পদ্মা নদীতে ঘোরাঘুরি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
পদ্মা নদীতে ঘোরাঘুরি
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে ঘুরতে কার না ভালো লাগে। আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সেই ঘুরা যদি হয় প্রিয় কোন জায়গায় তাহলে তো কথায় নেই। অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল পদ্মা নদীতে ঘুরতে যাব।আসলে অনেক আগে একবার গিয়েছিলাম। তবে যাব যাব করে আর যাওয়া হয়নি। তবে নদীর পাড়ে আমরা কাছাকাছি এক জায়গায় বেড়াতে গিয়েছিলাম। আসার পথে সামনে পছন্দের নদী পড়লো তাই একটু ঘুরে এসেছি। যদিও নদীটা সম্পূর্ণ ঘুরে দেখার সময় পায়নি তবে যতটুকু সময় ছিলাম বেশ ভালো ঘুরেছি। আবার আমরা পড়ন্ত বিকেলে গিয়েছিলাম সেই সময় নদীর মৃদু হাওয়ায় শরীর শান্ত হয়ে গেল।যদিও আরো কিছু সময় থাকার ইচ্ছে ছিল কিন্তু সময়ের অভাবে থাকতে পারিনি । সত্যি সেই দিন বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছি। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
আমরা যেহেতু বেশ কিছু দিন আগে গিয়েছিলাম তাই নদীতে অনেক পানি ছিল। তবে নদী কিন্তু বেশ বড়। নদীতে লঞ্চ, স্টিমার, নৌকা অনেক কিছুই চলাচল করে।আর যখন নদীতে চর জমে তখন নদীর দুপাড় থেকে অনেক ভালো লাগে। আসলে চরের সময় কাছ থেকে নদীকে দেখা যায়। আর আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন পানি ও ভালো ছিল আবার কিছু কিছু জায়গায় চর ও জমেছিল। তবে নদীর দু পাড় দেখা গিয়েছে ভালো মতোই। যেহেতু আমরা পড়ন্ত বিকেলে গিয়েছিলাম তাই লোকজন অনেক ছিল কিন্তু নদীর ভিতরে তেমন মানুষ গোসল করতে দেখা যায় নি।শুনেছি নদীতে নাকি অনেক লোকজন গোসল করে।
আমরা নদীর যে পাড়ে গিয়েছিলাম সেই পাড়ে বেশ কিছু জায়গায় চর জমে ছিল। আসলে আমার মেয়ে নৌকা দিয়ে নদীর ওপার যাওয়ার জন্য অস্থির হয়েছিল। সত্যি বলতে আমি ও যেতে চেয়েছিলাম কিন্তু সময়ের অভাব ছিল। আবার অনেক দিন নৌকা পার হয়নি তাই ভয় ও কাজ করেছিল। তবে অনেক ছেলেমেয়ে নদীতে গোসল করে নৌকার ওপর দিয়ে বসে ছিল সেটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল। যদি ও আমরা নদীর বুকে বেশি সময় থাকতে পারিনি তারপর ও ঘন্টাখানেক এর মধ্যে বেশ ভালো কাটিয়েছি।তবে নৌকায় চড়তে পারলে হয়তো আরো অনেক ভালো লাগতো।
আমরা যেহেতু নৌকায় চড়িনি তাই নদীর চরের ওদিকে একটু বেশি সময় নিয়ে ঘুরেছি।এমনিতে অনেক গরম ছিল কিন্তু যখন নদীর পাড় গিয়েছিলাম তখন নদীর মৃদু হাওয়ায় শরীর শান্ত হয়ে উঠলো। আসলে নদীর পাড়ে গেলে আমার মনে হয় যার যতই দুঃখ থাক না কেন সব দূর হয়ে যায়।আর এমন শান্ত জায়গায় গেলে মন এমনিতেই ভরে যায়।তবে চরের ওপরে হাঁটতে বেশ মজা ছিল। আর অনেক দিন পরে এমন বাতাস পেয়ে আসতে আর মন চায় না। যাইহোক এদিকে আমাদের আসার সময় হয়ে গেল অন্য দিকে সূর্য ডুবে যাচ্ছে তা দেখে আমরা সবাই মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে রয়েছি।সত্যি সূর্য ডুবে যাওয়ার মূহুর্ত দেখতে অসাধারণ লাগে। অনেক দিন পরে দেখেছি তাই আমার কাছে ভালো লেগেছে। আমরা বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছি। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
