রাসেল পার্কে ভ্রমণের কিছু মুহূর্ত ও ফটোগ্রাফি
হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।
গতকালে বিকেল বেলা বন্ধুদের সাথে কিছু মুহূর্ত উপভোগ করার জন্য যমুনা নদীর পাড়ে গিয়েছিলাম।আর বন্ধুরা বলল যে রাসেল পার্কের ভিতরে ভ্রমণ করবে। সে জন্য বন্ধুদের সাথে নিয়ে রাসেল পার্কের ভিতরে প্রবেশ করলাম। আর রাসেল পার্কের ভিতরে প্রবেশ করতে পেরে আমার খুবই ভালো লেগেছে। কারণ সবুজ প্রকৃতি দিয়ে ঘেরা ছিলো এই পার্কের পরিবেশ। আসলে এই শিশু পার্কের ভিতরে আগে এত সবুজ প্রকৃতির গাছপালা ছিল না। অনেকদিন পর আমি ভ্রমণ করতে এসেছি। যার কারণে পরিবেশ দেখে যেন অনেকটাই নতুন মনে হচ্ছে। কারণ সবুজ প্রকৃতির গাছগুলো অনেক বড় হয়েছে। চারপাশে প্রকৃতি যেন আরো অনেক সুন্দর হয়েছে। বিশেষ করে ভাস্কর্যগুলো আরো নতুন করে তৈরি করা হয়েছে। এই পার্ক শিশুদের বিকাশের জন্য অনেক বড় ভূমিকা রাখছে,, কারণ এখানে শিশুরা অনেক ধরনের পশু পাখির ভাস্কর্য দেখে চিনতে পারে ও খেলার মাধ্যমে আনন্দে সাথে মুহূর্ত উপভোগ করে। আর এই শিশু পার্ক গুলোর মাধ্যমে শিশুদের বিকাশে অনেক বড় ভূমিকা রাখছে। তাই শিশু পার্কে ভ্রমণের মুহূর্তগুলোর ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে আসলাম, আশা করছি ভাল লাগবে।
রাসেল পার্কের ভিতরে প্রবেশ করার পরে, অপরূপ সৌন্দর্যময় একটি গেট রয়েছে। এই গেটের ভিতর দিয়ে প্রবেশ করতে পেরে আরো ভালো লাগলো। কারণ ভিতরের পরিবেশ খুবই সুন্দরভাবে সাজানো। আর এই পার্কটিতে ভ্রমণ করার জন্য খুবই সুন্দর ভাবে হেঁটে যাওয়ার রাস্তা তৈরি করে দিয়েছে। তাই আমরা এই গেটের ভিতর দিকে প্রবেশ করে রাস্তা দিয়ে হেঁটে পার্কে সৌন্দর্যময় দৃশ্য দেখার জন্য ভেতরের দিকে প্রবেশ করতে লাগলাম।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
পার্কের ভিতর খুবই সুন্দর সুন্দর পশুপাখির ভাস্কর্য রয়েছে। এই ভাস্কর্য গুলো দেখেই পরশু পাখি সম্পর্কে শিশুরা চিনতে পারে। তবে আমি একটি ঈগল পাখির ভাস্কর্য দেখলাম। আর এই ঈগল পাখির ভাস্কর্যটি সত্যিই অসাধারণ ছিল। হুবহু ঈগল পাখির মতোই দেখতে ছিল। আর চারপাশে সবুজ প্রকৃতির মাঝে এই ভাস্কর্যটি যেন ফুটে উঠেছে।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
তারপরে আমি আরো দুটি ময়ূরের ও একটি হাতির ভাস্কর্য দেখতে পেলাম। ময়ূরীর দুটি আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। আর এই ময়ূর পাখির ভাস্কর্যটি আমি দেখেই এগিয়ে গেলাম আর ফটোগ্রাফি করলাম।তবে বাচ্চা হাতির ভাস্কর্যটি ছিল অসাধারণ সৌন্দর্যময়।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
এই সুন্দরময় দৃশ্যগুলো পার্কের ভিতর দেখতে ছিলাম আর পার্কের পাশ দিয়ে সুন্দর রাস্তা রয়েছে, এই রাস্তা দিয়ে আমার বন্ধুরা হেঁটে হেঁটে যাচ্ছিল। আর চারপাশে সবুজ প্রকৃতি সৌন্দর্য দেখতে ছিল। আমিও বন্ধুদের সাথে সাথে যাচ্ছিলাম, আর চারপাশের দৃশ্য ফটোগ্রাফি করতেছিলাম। সত্যি এই মুহূর্তটা অসাধারণ ছিল।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
পার্কের ভিতরে অপরূপ সৌন্দর্যময় আমি জবা ফুল দেখতে পেলাম। আর এই জবা ফুলগুলো অনেক বড় ছিল। জবা ফুলের দৃশ্য দেখতে পেয়ে যেন মুগ্ধ হলাম। এত বড় জবা ফুল দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো। তাই এই জবা ফুলের ফটোগ্রাফি করলাম। সত্যিই জবা ফুল এর গাছ ও জবা ফুলগুলো ছিল অসাধারণ।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
