আমার বাংলা ব্লগ।
হ্যালো "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটি বাসী । কেমন আছেন সবাই? সবাইকে জানাই শুভ সকাল। এই সকালে লিখতে বসলাম আমাদের সকলের প্রিয় সকলের আবেগের জায়গা বাংলা ব্লগ কমিউনিটি নিয়ে। গতকাল রাতে আমাদের কমিউনিটির ডিসকর্ড সার্ভারে স্পেশাল হাংআউট অনুষ্ঠিত হয়েছিল। অনেক কিছুই বলার ইচ্ছা ছিল কিন্তু অসুস্থ থাকার কারণে তেমন কিছুই শেয়ার করতে পারেনি আপনাদের সাথে। অনেক আবেগ জড়িয়ে আছে আমাদের এই কমিউনিটি নিয়ে। আজ আমাদের এই কমিউনিটি নিয়েই কিছু কথা বলতে এলাম।
২০২১ সালের জুন মাসের ১১ তারিখে বাংলা ব্লগের যাত্রা শুরু হয়। সেদিন থেকেই অনেক বাঙালির বহুদিনের স্বপ্ন পূরণের পথ সুগম হয়। অনেক বাঙালির বহু দিনের ইচ্ছে ছিল নিজের ভাষায় ব্লগিং করা। কিন্তু স্টিমেট প্ল্যাটফর্মের কোথাও নিজের ভাষায় ব্লগিং করে মূল্যায়িত হওয়ার সুযোগ না থাকায় সবাই ইংরেজি বা অন্যান্য ভাষা বেছে নিত। নিজের ভাষায় ব্লগিং করার মধ্যে যে কত আবেগ এবং কতটা ভালোলাগা লুকিয়ে আছে সেটা শুধুমাত্র বাংলা ব্লগাররাই জানে।
দাদা বাংলা ভাষার জন্য আলাদা একটি কমিউনিটি খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শুধুমাত্র এই ভাষাটার উপর শ্রদ্ধা রেখে। দাদার অনেক আগে থেকেই ইচ্ছে ছিল এই ভাষাটার জন্য কিছু একটা করার। বাঙালি ব্লগাররা দাদার কাছে চির কৃতজ্ঞ থাকবে। আমাদের কমিউনিটি শুধুমাত্র ইনকামের জন্য টিকে আছে বিষয়টা মোটেও এমন নয়। কেউ কমিউনিটির বাইরে থেকে অনেক বড় বড় বুলি ছাড়তে পারবে, কিন্তু আমাদের কমিউনিটির গভীরে কেউ প্রবেশ না করলে কখনোই আমাদের কমিউনিটির আসল চেহারা দেখতে পারবেনা। সকালে যখন ঘুম থেকে উঠি প্রথমেই ডিসকর্ডে ঢোকা হয় আমার। আবার যখন রাতে ঘুমোতে যাই তখন ডিসকর্ড বন্ধ করেই ঘুমোতে যাই। গতকাল আমাদের কমিউনিটির মডারেটর আইরিন আপুকে বলতে শুনেছি যে, একটা দিন যদি ডিসকর্ড এবং আমাদের স্টিমেট থেকে দূরে রাখা যায় তাহলে সে দিনটি দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার মত লাগবে। কথাটি অসত্য নয়। আমি ফেসবুক ত্যাগ করেছি। শুধু মেসেঞ্জারে একটিভ আছি। ফেসবুক আনইন্সটল করে দিয়ে এখন ফেসবুক থেকে অনেক দূরে আছি। কিন্তু স্টিমেট আর ডিসকর্ড ব্যতীত একটা দিনও কল্পনা করতে পারিনা।
বর্তমানে আমাদের কমিউনিটি ওয়ার্ল্ড রেংকিং-এ দ্বিতীয় অবস্থানে আছে। বরাবরের মতোই আমি এবারও বলব যে এটা নিখুঁত নয় কারণ এটা রোবটিক সিস্টেমে নির্ধারণ করা হয়। এখানে পেআউট এবং এক্টিভ পোস্টার যে কমিউনিটির বেশি তাকেই উপরে রাখা হয়। অনেক কমিউনিটি আছে বিভিন্ন প্রজেক্ট এর। সেখানে অল্প পোস্টে তুলনামূলক অনেক বেশি পরিমাণে পেন্ডিং রেওয়ার্ড থাকে। কিন্তু সার্বিক দিক থেকে যদি আপনি বিবেচনা করেন তাহলে আমাদের কমিউনিটি সবার থেকে ভিন্ন এবং সবচেয়ে মানসম্মত। তবে বর্তমানে অ্যাক্টিভ পোস্টের বিবেচনায় বাংলা ব্লগ কমিউনিটি ওয়ার্ল্ডের এক নম্বরে আছে। দাদার নীতি অনুযায়ী আমরা ধীরে ধীরে আগাচ্ছি। কিন্তু আমরা শক্তপোক্ত অবস্থান করেই এগিয়ে যাচ্ছি।
