হাঁসের মাংসের জন্য বিখ্যাত লক্ষীতলা বাজারের - মান্নান হোটেল এন্ড বিরিয়ানি হাউস||
প্রিয় ব্লগার বৃন্দ,
দিনাজপুর জেলার মধ্যে চিরিরবন্দর উপজেলা অবস্থিত । আমাদের চিরিরবন্দর উপজেলায় বেশ কিছু বাজারের মধ্যে লক্ষীতলা বাজারটি একটি অন্যতম পরিচিত বাজার। তবে লক্ষীতলা বাজারটি মূলত পরিচিতি লাভ করেছে মান্নান হোটেল ও বিরিয়ানি হাউসের মধ্যে দিয়ে। এই বাজারের প্রধান আকর্ষণ হলো এই হোটেল। এই হোটেলের এত সুনাম ছড়িয়ে যাওয়ার পিছনে যে বিষয়টি কাজ করেছে সেটি হল এ হোটেলের রান্না করা হাঁসের মাংস। প্রতিনিয়ত হাঁসের মাংস দিয়ে ভাত খাওয়ার জন্য হোটেলটিতে বিভিন্ন বয়সের ও পেশার অনেক মানুষ আসে। এই হোটেলটি অনেক আগে থেকেই এই বাজারে অবস্থান করছে। শুরুতেই হোটেলটি চাটির বেড়া দিয়ে তৈরি ছিল। পরবর্তীতে সেই চাটি ভেঙে মাটি দিয়ে তৈরি করা হয়। এবং বর্তমানে হোটেলটি ইট দিয়ে একটি নির্দিষ্ট বড় জায়গা নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। দিনাজপুর টু ফুলবাড়ি রোডে এই লক্ষীতলা বাজারের অবস্থান। লক্ষীতলা বাজারে পূর্ব দিক থেকে ঢুকতেই হাতের বাম পাশে মান্নান হোটেল ও বিরিয়ানি হাউসের অবস্থান।
মান্নান হোটেল ও বিরিয়ানি হাউস এ প্রতিদিন এক থেকে দেড় শতাধিক হাঁস জবাই করে রান্না করা হয়। শুধু দিনাজপুর নয় বরং ফুলবাড়ি থেকেও বেশ কিছু মানুষ এই হোটেলে প্রতিদিন আসে। এখানে হাঁসের মাংস ছাড়াও দেশি মুরগি ,ব্রয়লার ,গরুর মাংস ,খাসির মাংস, বড় বড় মাছ ,ডিম ,বিভিন্ন ধরনের সবজি ,ভর্তা ও ডাউল সহ বিভিন্ন ধরনের তরকারির আইটেম পাওয়া যায়। তবে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় হাঁসের মাংস। হোটেলটিতে শুক্রবার ও শনিবারের দিনগুলোতে সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা যায়। মান্নানের হোটেল সম্পর্কে হয়তো আমাদের মাঝে অনেকেই জানেন। এখনো পর্যন্ত এই হোটেলটিতে দুই থেকে তিনবার যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার। হোটেলটিতে কাস্টমারের সংখ্যা বেশি হওয়ার আরেকটি কারণ হলো এই হোটেল থেকে ১০ মিনিটের দূরত্বে অবস্থান করছে মোহনপুর রাবার ড্যাম। এই রাবার ড্যামে ঘুরতে আসা মানুষজনও অন্যান্য হোটেলের তুলনায় এই হোটেলে সবচেয়ে বেশি যায়।
আগে হোটেলটির পরিবেশ খুব একটা পরিচ্ছন্ন ছিল না। তবে বর্তমানে হোটেলের চারপাশের পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখা হয়। এই হোটেলটিতে বর্তমানে সাত থেকে ৮ জন কর্মচারী কাজ করেন। খাওয়া শেষে ও শুরুতে পরিষ্কার পানি ও সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার জন্য একটি বেসিনের ব্যবস্থাও আছে। এই হোটেলে দুপুর সময়টাতে এতটাই ভিড় হয় যে কখনো কখনো কোন টেবিল ফাঁকা থাকে না ফলে বাইরে মানুষ জনদের অপেক্ষা করতে হয়। এখানে চারপাশের দেয়ালের বিভিন্ন জায়গায় খাবারের তালিকা ও দাম উল্লেখ করে একটি কাগজে প্রিন্ট করে কাগজটি টাঙ্গানো রয়েছে। ফলে এখানে খেতে আসা মানুষদের অন্য কাউকে বিভিন্ন আইটেমের খাবার গুলোর দাম আলাদা ভাবে জিজ্ঞেস করতে হয় না।
