বৃষ্টিস্নাত দিন সাথে ইলিশ খিচুড়ি। আর কি চাই জীবনে?

গত বেশ কিছুদিন প্রচন্ড গরম গিয়েছে। বলতে গেলে এই মাসের একদম শুরু থেকে গতকাল পর্যন্ত ছিলো ভয়াবহ গরম। তাই আজ এই বৃষ্টিটা পেয়ে বেশ ভালো লাগছিলো। যদিও হাঁটতে যেতে পারিনি। তবে গোমড়ামুখো আকাশ দেখে মনটা ভালো হয়ে গিয়েছিলো। আসলে গত কয়েকদিন ধরে মনে মনে এমন আবহাওয়াই চাচ্ছিলাম। প্রচন্ড গরমে আর ভালো লাগছিলো না। এমনিতেও আমি বৃষ্টি খুবই পছন্দ করি। আষাঢ় মাসে যখন টানা কয়েকদিন বৃষ্টি হয় তখনও আমার কাছে দারুন ভালো লাগে। বৃষ্টিটা আমার কাছে একটা উপভোগের বিষয়। তাই বৃষ্টিময় এই দিনটা আমার বেশ ভালই লাগছিলো। যদিও সকালে কাজ শুরু করার পরে পরপর দুবার কারেন্ট চলে যাওয়ার কারণে প্রচন্ড মেজাজ খারাপ হয়েছিলো। কিন্তু পরবর্তীতে সবই ঠিক হয়ে গিয়েছিলো।

সকালে আকাশের এই অবস্থা দেখে স্ত্রীকে বলেছিলাম আজ খিচুড়ি আর ইলিশ রান্না করতে। বৃষ্টির দিনে এটা হচ্ছে আমার সবচাইতে প্রিয় খাবার। অবশ্য শুধু আমার প্রিয় তা নয় বরং বেশিরভাগ বাঙালি খিচুড়ি আর ইলিশ খেতে খুবই পছন্দ করে। আর সেটা যদি হয় বৃষ্টিস্নাত কোন দিনে তাহলে তো কোন কথাই নেই। সাধারণত আমার বাসায় রান্না হতে বেলা ২:০০ বেজে যায়। তবে আজ আমার স্ত্রী বেশ সকাল সকাল রান্না শেষ করে ফেলেছিলো। আমি নামাজ পড়তে যাওয়ার আগেই সে জানালো রান্না শেষ হয়ে গিয়েছে। এত তাড়াতাড়ি রান্না করা দেখে আমি তো কিছুটা অবাক হয়েছি। অবশ্য খিচুড়ি আর ইলিশ মাছ ভুনা রান্না করতে এমনিতেও খুব একটা বেশি সময় লাগে না। তাই আমি নামাজ পড়তে যাওয়ার আগে তাকে বলে গেলাম খাবার রেডি করতে। আমি নামাজ পড়ে এসে খেতে বসবো।

নামাজ পড়ার জন্য যখন বাসা থেকে বের হলাম তখনও দেখি বাইরে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়ছে। ছাতা নিয়ে এই বৃষ্টির ভিতরেই মসজিদে গেলাম। তারপর নামাজ শেষ করে বাসায় এসে দেখি আমার স্ত্রী খাবার রেডি করছে। তারপর আর সময় নষ্ট না করে তাড়াতাড়ি হাত ধুয়ে খেতে বসে গেলাম। খিচুড়ি আর ইলিশ মাছ ভাজা বা ভুনা আমার অত্যন্ত পছন্দের একটি খাবার। তাছাড়া আজকের রান্নাটাও হয়েছিল দারুণ। বৃষ্টিস্নাত এই মেঘলা দিনে দুপুরে জম্পেশ একটা খাওয়া দেওয়া শেষে পোস্ট লিখতে বসলাম। আপনাদের আজকের দিনটা কেমন কেটেছে সেটা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না কিন্তু?

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।