চিত্র-নৃত্যরতা(১০% @shy-fox এর জন্য)
তারিখ-০৩.০৬.২০২৩
নমস্কার বন্ধুরা
আশা করি ঈশ্বরের আশীর্বাদে সকলে খুব ভালো আছেন।আমিও বেশ ভালোই আছি। তবে এখন যেহেতু কাজের শিফট টা চেঞ্জ হয়েছে সে কারণে দিনের বেলা পোস্ট করার চেষ্টা করি।কোনদিন করে উঠতে পারবো কোনদিন পারবো না আমি জানি। তাই আগে থেকে কোন কথা দিচ্ছি না।আজকে আমি আপনাদের সামনে আমার আঁকা একটি ছবি নিয়ে এসেছি। ছবিটা আমার একটু অন্যরকম লাগলো। একটা ছবি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ছবিটা এঁকেছি। নিজের মাথা থেকে অবশ্যই আসা নয়। নাচ আমরা অনেকেই পছন্দ করি। মেয়েরা বিশেষ করে। অনেকেই ভারতীয় নাচের যত ফর্ম আছে সেগুলোকে আরও বেশি পছন্দ করে। আর ভারতীয় নাচ মানেই পায়ে ঘুঙরু তো পরতেই হবে। আজকের ছবিটার থিম খানিকটা সেরকমই।
একটি মেয়ের পায়ে আলতা পরা এবং ঘুঙরু বাধা একটি ছবি। আমি খুব ছোটবেলায় কিছুদিন নাচ শিখেছিলাম। কিন্তু সত্যি বলতে যার কাছে শিখতাম, তিনি নিজে যতটা ভালো নাচতে পারতেন অত ভালো শেখাতে ঠিক পারতেন না।তবে তার কাছে শেখার সময় যখন পায়ে ঘুঙরুটা বাঁধতাম, ওই ছোট ছোট পায়ে এত ভারী ঘুঙড়ু যে পা নাড়াতেই পারতাম না। তবে ওই পায়ে যে ছন্ ছন্ করে আওয়াজ হতো, সেটা বেশ অসাধারণ লাগতো।
**যাইহোক ছবিটার উপকরণ এবং প্রণালী আপনাদের সাথে ভাগ করে নিলাম।**
🍁উপকরণ🍁
❤পেন্সিল
❤ইরেজার
❤রং
❤মার্কার
🍁প্রণালী🍁
প্রথম ধাপ
প্রথমে সম্পূর্ণ পায়ের একটি আউটলাইন করে নিলাম।
দ্বিতীয় ধাপ
এবার ঘুঙুর জন্য হালকা করে আউটলাইন করে নিলাম।
তৃতীয় ধাপ
সম্পূর্ণ ঘুঙরুটা এঁকে নিলাম। সাথে বাইরে থেকে কিছু দড়ি এবং ঘুঙরু বার করে দিলাম।
চতুর্থ ধাপ
এবার ঘুঙ্গুর ঠিক নিচেই একটু ভরাট দেখানোর জন্য একটা ম্যান্ডেলার ডিজাইন করে নিলাম।
পঞ্চম ধাপ
এইবার পায়ে স্কেচপেন দিয়ে আলতার মত পরিয়ে দিলাম।
ষষ্ঠ ধাপ
এবার ম্যান্ডেলাটাকে স্কেচপেন দিয়ে রং করলাম নিজের মন মত।
সপ্তম ধাপ
এবার ঘুঙরু রং করার পালা। কালো রঙের পেন্সিল দিয়ে ঘুঙরুটাকে শেড করলাম। সাথে রং করে দিলাম।
অষ্টম ধাপ
এবার পায়ে একটা বর্ডার দিয়ে দিলাম আর একটু আকর্ষণীয় হওয়ার জন্য সাথে শেড হিসেবে কালো কালি দিয়ে ডট ডট এঁকে দিলাম।
নবম ধাপ
এইবার পুরো পা এবং আঙ্গুলে বর্ডার দিলাম সাথে নিজের নাম এবং তারিখ লিখে দিলাম।
আজ এখানেই শেষ করছি। আবার আসবো নতুন কোন উপস্থাপনা নিয়ে। কেমন লাগলো অবশ্যই জানাবেন। সকলে খুব ভালো থাকবেন।
🌸🌸🌸ধন্যবাদ🌸🌸🌸
পরিচিতি
আমি পায়েল।ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতার কাছাকাছি ডাক্তার বিধান রায়ের স্বপ্নের শহর কল্যাণীর বাসিন্দা।একসময় যদিও চাকরী করেছি কিন্তু বর্তমানে ফুলটাইম ব্লগার এবং ভ্লগার।যদিও নিজেকে এখনও শিক্ষানবিশ মনে করি। আর তা ই থাকতে চাই ।সফল হয়েছি কিনা বা কতদিনে হব তা জানি না, কিন্তু নিজের প্যাশনকেই লক্ষ্য করে এগিয়ে চলেছি।বাকিটা আপনাদের হাতে।আশাকরি আমার সাথে যুক্ত থাকলে আশাহত হবেন না।
আপু এবার যেহেতু আপনার কাজের শিফট চেঞ্জ হয়েছে আশা করছি এখন থেকে আবারো নিয়মিত আমাদের মাঝে আপনাকে দেখতে পাবো। নৃত্য শিল্পীর পায়ের প্রতিচ্ছবি এত সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখে ভালো লাগলো। নতুন কিছু থেকে আইডিয়া নিয়ে যদি নিজের মত করে কিছু করা হয় তাহলে অনেক ভালো লাগে।
অনেক ধন্যবাদ বোন।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দিদি আপনার শিফট চেঞ্জ হয়েছে তাই আপনাকে আমরা আবার দেখতে পাবো। আপনি আজ খুব সুন্দর নৃত্যরত একটি পায়ের চিত্র অংকন করে আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন।দেখতে খুব ভালো লাগলো। পায়ের আলতা দেয়াতে অনেকবেশি ভালো লাগছে।আপনার উপস্থাপনা ও দারুন ছিল।সুন্দর এই চিত্র টি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ দিদি আপনাকে।
নিত্যরত অবস্থার আলতা রাঙা পায়ের দৃশ্য সুন্দরভাবে আর্ট করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি। আপনার এই এত সুন্দর পোস্ট করেছেন। খুব সুন্দর ভাবে আপনি এটা সম্পাদন করেছেন। পায় নূপুর পড়া এত সুন্দর দৃশ্য সত্যি আমার কাছে ভালো লেগেছে।
আপনি প্রতিনিয়ত দারুণ দারুণ আর্ট আমাদেরকে উপহার দিয়ে যাচ্ছেন। দেখে খুব ভালো লাগে আপু। আজকের চিত্রাংকন দেখে তো একেবারে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এককথায় নিখুঁত একটি চিত্র অংকন করেছেন। সত্যিই আপনি প্রশংসার দাবিদার। যাইহোক এতো সুন্দর ক্রিয়েটিভিটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
খুবই চমৎকার একটি চিত্র অঙ্কন করেছেন আপু। নিত্যরত পায়ের চিত্র অংকন টি দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। আপনার এই চিত্র অঙ্কনের সপ্তম ধাপটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। দারুন একটি চিত্র অংকনের পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ। 🌼