তিন বন্ধুর আড্ডাবাজি সাথে হালকা খাওয়া-দাওয়া।
তবে বাঙালিয়ানা নামের যে রেস্টুরেন্টের গল্প আমরা করছিলাম সেই রেস্টুরেন্টটি তাদের খাবারের আইটেমের কারণে লোকজনের ভেতরে বেশ সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়েছিলো। অন্য সব রেস্টুরেন্টের মতো তারা তেমন কোন রেগুলার আইটেম রাখেনি। তাদের রেস্টুরেন্টে পাওয়া যায় ছিত রুটি, চিতই পিঠা, শীতের আরো কয়েক ধরনের পিঠা, সাথে হাঁসের মাংস, পায়েশ, খিচুড়ি এই ধরনের আইটেম। আজকালকার মানুষ শুধু বিরিয়ানি আর ফাস্টফুড খেতে খেতে কিছুটা বিরক্ত হয়ে গিয়েছে। যার ফলে তারা সাদের ভিতরে বৈচিত্র খুঁজে। একপর্যায়ে আমি ওদেরকে প্রস্তাব দিলাম চল তাহলে সেই রেস্টুরেন্টে গিয়ে খেয়ে আসি। ওরা বলল কেবল এখানে সিঙ্গারা চপ এগুলি খেলাম। এখন কি গিয়ে খেতে পারবো নাকি? আমি তখন বললাম সমস্যা হবে না। সেখানে গিয়ে হালকা করে কিছু খেয়ে নেবো। মূলত তাদের খাবারটা টেস্ট করতে চাচ্ছিলাম।
তিন বন্ধু রাজি হতেই আমরা রওনা দিলাম সেই রেস্টুরেন্টের উদ্দেশ্যে। অটো রিক্সায় করে অল্প কয়েক মিনিটে আমরা সেই রেস্টুরেন্টের সামনে পৌঁছে গেলাম। রেস্টুরেন্টের ভেতরে প্রবেশ করে দেখলাম ভেতরটা খুব সাধারণ আসবাবপত্র দিয়ে সাজানো হলেও দেখতে বেশ ভালো লাগছে। আমরা গিয়ে একটা টেবিলে বসলাম। কিছুক্ষণ পরে ওয়েটার এসে আমাদের সামনে মেনু কার্ড দিয়ে গেলো। আমরা সেখান থেকে আলোচনা করে খিচুড়ি অর্ডার করলাম সাথে হাঁসের মাংস আর অন্য আরেকটা মাংস অর্ডার করলাম। তাদের মেনু কার্ডে পায়েসের নাম দেখে আমি আগে এক বাটি পায়েস দিতে বললাম টেস্ট করার জন্য। কিছুক্ষণের ভেতরেই আমার সামনে ছোট্ট একটা কাপে করে পায়েশ নিয়ে এলো। খেয়ে দেখলাম পায়েসটা খেতে বেশ মজার।
তারপর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরে আমাদের টেবিলে সব খাবার পরিবেশন করলো। হাঁসের মাংস অর্ডার করার কারণ হচ্ছে আমরা তো বাইরে সব সময় মুরগি আর অন্য মাংস খেয়ে থাকি। সেই কারণে এখানে হাঁসের মাংস দেখতে পেয়ে আমরা হাঁসের মাংস অর্ডার করেছিলাম। খাবার পরিবেশন করার পরে খেয়ে দেখলাম খাবারগুলো বেশ ভালোই। খাবারের টেস্ট অনেকটা বাসায় রান্না করা খাবারের মতো। খাবারে অন্য অন্য হোটেলের মত তেল মসলার কোনো বাড়াবাড়ি ছিলো না। যার ফলে আমাদের কাছে খেতে বেশ ভালোই লেগেছিলো। খাওয়া-দাওয়া শেষে তিন বন্ধু সেখানে বসে আরো কিছুক্ষণ আড্ডা দিলাম। তারপর বিলমিটিয়ে সেদিনের মতো বাড়ি ফিরে এলাম।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ভাইয়া বাঙালিয়ানার কিন্তু ঢাকায় ও শাখা আছে। তবে আপনি কিন্তু একদম ঠিক কথা বলেছেন যে, আজকাল মানুষ হোটেলে বিরিয়ানী আর ফাস্টফুড খেতে খেতে হাপিয়ে উঠেছে। এখন সবাই চায় একটু ভিন্ন রকমের খাবার। বেশ ভালোই ইনজয় করলেন দেখছি। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
লেখাটি পড়ে ভালোই লাগলো। খুবই সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর মুহূর্তটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বর্তমানে কমবেশি সব জায়গায় রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় প্রতিযোগিতা চলে,তাই খাবারের মান ভালো না হলে টিকে থাকা যায় না বেশিদিন। যাইহোক সেই রেস্টুরেন্টের খাবারের মেনু আসলেই দারুণ। এই শীতে হাঁসের মাংস খাওয়ার মজাই আলাদা। হাঁসের মাংস এই শীতে বেশ কয়েকবার খেয়েছি আমি। যাইহোক হাঁসের মাংসের কালার দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে খুব ইয়াম্মি লেগেছিল। খাওয়া দাওয়া এবং আড্ডা দিয়ে আপনারা তিনজন দারুণ সময় কাটিয়েছেন ভাই। যাইহোক এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।