কোলকাতার কালী পুজো - পর্ব ০১
এবছরের কালী পুজোতে একটু কম ঘোরাঘুরি হয়েছে । এর প্রধান কারণ ছিল আমার ছোট ভাইয়ের বিয়ে । ১২ ই নভেম্বর ছিল কালী পুজো, আর ১৮ ই নভেম্বর ছিল আমার ভাইয়ের বিয়ে । তাই ব্যস্ততা খুব বেশি পরিমাণে ছিল । বিশেষ করে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা আর ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের তদারকির চাপ ছিল বেশ । এই কারণে মাত্র তিন দিন অল্প করে করে ঘুরেছি । সন্ধ্যা অব্দি সব কাজ সেরে রাত্রে খাওয়া দাওয়া কমপ্লিট করে রাত একটা-দেড়টা নাগাদ বাইকে করে বেরিয়ে যেতুম পুজো প্যান্ডেল পরিভ্রমনে ।
অবশ্য এ বছর আমাদের সঙ্গী ছিল তনুজা আর আমার শালা । দুই ভাই বোন এবছর আমাদের রাতের ভ্রমণে সঙ্গী ছিল । টিনটিনকে ঘুম পাড়িয়ে চারটা বাইকে আমরা আট জন বেরিয়ে পড়তুম । ১২ তারিখে সর্বপ্রথম যাই বাড়ির কাছেই একটা পুজো প্যান্ডেলে । কালীপুজোর রাত । সব প্যান্ডেলে মাঝ রাত্তির তখন । পুজো চলছে পুরোদমে ।
রাত্তির একটা নাগাদ প্যান্ডেলে পৌঁছলাম আমরা । ও মা ! গিয়ে দেখি বেশ লম্বা লাইন পড়ে গিয়েছে । প্রায় হাফ কিলোমিটার লম্বা লাইন । লাইনে দাঁড়িয়ে প্রায় আধা ঘন্টা লেগে গেলো প্যান্ডেলে প্রবেশ করতে । এই প্যান্ডেলের থিম ছিল এ বছরে - "অজন্তা ইলোরা" । অজন্তা ও ইলোরার গুহাচিত্র, খোদাইকৃত ভাস্কর্য এবং মূর্তি সম্পর্কে আমরা সকলেই কম বেশি জানি । মহারাষ্ট্রে অবস্থিত এই অজন্তা ও ইলোরা গুহামন্দির প্রায় দু'হাজার বছর পূর্বের স্থাপত্য । পুরো পাহাড় কেটে কেটে গুহাকৃতি এই সকল মন্দির হিন্দু, বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মের অসংখ্য দেব-দেবীর প্রস্তর খোদাইকৃত মূর্তি ও অলংকরণ দ্বারা সমৃদ্ধ । অজন্তা ও ইলোরা গুহামন্দির দুটি কিন্তু পরস্পরের কাছ থেকে বেশ দূরে অবস্থিত । প্রায় ১০০ কিঃমিঃ হবে ।
এবারের এই "অজন্তা ইলোরা" থিমে প্রাচীন এই দুটি গুহামন্দিরের আদলে মূল পূজা মণ্ডপটি গড়া হয়েছে । সেই সাথে অজন্তা ও ইলোরার প্রস্তর খোদাইকৃত ভাস্কর্যগুলির কিছু কিছু এই প্যান্ডেলের পূজা মণ্ডপে ঠাঁই পেয়েছে । সব মিলিয়ে বেশ দারুন করেছে এই পুজো মণ্ডপটা । তো চলুন দেখে নেওয়া যাক ।
প্যান্ডেল প্রাঙ্গন থেকে প্যান্ডেলের বেশ কিছু নান্দনিক ফটো শুট করলাম ।
তারিখ : ১২ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : রাত ১ টা ২৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
প্যান্ডেল প্রাঙ্গনে শ্রীবিষ্ণুর ক্ষীর সমুদ্রে অনন্তনাগের উপর যোগনিদ্রায় শায়িত একটি মূর্তি স্থাপিত আছে ।
তারিখ : ১২ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : রাত ১ টা ৩০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
পাথর কেটে কেটে অপূর্ব নকশা আর মূর্তি খোদাই করা আছে অজন্তা ও ইলোরা মন্দিরগাত্রে । সেই রূপটিই দারুণভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই সিম্বলিক পুজো মণ্ডপে ।
তারিখ : ১২ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : রাত ১ টা ৩০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
প্যান্ডেলে আমাদের দু'জনের দু'টি সেলফি।
তারিখ : ১২ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : রাত ১ টা ৩০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
প্যান্ডেলের ভেতরটাও খুব সুন্দর করে সাজানো । অজন্তা ও ইলোরা মন্দিরগাত্রের নকশা ও দেব-দেবীর মূর্তির আদলে গড়া প্যান্ডেলের ভেতরটা সাজানো ।
তারিখ : ১২ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : রাত ১ টা ৩৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
প্যান্ডেলের প্রধান গর্ভগৃহ । এখানেই কালীমূর্তি রয়েছে ।
তারিখ : ১২ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : রাত ১ টা ৩৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
কালীমূর্তি দেখতে জাস্ট অসাধারণ ছিল । এতটা গভীর শিল্পনৈপুণ্য আমি আগে খুব কমই দেখেছি । এই কালী মূর্তির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এই দেবী মূর্তির দশটি মাথা, দশটি হাত এবং দশটি পা ।
তারিখ : ১২ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : রাত ১ টা ৪০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