গত সপ্তাহে আমি আমার দুই জন চাচাতো ভাইকে নিয়ে এই হোটেলে হাঁসের মাংস দিয়ে ভাত খাওয়ার জন্য গিয়েছিলাম। তখন সকাল ১১ টা বাজে।দুপুর হয়নি তবুও বেশ কিছু মানুষ ছিল কিন্তু ভিড় তুলনামূলক কম ছিল। আমরা তিনজনের মধ্যে দুইজন দুই প্লেট ভাত তিন প্লেট হাঁসের মাংস, সবজি দুই প্লেট ও মসুর ডাল ভর্তা এক প্লেট নিয়েছিলাম ।আর একজন হাঁসের মাংসের সাথে দুইটি চালের তৈরি সাদা রুটি নিয়েছিল। তবে এই হোটেলে চালের তৈরি সাদা রুটি গুলো খেতে বেশ মজাদার। খাওয়া-দাওয়া শেষে আমাদের তিনজনের মোট বিল হয়েছিল ৬০০ টাকা। তারপরে বিল পরিশোধ করার আগে একটা করে দই নিয়ে হোটেলে বিল পরিশোধ করে সেখান থেকে বেরিয়ে আসি। আকাশ অনেক মেঘলা ছিল তাই সেখানে থেকে মোহনপুর রাবার ড্যাম এ আর ঘুরতে যাওয়া হয়নি।
আশা করি, আমার পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে।ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন । সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আপনাদের কাছে আমার আজকের শেয়ার করা সম্পূর্ণ আলোচনা কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
ধন্যবাদান্তে,
ডিভাইস Redmi Note 11 ফটোগ্রাফার @rumana12 লোকেশন দিনাজপুর
@rumana12
You can also vote for @bangla.witness witnesses
হাঁসের মাংসের জনপ্রিয়তা অনেক এমন খুব কমই মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে যে হাঁসের মাংস ভালোবাসে না। দিনাজপুর অনেক কয়েকবার গিয়েছিলাম বন্ধুদের সাথে দেখা করার জন্য অনেক হোটেলে খেয়েছিলাম হাঁসের মাংস কিন্তু দুঃখের বিষয় এই হোটেলে কখনো খাইনি। তিনজনের বিল ৬০০ টাকা এসেছে আমরা যদি তিনজন খেতাম তাহলে হাজার টাকা পার হয়ে যেত আপু। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
https://twitter.com/rumana4102/status/1698712445232291896?t=VGpQ-52FhQAOauI7cnFpfA&s=19
লক্ষীতলার হাঁসের মাংসের একটি সুনাম রয়েছে দিনাজপুর এলাকায়। তবে দুঃখের বিষয় অনেক বার আমি সেখানে গিয়েছি কিন্তু কখনো খেয়ে দেখিনি। আশা করি আপনারা মান্নান হোটেলের খাবার অনেক বেশি উপভোগ করেছেন। শুক্রবার ওইদিকে গেলে সবথেকে বেশি গাড়ি দেখতে পাওয়া যায় দোকানের সামনে। কখনো গেলে তাহলে শুক্রবার, শনিবার বাদে যেতে হবে।
জি একবার এসে ঘুরে যেতে পারেন।
ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রতিটি জেলা উপজেলা এরকম বিখ্যাত কিছু হোটেল থাকে। যেমন আমাদের এলাকায় শাহ হোটেল হাঁসের মাংস দিয়ে বিখ্যাত। এখানে হাঁসের মাংস দিয়ে ভাত খাওয়ার জন্য অনেক ভিড় হয়। ঠিক তেমনি ভাবে লক্ষীতলা বাজারের - মান্নান হোটেল এন্ড বিরিয়ানি হাউস হাঁসের মাংসের জন্য বিখ্যাত জেনে খুবই ভালো লাগলো। হাঁসের মাংস সম্পর্কে অনেক রিভিউ দিয়েছেন আপু। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলায় অবস্থিত লক্ষীতলা বাজারের নাম আমিও শুনেছি তবে যাওয়া হয়নি কখনো।মান্নান হোটেল ও বিরিয়ানি হাউজের মধ্য দিয়ে পরিচিতি লাভ করেছে লক্ষীতলা বাজারটি তা জানা ছিল না।হাঁসের গোশত আমার তেমন পছন্দের ছিল না তবে অনেক ভালো লাগে।মান্নান হোটেল ও বিড়িয়ানি হাউজ এর উন্নতির কথা খুব সুন্দর করে সংক্ষেপে তুলে ধরেছেন।এখানে কোন খাবার পাওয়া যায় তাও অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন।আপনি এ হোটেলের পরিচ্ছন্নতা নিয়েও সুন্দর করে লিখেছেন।মান্নান হোটেল ও বিরিয়ানি হাউজ সম্পর্কে অনেক সুন্দর করে বিস্তারিত লিখেছেন,সে খাবার গুলোর দাম উল্লেখ করেছেন,সাথে খাবারের রিভিউ দিয়েছেন। চিরিরবন্দরে আমার খালার বাসা আবার সেখানে গেলে অবশ্যই এ হোটেলে যাবো।যেয়ে যেসব নাম করা খাবারের কথা উপস্থাপন করেছেন সেগুলো খেয়ে আসবো ইনশাল্লাহ।আপনি অনেক সুন্দর লিখেছেন আমার মতো যারা এ হোটেল সম্পর্কে জানেনা তারাও জানতে পারলো।আপনার ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
হাঁসের মাংসের জন্য বিখ্যাত লক্ষ্মীতলা বাজারের - মান্নান হোটেল এন্ড বিরিয়ানি হাউস নিয়ে সুন্দর একটি উপস্থাপনা। এই মান্নান হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে আমি অনেকবার গিয়েছে। এই তো ২ মাস আগে সেখানে গিয়ে খেয়েছি। এখন এই মান্নান হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে শুধু নাম ভাংঙ্গে খাচ্ছে। আগেরকার মতো আর হাঁসের মাংসে স্বাদ নেই।
জি ভাই তুলনামূলক এখন একটু কম স্বাদের। ধন্যবাদ আপনাকে।
হাঁসের মাংসের জন্য বিখ্যাত লক্ষীতলা বাজারের মান্নান হোটেল এন্ড বিরিয়ানি হাউস। এই হোটেলটি আগে বেড়া-চাটির ছিল। কিন্তু সময়ের সাথে এই হোটেলের পরিবর্তন আসে। এই মান্নান হোটেলের মাংস এতোটায় স্বাদ যে এখানে অনেক লোকের ভিড় হয়। খাওয়া জন্য দাঁড়িয়ে থেকে তারপর সিরিয়াল নিতে হয়। আমি মান্নান হোটেলে বহুবার খেয়েছি বলাবাহুল্য এককথায়। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ধন্যবাদ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি এই হোটেলের কথা অনেক শুনেছি কিন্তু কখনও যাওয়া হয় নি। আশা করি কোন একদিন যাব। এখানকার হাঁস এর মাংস খেতে বেশ মজাদার হয় শুনেছি। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।
ধন্যবাদ ভাই আপনাকেও।
হাঁসের মাংস আমার অনেক পছন্দের খাবার। বাসায় মাঝে মধ্যে হাঁসের মাংস খাওয়া হয়। আপনি মান্নান হোটেলের হাঁসের মাংসের সুন্দর একটি রিভিউ দিয়েছেন। অনেকে হাঁসের মাংস খেতে পছন্দ করে। তাইতো দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে যায়। চিরিরবন্দর আমার যাওয়া হয়েছে,তবে এই হাঁসের মাংসের সম্পর্কে যদি আগে জানতাম তাহলে অবশ্যই খেয়ে আসতাম আপু । অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জি আগামীতে কখনো আসলে ঘুরে যাবেন।
ধন্যবাদ ভাই আপনাকেও।