আজকে আমি আপনাদের মাঝে আবারও আমাদের সিরাজগঞ্জে গ্রীন বাংলা পার্কের কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে আসলাম। আসলে এই গ্রীন বাংলা পার্ক অনেক সুন্দর। শিশুদের জন্য এই পার্ক তৈরি করা হয়েছে। শিশুদের বিকাশের জন্য এই পার্ক গুলো অনেক উপকারে আসে। আর আমি আপনাদের মাঝে কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছিলাম। আজকে সেই পার্কের শেষ পর্বের ফটোগ্রাফি নিয়ে এসেছি। আসলে আমাদের সিরাজগঞ্জ শহর থেকে বেশি দূরে নয় এই পার্কটি। যার কারণে সিরাজগঞ্জের আশেপাশে ও গ্রাম অঞ্চলের মানুষ ভ্রমণ করতে আসে। আর এই পার্ক যখন পুরোপুরি কাজ হয়ে যাবে, তখন দেখতে অনেক সুন্দর লাগবে বিশেষ করে এই পার্কের ভিতরে গাছপালার অপরূপ সমাহার রয়েছে। যার কারণে প্রকৃতির সৌন্দর্যময় যেন এই পার্কের ভিতরে আমার খুবি ভালো লেগেছে। তো বন্ধুরা চলুন শেষ পর্বের কিছু ফটোগ্রাফি দেখা শুরু করা যাক।

এই পার্কের ভেতরে অপরূপ সৌন্দর্যময় একটি টাওয়ার দেখতে পেলাম। আসলে এই টাওয়ারটিতে অনেক সুন্দরভাবে লাইটিং সেট করা হয়েছে।যার কারণে এটা সুন্দরভাবে গোল্ড এরিয়া করে তৈরি করা হয়েছে। আর এই লাইটিংয়ের টাওয়ারটি দেখতে পেয়ে আমার খুবই ভালো লাগলো এবং আশেপাশের পরিবেশটা অনেক সুন্দর ছিল। আর এই টাওয়ারটির প্রথমে দেখে আমি ভেবেছি এটা কিসের জন্য তৈরি করা হয়েছে। তখন পার্কের লোকদের জিজ্ঞেস করলাম, তখন তারা বলল যে এখানে অনেক সুন্দর লাইটিং এর ব্যবস্থা করা হবে পরবর্তীতে।

তারপরে আমি এই সবুজ দৃশ্য দেখার জন্য হেঁটে হেঁটে যাচ্ছিলাম। আসলে পার্কের ভিতরে চারপাশে পরিবেশ অনেক বেশি ভালো লাগার কারণ হলো সবুজ প্রকৃতির দৃশ্য রয়েছে, এবং পার্কের অন্য এক সাইটে এসে দেখতে পেলাম, অনেক সুন্দর একটি গাছের বাগান। এখানে গাছের বাগান রয়েছে আর বড় বড় গাছ রয়েছে এই বাগানের ভিতর। আসলে এই চারপাশে পরিবেশটা খুবি ভালো লেগেছে আমার।

পার্কের ভিতর অপরূপ সৌন্দর্যময় কাঠ দিয়ে তৈরি কিছু ঘর রয়েছে। আর এই ঘর গুলো দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লাগলো। গ্রামের ঐতিহ্যমায় সৌন্দর্য যেন এই পার্কের ভিতরে তুলে ধরেছে। এই ঘরগুলো তৈরি করা দেখে বোঝাই যাচ্ছে না যে এটা কাঠের ঘর, অনেক বেশি ভালো লেগেছে এই ঘর গুলোর দৃশ্য দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। আসলে এই পার্কের ভিতর আবাসিকের ব্যবস্থা করার জন্যই ঘরগুলো তৈরি করা হয়েছে।

তারপরে পার্কের ভিতর বড় এই পুকুরপাড়ে আসলাম। পুকুর পাড়ে বসে থাকার জন্য খুবই সুন্দর ব্যবস্থা রয়েছে। অনেক সুন্দর ভাবে চেয়ারগুলো সাজানো, ওই পুকুরপাড়ে চেয়ারের উপরে বসে পুকুরে সৌন্দর্য ও পুকুর পাড়ে চারপাশের সবুজ প্রকৃতির গাছের সৌন্দর্য দেখতে ছিলাম। পুকুরপাড়ে আসলে অনেক সুন্দর বাতাস ছিল, পরিবেশটা আমার অনেক ভালো লেগেছে।

তারপরে পার্কের ভিতরে আরেকটি খোলা মাঠের সুন্দর একটি রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এই রেস্টুরেন্টে আসলাম কিছু খাওয়ার জন্য, আসলে এই রেস্টুরেন্ট এর পরিবেশটা আমার খুবই ভালো লেগেছে, তাই রেস্টুরেন্টে আসলাম এবং রেস্টুরেন্টের বাইরে বসার ব্যবস্থা রয়েছে, আবার গ্লাসের ভিতরে বসার ব্যবস্থা রয়েছে।

পার্কের ভিতর অপরূপ সৌন্দর্যময় একটি গাছের বাগান রয়েছে। এই বাগানের মাঝে মাঝে ভাস্কর্য তৈরি করা হয়েছে পশু পাখির, বিশেষ করে বাঘ হরিণের ভাস্কর্য রয়েছে। বাগানটি দূর থেকে মনে হয় একদম অরজিনাল বনের মতো,আর বনের ভিতর যেমন পশুপাখি গুলো ঘুড়ে বেড়ায়।এই গাছের মাঝ দিয়ে দৌড়াদৌড়ি করে, ঠিক এই দৃশ্যই যেন ফুটিয়ে তুলেছে এই পার্কের ভিতরে।