অজন্তা ও ইলোরার মতোই প্যান্ডেলের ভেতর সর্বত্র নারী-পুরুষের মিথুন মূর্তি, প্রেম ভালোবাসার অনন্য রূপ চিত্রিত করা হয়েছে । অপূর্ব সুন্দর ।
তারিখ : ১২ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : রাত ১ টা ৪০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
নৃমুণ্ডমালিনী দেবী কালিকা ।
তারিখ : ১২ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : রাত ১ টা ৪০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
------- ধন্যবাদ -------
পরিশিষ্ট
আজকের টার্গেট : ৫৫৫ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 555 trx)
তারিখ : ২৯ জানুয়ারি ২০২৪
টাস্ক ৪৮২ : ৫৫৫ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron
আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx
৫৫৫ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :
TX ID : a35ad0cb16474d2c2644c9ef6520ddf01549676fb4aedf419f6f69893ec91428
টাস্ক ৪৮২ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি
Account QR Code
.png)
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আমার আজকের NFT আর্টটি গ্রাম বাংলার প্রকৃতির ওপর আধারিত । গ্রাম বাংলার প্রাকৃতিক দৃশ্যের কোনো তুলনা হয় না । সবুজ শ্যামলিমায় মাখা গ্রাম বাংলার প্রকৃতি তার অকৃপণ হাতে সাজিয়েছে অপরূপ সাজে । আমার আজকের আর্টটি হলো গ্রাম বাংলার জোৎস্না আলোকিত রূপ ।
তো চলুন দেখে নেওয়া যাক আমার আজকের আর্টটি -
NFT ART
Indian rural scenery
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
This is a very detailed post about your activities, and the images you took are very beautiful.
I am sure you enjoyed your journey, thank you for sharing this with us
দাদা আপনাদের ধৈর্যের প্রসংশা করতে হয়। হাফ কিলোমিটার লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে প্রায় আধা ঘন্টা সময় নিয়ে প্যান্ডেলে প্রবেশ করেছেন। আর রাত একটার সময় যদি এ অবস্থা হয় তাহলে নয়টা দশটার সময় না জানি কি অবস্থা ছিল। তবে দাদা অজন্তা ইলোরার আদলে তৈরীকৃত পুজো প্যান্ডেলটা দারুন ছিল। ধন্যবাদ।
কি আর লাগে দাদা? সাথে যদি থাকে বউ আর শালা। পোস্ট পড়েই বুঝা যাচেছ যে বেশ মজা করে কালী পুজোর প্যান্ডেল গুলো ঘুরে দেখেছেন। আর সেই সাথে সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আবার সেই সাথে মন্দির গুলোর দারুন কিছু বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ সুন্দর এই পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
টিনটিন বাবুকে ঘুম পারিয়ে ঘুরতে বের হতেন , কিন্তু টিনটিন বাবুর ভেঙ্গে গেলে কি হতো দাদা ? নিশ্চয়ই খুব কান্না করতো আপনাদেরকে না পেয়ে ৷ যাই হোক , ছোট দাদার নিয়ের ব্যস্ততার মাঝেও বেশ ভালোই উপভোগ করেছেন কালী পুজোর দিন গুলো ৷ আপনাদের কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলো দেখে অনেক ভালো লাগে ৷ বিশেষ করে কালী মায়ের থিম সহ অন্য থিম এবং পুজো প্যন্ডেল দেখে ভীষণ ভালো লাগলো ৷ খুবই চমৎকার ছিলো সবটা ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এতো রাতে বাইক দিয়ে ঘুরাঘুরি করার মজাই আলাদা। টিনটিন বাবু ঘুম থেকে উঠে গেলে কি হতো,সেটাই ভাবছি দাদা। যাইহোক বেশ লম্বা সিরিয়াল ধরতে হয়েছিল আপনাদেরকে তাহলে। আসলে এমন চোখ ধাঁধানো আয়োজন দেখতে তো এমন ভিড় হওয়ার ই কথা। পূজা প্যান্ডেলটা চমৎকার ভাবে সাজিয়েছে। প্রতিটি ফটোগ্রাফি বেশ উপভোগ করলাম। আপনাকে এবং বৌদিকে দেখতে দারুণ লাগছে দাদা। যাইহোক এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
বেশ ব্যস্ততম একটি সময় কাটালেন তাহলে। যেহেতু বিয়ের জন্য আলাদা একটা প্রস্তুতির দরকার হয়। বিয়ের তারিখ এবং পুজোর মধ্যে বেশ পার্থক্য ছিল না চার পাঁচ দিনের ব্যবধান ছিল। তাই পূজোর মধ্যে একটু সময় কম দিতে পেরেছেন সেটা স্বাভাবিক। তবে সেই ফাঁকে কিন্তু আনন্দকে মিস করেন নি দাদা আপনক অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন। আপনি পুজো প্যান্ডেলের ফটোগ্রাফি গুলো দারুন শেয়ার করলেন।