আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।

বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটা ঘোরাঘুরি পোস্ট নিয়ে। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য্য মানুষকে মুগ্ধ করে। আসলে অনেক দিন হলো প্রচন্ড গরম ছিল। তারজন্য আর বাইরে যাওয়া হয়নি। তবে অনেক দিন পরে বৃষ্টি হয়েছিল তাই বিকেল বেলা মেয়েকে সাথে নিয়ে একটু হাঁটতে বের হলাম। যদিও আমাদের মাঠে যাওয়ার মতো কোন ইচ্ছে ছিল না। তবে মাঠের পাশ দিয়ে রাস্তা হচ্ছে তাই গিয়েছিলাম দেখার জন্য। আসলে বাড়ির পাশে হলেও কি আমি যাবার মতো সময় পায়নি। গতকাল যেহেতু একটু সময় পেয়েছিলাম তাই একটু ঘুরতে বের হলাম। আসলে মেয়েকে নিয়ে কখনো মাঠে যাওয়া হয়নি তাই আমার মেয়ে বলছে আম্মু বিকেল বেলা প্রকৃতি অনেক সুন্দর রুপে সেজেছে। সত্যি এমন সুন্দর লেগেছিল মাঠ দেখার মতো নয়। আমরা অল্প সময়ের জন্য গিয়েছিলাম তাই বেশি সময় থাকতে পারিনি। তবে যতটুকু সময় থেকেছি বেশ ভালোই উপভোগ করেছি। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।

আমরা যাবার সময় প্রথমে বেগুন ক্ষেত চোখে পড়লো। আসলে বর্তমান বেগুন দাম হলেও তেমন বেগুন পাওয়া সম্ভব নয়। আসলে বাজার থেকে বেগুন আনলে বেশির ভাগ বেগুন পোকা থাকে। তাই আমরা আসার সময় কিছু বেগুন কিনতে চেয়েছিলাম কিন্তু আমাদের দেখে চাচা কিছুতেই টাকা নিল না। পাশেই রয়েছে তিল ক্ষেত।আসলে এখন মাঠে গেলে দেখায় যায় তিলের সাদা সাদা ফুলে ভরপুর। আসলে আমার মেয়ে তিলের ক্ষেত থেকে কিছু ফটকা নিয়ে আসলো ফুটানোর জন্য।

মাঠের ভিতরে বিভিন্ন জায়গায় অনেক সবজি লাগিয়েছে।আসলে এই সবজি গুলো অনেক টাটকা। ঔষধ না দেবার কারণে তেমন ভালো হয়নি। তবে ডাটা গুলো কতো সুন্দর নরম। দেখে মনটা ভরে যায়। আসলে বাজার থেকে এমন ডাটা বেশির ভাগ সময় পায় না। তাই ডাটা গুলো দেখে অনেক ভালো লেগেছিল। যদিও ক্ষেতের মালিক ছিল না তাই আর আনা হয়নি।তারপর বেশ কিছু পুইশাক দেখেছিলাম। আসলে এমন পুইশাক এনে তাজা তাজা রান্না করতে পারলে অনেক ভালো লাগে। তবে যখন চায় তখন পায় না। তারপর পাশে আরো অনেক সবজি ছিল কিন্তু আমরা আর অন্য দিকে যায়নি। তবে বেশ কিছু ধুন্দুল দেখে অনেক ভালো লেগেছিল। আসলে আমার মেয়ে সবজি গুলো দেখে বললো এখান থেকে সবজি নিলে অনেক ভালো হয়। আমি এভাবে মাঝে মাঝে ঘুরতে আসবো।

তারপর আমরা আরো কিছু দূর এগিয়ে গিয়েছিলাম। মাঠ ভরা ধান আর ধান। এমন ধান দেখলে মন প্রাণ জুড়ে যায়। আমরা কৃষকদের জন্যই দুবেলা দুমুঠো ভাত ক্ষেতে পারি। আর এবার আমাদের মাঠে অনেক ভালো ধান হয়েছে। আসলে এবার অনেক তাপমাত্রা থাকায় কৃষকদের অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। তারপরে ও কৃষকেরা হার মানেনি।অবশেষে কৃষকের অক্লান্ত পরিশ্রমে করে সোনার ফসল ফুটিয়েছে।

আমরা অনেক সময় ধরে ঘুরতে ঘুরতে মেঘ জমে উঠলো আকাশে। আসলে সবুজ ধানের ওপর এমন মেঘ ভেসে বেড়ানো দেখে অনেক ভালো লাগলো। আসলে অনেক দিন পরে এমন সবুজের ওপর মেঘ ভেসে বেড়াতে দেখালম। সত্যি এই দৃশ্য অনেক মনোমুগ্ধকর।

অনেক সাধনা করে কৃষক নিজের জমিতে ফসল ফলায়। আর সেই সাধনার ফসল যখন তারা হাতে পায় তখন তাদের আনন্দের শেষ থাকে না।অনেক কৃষক দেখলাম কিছু কিছু ধান কেটে এনেছে। সত্যি বলতে কৃষকদের এই আনন্দ দেখলে মন ভরে যায়। যাইহোক অনেক দিন পরে এভাবে প্রকৃতির মাঝে ঘুরতে পেয়ে অনেক ভালো লাগলো।আশাকরি আপনাদের কাছে ও ভালো লাগবে ।