বৈশাখী মেলায় ঘোরাঘুরি ২য় বা শেষ পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
বৈশাখী মেলায় ঘোরাঘুরি ২য় বা শেষ পর্ব
.বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে।আসলে আজ কয়েক দিন ধরে অনেক ব্যস্ত সময় পার করেছি। ভাগ্নের বিয়ের মার্কেট থেকে শুরু করে আরো আনুষঙ্গিক কাজ করতে হচ্ছে। তারপরেও চেষ্টা করছি আপনাদের মাঝে থাকার জন্য । আসলে আজ এসেছি বৈশাখী মেলায় ঘোরাঘুরি ২য় বা শেষ পর্ব নিয়ে। আসলে এখন বৈশাখী মেলা তেমন দেখা যায় না বলেই চলে। তবে আমাদের ফরিদ পুরে ডিসি অফিসের কাছে মেলা মেলে।তাই এবার সুযোগ পেয়েছিলাম মেলায় যাবার জন্য তাই সুযোগ হাত ছাড়া করিনি।তবে মেলায় ঘুরতে বেশ ভালো লেগেছে কিন্তু মনের মতো জিনিস কিনতে পারিনি। আসলে আমরা হঠাৎ করে মেলায় যাওয়াতে তেমন কিছু কিনতে পারিনি। তবে না কিনলে কি হবে বেশ ভালোই ইনজয় করেছি। যাইহোক তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
আমরা মেলায় গিয়ে বিভিন্ন ধরনের স্টল গুলো ঘুরে দেখতে পেলাম। আসলে মেলার জিনিস এর প্রতি অন্য রকম আর্কষণ থাকে আমাদের। আর মেলায় গেলে মন চায় কিছু না কিছু কিনতে। সত্যি বলতে এমন জায়গায় ঘুরতে সবারি অনেক ভালো লাগে। তবে অনেক গরমের জন্য একটু খারাপ লাগে। তারপর আমরা বেশ কিছু দোকান ঘুরে দেখলাম। আমরা যখন গিয়েছি তখন লোকজন কম ছিল তাই মনের মতো করে সব কিছু দেখতে পেয়েছি।
তারের আমার মেয়েরা চুল বাঁধার কিছু জিনিস কিনলো। আসলে বাচ্চাদের চুল বাধার যতই কিছু থাক না কেন , তারা দেখলেই সব জিনিস গুলো কিনতে চায়।শুধু তাদের বলে লাভ নেই আমারো কিনতে ইচ্ছে করে।তারপর বাচ্চাদের জন্য কিছু কসমেটিক কিনলাম। আর দুটি চশমা কেনা। আসলে ঈদের ভিতরে চশমা কেনা হয়েছে তারপর আবার মেলা থেকে চশমা কিনবে।
তারপর আমরা চলে আসলাম কিছু খাওয়ার জন্য। আসলে বেশ কিছু ক্ষণ ঘোরাঘুরি করার পরে আমাদের ক্ষুদা লেগে গেল। আসলে এই ক্ষুধা খাওয়ার জন্য নয় যেটা খাওয়ার পরে আরো বেশি করে খাওয়া যায়।তারপর আমরা সবাই মিলে ফুসকা খেয়ে নিলাম। তবে ফুসকা মোটামুটি ছিল তেমন ভালো লাগে না।
তারপর বাচ্চাদের নিয়ে আরো কিছু খাবার খেলাম। সত্যি বলতে বাচ্চারা জুস খেয়ে মনে হলো শান্তি পেল।আসলে গরমের সময় ঠান্ডা জিনিস খেলে অনেক ভালো লাগে।
তারপর আবার কয়েকটি ব্যাগ দেখলাম। আসলে সামনে এমন কিছু ব্যাগ পড়লো যা না নিয়ে আর পারা যায় না। তাই আমরা দুজনে দুটি পার্স কিনলাম। আর আমি সেই সুযোগে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করে নিয়েছি।
তারপর আমরা মেলায় আরো কিছু সময় ঘোরাঘুরি করেছি। তারপর আমরা বেশ কিছু স্টালের জিনিস পত্র কিনেছি। আসলে মেলায় জিনিসের দাম বেশি হলেও এই জিনিসের দাম গুলো তুলনা মূলক অনেক কম। তাই স্টাইলে কিছু জিনিস কিনলাম। সত্যি বলতে আমরা তেমন কিছু কিনিনি।তবে কেনার চেয়ে আমাদের আনন্দ বেশি হয়েছে। সত্যি আমরা বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছি। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বর্তমান সময়গুলোতে এখন মেলা তেমন একটা জাঁকজমক ভাবে বসে না।যদিও বসে তাও হালকা পরিসরে।বিয়ে বাড়ীতে থাকা সত্ত্বেও দেখছি মেলায় গিয়ে দারুন সময় উপভোগ করেছেন।বাচ্চারা একটি মেলায় গেলে জিনিসপাতি কেনার একটি বেশি বায়না করে। যাইহোক মেলাতে উপভোগ করার সুন্দর কিছু অনুভূতি শেয়ার করার জন্যে ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া সাবলীল মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
এত ব্যস্ততার মাঝেও খুবই সুন্দর করে মেলায় ঘুরাঘুরিৱ অনুভূতি নিয়ে একটি পোস্ট লিখে আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। সত্যি আপু এখনকার বৈশাখী মেলা গুলো এরকম ভাবে দেখা যায় না। আজ কিন্তু আপনার মেলায় ঘোরাঘুরি ও কেনাকাটার পোস্টটি পড়ে বুঝা যাচ্ছে যে, কিছুটা হলেও ইনজয় করতে পেরেছেন।আর মেলায় ঘুরাঘুরি পাশাপাশি অনেক সুন্দর কিছু মেলার ফটোগ্রাফিও করে নিলেন। আমার কাছেও মেলায় যেতে ভালো লাগে। সেখানে অনেক সময় অনেক আনকমন কিছু দেখতে পাওয়া যায়। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
