[ফোটোগ্রাফি পোস্ট] কুমোরটুলি ভ্রমণের আরো কিছু ফোটো
আপনার জানেন কিছুদিন পূর্বে আমি বাগবাজারের গঙ্গার কাছে "কুমোরটুলি" ভ্রমণের ৪ টি ফোটোগ্রাফি এপিসোড শেয়ার করেছিলাম । আজকে আরো কিছু ফোটোগ্রাফি শেয়ার করতে চলেছি কুমোরটুলিতে আমাদের ভ্রমণের । এই এপিসোডে আরো ১৪টা ফোটো শেয়ার করতে চলেছি আজ । বেশ ভারী ভালো একটা স্থান । গঙ্গার নিকটবর্তী । আর বর্ষার এই সময়ে আরো সুন্দর লাগে জায়গাটা । কারণ, এই সময়টাতে কুমোরটুলি জেগে ওঠে । সামনে পুজো । রমরমিয়ে চলে তাই প্রতিমা তৈরির কাজ । সারি সারি স্টুডিওতে হাজারে হাজারে মাটির প্রতিমা গড়ার কাজ শুরু হয় ঠিক এই সময়টাতে ।
দূর্গা, কালী, গণেশ, লক্ষী, সরস্বতী, কার্তিক, অসুর, সিংহ আরো কত দেব-দেবীর মূর্তি গড়ার সময় এখন । কুমোরটুলি তাই সারাদিনমান কর্মব্যস্ত থাকে । পুরোনো কলকাতা এই সময়টাতে তাই অন্য এক সাজে সজ্জিত হয় । তার রূপ এখন একদম পরিবর্তিত । গত চারটি পর্বে আমি কিভাবে মৃৎশিল্পীরা মাটি দিয়ে এই সব অপরূপ কারুকার্যমন্ডিত মাটির মূর্তি ও অঙ্গসজ্জা করে থাকে সে বিষয়ের উপরে মোটামুটিভাবে আলোকপাত করেছি ।
আসলে যে কোনো শিল্পের পিছনেই থাকে শিল্পীর অমানুষিক পরিশ্রম ।যুগে যুগে মানুষ শিল্পপ্রেমী, শিল্পের প্রতি একটা সহজাত অনুরাগ আছে আমাদের সবারই । কিন্তু, শিল্প দেখে আমরা মুগ্ধ হলেও শিল্পীর কদর করি না তেমন একটা । যুগ যুগ ধরেই বহু শিল্পী অবাঞ্চিতই থেকে গেলো তাই । তাঁদের প্রাণ দিয়ে গড়া শিল্পে মুগ্ধ হলেও তাঁদেরকেই অবহেলা করি আমরা । কোনোরকমের মূল্য দিতে কুন্ঠাবোধ করি ।
এটাই কি কাম্য হওয়া উচিত কখনো ?
সামনেই গণেশ চতুর্থী । তাই বিশালাকায় সব গণেশ মূর্তির কাজ চলছে পুরোদমে ।
তারিখ : ২৭ জুলাই ২০২৩
সময় : বিকাল ৪ টা ১৫ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
বড় গণেশ মূর্তির সাথে সাথে ছোট আকৃতির গণেশ মূর্তির চাহিদাও তুঙ্গে ।
তারিখ : ২৭ জুলাই ২০২৩
সময় : বিকাল ৪ টা ৩০ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
চলছে বুদ্ধ মূর্তি তৈরির কাজ । নিচে অঙ্গসজ্জা তৈরী হচ্ছে ।
তারিখ : ২৭ জুলাই ২০২৩
সময় : বিকাল ৪ টা ৩৫ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
শুধু দেব-দেবীর মূর্তি নয়, নানান ধরণের মূর্তি গড়ার কাজও হয়ে থাকে এখানে ।
তারিখ : ২৭ জুলাই ২০২৩
সময় : বিকাল ৪ টা ৪০ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ছবিতে টিনটিন বাবু ও তনুজা, পুরোনো কোলকাতা তার পটভূমি ।
তারিখ : ২৭ জুলাই ২০২৩
সময় : বিকাল ৪ টা ৫০ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
হাতে টানা রিক্সার সাথে ছবি তুলেছে টিনটিন আর তনুজা । সমগ্র এশিয়ায় এখন শুধুমাত্র ভারত, চীন আর জাপানে হাতে টানা রিক্সা আছে ।
তারিখ : ২৭ জুলাই ২০২৩
সময় : বিকাল ৪ টা ৫৫ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
কলকাতার পাতাল রেলে প্রথমবারের মতো টিনটিনের ভ্রমণ ।
তারিখ : ২৭ জুলাই ২০২৩
সময় : বিকাল ৬ টা ৩০ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : NIKON
ক্যামেরা মডেল : D5600
ফোকাল লেংথ : ৮৬ মিমিঃ
------- ধন্যবাদ -------
পরিশিষ্ট
আজকের টার্গেট : ৫২৫ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 525 trx)
তারিখ : ২১ আগস্ট ২০২৩
টাস্ক ৩৬২ : ৫২৫ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron
আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx
৫২৫ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :
TX ID : 74c18737bdc9be965d33068f171eab1e76fe6f467382310a93acccd2629a9978
টাস্ক ৩৬২ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি
Account QR Code
VOTE @bangla.witness as witness
OR
শিল্পীর হাতের ছোঁয়ায় কত সুন্দর সৃষ্টি হয়। এই সময়টায় কুমোরটুলি জেগে উঠে তা তো বোঝাই যাচ্ছে।বিশেষত বিভিন্ন রকম মূর্তি কত সুন্দর করে তৈরি করছে তা ছবি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আসলে এটা ঠিক শিল্পীর কদর করতে সবাই যেন কিছুটা পিছিয়ে থাকে, স্বাভাবিক মূল্য দিতেও কুণ্ঠাবোধ করে। যাইহোক বৌদি, টিনটিন আর স্বাগতা দিদি তিনজনকে খুব সুন্দর লাগছে দেখতে। সর্বোপরি সবগুলো ছবিই ভালো লাগলো দাদা।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
nice
দাদা আজ আবার সেই কুমোরটুলির বেশকিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন।এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখলে বোঝা যায় তারা কতোই না সময় নিয়ে এসব মূর্তিগুলোকে বানায়।সামনে পূজা তাই তাদের ব্যস্ততা ও খুব বেশি।এদের কে আসলে আমাদের মূল্যায়ন করা উচিত।সবগুলো ফটোগ্রাফি ই খুব ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ দাদা ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
দাদা এর আগের চারটি পর্ব পড়ার সুযোগ হয়ে ছিল আমার। বেশ দারুন ছিল সেই ফটোগ্রাফি গুলো। আজও আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর চৌদ্দটি ফটোগ্রাফি করলেন। প্রতিটি ফটোগ্রাফি দেখেই বুঝা যাচ্ছে শিল্পীরা কত পরিশ্রম করে আর কতটা যত্ন নিয়ে এত সুন্দর সুন্দর শিল্পকর্মগুলো করেছিল। কিন্তু আমরা তো শিল্পীদের মূল্যায়ন করতে জানিনা। সে যাই হোক টিন টিন বাবুর মতো আমিও কিন্তু এ পর্যন্ত পাতাল রেলে উঠিনি। তবুও তো টিন টিন বাবু প্রথম বার উঠলো।
কুমোরটুলিতে ভ্রমন করতে গেলে পুরনো কলকাতার চিত্র দেখা যায়। আসলে এসব জাগায় ঘুরলে অনেক তথ্য জানা যায়। টিনটিনের মনে হয় বেশি ভাল লাগছে না,বার্গার খাওয়ার খুব ইচ্ছা জেগেছে,হে হে হে। ধন্যবাদ দাদা।
দেখতে দেখতেই পুজোর সময় চলেই আসলো।এই সময় কুমোর দের অনেক ব্যস্ত সময় পার করতে হয়।আর কলকাতার কুমোরটুলির নাম অনেক শুনেছিলাম যে ওখানে অনেক সুন্দর সুন্দর প্রতিমা তৈরি হয়।আজ দাদা আপনার পোস্টের মাধ্যমে দেখতে পেয়ে ভীষণ ভালো লাগলো।সেই সাথে টিনটিন বাবুর পাতাল ট্রেনে চড়ার দৃশ্য বৌদি,স্বাগতা দিদি সবাইকে একসাথে দেখতে খুবই ভালো লাগছে।ঈশ্বরের কাছে একটাই প্রার্থনা করি আপনাদের এই পারিবারিক বন্ধন যেনো চিরকাল অটুট থাকে।সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা।
অবশ্যই শিল্পের সাথে শিল্পীরও কদর করা উচিত। কারণ শিল্পী না থাকলে শিল্পের সৃষ্টি হতো না। যাইহোক আগের চারটি পর্ব দেখার সুযোগ হয়েছিল দাদা। কিভাবে মূর্তি বানানো হয় সেই সম্বন্ধে সুস্পষ্ট ধারণা দিয়েছিলেন। আজকের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম দাদা। টিনটিন বাবুকে দেখে মনে হচ্ছে পাতাল ট্রেনের প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে ভয় পাচ্ছে। বেশ কয়েক বছর আগে কলকাতায় গিয়ে হাতে টানা রিকশাতে উঠেছিলাম। যাইহোক পোস্টটি দেখে খুব ভালো লাগলো দাদা। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ দাদা এর আগে কুমোরটুলির বিভিন্ন ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছিলেন। আবার তার কিছু শেয়ার করতে চলেছেন। আসলে ফটোগ্রাফি এবং এই দৃশ্যগুলো দেখতে ভালো লাগে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।