গান-খড়বায়ু বয় বেগে.. (১০% @shy_fox এর জন্য)

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago
তারিখ-২১.০৪.২০২৩
নমস্কার বন্ধুরা
আশা করি ঈশ্বরের আশীর্বাদে সকলে খুব ভালো আছেন। আমিও বেশ ভালোই আছি। অতিরিক্ত গরম পড়াতে প্রত্যেকেই কমবেশি মনে হয় আমরা অস্থির হয়ে পড়েছি। তার মধ্যেও যারা কঠোর রোজা পালন করছেন, তাদের জন্য সত্যিই মন থেকে শ্রদ্ধা জানাই। আশা করব ঈশ্বর আপনাদের সকল ইচ্ছে পূরণ করবেন। আর আপনারা নিজেদের সফলতার শিখরে পৌঁছে নিয়ে যেতে পারবেন। টানা এক সপ্তাহ প্রায় রোদের ঝলকানি থাকার পরে আজ হঠাৎ করে ঠান্ডা হাওয়া বইছিলো। আর রোদের তাপ কম ছিল সেই কারণেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটা গানের কথা মনে হলো। আর গেয়েও ফেললাম আমার এই কমিউনিটির জন্য। কমিউনিটি বলা ভুল হবে, পরিবার বললে বেশি ভালো লাগে। কারণ সত্যিই এটা আমার পরিবার। কম বেশি সবকিছুই সকলের সাথে শেয়ার করি।

342130318_630800181718498_3420115496332712181_n.jpg

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে আমরা বাঙালিরা নিজেদের আবেগ বলে মনে করি। আর আমাদের ঘরের মানুষ বলেই মনে করি। আমাদের প্রত্যেকের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিরাজমান।বাংলা সাহিত্যে তথা ভারতীয় সাহিত্য এবং স্বাধীনতার সংগ্রামে তার অবদান অনস্বীকার্য। যখন বাংলাদেশ এবং ভারতের ক্রিকেট খেলা হয়,তখন শুরুতেই গর্বে বুকটা ভরে ওঠে। দুই দেশের মানুষই এক বাঙালির লেখা গানকে নিজেদের জাতীয় স্তোত্র তথা জাতীয় সংগীত হিসেবে কন্ঠে ধরে। সত্যিই বাঙালি কিনা পারে করতে! আর রবি ঠাকুরকে এবং তার গান আমার আরো বেশি পছন্দ এই কারণেই, কারণ প্রত্যেকটা পর্যায়ে আলাদা, প্রত্যেকটা আবেগ,অনুভূতির জন্য প্রত্যেকটা গান আলাদা।আবার তিনি যেমন শিশুদের জন্য লিখেছেন, আবার বড়দের জন্য লিখেছেন। সে বিশাল সমুদ্র থেকে আমরা যদি একটু কণাও পেতাম তাহলেও ধন্য হয়ে যেতাম। আজ রবি ঠাকুরের একটি গান আপনাদের সামনে তুলে ধরছি। তার কারণ একটাই, পরিবেশটা যথেষ্ট তুলনামূলক ঠান্ডা হয়েছে। গরম লু যে বইছিল, সেটা খানিকটা হলেও বন্ধ হয়েছে। প্রকৃতি মাতা যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে। আর ঠিক সেই সময়ই রবি ঠাকুরের এই গানটাই মনে এলো। তাহলে চলুন শুরু করছি।

খরবায়ু বয় বেগে, চারি দিক ছায় মেঘে
ওগো নেয়ে, নাওখানি বাইয়ো
খরবায়ু বয় বেগে, চারি দিক ছায় মেঘে
ওগো নেয়ে, নাওখানি বাইয়ো
তুমি কষে ধরো হাল, আমি তুলে বাঁধি পাল
তুমি কষে ধরো হাল, আমি তুলে বাঁধি পাল
হাঁই মারো, মারো টান হাঁইয়ো, হাঁইয়ো, হাঁইয়ো
খরবায়ু বয় বেগে, চারি দিক ছায় মেঘে
ওগো নেয়ে, নাওখানি বাইয়ো
খরবায়ু বয় বেগে, চারি দিক ছায় মেঘে
ওগো নেয়ে, নাওখানি বাইয়ো
শৃঙ্খলে বারবার ঝনঝন ঝঙ্কার
নয় এ তো তরণীর ক্রন্দন শঙ্কার
শৃঙ্খলে বারবার ঝনঝন ঝঙ্কার
নয় এ তো তরণীর ক্রন্দন শঙ্কার
বন্ধন দুর্বার সহ্য না হয় আর
টলমল করে আজ তাই ও
হাঁই মারো, মারো টান হাঁইয়ো, হাঁইয়ো, হাঁইয়ো
খরবায়ু বয় বেগে, চারি দিক ছায় মেঘে
ওগো নেয়ে, নাওখানি বাইয়ো
খরবায়ু বয় বেগে, চারি দিক ছায় মেঘে
ওগো নেয়ে, নাওখানি বাইয়ো
গণি গণি দিন খন চঞ্চল করি মন
বোলো না, "যাই কি নাহি যাই রে"
সংশয়পারাবার অন্তরে হবে পার
সংশয়পারাবার অন্তরে হবে পার
উদ্বেগে তাকায়ো না বাইরে
গণি গণি দিন খন চঞ্চল করি মন
বোলো না, "যাই কি নাহি যাই রে"
সংশয়পারাবার অন্তরে হবে পার
সংশয়পারাবার অন্তরে হবে পার
উদ্বেগে তাকায়ো না বাইরে
যদি মাতে মহাকাল, উদ্দাম জটাজাল
ঝড়ে হয় লুণ্ঠিত, ঢেউ উঠে উত্তাল
যদি মাতে মহাকাল, উদ্দাম জটাজাল
ঝড়ে হয় লুণ্ঠিত, ঢেউ উঠে উত্তাল
হোয়ো নাকো কুণ্ঠিত, তালে তার দিয়ো তাল
জয় জয় জয়গান গাইয়ো
হাঁই মারো, মারো টান হাঁইয়ো, হাঁইয়ো, হাঁইয়ো
খরবায়ু বয় বেগে, চারি দিক ছায় মেঘে
ওগো নেয়ে, নাওখানি বাইয়ো
তুমি কষে ধরো হাল, আমি তুলে বাঁধি পাল
তুমি কষে ধরো হাল, আমি তুলে বাঁধি পাল
হাঁই মারো, মারো টান হাঁইয়ো, হাঁইয়ো, হাঁইয়ো
খরবায়ু বয় বেগে, চারি দিক ছায় মেঘে
ওগো নেয়ে, নাওখানি বাইয়ো
খরবায়ু বয় বেগে, চারি দিক ছায় মেঘে
ওগো নেয়ে, নাওখানি বাইয়ো
ওগো নেয়ে, নাওখানি বাইয়ো
ওগো নেয়ে, নাওখানি বাইয়ো

