ভাগ্নের বিয়েতে কাটানো মূহুর্ত ১ম পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি ।
ভাগ্নের বিয়েতে কাটানো মূহুর্ত ১ম পর্ব
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি ভাগ্নের বিয়েতে কাটানো মূহুর্ত নিয়ে। কয়েক দিন আগে আমার ভাগ্নের বিয়ে হয়েছে। আসলে নিজের লোকের বিয়েতে সব সময় ব্যস্ত থাকতে হয়। তাই তেমন ফটোগ্রাফি করতে পারিনি। তারপরেও যতটুকু সম্ভব চেষ্ঠা করেছি আপনাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য। তবে বিয়েটা হঠাৎ করে হওয়ায় তেমন অনুষ্ঠান হয় নি। আসলে বর্তমান অনুষ্ঠান না হলেও নিজেরা নিজেরা মিলেই টুকিটাকি অনুষ্ঠান হয়ে যায়। আর এই হঠাৎ বিয়ে করায় অনুষ্ঠান হোক বা না হোক আনন্দটা অনেক। সত্যি বলতে আমরা সবাই মিলে ভাগ্নের বিয়েতে অনেক আনন্দ করেছি।আসলে বিয়ে মানেই আনন্দ।তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
আসলে আমাদের গ্রামের নিয়মনীতি অনুযায়ী ছেলে বা মেয়েকে বিয়ের দিন সবাই মিলে গোসল করায়। আর সেই নীতি অনুযায়ী আমার ভাগ্নেকে ও গোসল করানো হলো। যদিও গোসল করানোর ফটোগ্রাফি করা হয়নি। আসলে ব্যস্ততার জন্য সব জায়গায় থাকা সম্ভব হয় না। আর আমার ভাগ্নের নাম হলো বাতেন। আসলে বাতেন ঢাকায় ছোট থেকে বড় হয়েছে কর্মক্ষেত্র ও ঢাকায় তাই সেই গ্রামের নীতি মানতে চায় না। তবে আমরা বলাতে আর না করতে পারিনি। যাইহোক গোসল করানোর পরে সবাই বাতেনকে বরণ করলো।
গোসল শেষে যখন সবাই বাতেনকে নিয়ে বসালো। তখন এক প্লেট পায়েস সামনে দিল। আসলে সবাই পায়েস খাওয়াবে তার তাকে টাকা দেবে, আর দোয়া করবে তার নতুন জীবনের জন্য। প্রথমে বাবা মা থেকে শুরু করে আপনজন যারা আছেন সবাই মিলে বাতেনকে পায়েস খাওয়ালো।শুধু বড়রা কেনো এভাবে ছোটবাচ্চারা ও পায়েস খাওয়ালো
তারপর আমরা সবাই মিলে পায়েস খাওয়ানো শেষ করলাম। আসলে এই নীতি মালা আমাদের সমাজে সব সময় চলে। তবে পায়েস খাওয়ার মাধ্যমে আলাদা একটা আনন্দ আছে। সত্যি কোন শুভ কাজ শুরু করার আগে আমরা সব সময় চেষ্টা করি মিষ্টি মুখ করার জন্য। যাইহোক মিষ্টি খাওয়ানোর পর্ব শেষ হলো।তারপর শুরু হলো সালাম করা আসলে এখন পায়ে হাত দিয়ে কেউ সালাম করে না বলেই চলে। তারপর বিয়ের সময় একটু হলেও নীতি পালন করতে হয় আরকি।এভাবে বাবা মা থেকে শুরু করে গুরুজনদের সালাম করানো হলো।
সব নিয়ম নীতি পালন করা হলো।আসলে বিয়ে বরযাত্রী যাবার জন্য যে সময় দেওয়া হয়। সময় মতো সবাই উপস্থিত হয় না তাই রওয়না দেওয়া ও লেট হয়ে যায়।তারপর সবাই এলো তখন আমরা বরকে গাড়িতে তুলে আমরা অন্য গাড়িতে উঠলাম । সবাই উঠার পরে আমাদের গাড়ি ছেড়ে দিল। পরবর্তী পর্বে নিয়ে আসবো মেয়ে বাড়িতে গিয়ে খাওয়া দাওয়া ও বউকে কিভাবে নিয়ে আসলাম। যাইহোক পরবর্তী পর্ব দেখতে হলে সাথে থাকতে হবে।[ চলবে[
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এটা একদম ঠিক বলেছেন আপু নিজেদের লোকের বিয়ে হলে বিয়ের অনেক দায়িত্ব থাকে। আর অনেক ব্যস্ত থাকতে হয়। তাই সেভাবে ছবি তোলার সুযোগ হয় না। কিছুদিন আগে আপনার ভাগ্নের বিয়ে হয়েছে আমরা সবাই জানি। বিয়ের মুহূর্তগুলো দেখে ভালো লাগলো আপু।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপু।
