ঈদের দিনের বিকেলের সুন্দর মূহুর্ত
আসসালামু আলাইকুম,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই সুস্থ আছেন। ভালো আছেন। আমি এখন আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। ঈদের পর থেকে অসুস্থতা যেন পিছু ছাড়ছে না। একটার পর একটা সমস্যা লেগেই আছে। তারপরও সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া যে আমার ছেলে মেয়েরা এখন পর্যন্ত আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছে। যা ঝড় আমার উপর দিয়ে যাচ্ছে। আজ থেকে কাজ শুরু করব ভাবছি। আজ ঈদের দিনে সুন্দর বিকেলের কিছু মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
গত পোস্টে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম ঈদের দিনের সকালের কিছু মুহূর্ত। ঈদের দিন মোটামুটি রেডি হয়ে আমার হাজবেন্ডের কাছ থেকে সালামি নিয়েছি, শাশুড়ি ও সালামি দিয়েছে। এরপর আমি একজন আমার পাশের বাসায় আর ছেলেকে বলেছিলাম আমাদের কিছু ছবি তুলে দিতে যেহেতু আমার ছেলের এবার প্রথম ঈদ তাই ওর এই ঈদের দিনে কিছু সুন্দর ছবি তুলে স্মৃতি করে রাখতে চেয়েছিলাম। রেডি হয়ে তাকে ফোন দিয়েছিলাম ক্যামেরা আনার জন্য এরপর আমরা সবাই মিলে ছবি তোলা শুরু করেছিলাম।
যেহেতু আমার ছেলের প্রথম ঈদ তাই ওর জন্য আমি শখ করে পাঞ্জাবি কিনেছিলাম। পাঞ্জাবি পরে ওর কিছু ছবি তুলব কিন্তু ছোট মানুষ ওদের তো কখন মুড হয় বলা মুশকিল।তারপরও চেষ্টা করেছি কিছু ছবি তোলার। কিছু ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম আরো অনেক ছবি তুলেছিলাম আস্তে আস্তে আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আর আমার মেয়েএকটা ড্রেস পড়েছে সেটা তো আর সে খুলবে না। এটা তার এতই বেশি পছন্দ যে সে এটা পড়েই সব ছবি তুলেছে।
ছবি তোলার পর্ব শেষ করে রান্নাঘরে যেতে হলো কারণ আমার বাসায় আরো কিছু মেহমান আসবে। মেহমান বলতে আমার ননদ ও তার পরিবার আসবে তাদের জন্য আবারো নতুন করে রান্না করতে হবে। ননদ বলে কথা স্পেশাল কিছু তো করতেই হবে। তাই শাড়ি পরে আবার রান্না ঘরে ঢুকে গেছি যদিও আমার শাশুড়ি আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। সব রান্নাবান্না শেষের দিকে এর মধ্যে আমার ননদ চলে এসেছে।সবার সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করলাম।। আসার পরপরই আমি তাদেরকে খেতে দিয়েছি কারণ দুপুরে খাওয়ার সময় হয়ে গেছে আর আমার রান্নার শেষ হয়েছে। সবাই একসাথে অনেক মজা করে খাওয়া দাওয়া করলাম। আড্ডা দেওয়া শেষে আমার ননদের পরিবারের সকলেই চলে গেছে। কারণ তাদের বাড়িতেও একটা বিয়ে আছে বিয়ের অনেক কাজ আছে। এজন্য তাদেরকে তাড়াহুড়া করে চলে যেতে হয়েছে। তারা চলে যাওয়ার পর আমি আমার ছেলেকে নিয়ে একটু রেস্ট নিয়েছি। কারণ সারাদিন অনেক ধকল গেছে। তারপর বিকেলে সবকিছু চেঞ্জ করে আমি আর আমার হাজব্যান্ড চলে গিয়েছিলাম আমাদের সেই পছন্দের জায়গায় রেললাইনে। গিয়ে দুজনে অনেক গল্প করলাম হাঁটাহাঁটি আর কিছু ছবি তুললাম।এরমধ্যে সূর্য অস্ত গিয়েছে তখন দুজনেই বলছিলাম যে এবারের মতো ঈদ আজকে এখানেই শেষ হল। কারণ সন্ধ্যা হয়ে গেছে এরপরে যে যার বাসায় থাকবে আর গ্রামে তো তেমন ঘুরাঘুরির জায়গা নেই। এরপর আমরা বাসায় চলে এসেছি।
