ঘরোয়া উপকরণ দিয়ে সুস্বাদু চিকেন পপকর্ন রেসিপি [10% beneficiary to @shy-fox]
আসালামুআলাইকুম,
সবাই কেমন আছেন?আশা করি আল্লাহর মেহেরবানীতে সবাই ভালো আছেন।
আবার নতুন একটি রেসিপি নিয়ে চলে এসেছি আপনাদের মাঝে।আমার আজকের নতুন রেসিপিটির নাম হচ্ছে চিকেন পপকর্ন।
কয়েকদিন ধরে একটু ঝামেলার মধ্যে রয়েছি ঝামেলার সাথে মানসিক টেনশনে রয়েছি। বাবা নামের বট বৃক্ষটার নাই বলে আজ পরিবারের সাবার লাঞ্ছনা বঞ্চনার শিকার হতে হচ্ছে। আপনারাতো সবাই আমার পরিবার, পরিবারের মানুষের কাছে যদি দুঃখগুলো না বলতে পারি তাহলে কিভাবে একজন পরিবারের সদস্য হলাম? আমি অন্য একটি পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের মাঝে আমার না বলা কথাগুলো শেয়ার করব।
যাইহোক,আমরা সবাই চিকেন পপকর্ন খেতে খুব পছন্দ করি।চিকেন পপকর্ন খেতে আমরা অনেক সময় রেস্টুরেন্টে যায়।তবে রেস্টুরেন্টের খাবারগুলো কতটা স্বাস্থ্যকর সেটা কিন্তু আমরা জানিনা।যদি ঘরে কিছু উপকরণ থাকে ঘরোয়া ভাবে রেস্টুরেন্টের স্বাদে চিকেন পপকর্ন তৈরি করা যায়। সত্যি কথা বলতে কি তরতাজ চিকেন দিয়ে যদি চিকেন পপকর্ন তৈরি করা হয় খেতে কিন্তু বেশ দারুন লাগে। গরম গরম পপকর্ন টমেটোর সস অথবা তেতুলের সস দিয়ে খেতে বেশ মজা লাগে। আর এই রেসিপিটি বিকেলের নাস্তা হিসেবে কিন্তু বেশ মজাদার,গরম চায়ের সাথে চিকেন পপকর্ন হলে আর কিছুই লাগে না।
যাইহোক তাহলে কথা না বাড়িয়ে চলুন,কিভাবে ঘরোয়া উপকরণ দিয়ে। রেস্টুরেন্টের স্বাদে চিকেন পপকর্ন তৈরি করেছি তা আপনাদের ধাপে ধাপে শেয়ার করি।
চিকেন পপকর্ন তৈরির উপকরণ | সমূহ |
---|---|
মুরগির মাংস | ২০০ গ্রাম, |
ময়দা | ১-কাপ |
কর্নফ্লাওয়ার | ১/২ কাপ, |
আদা বাটা | ১/৩চামচ, |
রসুন বাটা | ১/৩ চামচ, |
ডিম | ১-টি, |
সয়া সস | ১-চামচ, |
লাল মরিচ গুড়া | ১-চামচ, |
হলুদ গুড় | ১/২ চামচ, |
লেবুর রস | ১-চামচ, |
জিরা,ধনিয়া গুড়া | ১/২ চামচ, |
সয়াবিন তেল | -হাফ কাপ, |
লবণ | স্বাদমতো, |
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথমে মুরগির মাংস গুলো মাঝারি আকারের টুকরো করে নিবো।তারপর ভালো করে ধুয়ে নিব। ধুয়া হয়ে গেলে,মরগির মাংসের টুকরো গুলো হাতের সাহায্যে চিপে মাংসের পানি ঝরিয়ে একটা বাটিতে মাংসের টুকরোগুলো নিব।
তারপর একটা বড় বাটিতে মুরগির মাংসে টুকরো গুলো নিয়ে।একে একে সব মসলা এবং ডিম ভেঙ্গে দিব।
আমি চিকেন পপকর্নে গোলমরিচ ব্যবহার করি নিই কারণ আমার বাবু খাবে তাই। আপনারা চাইলে গোলমরিচ দিতে পারেন।তবে কাশ্মীরি লাল মরিচ গুঁড়া যদি আপনাদের ঘরে থাকে,তাহলে চিকেন পপকর্ন তৈরীর সময় ব্যবহার করতে পারেন।তাহলে চিকেন পপকর্ন দেখতে রেস্টুরেন্টের চিকেন পপকর্নে মত লাগবে।
সব মসলা দেওয়া হলে,এবার এক চামচ লেবু রস দিয়ে হাতের সাহায্যে মেখে নিব দুই মিনিটের মত।আপনারা চাইলে চিকেন পপকর্নে টমেটো সস দিতে পারেন।আমার ঘরে টমেটোর সস নাই। তাই আমি লেবুর রস দিয়েছি।
