[ফোটোগ্রাফি পোস্ট] প্রোফেসর শঙ্কু পার্কে একদিন : পর্ব - ০২
গত পর্বে বলেছিলাম যে "প্রোফেসর শঙ্কু পার্কটি" মোট ছ'টি অংশে বিভক্ত । প্রথম অংশ ছিল ওই যে চত্বরটা, কাল যেটার ফোটো শেয়ার করলাম । ওই চত্বরটা বা অংশের নাম "শঙ্কুর ল্যাব" । এরপরের অংশের নাম হলো Corvus Playzone । আজ এই অংশের ফোটোগ্রাফি শেয়ার করতে চলেছি । এই অংশের পুব দিকে রয়েছে বাচ্চাদের প্লে গ্রাউন্ড এবং কিছু রাইডস । আর পশ্চিম দিকে রয়েছে গল্পে বর্ণিত প্রোফেসর শঙ্কুর বাগানের আদলে তৈরী একটি বাগান, নানান ফুলের গাছ দিয়ে সাজানো । কিছু বড় গাছও রয়েছে এই অংশে ।
বাগানের ঠিক মাঝখানে বেশ উঁচু একটা বাঁধানো বেদী আছে । এখানে দাঁড়ালে সমগ্র পার্কটা দৃষ্টিগোচর হয় । এখানে শঙ্কু কাহিনী "কর্ভাস" এ বর্ণিত পাখি পড়ানো যন্ত্র অর্নিথন এর আদলে তৈরী একটি বিশাল লৌহ নির্মিত গোলাকার খাঁচা রয়েছে ।
এখানে অনেক ফুলের গাছ আছে । গাছের ফুল তোলায় কোনো বিধি নিষেধ নেই । তাই প্রায় সব গাছই ফুল শূন্য । শুধু কুঁড়ি গুলো রেহাই পেয়েছে । তনুজা বেশ কয়েকটি ফুল ছিঁড়ে খোঁপায়, কানে গুঁজলো । এখানে একটু ঝোপঝাড় বেশি । আর প্রচুর বেঞ্চি রয়েছে ফুল গাছের ঝোঁপে ঝাঁপে যার সবক'টিই কপোত কপোতিদের দখলে । অবস্থা দেখে শুনে এই পার্কটির নাম "শঙ্কু পার্ক" না হয়ে "প্রেম কানন" বা "Love Park" হওয়া উচিত ছিল ।
অবশ্য "নির্লজ্জ পার্ক" নাম দিলেও হতো । কারণ, এই সব কপোত কপোতীদের নির্লজ্জতার সব সীমা সেদিন এই পার্কে লঙ্ঘন হওয়ার বহু নজির প্রতক্ষ্য করেছি ।
যাই হোক আর কথা না বাড়িয়ে চলুন দেখে নেওয়া যাক আজকের আয়োজন -
আমি ফুল ছেঁড়া মোটেও লাইক করি না । তাই বাঁ হাত দিয়ে ফুলের গোড়া ধরে ডান হাত দিয়ে মোবাইলের ক্যামেরা দিয়ে ফটো তুলেছি । এটি কাঠ গোলাপ ।
তারিখ : ২৭ আগস্ট ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ২০ মিনিট
স্থান : প্রোফেসর শঙ্কু পার্ক, কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
বেদীতে ওঠার সিঁড়ির উপরে তনুজা বসে । পেছনে অর্নিথন দেখা যাচ্ছে ।
তারিখ : ২৭ আগস্ট ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ২৫ মিনিট
স্থান : প্রোফেসর শঙ্কু পার্ক, কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
বেদী থেকে নামার সিঁড়ির ঠিক উপরে তনুজা বসে । নিচে প্লেগ্রাউন্ড দেখা যাচ্ছে ।
তারিখ : ২৭ আগস্ট ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ২৫ মিনিট
স্থান : প্রোফেসর শঙ্কু পার্ক, কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
এই সেই অর্নিথন । শঙ্কু কাহিনিতে বর্ণিত কাল্পনিক পাখি পড়ানোর যন্ত্র ।
তারিখ : ২৭ আগস্ট ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ২৫ মিনিট
স্থান : প্রোফেসর শঙ্কু পার্ক, কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
বাচ্চাদের প্লেগ্রাউন্ড ।
তারিখ : ২৭ আগস্ট ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ৩০ মিনিট
স্থান : প্রোফেসর শঙ্কু পার্ক, কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
বাগানের নানান ধরণের ফুলের গাছ ।
তারিখ : ২৭ আগস্ট ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ৩৫ মিনিট
স্থান : প্রোফেসর শঙ্কু পার্ক, কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
প্রোফেসর শঙ্কুর সেই বিখ্যাত চশমা ।
তারিখ : ২৭ আগস্ট ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ৩৫ মিনিট
স্থান : প্রোফেসর শঙ্কু পার্ক, কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
------- ধন্যবাদ -------
পরিশিষ্ট
আজকের টার্গেট : ৫৫৫ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 555 trx)
তারিখ : ২৯ আগস্ট ২০২৩
টাস্ক ৩৭০ : ৫৫৫ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron
আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx
৫৫৫ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :
TX ID : 43fdee462f5f96b2edb8cf0116d9f62504a8134236ef3b9779bd30df0036bce3
টাস্ক ৩৭০ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি
Account QR Code
VOTE @bangla.witness as witness
OR
বর্তমান অবস্থা যেমনই হোক না কেন যদি আমরা মানুষ সচেতন হতাম তাহলে এই অবস্থা গুলো আমাদের এখন দেখতে হতো না। মানুষ যেন তাদের লজ্জাবোধ একেবারে ঝেড়ে ফেলে দিয়েছে। আচরণ গুলো যেন পশুর ন্যায় হয়ে উঠেছে। যাহোক দাদা আপনি এবং বৌদি পার্কে বেশ সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। আপনার মত আমিও ফুলকে অনেক ভালবাসি এবং ফুল ছেড়াটা পছন্দ করিনা। চশমাটা দেখতে বেশ ভালো ছিল ধন্যবাদ দাদা।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
সর্বপ্রথম বলতে চাই প্রোফেসর শঙ্কুর বিখ্যাত চশমা নিয়ে। চশমাটি আমার কাছে দারুণ লেগেছে। আর আমাদের বৌদিকে তো খুব মিষ্টি লাগছে।ফটোগ্রাফি গুলোর ভিতরে টিনটিন বাবুকে দেখতে পেলে আরও বেশি ভালো লাগতো। খুব ভালো লাগলো প্রফেসর শঙ্কু পার্কের ২য় পর্বটি। এখন বাকি পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।
দাদা এটা ঠিক ই বলেছেন আমাদের দেশে ও পার্কগুলোতে যাওয়ার আসলে কোন পরিবেশ নেই।তবে আপনার মতো আমিও ফুল ছিঁড়ে হাতে নিতে পছন্দ করিনা।আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার হয়েছে।কাঠ গোলাপ আমার ছেলেবেলার স্মৃতি বিজড়িত একটি ফুল।এটার মাঝে অনেক আবেগ, অনুভূতি আমার।দিদিকে অনেক সুন্দর লাগছে।টিনটিন বাবুকে তো দেখা যাচ্ছে না।উনি কি প্লেগ্রাউন্ডে খেলায় ব্যস্ত নাকি। প্রোফেসর শঙ্কুর চশমাটি খুব সুন্দর লাগলো।অনেক ধন্যবাদ দাদা শেয়ার করার জন্য। অনেক অভিনন্দন রইলো আপনার জন্য।
রবিবারে টিনটিন বাবুকে সাথে নিয়ে পার্কে ঘুরতে যাওয়ার দ্বিতীয় পর্ব আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দাদা।এই পর্বে আপনি আমাদের মাঝে চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন।বিশেষ করে এই পার্কের ফুল বাগানটি দেখতে খুবই সুন্দর এবং চশমাটা দেখতে তো আরো বেশি সুন্দর। খুব সুন্দর ভাবে এই চশমাটা সেখানে তৈরি করা হয়েছে।আর বৌদির ছবিগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে।সাথে আমাদের টিনটিন বা বাবুর ছবিও দেখতে পারলে ভালো লাগতো।পার্কের পরবর্তী পর্ব দেখার অপেক্ষায় রইলাম দাদা।
প্রফেসর শঙ্কু পার্কের দ্বিতীয় অংশ দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। পরিবেশটা একান্ত নিরিবিলি চারিপাশে ফুলের গাছ যেটা পরিবেশকে আরও সুন্দর করে তুলেছে। তার পাশাপাশি দিদির ছবি খুব সুন্দর ভাবে ক্যাপচার করেছেন আসলে এরকম পরিবেশে গেলে ছবি উঠতে মন চায় এটাই স্বাভাবিক।
প্রফেসর শঙ্কু পার্কের বাচ্চাদের প্লে গ্রাউন্ড দেখে খুব ভালো লাগলো দাদা। অন্যান্য ফটোগ্রাফি গুলোও বেশ চমৎকার হয়েছে। আমার মনে হয় বাংলাদেশ এবং ভারতের বেশিরভাগ পার্ক নির্লজ্জ পার্ক হিসেবে নামকরণ করা উচিত। কারণ এসব পার্কে যে কতোটা বেহায়াপনা চলছে তা বলার মতো নয়। যাইহোক বরাবরের মতো এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
দাদা পার্কের এরিয়া তো বেশ বড়ই মনে হচ্ছে ।বেশ গোছানো এবং সবকিছুই আছে মনে হচ্ছে ।তবে পার্কটির নাম প্রেম কানন বেশ ভালোই দিয়েছেন । কপোত কপোতি দের দুই একটা ছবি দিলে দেখতে পেতাম । সবকিছু বেশ ভাল ছিল ধন্যবাদ।
প্রথমে ভেবেছিলাম পার্কটা তেমন বড় নয়। এখন দেখছি মোটামুটি অনেক বড়। আর খুব সুন্দর ভাবেই সাজানো হয়েছে। দাদা আমিও আপনার মত গাছ থেকে ফুল ছেঁড়া মোটেও লাইক করি না।গাছের ফুল গাছেই বেশি সুন্দর। ধন্যবাদ দাদা।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.