রাগ: ইমন
তাল: কাহারবা
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ১ কার্তিক, ১৩৪৪
রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): ১৮ অক্টোবর, ১৯২৭
রচনাস্থান: O & E Hotel, পিনাঙ
স্বরলিপিকার: দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

আজ এখানেই শেষ করছি। আবার আসবো নতুন কোন উপস্থাপনা নিয়ে। সকলে খুব ভালো থাকবেন।

🌸🌸🌸ধন্যবাদ🌸🌸🌸

330c68fa-d267-405f-8d9e-8f34533fedc4.jfif

পরিচিতি

250c6bf5-0fab-4e98-b28b-2299d4f6bc0f.jfif

আমি পায়েল।ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতার কাছাকাছি ডাক্তার বিধান রায়ের স্বপ্নের শহর কল্যাণীর বাসিন্দা।একসময় যদিও চাকরী করেছি কিন্তু বর্তমানে ফুলটাইম ব্লগার এবং ভ্লগার।যদিও নিজেকে এখনও শিক্ষানবিশ মনে করি। আর তা ই থাকতে চাই ।সফল হয়েছি কিনা বা কতদিনে হব তা জানি না, কিন্তু নিজের প্যাশনকেই লক্ষ্য করে এগিয়ে চলেছি।বাকিটা আপনাদের হাতে।আশাকরি আমার সাথে যুক্ত থাকলে আশাহত হবেন না।

Facebook
Instagram
YouTube

330c68fa-d267-405f-8d9e-8f34533fedc4.jfif

Vote @bangla.witness as a witness

d3bda13e-40b1-47f0-ae6e-12bd9e3cafa7.jfif

OR

Set @rme as your proxy

79210fdd-a2bc-44f9-b76d-6aa43122ce75.jfif

4HFqJv9qRjVeVQzX3gvDHytNF793bg88B7fESPieLQ8dxHasrbANgiURdsJZbqzojRuxTqrn8BwVMhvjW2bszpJVcHcPW7rxPZLtrPVi9FWSiNoAnyKt4P3qfRidjbh5nr88gtri9qE2ohuC3tavoQ5nX9ihXXuBCWz.jfif

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 3 years ago 

মাঝে মাঝে মনে হয় রবীন্দ্রনাথ ছাড়া হয়তো আমরা বাঙালি জাতি অসম্পূর্ণই থেকে যেতাম। কি অদ্ভুত লেখনি এবং কি মায়াবী তার সুর! কবিগুরুকে নিয়ে মন্তব্য করার স্পর্ধাও হয়তো আমার নেই। তবে গানটি আপনার কন্ঠে এবার প্রথম শুনলাম। রবি ঠাকুরের গান শুনে ভালো লাগবে না, এমন কখনোই হতে পারে না। অনেক দূর এগিয়ে যান, এই শুভ কামনাই রইলো।

 3 years ago 

ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 years ago 

এই গানটা কোথায় যেন আমি শুনেছিলাম কিন্তু এখন আর শুনে না। সম্ভবত বেতারে শুনেছিলাম। তবে যাই হোক আপনার কন্ঠে আজকে এই গানটা শুনতে পেলে আমার অনেক ভাল লেগেছে। সুন্দর আপনার কন্ঠ আর সুন্দর গানের কলি। সব মিলিয়ে অসাধারণ কানে ভেসে আসলো।

 3 years ago 

অনেক ধন্যবাদ দাদা

Coin Marketplace

STEEM 0.09
TRX 0.31
JST 0.033
BTC 110929.88
ETH 3939.56
USDT 1.00
SBD 0.59