গতকাল বিকেলবেলা আমি গিয়েছিলাম আমাদের সিরাজগঞ্জের নতুন একটি পার্কে। এই পার্কটি অনেক সৌন্দর্যময় সবুজ প্রকৃতির দৃশ্য রয়েছে। আর পার্কের নাম গ্রীন বাংলা পার্ক। আসলে সবুজ বাংলার এই পার্ক সত্যিই অসাধারণ ছিল। নতুন করে পার্ক তৈরি করা হয়েছে। আসলে এই পার্কটি অনেক আগেই তৈরি করা তবে ছিলো,তবে পার্কের যতটুকু এড়িয়ে বা জায়গা নিয়ে তৈরি করেছিলো।তার চাইতে তিন ডবল আরো বৃদ্ধি করা হয়েছে। আর এই পার্কের ভিতরে অনেক ধরনের ফিচার এড করা হয়েছে। যার কারণে আমি এই পার্কে ভ্রমণ করতে গিয়েছিলাম। আর পার্কে কাটানো মুহূর্তগুলো ফটোগ্রাফি করেছি, এই সবুজ প্রকৃতির গাছপালা এবং ফুলের দৃশ্যগুলো দেখতে পেয়ে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। বিশেষ করে এই পার্কটি শিশু পার্ক। আর শিশুদের বিনোদনের জন্য এখানে অনেক ধরনের ব্যবস্থা করছে এবং এই পার্কের ভিতরে আরও নিত্য নতুন খেলাধুলার জিনিসপত্র ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এই পার্কের ফটোগ্রাফি গুলো করে আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম। আশা করছি আজকের এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগবে।

পার্কের ভিতর প্রবেশ করে দেখতে পেলাম, একটু সামনে আসলেই খুবই সুন্দর সবুজ দৃশ্যের মাঝে শিশুদের খেলাধুলার একটি ব্যবস্থা রয়েছে। আসলে শিশুরা এখানে এসেই এই খেলার দৃশ্যটি দেখতে পেয়ে তারা যেন খেলাধুলা শুরু করে দেয়। তাই এই পার্কের ভিতরে খেলাধুলার এই ব্যবস্থাটি দেখতে পেয়ে আমার খুবই ভালো লাগলো। আর সেই মুহূর্তের এই ফটোগ্রাফি করেছি।

পার্কের চারপাশে ভালো লাগার কারণ হলো, যেখান দিয়ে হেঁটে যাওয়ার রাস্তা, এই হেঁটে যাওয়ার রাস্তার দুপাশ দিয়ে অনেক গাছ লাগানো হয়েছে। বড় বড় আম গাছ আমি দেখতে পেলাম। আর এই আম গাছে গুলো খুবই সুন্দর শাড়ি বেঁধে লাগানো হয়েছে। প্রত্যেকটা আম গাছে অনেক আম ধরেছে। আর সেই মুহূর্তটা এতটা ঠান্ডা ছিল, যা আমার খুবই ভালো লেগেছে। গাছপালার কারণে পার্কের পরিবেশ একদম ঠান্ডা এবং সুন্দর ছিল। সেখান দিয়ে হেঁটে হেঁটে যাচ্ছিলাম আর এই মুহূর্তটা উপভোগ করতেছিলাম।

পার্কের ভিতরে অনেক সুন্দর সুন্দর বাংলো ঘর তৈরি করে রেখেছে। আসলে এই ঘরগুলো পাকা ঘর হলেও, বাংলোর মতো করে তৈরি করা।যা ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছে। আর এর সামনে দিয়ে সবুজ প্রকৃতির ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে। এই দৃশ্য দেখতে পেয়ে আমার খুবই ভালো লাগলো। তাই আমি এই বাংলো গুলো দেখার জন্য সামনের দিকে এগিয়ে যেতে লাগলাম।

হেঁটে হেঁটে যেতে যেতে আমি দেখতে পেলাম, ব্যাঙের ছাতার একটি সুন্দর ভাস্কর্য তৈরি করা হয়েছে। এই ব্যাঙের ছাতার ভাস্কর্য হুবহু সুন্দর অরজিনাল ভাবে তৈরি করেছে। আসলে এত সুন্দর ভাস্কর্য যা দেখে ভালো লেগেছে আমার। আরেকটি পেঙ্গুইন পাখির ভাস্কর্য দেখতে পেলাম। এই পাখিটি দেখে যেন সত্যিকারে পেঙ্গুইন পাখির মতো লাগছে। সত্যি ভাস্কর্যগুলো অসাধারণ ছিল।

পার্কের ভিতরে বিশাল বড় একটা পুকুর রয়েছে। এই পুকুরের চারপাশে বসা সুন্দর ব্যবস্থা রয়েছে। বিকাল বেলা এই পুকুরের পাশে বসে থাকে সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করা যায়। আর এই পুকুরে মাঝে পিচবোর্ড রয়েছে। বাচ্চারা এখানে পিচবোর্ডে খেলাধুলা করে। আর সেই দৃশ্য এখানে বসে থেকে উপভোগ করা যায়। পুকুরটি ও পুকুরে চারপাশের দৃশ্যগুলো আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে।

এই পার্কের ভিতরে অন্য একদিকে আমি হেঁটে যাচ্ছিলাম। আর সেই দিকে যেতে যেতে দেখতে পেলাম বিশাল বড় একটি রেস্টুরেন্ট। আর এই রেস্টুরেন্টের দৃশ্য দেখতে পেয়ে আমার খুবই ভালো লাগলো। তার পাশে অসাধারণ প্রকৃতি আর সেই দৃশ্যটি সত্যি আমাকে মুগ্ধ করেছে। বিশেষ করে রেস্টুরেন্টের ভিতরে অনেক ধরনের খাবার এবং সুন্দর ব্যবস্থা রয়েছে। তাই আমি সেটা দেখার জন্য এই রেস্টুরেন্টের দিকে এগিয়ে আসলাম। আর সেই মুহূর্তের ফটোগ্রাফি করলাম।