মুরগির মাংসের সাথে সব মসলা মাখানো হলে,একটা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রেখে দিবো আধাঘন্টা সময়ের জন্য। আমি আধাঘন্টা সময় ঢেকে রেখে দিয়েছিলাম।আপনারা চাইলে ১০ মিনিট রেখে চিকেন পপকন তৈরি করতে পারেন।
আধা ঘন্টা পর,এবার আমি এক কাপ ময়দা,হাফ কাপ কর্নফ্লাওয়ার একটা প্লেটে নিব।ময়দা,কর্নফ্লাওয়ারের সাথে অল্প লবণ এবং লাল মরিচ গুঁড়া দিয়ে চামচের সাহায্যে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নিব।তারপর মসলা মাখানো মুরগির মাংস গুলো একটি একটি করে ময়দা,কর্নফ্লাওয়ারের প্লেটে দিয়ে মুরগির মাংস গুলো ময়দা এবং কর্নফ্লাওয়ারের সাথে ভাল করে মাখিয়ে নিব।
কর্নফ্লাওয়ার এবং ময়দার সাথে লাল মরিচ এবং লবণ মেশানো হলে, মুরগির মাংস গুলো একটা বাটিতে অল্প পানির ভিতর একটু ভিজিয়ে আবার ময়দা এবং র্কনফ্লাওয়ার মধ্যে রেখে ভাল করে মাখিয়ে নিব।
মুরগির মাংস ময়দা এবং কর্নফ্লাওয়ারের সাথে মাখানো হলে।চুলায় একটা প্যানে হাফ কাপ সয়াবিন তেল দিব।
তেল গরম হলে, চিকেন পপকর্ন গুলো একটি একটি করে প্যানের ভেতর দিয়ে চুলার মাঝারি আঁচে ভেজে নিব।চিকেন পপকর্ন লাল লাল ভাজা হলে, প্যানের থেকে তুলে নিয়ে চুলা বন্ধ করে দিব।
বন্ধুরা,চিকেন পপকর্ন ভাজার সময় চুলার মাঝারি আঁচে ভাজতে হবে। না হলে চিকেন পপকর্নের উপরে দিকটা লাল ভাজা হবে,ভিতরে কাঁচা থেকে যাবে খেতে স্বাদ লাগবেনা আমার তৈরি করা চিকেন পপকর্নের ভিতরে অংশটুকু একদমই ঠিকভাবে হয়েছে।মরগির মাংসের ভিতরের দিকটা সিদ্ধ হয়েছে আর উপরের দিকটাও মুচমুচে হয়েছে ।
তৈরি হয়ে গেল খুবই সুস্বাদু ঘরোয়া উপকরণ দিয়ে চিকেন পপকর্ন । চিকেন পপকর্ন বিকেলের নাস্তা হিসেবে খেতে আমি অনেক পছন্দ করি।তবে গরম গরম চিকেন পপকর্নের স্বাদটাই আলাদা।
বন্ধুরা,আমার তৈরি করা চিকেন পপকর্ন রেসিপি আপনাদের কেমন লেগেছে? যদি ভালো লাগে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।আপনাদের কমেন্ট,আপনাদের ভালোবাসা ভালো কাজ করার উৎসাহ যোগায়।
ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
কয়দিন থেকেই ভাবছি চিকেন কর্ন ফ্রাই তৈরি করা যায় কিনা । এর কারণ অনেকটা কর্ণফ্লাওয়ার আমার কাছে রয়েগেছে যা হয়তো কিছুদিন পর নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল । তবে সময় এবং ঠিকঠাক রেসিপির অভাবে হয়েই উঠছে না । আজ আপনার রেসিপি দেখে আর একটু উৎসাহ বেড়ে গেল । আশা করি এটি দেখতে যেমন পার্ফেক্ট হয়েছে স্বাদটাও হবে অসাধারণ ।
জি স্বাদটাও অসাধারণ ছিল।আশা করি বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখবেন।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
চিকেন ফ্রাই গুলো দেখেই মনে হচ্ছে দারুণ হয়েছে।এখন তো একটু আধটু ঠান্ডা পড়েছে।আর ঠান্ডার দিন গুলো তে বিকেল বলো এমন মুচমুচে ফ্রাই আর গরম এক কাপ চা হলে আর কি লাগে!!
