ফোটোগ্রাফি পোস্ট : "বাংলাদেশের পুজো -১১"
রাধা যখন কৃষ্ণের বাঁশি শুনে গভীর রাত্রে অভিসারে বের হতেন তখন একদিন তাঁর শাশুড়ী জটিলা ও স্বামী আয়ান টের পেয়ে তাঁর পিছু নেন । রাধা যখন বৃন্দাবনের গভীরে এক বনে কৃষ্ণের সাথে সাক্ষাৎ করতে যান তখুনি সেখানে উপস্থিত হয়ে যান তাঁর শাশুড়ি ও স্বামী । কিন্তু, অবাক বিস্ময়ে তাঁরা সেখানে রাধা-কৃষ্ণের বদলে বিষ্ণু ও কালীকে দেখতে পান । এটা দেখার পরে তাঁদের আর বিস্ময়ের সীমা থাকে না । তখন আবার যেমন চুপিসাড়ে তাঁরা রাধার পিছু নিয়েছিলেন ঠিক সেই ভাবে নিঃসাড়ে আবার বাড়ি ফিরে আসেন ।
তারিখ : ২০ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৭ টা ৪০ মিনিট
স্থান : শিকদারবাড়ি, বাগেরহাট, খুলনা, বাংলাদেশ ।
কৃষ্ণ যৌবন প্রাপ্ত হওয়ার পরে তাঁর মামা কংস কোনোভাবেই তাঁকে বধ করতে না পেরে একটা মল্ল যুদ্ধের আয়োজন করে কৃষ্ণকে মথুরায় আমন্ত্রণ জানান । কংসের উদ্দেশ্য ছিল এই মল্লযুদ্ধে শ্রীকৃষ্ণকে হত্যা করা । সেই উদ্দেশ্য গোপন রেখে খুব আন্তরিক ভাবে কৃষ্ণ ও বলরামকে মথুরায় আমন্ত্রণ জানান তিনি । কংস তাঁর প্রধান মন্ত্রী অক্রূরকে প্রেরণ করেন বৃন্দাবনে কৃষ্ণ ও বলরামকে আনার জন্য । যখন কৃষ্ণ ও বলরাম রথে চড়ে মথুরার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন তখন এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয় বৃন্দাবনে । দলে দলে সকল গোপিনীবৃন্দ এসে বিলাপ করতে থাকেন কৃষ্ণের জন্য । রাধা আলুলায়িত কেশে কাঁদতে কাঁদতে বারবার সংজ্ঞা হারাতে থাকেন । তাঁর সখীরা এসে পথের উপরে শুয়ে পড়েন যাতে কৃষ্ণ যেতে না পারেন তাঁদেরকে ছেড়ে । কিন্তু, রাজধর্মের সাথে কোনো কিছুর আপোষ করতে নেই কখনো । কৃষ্ণ সেটাই করেন । তাঁর সকল প্রিয় মানুষকে ছেড়ে, সখা ও সখীদের ছেড়ে, সর্বোপরি তাঁর প্রেম, তাঁর প্রাণ রাধাকে ছেড়ে যেতে কৃষ্ণের হৃদয় শত টুকরো হচ্ছিলো । কিন্তু, রাজধর্ম পালন করতে গিয়ে তিনি এই কষ্ট স্বীকার করে নিয়েছিলেন । বৃন্দাবন ছেড়ে চলে যাওয়ার পরে কৃষ্ণ আর কখনোই বৃন্দাবনে ফেরেননি । কংসকে হত্যা করে দাদামশায় উগ্রসেনকে সিংহাসনে বসিয়ে কৃষ্ণ রাজ্য পরিচালনায় মন দেন । উগ্রসেন রাজা হলেও আসল রাজা ছিলেন তিনিই ।
তারিখ : ২০ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৭ টা ৪০ মিনিট
স্থান : শিকদারবাড়ি, বাগেরহাট, খুলনা, বাংলাদেশ ।
শিশুপাল বধ । চেদিরাজ্যের রাজা ছিলেন শিশুপাল । তিনি আসলে কৃষ্ণের পিতা বসুদেবের বোনের পুত্র । অর্থাৎ, কৃষ্ণের পিসতুতো ভাই শিশুপাল । ভবিষ্যতে কৃষ্ণের হাতেই শিশুপাল নিহত হবেন জানতে পেরে পিসী শ্রুতস্রবা কৃষ্ণকে অনুরোধ করেন যেন তিনি শিশুপালের শত অপরাধ ক্ষমা করে দেন । চতুর কৃষ্ণা রাজি হন, এবং এক শত ময়ূর পালক কোমরের বন্ধনীতে প্রবিষ্ট করিয়ে রাখেন । শিশুপাল ছিল অত্যন্ত দুরাচার । তদুপরি যখন সে জানতে পারে যে কৃষ্ণ তার মৃত্যুর কারণ হওয়ার ভবিষ্যৎবাণী আছে তখন থেকে সে কৃষ্ণকে বিষদৃষ্টিতে দেখতো । আর যখন জানতে পারলো তার মাতাকে কৃষ্ণ কথা দিয়েছেন যে তিনি শিশুপালের শত অপরাধ ক্ষমা করে দেবেন তখন মনে মনে নিশ্চিন্ত হয়ে সুযোগ পেলেই কৃষ্ণকে কটু কাটব্য করতো । কিন্তু, কৃষ্ণ ছিলেন খুবই চতুর । তিনি একটা কথার মারপ্যাঁচ করেন । "শত অপরাধ ক্ষমা করা" অর্থ সকল অপরাধই ক্ষমা করা । কিন্তু, চতুর কৃষ্ণ এই কথার মানে একটু আলাদা করেন । "শত অপরাধ" বলতে তিনি সেটাকে "এক শত" অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করেন । এর ফলে ইন্দ্রপ্রস্থে যখন চেদীরাজ কৃষ্ণকে তুমুলভাবে কটু ও অপমানজনক কথা বলতে থাকেন তখন কৃষ্ণ তাঁর কোমর বন্ধনী থেকে গুনে গুনে একটি একটি করে ময়ূর পালক ফেলতে থাকেন । যেই এক শত পূর্ণ হলো তখুনি কৃষ্ণ সুদর্শন চক্র দিয়ে শিশুপালের মস্তক ছিন্ন করেন ।
