দীর্ঘদিন পর এলাকার বন্ধু-বান্ধবদের সাথে ঘুরতে যাওয়া (তৃতীয় পর্ব)।
কিছুক্ষণ বাইরে বসে থাকার পর রুবেলের চাচাতো ভাইয়েরা আমাদেরকে খাওয়ার জন্য ডাকতে লাগলো। ততক্ষণে বেলা প্রায় তিনটে বেজে গিয়েছে। এদিকে সবার পেটেই ক্ষুধার কারনে ছুঁচোর নাচন শুরু হয়েছে। তাই আর আমরা দেরি না করে খেতে চলে গেলাম। অবশ্য আমাদের জন্য কি আয়োজন করা হয়েছে সেটা আমরা আগে থেকে জানতাম না। কিন্তু গিয়ে দেখতে পেলাম আমাদের জন্য করা হয়েছে চিতই পিঠা, হাঁসের মাংস, দেশি মুরগির মাংস, ভাত আর ডাউল। পিঠা দেখে আমরা সকলে অত্যন্ত খুশি হয়েছিলাম। কারণ অনেকদিন হলো পিঠা খাওয়া হয় না। তার সাথে আবার রয়েছে হাঁসের মাংস।
আমাদের ক্ষুধা এতটাই লেগেছিল যে ছবি তোলার কথা বেমালুম ভুলে গিয়েছিলাম। যাইহোক খাবার শুরু করার পরেই আমাদের সকলের মুখের অভিব্যক্তি বলে দিয়েছিল খাবার কতটা মজা হয়েছে। আসলেই রান্নাটা দুর্দান্ত হয়েছিলো। বিশেষ করে হাঁসের মাংস রান্নাটা। যার ফলে আমরা সকলেই ভরপেট পিঠা আর হাঁসের মাংস খেলাম। অবশ্য পরবর্তীতে সবাই দু এক চামচ করে ভাতও নিয়েছিলাম। কেউ মুরগির মাংস দিয়ে ভাত খেয়েছিল আবার কেউ শুধু হাসের মাংস দিয়েই ভাত খেয়েছিলো।
খাবার এতটাই মজা হয়েছিল যে আমরা কয়েকজনে প্রায় বড় দুই বাটি হাঁসের মাংস শেষ করে দিয়েছিলাম। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে সবাই কোকের গ্লাস হাতে নিয়ে আবার বাইরে গিয়ে বসলাম। সেখানে আড্ডায় আমাদের সাথে যোগ দিয়েছিলো রুবেলের চাচাতো ভাইয়েরা। এমনিতে রুবেলের চাচাতো ভাইয়েরা আমাদের আগে থেকেই পরিচিত। কারণ শহরের কাছাকাছি তাদের বাড়ি হওয়ায় আমাদের এলাকাতে অনেক আগে থেকেই তাদের যাতায়াত ছিলো। সেই সূত্রেই তাদের সাথে আমাদের পরিচয়।
বাইরে গাছের ছায়ায় বসে আমাদের সময়টা বেশ ভালোই কাটছিলো। তবে সামনে এমন থৈ থৈ পানি দেখে সকলেরই নৌকায় চড়ার ইচ্ছা হচ্ছিল। আমরা তখনই ঠিক করলাম বিকালের দিকে আমরা নৌকায় করে ঘুরে বেড়াবো। প্রথমে আমাদের পরিকল্পনা ছিল সূর্য ডোবার কিছুক্ষণ আগে আমরা নৌকায় করে ঘুরতে যাব এবং সন্ধ্যার পরেও বেশ খানিকটা সময় নৌকা নিয়ে আমরা সেই বিলে ঘুরে বেড়াবো। কিন্তু পরবর্তীতে আমাদের সাথের একজনের কারণে আর আমাদের সেই পরিকল্পনা পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। আমাদের এক বন্ধুর আবার অন্য এক জায়গায় যাওয়ার কথা ছিলো। তার কারণে আমরা অনেকটা রোদ থাকতেই বিলে নৌকা নিয়ে ঘুরতে গেলাম। ঠিক করা হলো আমরা নৌকায় ঘোরাফেরা শেষ করে নৌকা আমাদের ওপারে নামিয়ে দেবে। কারণ ওপারেই শহরে যাওয়ার রাস্তা রয়েছে। তারপর সেখান থেকে আমরা বাড়ির দিকে রওনা দেবো।
যদিও আমাদের সাথের সবাই এই রোদের ভেতরে বিলে ঘুরতে যেতে খুব একটা রাজি হচ্ছিল না। কিন্তু আমাদের সেই বন্ধুর বারবার তাড়া দেয়ার কারণে সবাই এক প্রকার বাধ্য হয়ে নৌকায় উঠেছিলাম। অবশ্য ইঞ্জিন চালিত সেই নৌকাটি আমাদেরকে বেশ খানিকটা ঘুরিয়ে তারপর আমাদের এলাকার দিকে কিছুটা এগিয়ে দিয়েছিলো। নৌকায় ঘোরাফেরা শেষ করেই যে আমরা বাড়িতে ফিরেছিলাম তা নয়। নৌকা থেকে নামার পরে আমরা একটি গ্রামীন বাজারে বেশ কিছুক্ষণ ঘোরাফেরা করেছিলাম। সেখানে একটি দোকান থেকে আমরা চা খেলাম তারপর আশেপাশে কিছুক্ষণ ঘোরাফেরা করে তারপর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
| ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
|---|---|
| ফটোগ্রাফার | @rupok |
| স্থান | মমিনখার হাট |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
বন্ধু-বান্ধবের সাথে ঘুরতে কার না ভালো লাগে। তবে সবথেকে ভালো হতো যদি এই পানিতে আপনারা নৌকায় চড়তে পারতেন। যাইহোক আপনার অভিজ্ঞতাটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
নৌকায় ঘুরেছিলাম আপু। কিন্তু মন মতো ঘুরতে পারিনি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বন্ধু রুবেল ভাইয়ার বাড়িতে সবাই মিলে সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। আর খাওয়া দাওয়া ও হলো দারুন।সত্যি কথা বলতে ক্ষুধা লেগে গেলে আর এতো মজার মজার খাবার দেখলে ফটোগ্রাফি করার কথা মনেই আসে না।এর আগেও দেখছি আপনি খাবারের ফটোগ্রাফি করতে ভুলে গেছেন।যাক আশেপাশের ফটোগ্রাফি গুলো দেখছিলাম আমার চোখ আকাশের দিকে বার বার চলে যাচ্ছিল।কি সুন্দর ই না আকাশের ফটোগ্রাফিগুলো। অসাধারণ লাগছে।উপরে আকাশ নিচে টলমলে পানি।এক কথায় দারুন পরিবেশ।খুব ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
উপরে নীল আকাশ আর নিচে এমন চমৎকার পানি দেখে আমারও ছবি তুলতে ইচ্ছে করছিলো আপু।
এত চমৎকার একটি বিলে ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতিটা নিশ্চয়ই অনেক আনন্দের ছিল। আসলে মাঝে মাঝে কোথাও ঘুরতে গেলে মন ফ্রেশ থাকে আর সেটা যদি বন্ধুদের সাথে হয় তাহলে কিন্তু আনন্দ দ্বিগুণ হয়। খুবই চমৎকার ভাবে আপনি সময় অতিবাহিত করেছেন। অবশ্য আপনার এক বন্ধুর কারণেই নৌকা ভ্রমনটি দ্রুত করতে হয়েছে। যাই হোক বিলের ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু দারুণ এসেছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
সেদিন সময়টা আমাদের ভালোই কেটেছিলো। তবে শেষের দিকে তাড়াহুড়া করে চলে আসতে হয়েছিল বলে খুব একটা ভালো লাগেনি।
ভাইয়া, বন্ধুর বাড়িতে বেশতো জমিয়ে খাওয়া খেলেন। হাঁসের মাংস, মুরগির মাংস সেই সাথে আবার রয়েছে চিতই পিঠা। পেট পুরে এত মজার খাবার খেয়ে আপনারা কিভাবে বিছানা ছেড়ে উঠতে পেরেছেন তাই তো ভাববার বিষয়। যাইহোক বন্ধুর তাড়া দেয়ার কারণে হয়তোবা আপনারা রোদের মধ্যেই বিলে ঘুরতে গিয়েছিলেন। আর বিলে ঘুরতে গিয়ে আপনি যে সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন তা দেখে বেশ বুঝতে পারছি আপনাদের সময়টা কত সুন্দর কেটেছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে আপনাদের কাটানো সুন্দর সময় টুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সময়টা সেদিন আসলে অনেক ভালো কেটেছিল ভাই। দীর্ঘদিন পর এলাকার বন্ধুবান্ধবদের সাথে বাইরে ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেজন্যই হয়তো আরো বেশি ভালো লাগছিলো।