দুধ কচু দিয়ে ইলিশ মাছের সুস্বাদু তরকারি রেসিপি [10% beneficiary to @shy-fox]
আসসালামুয়ালাইকুম,
সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর মেহেরবানীতে সবাই ভালো আছেন।
চলে এসেছি আবারো খুবই সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর একটি রেসিপি নিয়ে। আমার আজকের রেসিপি দুধ কচু দিয়ে ইলিশ মাছের তরকারি রেসিপি।
ইলিশ মাছ পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুবই কম আছে। ইলিশ মাছ বাঙালির খুব পছন্দের মাছ আর এই ইলিশ মাছ দিয়ে যদি দুধ কচু রান্না করা হয় তাহলে কিন্তু আর কথাই নেই। আমি এর আগেও কয়েকটা রেসিপি শেয়ার করেছিলাম দুধ কচুর।সত্যি বলতে দুধ কচুর অনেক উপকারিতা পুষ্টি গুন রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারি।দুধ কচু রান্না করাটা একটু কঠিন কিন্তু খেতে খুবই সুস্বাদু। দুধ কচু বাংলাদেশের সব এলাকাতে পাওয়া যায়, তবে সব অঞ্চলে কিন্তু একই নামে পরিচিতটা না।এই কচুটি অঞ্চল ভেদে বিভিন্ন নামে পরিচিত। বন্ধুরা,আপনারা জানাবেন এই কচুটা আপনাদের এলাকাতে কি নামে পরিচিত?
দুধ কচুর নিরামিষ,দুধ কচু চিংড়ি মাছ, দুধ কচু মসুর ডাল এবং দুধ কচু দিয়ে ইলিশ মাছ রান্না করলে খেতে বেশ সুস্বাদু লাগে। আমি এর আগে দুধ কচুর দুই রকমের রেসিপি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম।দুধ কচু দিয়ে আজকে একটু বিভিন্ন রেসিপিটি শেয়ার করেছি। আমার তৈরি করা দুধ কচু দিয়ে ইলিশ মাছের সুস্বাদু তরকারি আপনাদের কেমন লাগবে জানিনা।
তাহলে হলে চলুন, বেশি কথা না বাড়িয়ে কিভাবে আমি ইলিশ মাছের সুস্বাদু তরকারি রান্না করেছি। তা আপনাদের মাঝে ধাপে ধাপে শেয়ার করি।
দুধ কচু দিয়ে ইলিশ মাছ রান্নার উপকরণ | সমূহ |
---|---|
দুধ কচুর ডাঁটা | ৩-টি, |
মাঝারি আকারের ইলিশ মাছ | ২-টি। |
পেঁয়াজ | ৪-৫ টি। |
রসুন | ২-টি। |
লালা মরিচ গুঁড়া | ১-চামচ। |
হলুদ গুঁড়া | ১/২ চামচ। |
জিরা,ধনিয়া গুঁড়া | ১/২ চামচ। |
কাঁচা মরিচ | ৬-৭ টি। |
তেল | ৮ চামচ। |
ধনে পাতা কুচি | |
লবণ | স্বাদ মত। |
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথমে আমি দুধ কচুর উপরের খোসা ছিলে পরিষ্কার করে মাঝারি আকারে টুকরো করে নিলাম। ইলিশ মাছ পরিষ্কার করে কেটে মাঝারি আকারে টুকরো করে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিলাম ।ইলিশ কাটা হলে, এবার প্লেটে নিয়ে আমি অল্প হলুদ গুঁড়া,অল্প লবণ দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিব। মাখানো হয়ে গেলে,
এবার চুলায় একটি প্যানে আট চামচ সয়াবিন তেল দিব। তেল গরম হলে, আমি প্যানে একটি একটি করে ইলিশ মাছের টুকরো দিয়ে চুলার মাঝারি আঁচে লাল লাল করে ভেজে নিব।
ইলিশ মাছের টুকরোগুলো ভাজা হয়ে গেলে,এবার আমি চুলায় একটি হাড়িতে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে সাথে হলুদ গুঁড়া দিয়ে দুধ কচুর টুকরো গুলো হাড়িতে দিয়ে চুলার মাঝারি আঁচে ভাপিয়ে নিব।দুধ কচু ভাপানো হলে, এবার আমি চুলা বন্ধ করে একটা ছাঁকনি এতে রেখে পানি গুলো ঝরিয়ে নিব। তারপর ঠান্ডা হলে,হাতের সাহায্যে চেপে দুধ কচুর মধ্যে থাকা পানিগুলো ফেলে দিব।
ইলিশ মাছ ভাজা এবং দুধ কচু ভাপানো হয়ে গেলে, আমি ইলিশ মাছ ভাজা যে অবশিষ্ট তেল রয়েছে তা আমি চুলায় একটি প্যানে দিব।তেল গরম হলে,পেঁয়াজ কুচি,রসুন কুচি এবং কাঁচা মরিচের টুকরোগুলো দিয়ে ভেজে নিব। পেঁয়াজ কুচি,রসুন কুচি হালকা বাদামি রং হওয়া পর্যন্ত। পেঁয়াজ কুচি হালকা বাদামি রং হয়ে এলে, রসুন বাটা দিয়ে দিব।রসুন বাটা দিয়ে চুলার মাঝারি আঁচে পেঁয়াজ কুচি,রসুন কুচির সাথে ভালো করে ভেজে নিব। ভাজা হয়ে গেলে,আমি একে একে সব মসলার গুঁড়া চুলার একদম কম আঁচে কিছুক্ষণ ভেজে নিব।
সব উপকরণ ভাজা হয়ে গেলে, এবার আমি হাতের সাহায্যে চেপে পানি ঝরিয়ে রাখা দুধ কচুর টুকরোগুলো প্যানে দিয়ে। দুধ কচুর টুকরো গুলো সব উপকরণের সাথে ভালো করে পাঁচ মিনিটের মত ভেজে নিব।পাঁচ মিনিট পর পরিমাণ মতো দিয়ে চুলার একদম হাই হিটে সব উপকরণ এর সাথে দুধ কচুর টুকরা গুলো রান্না করব।
দুধ কচুর ঝোল একটু মাখামাখা হয়ে এলে, ভেজে রাখা ইলিশ মাছের টুকরোগুলো প্যানে দিয়ে চুলার মাঝারি আঁচে রান্না করব ঝোল শুকানো পর্যন্ত।ঝোল শুকিয়ে এলে,আমি ধনেপাতা কুচি দুধ কচু এবং ইলিশ মাছের সুস্বাদু তরকারির উপর ছিটিয়ে দিয়ে চুলা বন্ধ করে দিব।
তৈরি হয়ে গেল,খুবই খুবই সুস্বাদু দুধ কচু দিয়ে ইলিশ মাছের সুস্বাদু তরকারি।এই রেসিপি গরম গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করলে বেশ সুস্বাদু লাগে😋
বন্ধুরা,আমার তৈরি করা দুধ কচু দিয়ে ইলিশ মাছের সুস্বাদু তরকারি রেসিপিটি আপনাদের কেমন লেগেছে?