২০১৬ সালে স্টিমেট প্ল্যাটফর্মের জন্ম হয়। তখন থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত অন্য কোন কমিউনিটির ডিসকর্ড সার্ভারে এতটা অ্যাক্টিভনেস দেখিনি যতটা বাংলা ব্লগ কমিউনিটির অফিশিয়াল ডিসকর্ড সার্ভারে আছে। আমি সেই শুরু থেকেই স্টিমে কাজ করি। আমি এর পূর্বে অন্য একটা অ্যাকাউন্ট চালাইতাম। এটা আমার নতুন অ্যাকাউন্ট। তবে আমি বহু আগে থেকেই বিভিন্ন ডিসকর্ড সার্ভারে যুক্ত ছিলাম। তখন থেকেই দেখেছি সবচেয়ে পপুলার সার্ভার গুলোতেও এতটা ট্রাফিক ছিলনা। আর কাজ করে তো কোথাও শান্তি পাওয়া যেত না। সব জায়গাতেই বিশাল মাত্রার স্বজনপ্রীতি চলত। সাধারণ ইউজারদের হিমশিম খেতে হতো সাপোর্ট নিতে। কিন্তু এখন দৃশ্যপট পুরোপুরি পরিবর্তন হয়েছে। নিজের ভাষায় ব্লগিং করতে পারা, সঠিক কোয়ালিটি পোস্টে সাপোর্ট পাওয়া, এগুলো ছিল শুধুই স্বপ্ন, কিন্তু এখন সেটা বাস্তব।
আমাদের এই পরিবারের বন্ধন টা যেন সবসময় অটুট থাকে সেই কামনা করি। বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল মেম্বারদের প্রতি অনুরোধ থাকবে সবসময় পরিচ্ছন্নতার সাথে কাজ করবেন। একে অপরের পাশে থাকবেন। বিপদ-আপদে সবার পাশে দাঁড়াবেন। আর এর জন্য আমাদের এবিবি চেয়ারিটি আইডি তো আছেই। বাংলা ব্লগ কমিউনিটি নিয়ে লিখতে গেলে বহু প্রসঙ্গ চলে আসবে। লিখতে গেলে বহু কিছু লেখা যাবে কিন্তু ভালোবাসার জায়গাটা তো আর লিখে প্রকাশ করা সম্ভব না। বাংলা ব্লগ কমিউনিটির স্রষ্টা আমাদের সকলের প্রিয় দাদার প্রতি ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা রেখে আজ আমি বিদায় নিচ্ছি। ভালো থাকবেন সবাই, সুস্থ থাকবেন। নিজের প্রতি খেয়াল রাখবেন। আল্লাহ্ হাফেজ।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
অসাধারণ লিখেছেন ভাই। আমারও সেইম অবস্থা আগে সারা দিন ফেসবুকে থাকতাম রেগুলার ছবি আপলোড দিতাম। তবে এখন ফেসবুকে একদমই থাকি না। স্টিমিট নেশা হয়ে গেছে। ভালোবাসা পুরোটাই এখন স্টিমিটের জন্য। আর বিনোদনের মাধ্যম ডিস্কোর্ড আছেই। 💕💕💕
ফেসবুক হল সময় অপচয় করার একটা মেশিন। ওটা থেকে দূরে থাকাই ভালো।
কথা ১০০℅ সত্য। বিশেষ করে এখন আবার টিকটক ভিডিওতে ভরে থাকে ফেসবুক। 🤣🤣
