কোলকাতার কালী পুজো - পর্ব ০২
রাত তখন প্রায় দু'টো । আমরা দ্বিতীয় পুজো প্যান্ডেলে হাজির হয়ে গেলুম । বাতাসে বেশ হিম । কার্তিকের শেষ । শেষ রাতে তাই শিশিরও পড়ে টুপ্ টাপ । ঠান্ডা হাওয়া কেটে তীব্র বেগে বাইকে করে আমরা পৌঁছে যাচ্ছিলাম এক প্যান্ডেল থেকে অন্য প্যান্ডেলে । ভোর সাড়ে চারটে অব্দি রাস্তায় গাড়ি চলাচল অফ রাখা হয়েছিল পুজো উপলক্ষে । তাই বাইকে করে ঘুরতে দারুন মজা লাগছিলো।
দ্বিতীয় প্যান্ডেলটা খুব কাছেই ছিল । পৌঁছেও গিয়েছিলুম ৫ মিনিটের মধ্যেই । কিন্তু, প্যান্ডেলে ঢুকতে বেশ কিছুটা দেরি হয়ে গেলো । তার কারণ হলো প্যান্ডেলের ঠিক সামনের রাস্তাতেই বিশাল একটা মারামারি লেগে গিয়েছিলো । পুজো দেখতে আসা দু'টি গ্রূপের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি, পরে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় চললো কিছুক্ষণ ধরে । এরপরে শাসানি আর তারপরেই ডাইরেক্ট অ্যাকশন, অর্থাৎ মারামারি লেগে গেলো । ওহ! সে কী মারামারি আর সেই সাথে সমানে মধুর সব বাক্যবাণ । গালাগালির তুবড়ি ছুটছিল । নারদ নারদ ! মারামারি দেখতে আমার ভীষণ ভালো লাগে । দারুন মজা পাই ।
কিন্তু, তনুজাই বাধ সাধলো । সেখান থেকে সরিয়ে নিলো আমাকে । আমরা প্যান্ডেলে ঢুকে পড়লুম । বারে বারে পেছন ফিরে দেখছিলুম কী হচ্ছে ? এরই মধ্যে এক দল পুলিশ এসে ধরলো । তো ততক্ষন মারামারি এমনই জমে গিয়েছে যে পুলিশ টুলিশ মানছে না দু'পক্ষই । পুলিশ দু'ই ষণ্ডার কোমর জড়িয়ে ধরে রাখলো যাতে হাতাহাতি না করতে পারে ।তারপরেও দেখলুম কোমরে পুলিশ জড়ানো অবস্থাতেই পেটানো চলছে অপর পক্ষকে । এক একজনের কোমরে দুই জন করে পুলিশ জড়িয়ে ধরেও সামলাতে পারছে না ।
আর পুলিশও পড়েছে মহাবিপদে । পুজোর সময় । কাতর অনুরোধ আর অনুনয় বিনয় ছাড়া তাদের করার কিচ্ছু নেই । লাঠিচার্জ বা arrest করতে গেলে উল্টে জনগণ পিটিয়ে পুলিশকেই পরোটা বানিয়ে দেবে । অগত্যা চললো শুধু অনুনয় বিনয় আর ঠেলাঠেলি । তারপরে কি হলো আর দেখতে পেলুম না । কারণ ততক্ষনে প্যান্ডেলের মধ্যে ঢুকে পড়েছি । মারামারিটা আরো কিছুক্ষণ ধরে দেখার একটা গভীর বাসনা ছিল মনের মধ্যে ।
যাই হোক প্যান্ডেলে তো ঢুকে পড়লুম । দারুন করেছে । বিভিন্ন সাইজের, হরেক রঙের নানান ধরণের মুখোশ দিয়ে সাজানো গোটা প্যান্ডেল । এই প্যান্ডেলের থিমই ছিল মাস্ক । দেশ-বিদেশের হরেক মুখোশ দিয়ে গড়া এই পুজো প্যান্ডেল । অভিনব আইডিয়া সন্দেহ নেই । মূল মাতৃ প্রতিমাও দারুন করেছে দেখলাম । এই পুজো প্যান্ডেল সংলগ্ন প্রাঙ্গনে বিশাল এক মেলা বসেছে । রাত দু'টোতেও প্রত্যেকটা দোকান খোলা সেই সাথে মানুষজনও প্রচুর পরিমানে মেলায় ঘুরছে দেখছে কিনছে । আমরা দশ পনের মিনিট মেলায় ঘুরলাম ।
সবাই মিলে তন্দুরি চা খেলাম । টিনটিনের জন্য বেশ কয়েকটা খেলনা কিনলাম, আর তারপরে বেরিয়ে পড়লুম আমাদের নেক্সট প্যান্ডেলের উদ্দেশ্যে ।
মূল প্যান্ডেলের প্রধান প্রবেশ তোরণ । অসংখ্য ছোট-বড় বিভিন্ন রঙের হরেক রকমের মুখোশ দিয়ে সজ্জিত ।
তারিখ : ১২ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : রাত ১ টা ৫৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
দেশ-বিদেশের এত রকমের মুখোশ দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল সেদিন ।
তারিখ : ১২ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : রাত ১ টা ৫৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
এই মুখোশটা দেখতে বেশ দারুন ছিল ।
তারিখ : ১২ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : রাত ২ টা ০০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
মুখোশের সাথে দু'টো সেলফি ।
তারিখ : ১২ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : রাত ২ টা ০০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
প্যান্ডেলের ভেতরকার সাজসজ্জা ।
তারিখ : ১২ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : রাত ২ টা ০৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
প্রকান্ড এই মুখোশটি হলো একটি আফ্রিকান কাঠের মুখোশ ।
তারিখ : ১২ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : রাত ২ টা ০৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
দেবী মূর্তির গঠনশৈলীটাও দুর্দান্ত ছিল ।
তারিখ : ১২ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : রাত ২ টা ১০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
