রেনডম ফটোগ্রাফি পোস্ট।
কিছুদিন আগে আমাদের শহরের প্রধান রেল স্টেশনে গিয়েছিলাম একটি বিষয় সম্বন্ধে খোঁজখবর নিতে। আসলে ফরিদপুর থেকে ঢাকা পর্যন্ত ট্রেনে কবে থেকে যেতে পারবো সেটা জানার জন্যই মূলত স্টেশনে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে এই ছবিটি তুলেছিলাম। ট্রেন জার্নি আমার কাছে সবসময়ই বাস জার্নি থেকে অনেক ভালো লাগে। বলতে গেলে আমার ভিতর ট্রেনের প্রতি একটা অন্যরকম দুর্বলতা কাজ করে। সেই কারণেই রেলস্টেশনে গিয়েছিলাম ট্রেনের ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে। তখনই এই দৃশ্যটি দেখে মনে হলো একটা ছবি তুলে নেয়া যাক।
এই ছবিটি তুলেছিলাম পদ্মার পাড় থেকে। কিছুদিন আগে পরিবার নিয়ে গিয়েছিলাম পদ্মার পাড়ে ঘোরাফেরা করতে। সেদিন ছিল চমৎকার রৌদ্রজ্জ্বল আবহাওয়া। যদিও গরমটা একটু বেশি ছিলো। তারপরেও পাড়ে দাঁড়িয়ে নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে বেশ ভালোই লাগছিলো। তখনই ছবিটি তুলেছিলাম।
এই ছবিটি ও পদ্মার পাড় থেকে তুলেছিলাম। ছবিতে নদীর একাংশ দেখা যাচ্ছে। দেখতে একটি নদী মনে হলেও আসলে নদীতে তৈরি হওয়া নতুন চর আর নদীর পাড়ের ভেতরের জায়গাতে পানি জমে এমন নদীর মত দেখা যাচ্ছে।
ছবিতে আপনারা একটি ইট বিছানো রাস্তা দেখতে পাচ্ছেন। শহরে এখন আর এই ধরনের রাস্তা একেবারেই দেখতে পাওয়া যায় না। গ্রামের দিকে গেলে মাঝে মাঝে এমন রাস্তা দেখা যায়। যদিও আমাদের শহরের আশেপাশে যে সমস্ত গ্রাম রয়েছে সেই সমস্ত গ্রামের রাস্তাগুলিও সব পাকা হয়ে গিয়েছে। তারপরেও মাঝে মাঝে এমন ইটের রাস্তা দেখতে খারাপ লাগে না।
এই ছবিটিও তুলেছিলাম রেল স্টেশনের প্লাটফর্ম থেকে। ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন একজন মহিলাকে দেখা যাচ্ছে। যাকে দেখে মনে হচ্ছে তিনি ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন। অথচ আমি পৌঁছানোর কিছুক্ষণ আগেই স্টেশন থেকে একটি ট্রেন ছেড়ে গিয়েছে। হয়তো তিনি পরবর্তী ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন। এরকম দৃশ্য দেখে দ্রুত ছবিটি তুলে নিলাম।
এই ছবিটিও তুলেছিলাম পদ্মার পাড় থেকে। আমাদের শহরে মানুষের বিনোদনের তেমন কোন জায়গা না থাকার কারণে ভ্রমণ পিপাসু মানুষ বিকাল বেলায় সবাই পদ্মার পাড়ে আসে সময় কাটাতে। সে কারণে প্রতিদিন বিকালে পদ্মার পাড়ে প্রচুর লোক সমাগম হয়। সেই কারণেই এই মাটির তৈরি খেলনা বিক্রেতা তার পসরা সাজিয়ে বসেছে বেচা বিক্রির জন্য।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাই ফরিদপুর থেকে ঢাকার রেলপথ চালু হলেই এই এলাকার মানুষের সুবিধা আরো বেড়ে যাবে। আর অনেক দিন ধরেই ভাবছি ফরিদপুর যাব। এখন আমাদের এখান থেকে সরাসরি ফরিদপুরের বেশ কয়েকটি ট্রেন যাবে। কুষ্টিয়া ফরিদপুরের দূরত্ব বলতে গেলে অনেকটাই কমে গেল যাইহোক আপনার সাথে দেখা করার ইচ্ছা আছে। চমৎকার ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাইয়া আপনার ফটোগ্রাফি করার স্কিল মোটেও ভালো নয়, এই ধারনাটি একদমই ভুল। কেননা আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে পদ্মার পাড়ের ফটোগ্রাফি দেখে চোখ জুড়িয়ে যাচ্ছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, অসাধারণ সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
বাহিরে ঘুরতে গিয়ে ফটোগ্রাফি না করলে নিজের মধ্যেই খারাপ লাগা কাজ করে। যাইহোক আপনার ফটোগ্রাফির দক্ষতা আমার কাছে মনে হয় বেশ ভালোই। রেল স্টেশন এবং পদ্মার পাড়ের ফটোগ্রাফি গুলো দারুণ লাগছে দেখতে। কয়েক দিন আগে ফরিদপুর থেকে ঢাকা পর্যন্ত যাওয়ার ট্রেন কবে থেকে শুরু হবে, সেটা জানতে আপনি রেল স্টেশন গিয়েছিলেন,সেই পোস্টটি আমি পড়েছিলাম। ট্রেন জার্নি আমারও খুব পছন্দ। যাইহোক এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন ভাইয়া। ভীষণ ভালো লাগলো।বাইরে বের হলে ফটোগ্রাফি না করলে এখন আর ভালো লাগে না।পদ্মা পাড়ের প্রকৃতির ফটোগ্রাফি সব সময়ই দারুন লাগে।সেদিন রেল স্টেশন খবর জানতে গিয়েছিলেন।সেই ফটোগ্রাফি ও দারুন লেগেছে।সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমি যতদূর জানি ফরিদপুর টু ঢাকা ট্রেন চলাচল শুরু হবে সম্ভবত ১৮ অক্টোবর। এটা আমাদের কুষ্টিয়াবাসীর জন্য অনেক বড় একটা পাওয়া। স্টেশন এর ফটোগ্রাফি টা বেশ চমৎকার ছিল। শহরের মধ্যে কোন বিনোদন কেন্দ্র নেই ফলে সবার গন্তব্য ঐ পদ্মা নদীর পাড়। পদ্মা নদীর পাশের ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ছিল ভাই। ফটোগ্রাফি গুলো বেশ চমৎকার লাগছে। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করে নেওয়ার জন্য ভাই।।
পদ্মার পাড়ের মাটির খেলনার দোকানটি দেখে সত্যি অনেক ভালো লেগেছে। ভ্রমণ প্রিয় মানুষরা এসব জায়গাগুলোতে ঘুরতে গিয়ে দারুন দারুন সব জিনিসগুলো কেনার চেষ্টা করে। ভাইয়া আপনি দারুন সব ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আসলে আমিও মাঝে মাঝে বাহিরে গেলে চেষ্টা করি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করার। তবে দ্রুত যেন ফরিদপুর থেকে ঢাকা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু হয় এই প্রার্থনাই করি ভাইয়া।
ভাইয়া আপনার তোলা সব কয়টি রেনডম ফটোগ্রাফি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে পদ্মার পাড়ে বিভিন্ন জিনিসপত্র বিক্রেতার ফটোগ্রাফিটি আমার কাছে সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে। সত্যি দারুন একটি ফটোগ্রাফির পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।