ভাইয়া আপনার লেখা কথাগুলোর মাঝে আমি নিজের অনুভূতি খুঁজে পেয়েছি। আপনি একদম ঠিক কথাই বলেছেন আসলে আমার বাংলা ব্লগ পরিবার থেকে আমরা অনেক কিছু পেয়েছি এবং অনেক কিছু শিখছি। সকালে ঘুম থেকে উঠে মোবাইলটি হাতে নিয়ে ডিসকর্ডে ঢোকা যেন একটি অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। আবার রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগেও একই অবস্থা। সত্যি কথা বলতে আমাদের চিন্তাধারার সাথে আমার বাংলা ব্লগ পরিবার একেবারে মিশে গেছে। আমাদের রিয়েল লাইফের বন্ধু বান্ধব, ফেসবুক, মেসেঞ্জার সবকিছুই যেন আজ মলিন হয়ে আছে। কারণ কোন কিছুতেই আর সময় দেওয়া হয় না। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি আপনার অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। জেনে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো। আমাদের সকলের পথ চলা এভাবেই যেন অনেক সুন্দর হয় এই কামনাই করছি।
আমরাও আপনাদের মত ভাল কিছু ইউজার পেয়ে খুশি।
সত্যিই তাই আমরা এখন সঠিক মাত্রায় সাপোর্ট এবং সম্মান পেয়ে থাকি। এটা একমাত্র আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে। এখানে বেশ স্বচ্ছতার সাথে সবকিছু করা হয় তাই কোয়ালিটি ব্লগাররা কখনো সাপোর্ট বঞ্চিত হয়না। এখানে একমাত্র ভালো মানের পোস্টকে সাপোর্ট দেয়া হয়। আপনার দারুন অভিঙ্গতা গুলো শেয়ার করেছেন। ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে।
আমি যদি আজ থেকে ছয় মাস পিছনে চলে যাই তাহলে আমার দিন কাটতো একদম সম্পূর্ণ ভিন্ন উপায়ে। সারাদিন ইউটিউব দেখলে বা ফেসবুকে ভিডিও দেখে দিন চলে যেত আর অবসর সময় টিভি দেখতাম তেমন উন্নতি কর কোন কাজ করতাম না। কিন্তু যখন আমি এই প্লাটফর্মে কাজ শুরু করলাম তখন আর অন্যদিকে সময় দেওয়া ছেড়ে দিয়েছি। এখানে টুকটাক কাজ করি কিছু অর্থ উপার্জন করি এবং অনেক মজা পাই।
ইউটিউব আর ফেসবুকে সময় কাটানো সম্পূর্ণ সময়টাই নষ্ট করে দেওয়া।
ভাইয়া,আসলেই আগে অনেক পেসবুকে আসক্ত ছিলাম।এখন ডিসকর্ড এবং আমার বাংলা ব্লগের জন্য ফেসবুক এ নোটিফিকেশন চেক করার সময় হয় না।একটু ডিসকর্ড থেকে দূরে থাকলে মনে হয়,এই বুঝি কি মিস করে ফেললাম।আর সাপ্তাহিক হ্যাংআউট এর অপেক্ষা থাকি।যাই হোক ভালো লিখেছেন।ভাইয়া।ধন্যবাদ আপনাকে।
আমারও এমন হয়।
আমি যখন প্রথম স্টিম প্লাটফর্মে আসি তখন বাংলাই লিখতাম। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই বাধ্য হয়ে ইংরেজিতে লেখা শুরু করি। কিন্তু কোনোদিন ব্লগ লিখে এতটা শান্তি লাগে নাই যতটা এখন লাগে। সত্যি নিজের মাতৃভাষায় নিজের মনের ভাব প্রকাশের কী যে আনন্দ সেটা আজ বুঝি। এই কৃতিত্ব সম্পূর্ণ দাদার। আপনার আমন্ত্রণে আমি এই আমার ব্লগে যোগ দিয়েছিলাম। আজ এটা আমার হৃদয়ে বসে গেছে। গতকাল বিশেষ হ্যাংআউটে দাদার বাংলা ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা দেখে আমারও আমার ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা বেড়ে গেছে। বাংলা আমার মায়ের ভাষা আমি কেন বাংলা বলতে লজ্জা পাব। অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাই।।