যদি ভালো লাগে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
আপনাদের কমেন্ট ভালো কাজ করার উৎসাহ যোগায়।
ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিকে দেখবেন।
দুধ কচু দিয়ে ইলিশ মাছের রেসিপি কখনো খাওয়া হয়নি। তবে কচুমুখী দিয়ে ইলিশ মাছ খেয়েছি। তাই দুধ কচু আমার কাছে নতুন লেগেছে।আর রেসিপির পরিবেশন দেখে শিখে নিলাম। পরবর্তীতে তৈরি করবো,আপনার রেসিপি দেখে অনেক মজাদার মনে হচ্ছে।
এত সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে সবসময় পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি দুধ কচু দিয়ে সুন্দর একটি রেসিপি করেছেন। তবে আমরা মান কচু বলি বড় গুলোকে।আপনি খুব সুন্দর করে দুধ কচুর ডাঁটা দিয়ে ইলিশ মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন। এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি। কচু দিয়ে খেয়েছি শুধু তবে আমার কাছে রেসিপিটি ইউনিক মনে হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার মন্তব্য গুলো সত্যিই অনেক ভালো লেগেছে খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপু আপনার রেসিপির কালারটা দারুন হয়েছে।দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে দারুন হয়েছিল।তবে আমার কখনো দুধ কচু দিয়ে ইলিশ মাছ খাওয়া হয়নি।একদিন বাসায় এভাবে ট্রাই করবো আপনার রান্নার ধাপ অনুসরন করে।ধন্যবাদ সুন্দর রেসিপি টি শেয়ার করার জন্য।
জ্বী আপু অনেক সুস্বাদু হয়েছে।এত সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে সবসময় পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ইলিশ মাছের মজাদার রেসিপি দেখে সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আপনি খুবই মজাদার রেসিপি আজকে আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। আসলে দুধ কচু দিয়ে ইলিশ মাছের রেসিপি কখনো খাওয়া হয়নি।এই রেসিপিটি আমার কাছে নতুন লেগেছে।
জ্বী ভাইয়া অনেক সুস্বাদু হয়েছে।এত সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে সবসময় পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপু,আমাদের এলাকাতেও দুধকচুই বলে।তবে দুধ কচু দিয়ে ইলিশ ও চিংড়ি দিয়ে খেয়েছি, তবে কখনো নিরামিষ কিংবা মসুরের ডাল দিয়ে খাওয়া হয়নি।ইলিশ দিয়ে কচুর রেসিপি খেতে বেশ দারুন লাগে।অন্যরকম একটা ফ্লেভার আছে।আপু আপনার রান্না বরাবরই অনেক ভালো হয়।আপনি প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
আমারও ইলিশ দিয়ে কচুর রেসিপি খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে। সত্যি আপু অন্যরকম একটা ফ্লেভার আছে।দোয়া করবেন আপু আমি যেন নতুন নতুন রেসিপি আপনাদের মাঝে উপহার দিতে পারি ।আপনার মন্তব্য গুলো অনেক ভালো লেগেছে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ইলিশ মাছ বিভিন্ন রকমের সবজি দিয়ে রান্না করা যায়। একবার দুধকচু দিয়ে রান্না করে খেয়ে দেখবেন। আশা করি অনেক ভালো লাগবে।এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
কচু প্রকৃতির সব খাবারের মধ্যে দুধ কচুটা আমার খুব ভালো লাগে। দুধ কচু ইলিশ মাছ দিয়ে রান্না করলে খেতে অনেক বেশি মজাদার হয়। আমাদের বাসায় বেশিরভাগ সময় এই দুধ কচু খাওয়া হয়। আর আমরা সব সময় চেষ্টা করি এটা ইলিশ মাছ দিয়ে রান্না করার। আপনার এই কচু তরকারি দেখে সত্যিই খুব খেতে ইচ্ছা করছে আপু। এই ধরনের লোভনীয় তরকারি বিরিয়ানি কেও হার মানায়।
আপনি বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখবেন। আশা করি ভালো লাগবে এবং আপনার ইচ্ছাটা পূরণ হয়ে যাবে। এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।