অপরূপ সৌন্দর্যময় এই পার্কের দৃশ্য গুলো দেখতে ছিলাম আর ফটোগ্রাফি করতে আমি ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। তারপরে সুন্দর একটি বসার জায়গা দেখতে পেলাম। বন্ধুরা বলল যে অনেক ঘোরাঘুরি করেছি, আগে এখানে বসি তারপরে আবারো ঘুরবো। তাই আমরা বসার জন্য এই সৌন্দর্যময় জায়গায় আসলাম।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | Redmi Note 6 Pro |
---|---|
ধরণ | ফটোগ্রাফি। |
ক্যামেরা.মডেল | Note 6 Pro |
ক্যাপচার | @rayhan111 |
অবস্থান | সিরাজগঞ্জ- বাংলাদেশ |
ভ্রমণ করতে আমার খুবই ভালো লাগে।
ভ্রমণ করলে সব সময়ই জ্ঞানের পরিধি বাড়ে।
রাসেল পার্ক ভ্রমণ করে আপনি অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন সেই সাথে ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু অসাধারণ ছিল।
ফটোগ্রাফিগুলোর মধ্যে স্ট্যাচু এবং ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন রাসেল পার্কে ভ্রমণের কিছু মুহূর্ত ও ফটোগ্রাফি। আপনার শেয়ার করা পোস্ট পড়তে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আপনি পার্কের মধ্যে সুন্দর মনোরম পরিবেশে প্রকৃতির সাথে বেশ দারুন সময় উপভোগ করেছেন। পার্কের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ভাস্কর্য তৈরি করা আছে এগুলো দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন রাসেল পার্কে ভ্রমণের কিছু মুহূর্ত ও ফটোগ্রাফি। আপনার শেয়ার করা পোস্ট পড়তে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আপনি পার্কের মধ্যে সুন্দর মনোরম পরিবেশে প্রকৃতির সাথে বেশ দারুন সময় উপভোগ করেছেন। পার্কের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ভাস্কর্য তৈরি করা আছে এগুলো দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
রাসেল পার্ক ভ্রমণের সুন্দর একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া।আপনি ঠিকেই বলেছেন, শিশুর বিকাশ ও আনন্দের জন্য এরকম পার্ক খুব বেশি দরকার। আপনার পোস্টকৃত ছবি দেখে মনে হচ্ছে পার্কটি খুব সুন্দর। ছবি ও লেখা খুব সুন্দর হয়েছে। আপনার পোস্টটি ভালো লেগেছে। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
https://x.com/rayhan111s/status/1799005505811284389?t=BE_iPXW2hgg8FykO0VwI5A&s=19
ভারতবর্ষে বসে বাংলাদেশের রাসেল পার্ক ঘুরলাম আপনার এতো নিখুঁত পোস্টের দরুন৷ শিশুদের উদ্দেশ্যে সমস্ত উন্নয়নেই আলাদা চার্ম থাকে। তা শিশুদের মতোই প্রাঞ্জল। পড়তে পড়তে ভাবছিলাম এই পশুপাখিগুলি ভাস্কর্য না হয়ে যদি আসল হত, কেউ কেউ পায়ে পায়ে ঘুরত, কেউ মাথার ওপর দিয়ে। আবার মনে করুন হাতিটি ট্রেনিং প্রাপ্ত, শিশুদের আনন্দ দেওয়ার জন্য শুঁড়ে করে বসিয়ে ঘুরে বেড়ায়। কেমন হত বলুন তো?
আপনাদের সিরাজগঞ্জের রাসেল পার্কটি সত্যি অনেক সুন্দর। পার্কের ভেতরের একটি বিষয় আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে, আর সেটি হল পার্কে প্রচুর পরিমাণ গাছপালা রয়েছে। রাস্তার দুই সাইট দিয়ে সুন্দর সুন্দর গাছ লাগানো রয়েছে। পার্কের ভিতরে বিভিন্ন পশু পাখির ভাস্কর্য দেখলাম। সব মিলিয়ে আপনার ব্লগ টি খুবই ভালো হয়েছে। ধন্যবাদ।
রাসেল পার্কে কাটানো মুহূর্ত শেয়ার করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। পার্কের পরিবেশ আসলেই খুব সুন্দর এবং নিরিবিলি একটা পরিবেশ। বিভিন্ন ধরনের ভাস্কর্য দেখে খুব ভালো লাগলো। গাছপালা দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে পুরো পার্কটা সাজানো। এত সুন্দর একটা পার্কে অসাধারণ কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন নিশ্চয়ই। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।