এগুলো আফ্রিকান জনগোষ্ঠীর মুখোশ ।
তারিখ : ১২ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : রাত ২ টা ১০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
------- ধন্যবাদ -------
পরিশিষ্ট
আজকের টার্গেট : ৫৫৫ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 555 trx)
তারিখ : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
টাস্ক ৪৮৮ : ৫৫৫ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron
আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx
৫৫৫ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :
TX ID : e2e7af7af36c157ab87db4c7c25a7cf2cec8650c47fe7735b417e0a6ce773858
টাস্ক ৪৮৮ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি
Account QR Code
VOTE @bangla.witness as witness
OR
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRXkkCEbXLYwhPEYqkaUbwhy4FaqarQVhnzkh1Awp3GRw/witness_proxy_vote.png)
![steempro....gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmaoDovSRKJkSYdayf9pPFaVyMVKjTHykerWDLSbMDi99e/20230809_130323.gif)
আসলেই দাদা মারামারি দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। মারামারির সাথে সাথে বিভিন্ন ধরনের গালাগালিও শ্রুতিমধুর লাগে শুনতে😂। মারামারি লাগলে তো আমার আসতেই ইচ্ছে করে না সেখান থেকে। যাইহোক বৌদি আপনাকে প্যান্ডেলে নিয়ে গিয়েছে বলে,এতো মজার দৃশ্য শেষ পর্যন্ত উপভোগ করতে পারলেন না দাদা। এতো ধরনের মুখোশ দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। প্রতিটি ফটোগ্রাফি এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে। যাইহোক এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Great detailed report on your eventful day, seems you indeed had quite a fun day in the midst of the drama and a little chaos which isn't all that bad, ofcourse culture and language always adds to the beauty of things, thanks for sharing this @rme
This is a very nice post you have shared @rme Dada, I enjoyed reading the episode 02 of the topic Kolkata Kali puja.
I love the beautiful images you have shared, thanks for sharing with us 😊❤️❤️❤️
বাঙ্গালির জমায়েত হবে - আনন্দ করবে আর মারামারি হবেনা? তা কি হয় দাদা!! বাঙ্গালি মানেই দলাদলি আর মারামারি! আদি কাল থেকেই চলে আসছে-চলবে। তবে আগের তুলনায় মারামারি কিছুটা কমেছে কিন্তু দলাদলি কমেনি! কোলকাতার কালী পুজোর ২য় পর্বে অসাধারণ সব ছবি শেয়ার দিয়েছেন। প্রতিটি ছবি ভালো হয়েছে। প্যান্ডেলের থিমটিতেও নতুনত্ব আছে। মুখোশ দিয়ে গোটা প্যান্ডেল তৈরি। দারুণ। পোস্টটি শেয়ার দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা। শুভ কামনা সবসময়।
মেলা হবে আর মারামারি হবে না তা কি হয় দাদা? ছোট কিংবা বড় যে কোন মেলাতে হরদমে দেখি কিছু না কিছু মারামারি হয়।কিন্তু দাদা আপনি মারামারি বর্ণনাটি কিন্তু অসাধারণ ভাবে তুলে ধরেছেন। পড়েতো আমি হাসতে হাসতে শেষ। পুলিশ ওদের মাজা জাপটে ধরে আছে তারপরেও মারামারি থামছে না। বোঝা গেল পুলিশকে কেউ ভয় পায় না। কিন্তু পুলিশ জনগণকে ভয় পায়।তবে আপনার তোলা অসাধারণ ছবির মাধ্যমেই বোঝা যাচ্ছে যে, প্যান্ডেলগুলো অনেক সুন্দর করে সাজানো হয়েছিল। ধন্যবাদ দাদা আপনাকে। এত সুন্দর করে কালীপুজোর দ্বিতীয় পর্বটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
জাগৃতি সংঘের পুজোর কনসেপ্টটা সত্যিই ভালো ছিলো। পৃথিবীর যেকোনো দেশেই মাস্ক নিয়ে মানুষের খুব আগ্রহ।
তবে দাদা প্যান্ডেলের মূল আকর্ষন কিন্তু সেই মারামারি! মারামারি দেখতে ভালোই লাগে তবে সেটা যদি অকারণে লেগে থাকে তাহলে তো আরো মজা 😛। সেই মারামারির ভিডিও কি আমরা দেখতে পাবো না? হিঃ হিঃ
Well written Sir
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সব চেয়ে একটি খারাপ বিষয় হচ্ছে এসব মারামারির মধ্যে বাইরের লোকজন বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যারা মারামারি করে তাদের কিছু হয় না। গোলাগুলি কিংবা কূপাকূপির মধ্যে বাইরের মানুষ গুলো আহত বেশি হয়। তাই বৌদি সেজন্য তো আপনাকে বাধা দিয়েছে দাদা। যাক অবশেষে মারামারি আপনি ভালোভাবে দেখতে পারলেন না। কিন্তু পুজো প্যান্ডেলের ফটোগ্রাফি গুলো আপনি দারুন শেয়ার করলেন। মুহূর্তটি খুবই ভালো লেগেছে পড়ে।