সত্যিই অনেক দারুন হয়েছে।আপনার মন্তব্য গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বাহ অনেক সুন্দর করে আপনি সুস্বাদু চিকেন পপকর্ন রেসিপি করেছেন। রেস্টুরেন্টের চিকেন পপকর্ন খেতে ভালো লাগে কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয় আমার মতে। তবে ঘরোয়া পরিবেশে নিজের তৈরি করলে সেটি অনেক ভালো। তবে আপনার রেসিপি কালার দেখে মনে হয় অনেক সুস্বাদু হবে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
রেস্টুরেন্টের চিকেন পপকর্ন খেতে ভালো লাগে কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়।আপনার এই মন্তব্যটি একেবারে সত্যি।আমি বেশিভা বাসায় বিভিন্ন রকমের নাস্তা তৈরি করে খেয়ে থাকি।আপু অনেক সুস্বাদু হয়েছে। এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
মানুষের জীবনের দুঃখ-কষ্ট আসবেই। এ নিয়ে হতাশ হবেন না আপু। খুব দ্রুতই দুঃখ সরে গিয়ে সুখ আসবে। যাইহোক আপনার চিকেন পপকন দেখে মনে হচ্ছে যে বেশ মজাদার হয়েছিল। ঠিকই বলেছেন দোকানের কেনাগুলো কতটা স্বাস্থ্যকর কে জানে। এভাবে যদি বাসায় বানিয়ে খাওয়া যায় তাহলে খুবই স্বাস্থ্যকর এবং মজাদার হবে। ধন্যবাদ আপনাকে।
সুখ দুঃখ সব আল্লাহর হাতে আর আমি নিশ্চিত দুঃখের পরে সুখ আসবে আপু।সত্যি অনেক মজাদার হয়েছে।আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনার প্রিয় খাবারটি অবশ্যই বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখবেন।আশা করি অনেক অনেক ভালো লাগবে।দোয়া করবেন আমি যেন সামনে আরো নতুন নতুন রেসিপি আপনাদের মাঝে উপহার দিতে পারি।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে সবসময় থাকার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন আপু যদি নিজের কথাগুলো শেয়ার না করেন তাহলে কিসের পরিবার হলো। আপনি অনেক চিন্তিত রয়েছেন এটা আসলে আমি কিছুটা জানি। কিন্তু এত কিছুর মধ্যেও এত অসাধারণ একটি রেসিপি তৈরি করলেন। আসলে আমি নিজেও রেস্টুরেন্টের খাবারের চেয়ে নিজে তৈরি করতে বেশি পছন্দ করি। কারণ নিজেরা ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি করলে এটা বেশি স্বাস্থ্যসম্মত হয়। দেখে তো মনে হচ্ছে বেশ দারুন হয়েছে খেতে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর মন্তব্য করে সবসময় পাশে থাকার জন্য।