বেশ কিছুদিন পর বন্ধু ফেরদৌসের সাথে ঘোরাফেরার অভিজ্ঞতা (শেষ পর্ব)।
যাইহোক আমি বলার পরেই অল্প সময়ে আমরা নতুন সুইচগেট এর কাছাকাছি পৌঁছে গেলাম। প্রথমে পরিকল্পনা করেছিলাম সেখানে গিয়ে আগে কিছুক্ষণ আড্ডা দেবো। তবে সেখানে পৌঁছে খেয়াল করে দেখলাম সন্ধ্যা হতে আর খুব বেশি বাকি নেই। তাছাড়া আশেপাশের বিভিন্ন রকম খাবারের আয়োজন দেখে চিন্তা করলাম দুজনে হালকা কিছু খেয়ে নেই। সেখানে রাস্তার পাশে একটি ভ্যানে দেখলাম ফুচকা বিক্রি হচ্ছে। সেই ফুতকার বিশেষত্ব হচ্ছে সাথে বিভিন্ন ফ্লেভারের টক রয়েছে। আপনি ফুচকার সাথে আপনার পছন্দমত ফ্লেভারের টক নিয়ে খেতে পারবেন। ফেরদৌসকে জিজ্ঞেস করলাম ফুচকা খাবে নাকি? ও বললো খাওয়া যেতে পারে।
তারপর দুই বন্ধু সেখানে গিয়ে চেয়ারে বসে ফুচকার অর্ডার করলাম। প্রথমে চিন্তা করেছিলাম দুই প্লেট ফুচকা নেবো। পরবর্তীতে চিন্তা করলাম এদের ফুচকা কেমন হবে সেটা জানা নেই। তাই আগে এক প্লেট ফুচকা নিয়ে টেস্ট করে দেখি। তারপর এক প্লেট ফুচকা নিয়ে দুজনে ভাগ করে বিভিন্ন রকমের টক দিয়ে খেতে লাগলাম। তবে ফুচকাটা খেয়ে আমাদের একেবারেই ভালো লাগেনি। তখন ফেরদৌস বলল চলো আমরা হট দ্যা ফুচকা থেকে ভাঙচুর খেয়ে আসি। এই খাবারটা ফেরদৌসের খুবই পছন্দের। যখনই আমরা ফুচকা টাইপের কিছু খাওয়ার কথা চিন্তা করি তখনই ফেরদৌস সেখানে যেতে চায়। ফেরদৌস প্রস্তাব দেয়ার পরেই আমরা দুজন সেই ফুচকার দোকানের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। সেখানে পৌঁছতে অবশ্য আমাদের খুব একটা সময় লাগেনি। সেখানে পৌঁছে দেখি ফুচকার দোকানে তেমন একটা ভিড় ছিলো না। দোকানে প্রবেশ করে আমরা ভাঙচুর অর্ডার করে টেবিলে বসে অপেক্ষা করতে লাগলাম।
তবে এদিন তারা বেশ তাড়াতাড়ি পরিবেশন করেছিলো। সাধারণত তারা খাবার পরিবেশন করতে বেশ খানিকটা সময় লাগায়। যেটা আমার কাছে খুবই বিরক্তিকর মনে হয়। আমরা দুই বন্ধু বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গল্প করতে করতে ভাঙচুর খাচ্ছিলাম। খাওয়া-দাওয়ার ভেতরে আমরা দুজন কোথাও ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে আলাপ করছিলাম। অবশ্য এমন আলাপ আমাদের ভিতর অনেক দিন ধরেই হচ্ছে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে আর ঘুরতে যাওয়া হচ্ছে না। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমরা সেখান থেকে বের হয়ে আবার সুইচগেটের দিকে আসলাম। সেখানে কিছুটা সময় কাটিয়ে আমি তাড়াতাড়ি বাসার দিকে রওনা দিলাম। আসলে কাজের চাপ মাথায় থাকলে তখন নিশ্চিন্ত মনে ঘোরাফেরা করা যায় না।
অবশ্য আমরা পরিকল্পনা করেছি একদিন দুই বন্ধু নদীর পাড়ে সেই রেস্টুরেন্টে গিয়ে কিছুটা সময় কাটাবো। অবশ্য সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে কিনা সেটা এখনো বলতে পারছি না। কারণ ফেরদৌসের একটি চাকরির কথা চলছে। চাকরিটা হয়ে গেলে যে কোন দিন ফেরদৌস ফরিদপুর থেকে চলে যাবে। তখন আবার আমি একা হয়ে যাবো। অবশ্য এখন এলাকার বন্ধু-বান্ধবদের সাথে মাঝে মাঝে ঘোরাফেরা করা যাবে। যাইহোক চমৎকার একটা বিকাল বাইরে কাটিয়ে বেশ ফুরফুরে মেজাজে বাসায় ফিরতে লাগলাম।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দুই বন্ধু মিলে ভালো ই ঘুরাঘুরি করলেন।সুইচগেটের কাছে গিয়ে বেশ কিছু খাবারের দোকান দেখে চটপটি খেতে গিয়ে ভালো লাগলো না।তাই সেই ভাঙচুর খেতে চলে গেলেন।এই নামটি খুব সুন্দর। আর খাবারটা ও খুব মজার শুনে বার বারই খেতে ইচ্ছে হয়।যদিও বাইরের খাবার না পারতে খাওয়া হয়না।ফেরদৌস ভাইয়ার চাকরি হয়ে গেলে তিনি আবার ফরিদপুর ছেড়ে চলে যাবেন।আসলে এই কর্মক্ষেত্রের কারনেই আমরা সবাই প্রিয় মানুষদের থেকে এতো দূরত্বে থাকি।খুব ভালো লাগলো আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া সুইচগেইট জায়গাটা খুবই সুন্দর। এখানে সময় কাটাতে খুবই ভাল লাগবে। আর মাঝে মাঝে বিভিন্ন জায়গার ফুচকা টেষ্ট করলে রুচিটাই নষ্ট হয়ে যায়। এক প্লেট নিয়ে বুদ্ধির কাজ করেছেন। আর ভাঙচুর জিনিষটা আজকে প্রথম শুনলাম। ছবি দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হবে। চটপটির অপর নাম ভাঙচুর ,হি হি হি। ধন্যবাদ।
বাহ্! এখানে সেখানে একটানা বেশ ভালোই ঘুরাঘুরি করেছেন দেখছি। সুইচগেট তো চমৎকার একটি জায়গা। এমন জায়গায় বিকেল বেলা এবং সন্ধ্যার পর সময় কাটাতে দারুণ লাগে। ফুরফুরে বাতাস শরীরটাকে একেবারে শীতল করে দেয়। এককথায় দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছেন। প্রতিটি পর্ব বেশ উপভোগ করেছি।
ভাইয়া ভাংচুর এটা আবার কেমন খাবার? বেশ সুস্বাদু খাবার কি? যাই হোক দুই বন্ধু মিলে যে কি পরিমান ঘুরাঘুরি করেন। আর এই ফৈরদৌস ভাইয়ের চাকুরী হলে তো তিনিও চলে যাবেন। কি আর করার এভাবেই আমাদের কে প্রিয় মানুষ গুলোর থেকে দূরে চলে যেতে হয়।