তারিখ-০১.০৫.২০২৩
নমস্কার বন্ধুরা
আশা করি ঈশ্বরের আশীর্বাদে সকলে খুব ভালো আছেন।আমিও ভাল আছি। শুধু ব্যস্ততার কারণে যেমন বলি রোজার মতো পোস্ট করতে পারিনা। তবে চেষ্টা করছি যখন সুযোগ পাই তখন তেমন পোস্ট করার।আজকে যেমন সুযোগ পেলাম। কারণ কালকে আমার উইক অফ।সেই কারণে একটা পোস্ট করলাম ছবি আঁকা। আসলে অনেক দিন পরেই ছবি আঁকলাম। কিন্তু আমার প্রোফাইল ঘাটলে মনে হবে একদিন গ্যাপে ছবি এঁকেছি। কিন্তু সময়টা চেক করলেই বোঝা যাবে মাঝে কতটা সময় চলে গেছে। নিজেরই মাঝে মাঝে ভীষণ লজ্জা লাগে।সেই ভাবে আর আগের মত একটিভ থাকতে পারিনা বলে তবুও ভালোবাসার খাতিরে এখানে কাজ করতে এসেছি। কাজ করছি। স্টিমের বাজার দর বেশি হওয়া বা কম হওয়ার উপরে ব্লগিং আমার নির্ভর করছে না।ভালো লাগার থেকে কাজ করলে বাজার দর কমবেশি সত্যি কোন ম্যাটার করে না।আপনাদের ওখানকার ওয়েদার কেমন অবশ্যই জানাবেন। আমাদের এখানে তো পরপর দু-তিন দিন ধরে বেশ শিলা বৃষ্টি হলো। আর প্রায় ১২ থেকে ১৪ ঘন্টা কারেন্ট থাকে না।

এর মধ্যেও সময় করে অফিসের কাজটা করতেই হয়।৮ ঘন্টা লগইন না করলে একদিনের পয়সা পাবনা। এমন কিছু হাইফাই স্যালারিও আমি পাই না, যেটার খানিকটা কাটা গেলে আমার কোন তফাৎ পড়বে না।সেই কারণে অনিচ্ছা সত্ত্বেও ৮ ঘন্টা কমপ্লিট করতেই হয়। যাই হোক মাসের প্রথম দিন তাই বিঘ্নহর্তা, সিদ্ধিদাতা গণেশের ছবি আঁকা দিয়ে আজকের পোস্টটা করলাম।
বক্রতুন্ড মহাকায় সূর্যকোটি সমঃপ্রভ।
নির্বিঘ্নম্ কুরুমেদৈব সর্বকার্যেষু সর্বদা।।
আমরা হিন্দুরা যে কোন পূজো বা শুভ অনুষ্ঠানে সিদ্ধিদাতা গনেশের পুজো দিয়েই সমস্ত কাজ শুরু করি। কারণ ভগবান গণেশ সমস্ত বিঘ্ন হনন করেন। সেই কারণে মাসের শুরুটা তার ছবি দিয়েই করলাম। আপনাদের সঙ্গে উপকরণ এবং পর্যায়গুলো ভাগ করে নিতে এলাম।
উপকরণ
১.পেন্সিল
২.খাতা
৩.ইরেজার
৪.রং পেন্সিল
৫.অয়েল প্যাস্টেল
প্রথম ধাপ
একটি সাদা খাতার পাতা নিয়ে নিলাম।

দ্বিতীয় ধাপ
এবার গণেশের মাথাটা আঁকলাম।

তৃতীয় ধাপ
এবার গণেশের শুঁড় এবং হাত আঁকলাম।

চতুর্থ ধাপ
গণেশের কান আঁকলাম।

পঞ্চম ধাপ
গণেশের বাকি শরীর এবং হাতের বাঁশিটা আঁকলাম।

ষষ্ঠ ধাপ
এবার গণেশের মাথার উপর ময়ূর পালক আঁকলাম। সাথে গণেশের চোখ এবং কপালের তিলক আঁকলাম।

