে বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছেন ভাই। আশা করি খুব শীঘ্রই ফেরদৌস ভাইয়ের পোস্টিং মুন্সিগঞ্জে হবে। তাহলে ফেরদৌস ভাইয়ের সাথে আরও বেশি ঘুরাঘুরি করতে পারবেন। যাইহোক এতো সুন্দর অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এখন আর খোলামেলা জায়গা খুঁজে পাওয়া মুশকিল। জনসংখ্যা যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে সে হারে জায়গা জমি বৃদ্ধি পাচ্ছে না। তাইতো নদী কিংবা খাল এসব ভরাট করে মানুষ বসতবাড়ি স্থাপন করছে। যেহেতু এবার বৃষ্টি অনেক বেশি হয়েছে তাই তো পানি এখনো অনেক বেশি। যাইহোক ভাইয়া আপনি ফেরদৌস ভাইয়ের সাথে ঘোরাঘুরি করেছেন এবং অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন বুঝতে পারতে। হবে ফেরদৌস ভাইয়ার পোস্টিং যদি ফরিদপুরের কাছাকাছি হয় তাহলে বেশ সুবিধা হবে।
কোন জায়গা আর আজকাল ফাঁকা থাকে না।আপনি কিছু ঘুরে ভাইয়াকে নিয়ে নদীর পাড়ে গেলেন।মনটা আপনার ভালো হয়ে গেলো।নদীর পানি এখনও অনেক বললেন।দুই বন্ধু মিলে সুন্দর সময় কাটালেন।ফেরদৌস ভাইয়ার পোস্টিং মুন্সিগঞ্জ হলে তখন ভালোই হবে। কাছাকাছি যেতে আসতে সময় কম লাগবে।মুন্সিগঞ্জ আমার দাদাবাড়ি ভাইয়া।ধন্যবাদ আপনাকে অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া,পরিপূর্ণ জলেই নদী তার যৌবনা রূপ ফিরে পায়।আমার কাছেও নদী খুবই ভালো লাগে কারন আমার শৈশব নদীর পাশে গ্রামেই কেটেছে।খোলামেলা জায়গায় বাড়ি তৈরি হচ্ছে এটা আসলেই ভ্রমন প্রিয় মানুষের জন্য কিছুটা অস্বস্তির।যাইহোক আপনার বন্ধুর সঙ্গে দারুণ সময় পার করেছেন আশা করি, ধন্যবাদ ভাইয়া।
বন্ধুদের মাঝে এমনটা হবেই। আগেই প্ল্যান করা হয়ে যায় পরের বার আসলে কোথায় কীভাবে ঘুরব। সন্ধ্যার সময় গরম গরম চপ সিঙ্গারা পিয়াজু এর কোন তুলনায় হয় না। কিছুদিন পূর্বে ভারত থেকে প্রচুর পানি ঢুকেছে। সেজন্যই হয়তো এখন নদীর পানি অনেক টা। ফেরদৌস ভাই মুন্সীগঞ্জে পোস্টিং পেলে আপনাদের বেশ ভালো হবে। বন্ধুদের সঙ্গে ঘোরাঘুরি এবং আড্ডা দেওয়ার এই পর্বটা বেশ ভালো লাগল আমার কাছে।
বেশ ভালো একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ভাইয়া বন্ধু কে নিয়ে কিছুক্ষন ঘুরাঘুরি নদীর পারে আর তার সাথে গরম গরম কিছু চপ নদীর ধরে খেলেন। বাহ্ কি অসাধারন ইনজয় করেছেন। দেখে বুঝা যাচ্ছে।আসলে এখন তো সেরকমভাবে হাঁটাচলা করার কোন জায়গা ঢাকা কিংবা এর আশেপাশে শহরগুলোতে তেমন একটা নেই।এখন সব জায়গায় বড় মিল কারখানা বড় বিল্ডিং তৈরি করে ফেলছে। সবমিলে ভালই হলো আপনার দুই বন্ধুর আড্ডাটা আর ফেরদৌস ভাইয়া মুন্সীগঞ্জে পোস্টিং হলে আপনাদের সুবিধা হবে। মুন্সিগঞ্জ জায়গাটা আমার খুব ভালো লাগে। মুন্সিগঞ্জ আমার দাদা বাড়ি। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।