দিন শেষে আমরা সবাই একত্রিত অবস্থানে আছি এটাই অনেক শান্তির।
আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার বলেই ভেবে আসতেছি ভাইয়া। এর পরিবারের সাথে থাকতে থাকবে একটা আলাদা অনূভুতি, মায়া, ভালো লাগা হয়ে গেছে।সেই অনূভুতি হয়তো মুখে বলে বা লিখে প্রকাশ করা যাবেনা
দুই একদিন যদি এই পরিবারের সাথে থাকতে পারি কেমন জানি ভিতরটা ফাকা ফাকা লাগে।এই পরিবারে মানুষগুলোর প্রতিও আলদা এক আত্বার সম্পর্ক হয়ে গেছে। এই পরিবারের কর্তা ও সকল এডমিড, মমডারেটর ভাইদের প্রতি অকৃত্রিম কৃতজ্ঞতা থাকবে সর্বদা।যেকোনো প্রতিষ্ঠান যদি সুশৃঙ্খল ভাবে না চালানো যায় তা অতিদ্রুত সমুলে উৎপাটিত হয় কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানটি শৃঙ্খলার কোনো কমতি। সব কিছুই খুব আপন মনে হয়। যতদিন আছি এই পরিনারের একটা অংশ হয়ে থাকতে চাই। এই পরিবার স্টিম জগৎ কে নেতৃত্ব দিবে সেই প্রত্যাশা করছি এবং বাংলা ভাষাকে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্টায় অগ্রনী ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করি।
💞💞
আমি প্রথমেই বলতে চাই অসাধারণ লিখনী আপনার। আপনি অনেক সুন্দর করে গুছিয়ে কথা গুলো উপস্থাপন করেছেন। আসলে আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকল সদস্যরা একত্রিত হয়ে একটি বড় পরিবার গঠন করেছে। আমাদের এই পথ চলা আশা করছি আরো বেশি সুন্দর হবে। কারণ আমরা আমাদের কাজের মাধ্যমে ও আমাদের পরিশ্রমের মাধ্যমে আমাদের ভাষাকে পুরো বিশ্বের কাছে উপস্থাপন করছি। একদিকে যেমন আমরা মাতৃভাষায় আমাদের লেখাগুলো উপস্থাপন করতে পারছি অন্যদিকে পুরো বিশ্বের কাছে আমাদের ভাষাকে উপস্থাপন করতে পারছি। আমাদের এই পথ চলা যেন আরো বেশি সুন্দর হয় এবং আমাদের এই বন্ধন যেন অটুট থাকে এই প্রত্যাশাই করছি ভাইয়া। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ঠিক বলেছেন আপু।
একদম তাই, ভালোবাসার জায়গাগুলো,ভালোবাসার ফিলিংস গুলো কখনোই লিখে বুঝা সম্ভব ই নয়।অসুস্থতা এক ঝামেলা আসলেই।আমি আপনাদের সকলের কাছেই কৃতজ্ঞ।এতো ভালোবাসার পরিবার পেয়ে।
বিশাল, 😑
আপনি কিন্তু সবগুলো কথা একদম ঠিক বলেছেন। আমি আগের ফেসবুক না চালালেও অনেক মুভি কিংবা সিরিয়াল দেখতাম। কিন্তু এখন আর কোনো কিছুতেই সময় নেই। সারাক্ষণ শুধু এখানেই কাজ করে যাচ্ছি। বলতে গেলে আমার পুরো সময়টাই আমি এই ব্যয় করি। ফোন হাতে নিলেই কে কি রকম পোস্ট করেছে দেখি। আর যতক্ষণ নিজের কাজ থাকে ততক্ষণ করি। আমার মনে হয় যেন একদিন কাজ না করলে ভালো লাগেনা। একদিন অসুস্থ হওয়ার কারণে কাজ করতে পারিনি। এজন্য যেন অনেক খারাপ লেগেছিল। আমার বাংলা ব্লগ আমাদের জন্য সেরা।
যতটুকু সময় ওখানে দিবো, ততটুকু সময় এখানে দিয়ে সবার সাথে কথা বলতেও ভালো লাগে।