নদীর পাড়ে ঘুরতে গেলে আসলেই শরীরে একটা প্রশান্তি কাজ করে। পদ্মা নদীতে ঘুরতে গিয়ে খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। চরের উপর হেঁটেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো। এরকম নিরিবিলি পরিবেশের সময় কাটাতে দারুন লাগে। ফটোগ্রাফি গুলো ও খুবই সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ আপু আপনাদের কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি আপু এমন পরিবেশে সময় কাটাতে অনেক ভালো লাগে, ধন্যবাদ আপু।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ঘোরাঘুরি করতে পছন্দ করে না এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। আপনি আজ পদ্মা নদীতে ঘোরাঘুরির মুহূর্ত শেয়ার করেছেন। এমন প্রকৃতির মাঝে ঘুরাঘুরির মধ্যে আলাদা একটা প্রশান্তি পাওয়া যায়। ঘোরাঘুরিরে সাথে সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। গোধূলি লগ্নের ফটোগ্রাফি টা দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আপনি মুগ্ধ হয়েছেন যেন অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া ধন্যবাদ আপনাকে।
পদ্মা নদীতে ঘুরাঘুরি সুন্দর একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার সুন্দর এই পোস্ট দেখে আমার অনেক অনেক ভালো লাগলো। বেশ চমৎকার ভাবে পদ্মা নদীর পাড়ে ঘোড়ার মুহূর্তটা ব্লগের মাধ্যমে উপস্থাপন করেছেন। সুন্দর এই জায়গা দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছে।
আপনার ভালো লেগেছে যেন অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
ভ্রমণ করতে আমারও খুব ভালো লাগে আর সেটা যদি হয় পদ্মা নদী তাহলে তো কোন কথাই নেই।
বিভিন্ন সময় যেখানে বিভিন্ন ধরনের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।
আপনি দারুন সময় উপভোগ করেছেন ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
সাবলীল মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
এটা ঠিক বলেছেন ঘুরার জায়গা যদি পছন্দের হয়ে থাকে তাহলে আরো বেশি ভালোলাগা কাজ করে। যাক আপনারা পদ্মা নদীর পাড়ে ঘুরতে গিয়ে নিশ্চয়ই খুব সুন্দর কিছু সময় কাটিয়েছেন। যদিও বা নৌকায় চড়ার ইচ্ছা থাকলেও সময়ের অভাবে নৌকায় চড়তে পারেনি। নৌকায় চড়তে পারলে হয়তোবা আরো বেশি ভালো লাগার কাজ করতো। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে পদ্মা নদীর পাড়ে ঘোরাঘুরি করার মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।
জিভাইয়া নৌকায় চড়তে পারলে অনেক ভালো লাগতো, ধন্যবাদ ভাইয়া।
নদীর প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্য দেখলেই হৃদয় শান্ত হয়ে যায়। আপনি সত্যি বলেছেন আপু আমাদের মনে যতই দুঃখ কষ্ট থাকুক না কেন নদীর পাশে গেলে সেগুলো মুহূর্তেই মিলিয়ে যায়। যাইহোক পদ্মা নদীতে গিয়ে বেশ দারুন সময় কাটিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
গঠন মূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। এর মধ্যে পদ্মা হল অন্যতম একটি নদী। পদ্মা নদীর পাড় খুবই সুন্দর আমিও গিয়েছিলাম। আপনার পোস্টটি দেখে স্মৃতি মনে পড়ে গেল। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সাবলীল মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপনি পদ্মা নদীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও শান্তির অনুভূতিকে খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছেন। আপনার লেখনীতে নদীর পাড়ের সেই মুগ্ধ করা দৃশ্য ও প্রশান্তির অনুভূতি যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছে। আপনার মেয়ের নৌকা দিয়ে নদীর ওপার যাওয়ার আগ্রহ ও আপনার নিজের ভ্রমণের ইচ্ছা প্রকাশ পেয়েছে এক অনন্য সুন্দর উপায়ে। ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি সুন্দর পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
গঠন মূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার অনেক দিনের ইচ্ছা পূরণ হয়েছে জেনে ভালো লাগলো।আসলে নদীর দৃশ্য বরাবরই ভালো লাগে আমার।আর বাচ্চারা অনেক মজা পায় নৌকায় চড়তে।নদীর চরে শীতল হাওয়ায় হাঁটতে মন ফ্রেস হয়ে যায়।ছবিগুলো ভালো ছিল,ধন্যবাদ আপু।