ভ্রমণ: পাটগ্রাম উপজেলা থেকে রংপুর আসার পথে ভোগান্তি
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
রবিবার, ২৬ ই মে ২০২৪ ইং
আমি ইতিমধ্যে আপনাদের সাথে শ্যামপুর থেকে পাটগ্রাম উপজেলায় ট্রেন ভ্রমণ করার অনুভূতি শেয়ার করেছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে পাটগ্রাম থেকে রংপুর পৌঁছানোর অনুভূতি শেয়ার করবো। আসলে শ্যামপুর থেকে পাটগ্রাম উপজেলায় যাওয়ার সময় একটু সহজেই যেতে পেরেছি। কিন্তু আসার সময় একটু ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে আমাদের কে। কেননা আসার পথে আমাদের রংপুরের ট্রেন ছিল না। এজন্য আমাদের কে একটু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আসলে যে কোন জায়গার মধ্যে ঘুরতে যাওয়ার সময় অনেক ভালো লাগে। কিন্তু ফিরে আসার সময় আর তেমন একটা ভালো না।
পাটগ্রাম ভ্রমনের মূল উদ্দেশ্য ছিল, পাটগ্রাম উপজেলার বেশ কয়েকটি দর্শনীয় স্থান ভ্রমন করা। আমরা পাটগ্রাম উপজেলার মধ্যে গিয়ে সারাদিন পাটগ্রাম উপজেলার বেশ কয়েকটি দর্শনীয় স্থান ভ্রমন করেছি। লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলা একটি অন্যতম উপজেলা। আর এই উপজেলার মধ্যে বেশ কয়েকটি দর্শনীয় স্থান রয়েছে। আমরা তার মধ্যে অন্যতম দর্শনীয় স্থান গুলো ভ্রমন করার চেষ্টা করেছি। আমার কাছে পাটগ্রাম উপজেলার দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে "তিন বিঘা করিডোর" টি অনেক বেশি ভালো লেগেছে ।
আমরা সারাদিন ঘোরাঘুরি করার পর অনেকটা হাঁপিয়ে গিয়েছিলাম, কেননা সেদিন প্রচন্ড পরিমানে রোদ আর গরম ছিল।আর এই রোদ গরমের মধ্যে ঘোরাঘুরি করা একটু কষ্টকর। সারাদিন ঘোরাঘুরি শেষে আমরা চলে আসি পাটগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে। এরপর আমরা সেখানে এসে দেখতে পারলাম, লালমনিরহাট যাওয়ার একটি ট্রেন আছে। বেশ কিছুক্ষণ এর মধ্যেই ট্রেন টি চলে আসলো। এরপর আমরা ট্রেনের মধ্যে উঠে পড়লাম। ট্রেন টি একদম ফাকা ছিল, তাই আমরা সকল বন্ধু এক জায়গার মধ্যে বসে পড়লাম। কিন্তু যাওয়ার সময় অনেক টা ভীড় ছিল ট্রেনের মধ্যে।
এরপর আমরা বেশ অল্প সময়ের মধ্যে লালমনিরহাট পৌঁছালাম। তখন রাত প্রায় দশটা বেজে ছিল। এখন আমাদের মাথার মধ্যে চিন্তা চলে আসলো, কিভাবে বাসায় পৌছাবো! এরপর দেখতে পারলাম একটি ঢাকার ট্রেন কাউনিয়া রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত যাবে। এখন এই ট্রেনের মধ্যে উঠে পড়লাম। আমরা বিনা টিকিটে এই ট্রেনের মধ্যে উঠেছিলাম, তাই মাঝরাস্তায় গিয়ে আমাদের কে ফাইন দিতে হয়। বেশ কিছুক্ষণ সময়ের মধ্যে কাউনিয়া রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে পৌঁছায়।
এখন আমরা কাউনিয়া রেলওয়ে স্টেশন থেকে বের হয়ে মেইন রোডে চলে গেলাম । কিন্তু আমরা রংপুর যাওয়ার জন্য কোন বাস পাইলাম না। তখন আমরা অনেকটা চিন্তিত হয়ে পড়ে যাই। কেননা আমাদের কে রাতের মধ্যেই বাসায় পৌছাতে হবে। কিছুক্ষণ সময় পর একটি একটি অটোরিকশা চলে আসে, অটোরিকশা ওয়ালা রংপুর যাওয়ার জন্য ভাড়ার থেকে তিন গুণ বেশি ভাড়া চায়। আমরা তিন ভাড়া দিতে রাজি হয়ে অটোরিকশার মধ্যে উঠে পড়লাম। অল্প কিছু সময়ের মধ্যে আমাদের কে রংপুর পৌছায়। এরপর আমরা পদাগঞ্জ যাওয়ার জন্য একটি অটোরিকশা ঠিক করলাম, সে ও ভাড়ার থেকে অতিরিক্ত টাকা চায়, আমরা তার কথায় সহমত পোষণ করে তার অটোরিকশায় উঠে পড়লাম। বেশ কিছু সময়ের মধ্যে সে আমাদের কে পদাগঞ্জ পৌঁছে দেয়। অবশেষে আমরা বাসায় পৌছাতে পারি।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Device | Redmi 10C |
---|---|
Camera | 48 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
গাড়ি না পেয়ে বেশ ভোগান্তির মধ্যে পড়েছিলেন দেখছি। আসলে প্রথমে আপনাদের জেনে নেয়া উচিত ছিলো ফিরতি পথের গাড়ি পাওয়া যায় কখন। যাই হোক শেষ দিকে আপনারা ট্রেনের ফাইন দিয়ে আবার অটো রিক্সার ভাড়া বেশি দিয়ে হলেও বাড়ি পৌঁছাতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো। আশাকরি এই ভ্রমণের মাধ্যমে ভিন্ন একটি অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনি পাটগ্রামের বিভিন্ন দর্শনীয় জায়গায় ভ্রমণ করেছেন জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। তবে অটো গুলোর ভাড়া একটু বেশি হয়। তাই তো আপনার তাদের কাছ থেকে অনেক বেশি ভাড়া নিয়েছে। যাই হোক আপনার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া।
আপনার পাটগ্রামের তিন বিঘা করিডোরের ব্লগটি পড়েছিলাম। বেশ ভালো লেগেছে। আজকে দেখলাম বাড়িতে ফিরতে বেশ ঝামেলা হয়েছে। অটোওলারা বিপদ দেখলে বাড়া একটু বেশি চাই। এটা সব জাগায়। যায়হোক তারপরও সুষ্ঠভাবে বাড়িতে ফিরতে পেরেছেন। ধন্যবাদ।
যখন কোথাও যাওয়ার পর গাড়ি না পাওয়া যায় তখন অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হয়। বাড়ি ফেরার জন্য অনেক কষ্ট করতে হয়। তবে আপনাকে আগে থেকেই সচেতন হওয়া উচিত ছিল এবং সবকিছু জেনে নেওয়া উচিত ছিল ভাইয়া।