তিন দিনের তিন'রূপ - কক্সবাজারে প্রথম দিন।
হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? গত ২৪ তারিখে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে আমরা পৌঁছেছিলাম ২৫ তারিখ সকালে। আগে থেকেই হোটেল বুক করা ছিল এজন্য আর আলাদাভাবে হোটেল খুঁজতে হয়নি। ডলফিন মোড় থেকে একটি ইজিবাইকে করে হোটেল পর্যন্ত গিয়েছিলাম। হোটেলে গিয়ে সবাই ফ্রেশ হয়ে নিলাম। তখনো আরিফ ভাই এসে পৌছে নি। আমরা চারজন চলে গেলাম বীচে।
সকালের নাস্তা করা হয়নি এখনো। বীচের লাবনী পয়েন্টের একটা হোটেলে গিয়ে সকালের নাস্তাটা সেরে নিলাম। নাস্তা করে একটা লেইং চেয়ার ভাড়া নিয়ে সমুদ্র দর্শনে মন দিলাম। খুবই সামান্য মেঘ ছিল আকাশে কিন্তু দিনটি ছিল রোদ ঝলমলে। রোদের তাপ প্রকান্ড। চেয়ারে বসে সমুদ্রের গর্জন শুনছিলাম আর সমুদ্রের বিশালতা দেখে মুগ্ধ হচ্ছিলাম।
ঘন্টাখানেক বীচে থাকার পর রুমে চলে আসলাম। আমাদের রুম থেকে ছোট্ট একটি পাহাড় আর অপর দিকের সমুদ্র দুটোই দেখা যায়। হোটেল টার অবস্থান মোটামুটি ভালই ছিল। রুমে এসে গোসল করে একটু রেস্ট নিলাম। মজার ব্যাপার হলো গোসল করার সময় ওয়াশরুম থেকেও সমুদ্র দেখা যায়। যাইহোক এরপর ছোট্ট একটা ঘুম দিয়ে নিলাম কারণ রাতে তেমন একটা ঘুম হয়নি।
হাফিজ ভাই নিচে গিয়ে আরিফ ভাইকে রিসিভ করে আনল। ততক্ষণে আমার ঘুম ভেঙে গেছে। ঘুম থেকে উঠেই আরিফ ভাইকে দেখলাম। এরপর দুপুর গড়িয়ে সূর্যটা যখন একটু পশ্চিম দিকে হেলতে শুরু করেছে তখন আমরা গেলাম দুপুরের খাবার খেতে। পাঁচজন একসাথে দুপুরের খাবার খেয়ে আবার গেলাম বীচে।
প্রায় বিকেল হয়ে এসেছে। সমুদ্র বার বার দেখার পরেও সেই প্রথমবারের মতোই মুগ্ধতা কাজ করছে এখনো। ভবিষ্যতে যতবার আসবো ততবারই বোধহয় এমনই অনুভূতি হবে। যাইহোক, বিকেলবেলা মেঘের আনাগোনা অনেকটাই বেড়ে গেছিল। ঝড়ের পূর্বাভাস ছিল কিন্তু সে রকম কোন আভাস দৃশ্যমান ছিলনা। প্রথম দিন অনেক রাত পর্যন্ত আমরা বীচে কাটিয়েছি।
প্রথম যেবার কক্সবাজার এসেছিলাম সেবার প্রথম দিনই গোসল করে ঠান্ডা লাগিয়ে ফেলেছিলাম। যার কারণে পুরোটা ট্যুর আমার অসুস্থতার মধ্য দিয়ে কেটেছিল। এই ভুলটা এজন্য আর করছি না। শুধুমাত্র পা ভিজিয়েছি, কিন্তু গোসল করিনি। যাইহোক সব মিলিয়ে প্রথম দিনটা বেশ ভালোই ছিল। আমাদের প্রত্যেকেরই ভালোই কেটেছে প্রথম দিনটা। পরের দিন গুলো কেমন কাটলো সেগুলো পরবর্তী পর্বে শেয়ার করব। ভীষণ ইউনিক কিছু অভিজ্ঞতা নিয়ে শীঘ্রই পরের পর্বগুলো পোস্ট করে দেবো ইনশা আল্লাহ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে আপনারা তিনজন মিলে তো দেখছি কক্সবাজারে খুব আনন্দ করছেন। আর এদিকে ঘরে ভাবিদের রেখে আপনারা যেভাবে আনন্দ করছেন তাতে করে মনে হচ্ছে আপনাদের আর বাড়ি গেলে রেহাই নেই। যাইহোক আপনাদের এই আনন্দের মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।
বাড়ি যাইনি এখনো 🤭🤭
দুর্যোগের সময়ে গিয়েছেন কক্সবাজার! তবে দারুণ কিছু ভিউ পেয়েছেন নিসন্দেহে!! প্রথম দিনের ঝলমলে রোদের নীল আকাশের কিছু ভিউ দেখলাম আপনার পোষ্ট এর মাধ্যমে। আসলেই সমুদ্রের রূপ সবসময়ই মুগ্ধ করার মতোই, তা যতবারই দেখেন না কেন!! এটা অন্যেরকম মায়া যেন!! পরের পর্ব গুলো দেখার অধীর অপেক্ষায় রইলাম।
আগামীকাল পোস্ট করে দিব নেক্সট পর্ব।
হ্যাঁ এবারের হোটেল টার লোকেশন দারুন ছিল পেছনে তাকালে পাহাড় দেখা যায় আর সামনে তাকালে সমুদ্র দেখা যায়। অসুস্থ হয়ে পড়বেন এই ভয়ে সমুদ্রে নেমে গোসল করেননি তবে একদিক থেকে ঠিক আছে গোসল না করে সুস্থ থাকাই ভালো শুধু পা ভিজিয়ে সমুদ্রের ফিল নেওয়া।
আসলে সমুদ্র যতবারই দেখি না কেনো,মন ভরে না। বারবার সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য দেখতে ইচ্ছে করে। তাছাড়া সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য একেক সময় একেক রকম। সমুদ্রের পানিতে নেমে গোসল করতে ভীষণ ভালো লাগে। তবে এটা ঠিক, অনেক সময় সমুদ্রের পানিতে নেমে গোসল করলে সর্দি ঠান্ডা লেগে যায়। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি ভাই। সবমিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম। এমন মনোমুগ্ধকর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
বাহ ব্যাপার টা তো দারুণ। রুম থেকে সমুদ্র এবং পাহাড় একসঙ্গে। আবার ওয়াশরুম থেকে সমুদ্র দেখা যায়। ঘুম থেকে উঠেই আরিফ ভাইকে দেখা যেন ঠিক পানি চাইতে শরবত পাওয়ার মতো হা হা। সমুদ্র টা দারুণ লাগছে দেখতে। কী বিশাল কী সুন্দর। দারুণ কাটিয়েছেন ভাই। পরবর্তী পর্ব গুলোর জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।