যাক এবারের ঈদটা তারপরও অনেক সুন্দর হয়েছে। এটা আলহামদুলিল্লাহ ছেলেকে নিয়ে অনেক সুন্দর সময় পার করেছি। ছেলেকে নিয়ে গ্রামে গিয়ে তেমন কোন সমস্যা হয়নি। এটাই অনেক অনেক শুকরিয়া। আশা করি সবার ঈদ ভালো কেটেছে। আমার আজকে ঈদের দিনের সারাদিনের মূহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি।ধন্যবাদ সবাইকে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার পোস্টে পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আসলে ঈদের দিনে বিকেল বেলা এরকম চমৎকার মুহূর্ত কাটানোর মধ্যে অনাবিল আনন্দ রয়েছে। আমি আশা করি ঈদের দিনের বিকেলের মুহূর্তের মতো যেনো আপনার জীবনে প্রতিটি দিন এরকম আনন্দময় এবং উপভোগ্য হয়ে ওঠে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য। অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।
আপু আপনার ছেলে এবং মেয়ে দেখতে তো মাশআল্লাহ অনেক সুন্দর। তবে এটা আপনার ছেলের সাথে আপনার প্রথম ঈদ জেনে খুবই ভালো লাগলো। আমার ছেলের সাথে ও আমার প্রথম ঈদের বছর অনেক আনন্দ এবং মজা হয়েছে। আপনার মেয়েকে সুন্দর একটি ড্রেস পরিয়ে দিয়েছেন দেখতে বেশ ভালো লাগছে। আপনার সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো আপু ধন্যবাদ।
আমার পোস্ট টি আপনার কাছে ভাল লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম আপু। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ননদরা বাসায় আসলে স্পেশাল কিছু তৈরি করতে হয় এই কথা আপনার ভাবিও বলে আপু। আর ঈদের দিন বোন ও দুলাভাইকে দাওয়াত করে না খাওয়ালে আমাদেরও শান্তি হয় না। যাইহোক আপু আপনার ছেলের সাথে প্রথম ঈদ খুব আনন্দে কেটেছে, তা জেনে খুব ভালো লাগলো। আর হ্যাঁ আপু আপনার ছেলে ও মেয়ে দুজনেই খুবই কিউট। ওদের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ননদরা স্পেশাল মানুষ তাই স্পেশাল আইটেম।অনেক ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ঈদের দিন বিকেলের সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন। আমরাও ঈদের দিন বিকেলে কাজিনরা সবাই মিলে ঘুরতে গিয়েছিলাম। এ ধরনের মুহূর্ত গুলো সবার সাথে কাটাতে বেশ ভালোই লাগে। আর আপনার ননদ এসেছে। আর ননদ বলে কথা তাদের জন্য তো স্পেশাল কিছু করাই লাগে। আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারছি সবাই মিলে বেশ আনন্দে ঈদ উদযাপন করেছেন। আর আপনার ছেলে মেয়ে দুটোকে অনেক সুন্দর লাগছে। সুন্দর একটি মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আমার ছেলে মেয়ের জন্য দোয়া করবেন আপু।আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ঈদের দিনের বেশ দারুন মুহূর্ত আমাদের মাঝে ব্যক্ত করেছেন আপনি। আপনার বাচ্চার প্রথম ঈদ তাই শখ করে তার জন্য পাঞ্জাবি কিনেছিলেন। আর এছাড়াও বেশ কিছু তথ্য আমাদের মাঝে ব্যস্ত করেছেন এই থেকে অনেক কিছু জানতে পারলাম ঈদের দিনটা কেমন উপভোগ করেছেন। সব মিলে বেশ ভালো লাগলো আমার আপনার ব্লগ পড়ে।
আমার পোস্ট টি পড়ে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।