সমস্যা কি তাহলে এখানে?
হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই অনেক ভাল আছেন। উপজেলা নির্বাচনের সময় চলে এসেছে। সারা দেশে বহু উপজেলায় নির্বাচন আগামীকাল। আমাদের এখানে কালকে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আমাদের এলাকার নির্বাচন নিয়ে কিছু বাজে স্মৃতি আছে সেগুলা আজ শেয়ার করব।
বরাবরই রাজনীতি আমার খুবই অপছন্দ। রাজনীতিতে ভালো কেউ আসলে তাকে আবার সাপোর্ট করতে ভুলি না। বর্তমানে সৎ যোগ্য ইয়াং জেনারেশন প্রয়োজন ক্ষমতায়। যখন কলেজে ছিলাম, আজ থেকে বেশ কয়েক বছর আগের কথা। আমাদের এলাকায় একটা চেয়ারম্যান নির্বাচন হয়েছিল। প্রথমে একটা চেয়ারম্যানকে মার্ডার করা হয়, তারপর আর একটা নতুন চেয়ারম্যান আসে। নতুন চেয়ারম্যান কিছুদিন পরেই অসুস্থতার কারণে মারা যায়। এরপর আসে আবার নতুন চেয়ারম্যান। এই চেয়ারম্যানটাও কিছুদিন ক্ষমতায় থাকার পর তিনিও মারা যান। একটা রেকর্ড তৈরি হয়ে যায় আমাদের এই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে।
শেষে যে চেয়ারম্যানটি মারা গেল ওই চেয়ারম্যান হওয়ার বেলায় যেই নির্বাচনটা হয়েছিল সেটা ছিল একটি কালো অধ্যায়। এ ব্যাপারটা নিয়ে কথা বলছি তার আগে আমার ছোটবেলায় দেখা কিছু রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলব।
ঈদের আগে যেমন একটা উৎসবমুখর পরিবেশ থাকে ঠিক তেমনি উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করত যখন নির্বাচনের সময় আসতো। একাধিক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তাদের মতো করে নির্বাচন করত। গ্রামগঞ্জে উৎসবের আমেজ দেখা যেত। বাজারে নির্বাচনকে ঘিরে এক আড্ডা মুখর পরিস্থিতি বিরাজ করতো। রাত্রে বেলায় দেখতাম ভাজা, বিস্কিট দিয়ে বেড়াইতো সব বাড়িতে বাড়িতে। যদিও বিষয়টি ভালো নয় তবুও সবাই আনন্দের সাথে সেটি গ্রহণ করত।
কোন প্রার্থীর সাথে কোন প্রার্থীর দ্বন্দ্ব দেখিনি। রাজনৈতিক কারণে নিজের প্রতিবেশীর সাথেও শত্রুতা করতে দেখিনি কারোর। যে চেয়ারম্যানটির মারা যাওয়ার কথা উল্লেখ করলাম সেই চেয়ারম্যান নির্বাচনের মধ্যে আমাদের এদিকে এতটাই বাজে অবস্থা হয়েছিল যে সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বের হতে ভয় পেত। প্রচন্ড গ্যাঞ্জাম লেগেই থাকতো বাজারে। দুটি পক্ষ ছিল, আর দুটি পক্ষই ছিল মারাত্মক রকমের ডেঞ্জারাস। একেবারে সাধারন মানুষজন ও ঘরের বাইরে গেলে ভীত থাকত।
যখনই এলাকায় ফোন দিয়ে খোঁজখবর নিতাম প্রত্যেকদিনই নতুন নতুন খারাপ খবর শোনা যেত। ভাবতাম আমাদের এলাকাটা অবশেষে একেবারেই নষ্ট হয়ে গেল। যাইহোক এই ঘটনাগুলো অনেক আগের। আগামীকাল আবার আমাদের এখানে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বহু বছর পর এবার দেখতেছি আবার সেই উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। তাহলে এতদিনে সমস্যাটা কোথায় ছিল? গত উপজেলা নির্বাচনেও অনেক গ্যাঞ্জাম হয়েছে পুরো উপজেলা জুড়ে। গতবার প্রতীক দেয়া হয়েছিল সরকারি দলের পক্ষ থেকে কিন্তু এবার কোন প্রকার দলীয় প্রতীক দেওয়া হয়নি কাউকে।
যারা দলীয় প্রতীক পেয়েছিল আর যারা পায়নি তাদের মধ্যে বিভিন্ন রকম ইস্যু নিয়ে গ্যাঞ্জাম লেগেই থাকতো। বিভিন্ন দলের ট্যাগ বসিয়ে তাদের উপর অত্যাচারো চালানো হতো। যে দল যখন সুযোগ পেয়েছে তারাই বিপরীত দলের ক্ষতি করার চেষ্টা করেছে। তবে এবার সেই পরিস্থিতি নেই কেন? এবারে পরিস্থিতি এতটা ঠান্ডা এবং উৎসবমুখর কেন? যে উপজেলা নিয়ে প্রশাসনের স্পেশাল টেনশন আর নজরদারি থাকে সেখানে অবস্থার এতটা উন্নতি কিভাবে হলো? তাহলে কি এবার প্রতীক না দেওয়াটাই এর পিছনে মেইন কারণ?
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাই দলীয় প্রতীক হচ্ছে মেইন সমস্যা। একমাত্র দলীয় প্রতীকের কারণে সব জায়গার প্রতিদ্বন্দ্বিদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। আমাদের এখানেও আগামীকালকে উপজেলার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে নির্বাচন নিয়ে কোনো ঝামেলা হয়নি এই পর্যন্ত। আশা করি আগামীকালকে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। যাইহোক সময়োপযোগী একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পরপর তিন জন চেয়ারম্যান মারা যাওয়ার ঘটনা আজকেই প্রথম শুনলাম। যদিও বা বিষয়টা কয়েক বছর আগের ছিল। যাইহোক যেহেতু প্রতীক দেওয়ার কারণেই এই ঝামেলাগুলো হতো আর এবারের প্রতীক না দেওয়ার কারণে যেহেতু ঝামেলাগুলো নেই তাই বলা যেতে পারে প্রতীকের কারণেই মূলত এই ঝামেলা সৃষ্টি হয়েছিল।
পরপর কয়েকজন চেয়ারম্যান মারা যাওয়ার ব্যাপারটি সত্যি আশ্চর্যজনক। আপনাদের এলাকায় তো দেখছি ভালোই গ্যাঞ্জাম হয়। এরকম অবস্থা অবশ্য আমাদের দিকে নেই। সবকিছু একেবারে শান্ত। মন চাইলে কেউ ভোট দিতে যায় না চাইলে নাই। আসলে রাজনীতির এত ব্যাপার স্যাপার বুঝিনা তবে হয়তো কোথাও সমস্যা থেকেই যায়। পেছন থেকে কেউ ইন্ধন জুগিয়ে যায় বলেই এসব গ্যাঞ্জাম হয়। আবার পেছন থেকে কেউ সবকিছু থামিয়ে রাখে বলেই এখন সবকিছু ঠান্ডা।
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে নতুন করে আর কিছু লিখতে চাই না। আপনি ঠিকই ধরেছেন। বর্তমানে ক্ষমতা চলে মার্কার উপরে। যার বৈটা ওলা মার্কা তার দাপট বেশি থাকে। ধন্যবাদ।