শীতের বিকালে তিন বন্ধুর ঘোরাফেরা, আড্ডাবাজি ও ব্যাডমিন্টন খেলা (প্রথম পর্ব)।
যথা সময় আমি বাসা থেকে বের হয়ে নির্ধারিত জায়গায় গিয়ে উপস্থিত হলাম। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখি ফেরদৌস এখনো আসেনি। পরে ফেরদৌসকে ফোন দিলে সে জানালো সে আর পাঁচ মিনিট পরে বের হবে। যেহেতু নির্বাচনের সময় যানবাহন চলাচলের উপর কিছুটা কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। তাই ফেরদৌস আর এদিন মোটরসাইকেল নিয়ে বের হয়নি। আমরা দুই বন্ধু অটো রিক্সা করে রাফসানের এলাকার দিকে রওনা দিলাম। যাওয়ার সময় দুই বন্ধু নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন রকম কথাবার্তা বলছিলাম। আমাদের এই আসনে কোন প্রার্থীর নির্বাচিত হওয়া সম্ভাবনা কেমন সেটা নিয়ে মূলত আলোচনা হচ্ছিলো। এর ভিতর অটোতে বসে থাকা আরো দুজন যাত্রী আমাদের সাথে আলোচনায় অংশ নিলো। দেখলাম তাদের সাথে আমাদের মতামত অনেকটা মিলে যাচ্ছে। যাইহোক এভাবে গল্প করতে করতে আমরা একসময় এলাকায় এসে উপস্থিত হলাম।
আমাদের মূল উদ্দেশ্য ছিলো প্রথমে একটি আপেল কুল বাগানে যাওয়া। সেখানে গিয়ে আপেল কুল কেনা তারপর কোন একদিকে ঘুরতে যাওয়া। কিন্তু রাফসানের শো-রুমের সামনে পৌঁছে দেখি রাফসানের শোরুম বন্ধ রয়েছে। তখন রাফসানকে ফোন দিলে ও জানালো ও বাড়িতে রয়েছে। আমাদেরকে ওর বাড়িতে যেতে বললো। আমরা কিছুক্ষণ সেখানে অপেক্ষা করে তারপর রাফসানের বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। আমরা পরিকল্পনা করেছিলাম যদি আপেল কুল কিনতে যাওয়া না হয় তাহলে রাফসানকে নিয়ে আমরা ওদের এলাকা দিয়ে ঘুরে বেড়াবো। রাফসানের বাড়ি পৌঁছতে রাফসান জানালো আপেল কুল এখনো পাকেনি। বাজারে যেগুলো পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো আসলে পাকার আগেই গাছ থেকে তুলে নেয়া হয়েছে।
এই কথা শুনে আমরা আপেল কুল কেনার পরিকল্পনা বাদ দিলাম। তারপর রাফসানকে সাথে নিয়ে আমরা নদীর পাড়ের উদ্দেশ্যে হাঁটতে লাগলাম। তবে এদিন আমরা রাস্তা দিয়ে না গিয়ে ক্ষেতের মধ্যে দিয়ে হাঁটতে লাগলাম। দীর্ঘদিন পর শীতের বিকালে ফসলের ক্ষেতের ভেতর দিয়ে হাঁটতে সম্পূর্ণ অন্যরকম লাগছিলো। শেষ কবে এমন ফসলের ক্ষেতের ভেতর দিয়ে হেঁটেছি সেটা মনে করতে পারছিলাম না। তবে ফসলের ক্ষেতের ভেতর দিয়ে হাঁটার সময় ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যাচ্ছিলো। যদিও দীর্ঘদিন ফসলের ক্ষেতের ভেতর দিয়ে হাঁটার অভ্যাস না থাকার কারণে প্রথমে কিছুটা সমস্যা হচ্ছিলো। কিছুক্ষণ পরে অবশ্য আর কোনো সমস্যা হয়নি। তিন বন্ধু ফসলের ক্ষেতের ভিতর দিয়ে হেঁটে নদীর দিকে আগাচ্ছিলাম আর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গল্প করছিলাম। তবে ঘুরে ফিরে আলোচনা নির্বাচনে এসেই ঠেকছিলো। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ফেরদৌস ভাই ঠিকই বলেছিল, শীতের বিকেল একেবারে তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়। তাই ২.৩০ টার দিকে বের হয়ে বেশ ভালো কাজ করেছেন আপনারা। শীতের বিকেলে ক্ষেতের আইল দিয়ে হাঁটতে ভীষণ ভালো লাগে। চারিদিকে সবুজের সমারোহ দেখে চোখ দুটি একেবারে জুড়িয়ে গেল। যেহেতু আগামীকালকে নির্বাচন, তাই ঘুরেফিরে নির্বাচনের আলোচনা উঠবেই। যাইহোক নদীর পাড়ে গিয়ে তো আরও ভালো সময় কাটিয়েছেন মনে হচ্ছে। সেটা পরবর্তী পর্বে বিস্তারিত জানতে পারবো আশা করি। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
শীতের বিকেলে ক্ষেতের আইল দিয়ে হাটতে খুব ভালো লাগে। ক্ষেতের তাজা ঘ্রাণ পাওয়া যায়। নির্বাচনের ছুটিতে আপনার বন্ধুর আগমনে , বেশ জমিয়ে আড্ডা দিয়েছেন। আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে ভাইয়া। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য, অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার জন্য।
ভাইয়া বর্তমানে আলোচনা সেই নির্বাচন। নির্বাচনে কে জিতবে সেটা সবাই জানে, তবে নির্বাচনের পরে কোন প্রবলেম হবে কিনা সেটাই আলোচনার বিষয়। সরিষা ক্ষেতের ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে। তবে আপেল কুল গুলো দেখতে পারলাম না। ধন্যবাদ ভাইয়া।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ছুটি পাওয়াতে ফেরদৌস ভাইয়া ফরিদপুর চলে গেলো।আর তাইতো ঘোরাঘুরি বেশ ভালোই হবে আপনাদের।আপনারা ফসলের মাঠের পাশের পথ দিয়ে নদীর পাড়ে যেতে হেঁটে চললেন।মাঠের পাশের এমন পথ গুলো উঁচু নীচু হয়।প্রথম সমস্যা হলেও হাঁটতে আপনার ভালোই লাগছিলো।অনেকদিন পর এমন পথ ধরে হেঁটে চললেন।আর গল্প করে যাচ্ছিলেন।আপনাদের গল্পের টপিক ঘুরে ফিরে নির্বাচনকে ঘিরেই ছিল।ধন্যবাদ আপনাকে অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।পরবর্তী পর্বে জানতে পারবো কেমন কাটলো আপনাদের সময়।