জি আপু মেলাতে অনেক ইনজয় করেছি, ধন্যবাদ আপু।
এইতো কিছুদিন আগে আমাদের এখানেও মেলা হয়েছিল, আর সেই মেলায় আমার পুরো পরিবার সহ ঘুরে এসেছিলাম। আজ আপনার পোস্ট পড়তে গিয়ে আমার সেই দিনের কথা মনে পড়ে গেল। তবে আপু আমার কাছে দিনের বেলার চাইতে রাতের মেলার সৌন্দর্যটা বেশি ভালো লাগে। আর হ্যাঁ আপু ছোট ছোট সোনা মনিদের মাথার চুল বাধার ক্লিপ যতই থাকুক না কেন, তবুও তারা মেলায় গেলে চুল বাধার জন্য ক্লিপ হেয়ার ব্যান্ড আবার কিনতে চাইবে। আর এ বিষয়ে আমারও বেশ অভিজ্ঞতা রয়েছে মেয়ের কারণে। যাইহোক আপু, বৈশাখী মেলায় ঘোরাঘুরি নিয়ে শেষ পর্ব উপস্থাপন করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আসলে ভাইয়া রাতের বেলায় মেলার সৌন্দর্য সত্যি বেশি হয়, তবে বাচ্চাদের নিয়ে সব সময় রাতে ঘুরা সম্ভব হয় না।ধন্যবাদ আপনাকে।
ফরিদপুরের ডিসি অফিসের কাছে এবার বৈশাখী মেলা হয়েছে এটা জানতে পেরে ভালো লাগলো। আরো ভালো লাগলো এটা জেনে যে আপনি সেখানে ঘুরতে গিয়েছিলেন। ছোটবেলায় আমরা ও প্রচুর পরিমাণে বৈশাখী মেলাতে ঘুরতে যেতাম কিন্তু আমাদের এলাকাতে বর্তমানে আর বৈশাখী মেলা হয় না। আর মেলাতে যাবার পরে তো ফুচকা খাবার মধ্যে অন্য রকমের একটা মজা পাওয়া যায়।
আপনার মত আমিও বৈশাখী মেলায় গিয়েছিলাম ।এই গরমের মধ্যে বৈশাখী মেলায় যাওয়া ভীষণ কষ্টকর ছিল। তার পরেও মেয়েকে নিয়ে একবার ঘুরে এলাম। তবে মেলায় কিছু কিনতে না চাইলেও টুকিটাকি অনেক জিনিসই কেনা হয়ে যায় ।আর ঘোরাঘুরি করতে তো বেশ ভালই লাগে ।মেলায় আপনারা দেখছি ঘুরাঘুরির পাশাপাশি খাওয়া দাওয়াও করেছেন ।দেখে বেশ ভালো লাগলো ।ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন আপনি মেলায় কিছু কিনতে না চাইলে ও টুকিটাকি অনেক কিছু কেনা হয়ে যায়,ধন্যবাদ আপনাকে।
মেলা বাজারে ঘোরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালো লাগে। এখানে ভিন্ন রকমের দোকানে অনেক ধরনের জিনিস দেখা মেলে। সবথেকে বেশি ভালো লাগে বিভিন্ন ধরনের খাবার পাওয়া যায় এখানে। ভালো সময় পার করেছেন দেখছি আর খাবারগুলো বেশ লোভনীয় লাগছে।
জি ভাইয়া অনেক ভালো একটা সময় পার করেছি, ধন্যবাদ আপনাকে।
বৈশাখী মেলাতে ঘুরতে গিয়ে আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর সব ফটো ধারণ করেছেন। আর মেলাতে সত্যি অনেক কিছু পাওয়া যায় অনেক কিছুর দেখা মেলে। খুবই ভালো লাগলো মেলা ভ্রমন করতে গিয়ে মৃত্যুর প্রয়োজনীয় এ সমস্ত জিনিসের দোকানগুলো ফটো ধারণ করেছেন এবং আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে। অসাধারণ হয়েছে ব্লগ সাজানো।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন আপু, বৈশাখী মেলা এখন তেমন একটা দেখা যায় না। আমি ছোটবেলাতেও আমাদের এদিকে অনেক বড় বৈশাখী মেলা দেখতাম তবে এই বছর তেমন দেখিওনি। আপনারা সবাই মিলে বৈশাখী মেলায় গিয়ে খুব সুন্দর কিছু সময় কাটিয়েছেন। মেলা থেকে কোন কিছু কিনতে না পারলেও ঘুরে ঘুরে দেখতে খুব ভালো লাগে। তবে আপনারা তো মোটামুটি কিছু জিনিস কিনেছেন দেখলাম। খাওয়া দাওয়াও করেছেন। সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
জি আপু আমরা বেশ কিছু জিনিস পত্র কিনেছিলাম, ধন্যবাদ আপু।
বৈশাখী মেলায় ঘুরতে গিয়ে বেশ দারুন কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো।আমাদের এখানেও মেলা হচ্ছে আপু।আর মেলাতে গেলে অনেক প্রয়োজনীয় জিনিস দেখা যায়। টুকটাক করে মোটামুটি অনেক জিনিস কেনা হয়।অনেক ধন্যবাদ আপু দারুন একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।