সপ্তম ধাপ
গণেশের চোখটা আরেকটু ঠিক করে দিলাম।

অষ্টম ধাপ
এবার গণেশের শরীরটা রং পেন্সিল দিয়ে হালকা ক্রিম রং করলাম। সাথে কানগুলো রং করলাম।

নবম ধাপ
এবার গণেশের চুল রং করলাম। সাথে যে রুদ্রাক্ষের মালাটি ছিল, চুলে সেটাও রং করলাম।

দশম ধাপ
এরপরে গণেশের গলায় রুদ্রাক্ষের মালা রং করলাম। সাথে হাতের বাঁশি এবং ধুতিটাও রং করলাম।

একাদশ ধাপ
গণেশের মাথায় ময়ূর পালক টা রং করলাম এবং গণেশের কপালের তিলকটা রং করলাম।

শেষ ধাপ
পুরো ছবিতে বর্ডার দিলাম এবং গণেশের চোখে মনিটা রং করে দিলাম। সাথে পাশে নিজের নাম এবং তারিখ লিখে দিলাম

আজ এখানেই শেষ করছি। আবার আসব নতুন কোন উপস্থাপনা নিয়ে। সকলে খুব ভালো থাকবেন। কেমন হয়েছে অবশ্যই জানাবেন। সিদ্ধিদাতা গনেশ আপনাদের সকলের ভালো করুন।
🌸🌸🌸ধন্যবাদ🌸🌸🌸

আমি পায়েল।ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতার কাছাকাছি ডাক্তার বিধান রায়ের স্বপ্নের শহর কল্যাণীর বাসিন্দা।একসময় যদিও চাকরী করেছি কিন্তু বর্তমানে ফুলটাইম ব্লগার এবং ভ্লগার।যদিও নিজেকে এখনও শিক্ষানবিশ মনে করি। আর তা ই থাকতে চাই ।সফল হয়েছি কিনা বা কতদিনে হব তা জানি না, কিন্তু নিজের প্যাশনকেই লক্ষ্য করে এগিয়ে চলেছি।বাকিটা আপনাদের হাতে।আশাকরি আমার সাথে যুক্ত থাকলে আশাহত হবেন না।
Facebook
Instagram
YouTube


OR
Set @rme as your proxy


Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
একদম ঠিক বলেছো বনু ভালোলাগার কাজ টি করার জন্য স্টিমের বাজার দর কোনো ম্যাটার করে না।আমরা ইচ্ছে করলেও অনেক সময় ঠিকমতো এক্টিভ থাকতে পারিনা এরকম হয় অনেক সময়।পরিবার নিজের কাজ এবং এখানে সময় দেওয়া সবমিলিয়ে অনেক সময় ব্যালেন্স করা কঠিন হয়ে পড়ে।যাইহোক আশাকরি খুব শীঘ্রই আবারও আগের মতো সুপার এক্টিভ হয়ে যাবে।হিন্দুদের সকল শুভ কাজ শুরু হয় সিদ্ধিদাতা গণেশ এর নাম নিয়ে।🙏তোমার আর্ট অনেক দেখেছি তার মধ্যে আজকের আর্ট টি একেবারেই ভিন্ন রকমের এবং এককথায় অসাধারণ একটি আর্ট।শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনেক নিখুঁতভাবে আর্ট টি সম্পন্ন করেছো তা তোমার ফটোগ্রাফি দেখেই বোঝা যাচ্ছে।অসাধারণ আর্ট টি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ বনু।❤️❤️
ধন্যবাদ দিদি। হঠাৎ করে গন্নু ভাই কে আঁকতে ইচ্ছে করলো।
সিদ্ধিদাতার ছবি অংকন করেছেন আপনি খুবই সুন্দর ভাবে। খুবই সুন্দর হয়েছে আপনার এই সিদ্ধিদাতার ছবি অংকন। আপনি খুবই নিখুঁতভাবে এটি অংকন করেছেন। এরকম কাজ গুলোর মাধ্যমে নিজেদের দক্ষতার প্রকাশ ঘটে। আপনার অনেক দক্ষতা রয়েছে বলতে হচ্ছে দিদি। নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে সম্পূর্ণ চিত্রাঙ্কন টি করলেন।
অনেক ধন্যবাদ দাদা।