জেনারেল রাইটিং :-স্ত্রীর ভালোবাসায় অন্ধ
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি ।
জেনারেল রাইটিং :-স্ত্রীর ভালোবাসায় অন্ধ
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটা জেনারেল রাইটিং নিয়ে ।সত্যি বলতে বিয়ের পরে যার যার স্ত্রীকে ভালোবাসা অবশ্যই উচিত বলে আমি মনে করি।তাই বলে এমন অন্ধ ভালোবাসার দরকার নেই। আমাদের সবার উচিত স্ত্রীকে ভালোবাসা তবে কখনো তার প্রতিটি কথা বিশ্বাস করা উচিত নয়। আর বাবা মা হচ্ছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ। তাদের জন্য আমরা পৃথিবীতে এসেছি। অনেকে আছে বউয়ের জন্য বাবা মার সাথে খারাপ ব্যবহার করে আসলে এটা উচিত নয়। পৃথিবীতে বউ একজনের দুটি হতে পারে কিন্তু বাবা মা কখনো দুজন হয় না।বাবা মায়ের তুলনা আর কারো সাথে হয় না। তবে এই বাবা মাকে স্ত্রীর কথা মতো আমাদের কারো অপমান করা উচিত নয়। যাইহোক তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
আমাদের পাশের বাড়ির এমন ঘটনা প্রায় ঘটে থাকে। তবে কয়েক দিন আগে যখন আমরা সেখানে উপস্থিত ছিলাম তাই ঘটনাটি দেখে সত্যি চাচার জন্য অনেক খারাপ লাগলো। তবে চাচা কিন্তু অসহায় নয়। চাচার আরো ছেলে মেয়ে অনেক জন আছে তবে কর্মের তাদিকে সবাই বাড়ির বাইরে থাকে।শুধু এক ছেলে বাড়িতে থাকে। যদিও চাচা সব জায়গায় থাকে তবে বাড়িতে সব চেয়ে বেশি থাকে। আসলে চাচা কেন আমার মনে হয় কেউ চায় না বাড়ি থেকে অন্য কোথাও থাকার জন্য শেষ বয়সে এসে।আসলে যার যার জন্মস্থান তার কাছে অনেক ভালো। যাইহোক চাচার বাড়িতে যে ছেলে থাকে তার দুইটি মেয়ে। মেয়ে দুটিকে চাচা ছোট বেলা থেকে অনেক আদর করে। আসলে বলতে গেলে মেয়ে দুটি চাচার চোখের মনি।তবে কিছু দিন আগে বড় মেয়েটার বিয়ে হয়েছে আর ছোট মেয়েটা ক্লাস ফাইভে পড়ে।
এবার অনেক দিন হলো চাচা বাড়িতে আছে। আসলে বাড়ির ছেলের বউ তেমন দেখতে পারে না চাচা বুঝে কিন্তু কি করবে বাড়িতে যে সেই ছেলে ছাড়া আর কেউ নেই। বাড়িতে যতদিন থাকে এক প্রকার জোর করেই থাকেন। কিন্তু কি আর করবে শহরে গিয়ে একা একা রুমের ভিতরে তার আর ভালো লাগে না। আর বাড়ির ছেলের বউ তাকে তেমন দেখতে পারে না। কিন্তু চাচার শহর থেকে বাড়িতে থাকার বেশি ইচ্ছে। আসলে চাচা কেন আমার মনে হয় পৃথিবীর কেউ শেষ বয়সে বাড়ি ছাড়া থাকতে চায় না।এভাবে কয়েক দিন কেটে গেল। যেহেতু চাচা বেশি দিন বাড়িতে রয়েছে তাই আর ছেলের বউয়ের ভালো লাগছে না।তার মেয়ে সারাক্ষণ দাদা দাদা করে অস্হির। দাদা ও নাতনি বলে পাগল।একদিন।মেয়ে স্কুল থেকে আসলো এসে ড্রেস চেঞ্জ করে দাদার ঘরে বসে বসে ফোন দেখছে।
আবরাও সেখানে ছিলাম। আর মেয়ের মা এসে কোন কথা না বলে মেয়েকে মার শুরু করলো।এতো পরিমাণ মারল তাই দেখে চাচা মার ঠেকাতে গিয়ে মেয়ে মায়ের একটা তাপড় লাগলো।তারপর ছেলের বউ চাচার সাথে অনেক ঝড়গা করল। অন্য দিকে তার ছেলে এসেও তার বউয়ের কথা মতো বাবাকে রাগ করতে লাগলো।আসলে এখানে চাচার কোন দোষ নেই তার বয়স ৯০ বছরের মতো। সে নাতনিকে অনেক ভালোবাসে তারজন্য মার ঠেকালো কিন্তু অন্য দিকে তার ছেলে এসে বললো তার বউকে চাচা মেরেছে। এমন ঘটনা আগে সিনেমায় দেখতাম আর এখন দেখি বাস্তবে হচ্ছে। সত্যি চাচার জন্য অনেক খারাপ লাগলো। তাই আমাদের সবার উচিত বউয়ের কথা বিশ্বাস করা কিন্তু এমন অন্ধ বিশ্বাস না করায় ভালো। আশাকরি আমার লেখাটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1809552426573393945?t=TxF_eGl-sRQYfjsFNIP3xg&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এমন অনেক মানুষ আছে বিশেষ করে ছেলেরা, বউ পেলে মা বাবার কদর ভুলে যায়।অবশ্যই সবাই এমন নয়।মা বাবা তাকে যে কত কষ্ট করে মানুষ করেছে সেটাও ভুলে যায়। বাবা মায়ের কষ্ট ছেলের চোখে পড়ে না। কিন্তু বউয়ের কষ্ট চোখে পড়ে।বাবা মা কে কষ্ট দেয় আর বউয়ের যত্ন করে। আসলে এমন লোক অহরহ দেখা যায়। তবে আমি বিশ্বাস করি একটাই কথা,মা বাবার সাথে যে সন্তান যেমন করবে ভবিষ্যতে তারাও তাদের সন্তানদের কাছ থেকে সেটাই পাবে। আপনার সেই চাচার বিষয়টা শুনে খুবই খারাপ লাগলো আপু।