তারিখ : ২০ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৭ টা ৪০ মিনিট
স্থান : শিকদারবাড়ি, বাগেরহাট, খুলনা, বাংলাদেশ ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
------- ধন্যবাদ -------
পরিশিষ্ট
আজকের টার্গেট : ৫৫৫ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 555 trx)
তারিখ : ০৭ নভেম্বর ২০২৩
টাস্ক ৪০৮ : ৫৫৫ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron
আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx
৫৫৫ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :
TX ID : b1efa86fe4b51a133d9fc5625d46ade217f87e2d61cced74c17b202d6478fc4c
টাস্ক ৪০৮ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি
Account QR Code
VOTE @bangla.witness as witness
OR
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRXkkCEbXLYwhPEYqkaUbwhy4FaqarQVhnzkh1Awp3GRw/witness_proxy_vote.png)
![steempro....gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmaoDovSRKJkSYdayf9pPFaVyMVKjTHykerWDLSbMDi99e/20230809_130323.gif)
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দাদা আজও কিন্তু আপনি বাংলাদেশের পূজোর কিছু অসাধারন ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। অবশ্য এর আগে এমন করে পূজো দেখা হয়নি। আমার প্রতিটি ফটোগ্রাফি দেখে পূজো নিয়ে ভালোই ধারনা হচ্ছে দাদা। তবে আপনি কিন্তু ফটোগ্রাফির সাথে সাথে বেশ কিছু অসাধারন কথা গল্পের মাধ্যমে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। রাধা কৃষ্ণের প্রেম নিয়ে এমন সব তথ্য কিন্তু আগে জানা ছিল না আমার। ধন্যবাদ দাদা আপনাকে পুরো ব্লগটির জন্য।
শিশুপালকে হত্যা করার কাহিনীটি বেশ জটিল লাগলো ভাই । সর্বোপরি ছবির সঙ্গে সাদৃশ্য রেখে, বেশ ভালই উপস্থাপন করেছেন এবারের পর্বটি।
কৃষ্ণ তো দেখছি খুব চতুর ছিলেন, শত অপরাধকে একশত অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করেছেন😂। দারুণ একটি টেকনিক খাটিয়েছে কৃষ্ণ। যাইহোক এই সিরিজের প্রতিটি পর্বের মতো আজকের পর্বের ফটোগ্রাফি গুলোও চমৎকার হয়েছে দাদা। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে এবং ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পেরে,ভীষণ ভালো লাগলো দাদা। যাইহোক এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
ইন্দ্রপ্রস্থে প্রবেশের পর সব রাজাদের সামনে শিশুপাল দ্রোপদি এবং কৃষ্ণকে নিয়ে কটাক্ষ করায় শিশু পালের একশো একটা অপরাধ পূর্ণ হয়। এবং কৃষ্ণ তার সুদর্শন চক্র দিয়ে রাজসভায় বধ করে শিশুপালকে। কৃষ্ণ এবং কংসের মল্লযুদ্ধ গভীর রাতে রাধা এবং কৃষ্ণের দেখা করা এগুলো বেশ দারুণ ছিল। সবমিলিয়ে চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন দাদা। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।
রাধা এবং কৃষ্ণের গল্পটা বেশ মজা ছিল দাদা। যদিও রাধা বের হয়েছে কৃষ্ণের বাঁশির সুরে। কিন্তু তার স্বামী এবং শাশুড়ির হাতে ধরা পড়লো না। এক বিস্ময়কর যাদু করে দিল দুইজনে মিলে। ফটোগ্রাফি গুলো দারুন ছিল। সেই সাথে আপনি প্রতিনিয়ত চমৎকার কিছু বর্ণনা করে যাচ্ছেন। অনেক ভালো লাগতেছে আপনার ফটোগ্রাফি পর্ব গুলো।
কৃষ্ণের সিংহাসনে আহরণ করা পর্যন্ত কাহিনী দেখেছিলাম। কিন্তু তার পিস্তত ভাইয়ের মৃত্যুর এই কাহিনীটা আগে কখনো শুনিনি। আজকে প্রথম শুনলাম। বেশ ভালো লাগলো। বুদ্ধি করে গুনে রেখেছিল তার অপরাধের সংখ্যা। ১০০ পূর্ন হতেই তাকে হত্যা করা হলো। আসলে প্রতিটি মানুষের ক্ষেত্রেই এই একই জিনিস হয়। অপরাধের ঘরা পূর্ণ হয়ে গেলে তাকে মৃত্যুবরণ করতে হয়। এই মন্ডপটি কৃষ্ণের জীবনের বিভিন্ন কাহিনী নিয়ে তৈরি করেছিল মনে হচ্ছে। সুন্দর ডেকোরেশন।