বরকে মিষ্টিমুখ করার জন্য সকলেই পায়েস খাওয়ায় এ নিয়ম সব জায়গাতেই দেখতে পাওয়া যায় আপু। আমিও যখন আপনার ভাবিকে আনতে গিয়েছিলাম, তার আগে এভাবে আমাকে পায়েস খাইয়েছিল 😁😁😁। যাইহোক আপু, ভাগ্নের বিয়েতে উপস্থিত হয়ে আমাদের জন্য সুন্দর পোস্ট উপস্থাপন করেছেন এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
জি ভাইয়া এটা আমাদের সমাজের নিয়ম, বেশ ভালো লাগে এই পায়েস। ধন্যবাদ আপু।
বিয়ে মানেই ব্যস্ততা আনন্দ, মজা আর খাওয়া দাওয়া। আপনার ভাগ্নির বিয়ের প্রথম পর্বটি পড়ে তো বেশ ভালোই লাগলো আপু। তবে আপনাদের এলাকার মত আমাদের এখানেও যার বিয়ে হয় তাকে সবাই মিলে গোসল করিয়ে দেয়। আপনাদের বিয়ের রীতি অনুযায়ী আমাদের এখানে রীতির সাথে অনেকগুলোই মিল রয়েছে আপু। তবে অনেক জায়গায় এমন মিল থাকে না তারা আরও বিভিন্ন অনুষ্ঠান করে। আপনার পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
আসলে আপু অঞ্চল বেদে অনুষ্ঠান ও ভিন্ন হয়ে থাকে,ধন্যবাদ আপু।
আমরা বেশ কিছুদিন আগে জানতে পেরেছিলাম আপনার ভাগ্নের বিয়ের কথা। আপনি আজকে আমাদের মাঝে আপনার ভাগ্নের বিয়ের মধ্যে কাটানো কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে বিয়ের মধ্যে অনেক বেশি মজা হয়। আপনার ভাগ্নের বিয়ের মধ্যে অনুষ্ঠান না হলেও আপনারা বেশ ভালো একটা আয়োজন করেছিলেন, সব মিলিয়ে খুবই সুন্দর ছিল বিয়ের আয়োজন টি।
সাবলীল মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপনার ভাগিনার বিয়েতে খুবই সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছিলেন আপু। নিজেদের বাড়ির বিয়ে হলে সত্যি ব্যস্ততা অনেক বেড়ে যায়। শত ব্যস্ততার মধ্যেও আপনি ছবিগুলো তুলেছিলেন দেখে ভালো লাগলো। আপনার ছবিগুলো থেকে কিছু সুন্দর মুহূর্ত আমরা উপভোগ করতে পারলাম।আপনার ছবিগুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে সকলে বেশ আনন্দ করেছিল। ধন্যবাদ আপু সুন্দর কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
ভাগিনার বিয়েতে খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছিলেন সেটা আমি পূর্বে অবগত রয়েছি। সে মুহূর্তে আপনার সাথে বেশ চ্যাটিং হয়েছিল আমার। এরপর আবার অসুস্থ হয়েছিলেন সেটাও জানি। আসলে প্রচন্ড গরমের দিন ছিল তো তাই। যাই হোক বিয়ের আনন্দের অনুভূতি আমাদের মাঝে ব্যক্ত করেছেন দেখে অনেক কিছু জানতে পারলাম।
ধন্যবাদ আপনাকে গঠন মূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
পায়েস খাওয়ার রীতিটা আসলেই আমাদের সমাজে সব জায়গায় চলে। যাই হোক আপনার ভাগ্নির বিয়ের মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করি পরবর্তীতে আমাদের মাঝে আরো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করবেন সে অপেক্ষায় রইলাম।
জি ভাইয়া চেষ্টা করবো তারাতাড়ি পরবর্তী পর্ব নিয়ে আসার জন্য, ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ দারুন একটা পোস্ট শেয়ার করেছেন। আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাগ্নের বিয়েতে কাটানো মুহূর্ত প্রথম পর্ব। আসলে আপু বিয়ে মানেই আনন্দের এক অন্যরকম মাস্তি। আমি মনে করে আমাদের জন্য এটা খুবই আনন্দের একটা দিন। তাও আবার আপনার ভাগ্নের বিয়ে। দেশের দারুন মজা করেছেন আর একটা বিষয় হচ্ছে বরযাত্রী যারা যায় তারা আসতে একটু লেট করে ফেলে তাই সে যাত্রাটা একটু লেট হয়ে যায়। সব মিলে দারুন একটা সময় অতিবাহিত করেছেন ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া গঠন মূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।