আসলে আপু বাবা মার এমন কষ্ট দেখলে সত্যি ভালো লাগে না, পোস্ট পড়ে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আসলে একটা পুরুষের জীবনে মা বাবা যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি তার লাইফপার্টনার ও গুরুত্বপূর্ণ। কারো কথা শুনে কারো উপর অবিচার করা উচিত নয়।আপনার চাচার ছেলের বউ আর ছেলের বাবার উপর এমন করা উচিত হয়নি,মানুষ কেন বুঝে না সবারই এমন একটা বয়সে যেতে হবে আর না হয় মৃত্যুর পর জবাবদিহি করতে হবে।
আসলে আপু লাইফপার্টনার গুরুত্বপূর্ণ তবে বাবার মার স্হান কেউ নিতে পারে না। তাই আমাদের সবার উচিত বাবা মাকে সম্মান করা।
আপনি ঠিক লিখেছেন আপু আসলে এসব ঘটনা আগে সিনেমাই হতো এখন বাস্তবে দেখা যাচ্ছে আসলে এসব ঘটনাগুলো কি মানুষ সিনেমা থেকে শিখছে। কোন মানুষের ভুলে যাওয়া উচিত না যে বাবা মা সবার ঊর্ধ্বে। তবে স্ত্রীও তার জীবন সঙ্গী তার সাথেও খারাপ ব্যবহার করা উচিত না। মানুষ তার প্রতিটা কৃতকর্মের ফল একদিন ভোগ করবে এই ভেবেই প্রতিটা মানুষ প্রতিটা কাজ হিসাব-নিকাশ করে করা উচিত। যার যতটুকু সম্মান প্রাপ্য তাকে ততটুকু করা উচিত।
সাবলীল মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
খুব দুঃখজনক ঘটনাটি আপু।নাতি-নাতনীদের তো দাদুরা ভালো বাসবে।ভালোবাসা পায় জন্য তো দাদুর কাছে যায় দাদুর সামনে নাতনিকে মারলে তো দাদুর খারাপ লাগবেই এবং মার ঠেকানোর চেষ্টা করবে তাই বলে অপমান করতে হবে ঝগরা করতে হবে।ছেলেও এসে বাবার সাথে খারাপ আচরণ করলো এটা দুঃখজনক ঘটনা।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য আমাদের সাথে।
জি আপু এমন ঘটনা সত্যি অনেক দুঃখজনক, কিন্তু আমাদের কিছু করার থাকে না,ধন্যবাদ আপু।
আপু এরকম ঘটনা এখন সব জায়গাতে কম বেশি দেখা যায়। বিয়ের পর বউয়ের ভালোবাসা অনেক মানুষ অন্ধ হয়ে যায়। তারা ভুলে যায় মা-বাবা তাদের আপনজন। তবে যারা বউয়ের কথা শুনে মা বাবাকে অপমান করে আমি মনে করি তারা মানুষের কাতারে না। সত্যিই চাচাটির কথা শুনে নিজের কাছেও খারাপ লাগলো। তবে মুরুব্বীদের সামনে কাউকে মারলে তারা বাধা দেই স্বাভাবিক। আমি মনে করি তার ছেলে তার সাথে খারাপ ব্যবহার করা একদম উচিত হয় নাই। যাইহোক বাস্তব একটি ঘটনা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জি আপু চাচার জন্য আমাদের সবার অনেক খারাপ লাগে, তবে কিছু করার থাকে না।ধন্যবাদ আপনাকে।
বর্তমান সময়ে স্ত্রীর ভালোবাসা অনেক মানুষ অন্ধ। আর অনেক ভুলে যাই আপন মা-বাবার কথা স্ত্রীর কারণে। তবে সবাইকে মনে রাখতে হবে মা-বাবার উপরে কেউ নেই। তবে আপনি দাঁড়িয়ে থেকে চাচার অপমান দেখেছেন। একদিকে ছেলের ওয়াইফ অন্যদিকে ছেলে এসে বাবাকে অপমান করলো। তবে আপু আপনার পোস্টটি পড়ে আমার নিজের কাছে অনেক খারাপ লাগলো। আপন ছেলে বাবার সাথে এরকম ব্যবহার করা মনে হয় একদম ঠিক হয় নাই।
আসলে ভাইয়া বর্তমান বাস্তব কথা বলার মতো সাহস কারো নেই। আর বললে তাকে কথা শোনতে হবে।ধন্যবাদ আপনাকে।
বানান ভুলের ব্যাপারে যত্নশীল হওয়ার পরামর্শ রইল, বেশ কিছু বানান ভুল রয়েছে পোষ্টটিতে। ধন্যবাদ
ঠিক আছে ভাইয়া পরবর্তীতে ঠিক করে নেব।