ভাগ্নের সাথে রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্ত

in আমার বাংলা ব্লগ3 months ago

আসসালামু আলাইকুম

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি ।

ভাগ্নের সাথে রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্ত

1000012000.jpg

বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে।আজ কয়েক দিন ধরে আবার আগের মতো গরম পড়েছে। সবাই চেষ্টা করবেন সাবধানে থাকার জন্য। যাইহোক কয়েক দিন আগে আমরা মার্কেটে গিয়েছিলাম। যদিও বাচ্চারা সাথে না থাকলে বেশির ভাগ সময় রেস্টুরেন্টে খাওয়া হয় না।তবে আমি আর বড় বোন ও বোনের ছোট ছেলে মিলে মার্কেটে গিয়েছিলাম। আসলে আমরা বাসা থেকে দুপুরে খেয়েগিয়েছি। তবে আমরা যেহেতু দুই বোন যেতে চেয়েছিলাম তাই ভাগ্নকে আর খাওয়ানো হয়নি। যাইহোক আমরা যখন যেতে লাগলাম তখন আমার ভাগ্নে আমাদের সাথে গেল।আর বাচ্চারা সাথে গেলে তো যা চাবে তাই দিতে হয়।

1000011994.jpg

1000012004.jpg

1000012003.jpg

আমি বেশির ভাগ সময় সুলতানী ভোজ রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করি। তাই আমার ভাগ্নে যখন বললো ক্ষুধা লেগেছে, তখন আমরা রেস্টুরেন্টে এর সামনে। আসলে আমার মনে হয় রেস্টুরেন্ট দেখলেই বাচ্চাদের বেশি ক্ষুধা লাগে। যাইহোক যেহেতু বাচ্চা মানুষ খেতে চায়লে তাকে তো খাওয়াতেই হয়। তাই আর কি করা আমরা তারাতাড়ি চলে গেলাম সুলতানী ভোজ রেস্টুরেন্টে। আসলে যেখানে সব সময় খাওয়া হয় আমার মনে হয় সেখানে খাবার ভালো হলে খাওয়াটাই ভালো। তারপর আমরা রেস্টুরেন্টের ভিতরে পৌঁছে গেলাম। সেখানে গিয়ে দেখি লোকজন মোটামুটি ভালোই আছে। তবে ততোটা ভীর ছিল না। এভাবে একেক টেবিলে দুই এক জন বসে বসে খাচ্ছে।

1000012010.jpg

1000011996.jpg

1000012006.jpg

রেস্টুরেন্ট যেহেতু বেশ ভালো ছিল। আসলে উনাদের আগের শাখাটা ছোট ছিল কিন্তু এই শাখা নতুন করায় বেশ ভালো করেছে। আর এটা মার্কেটের সামনে থাকায় বাচ্চাদের নিয়ে গেলাম সেই খানে খাওয়া হয় বেশি। যাইহোক টেবিল দেখে আমরা একটা টেবিলে বসে পড়লাম।যেহেতু লোকজন তেমন ছিল না তাই বসার সাথে সাথে ওয়েটার এসে আমাদের বললো আপনারা কি খাবেন। তখন আমরা বললাম আমরা নান রুটি আর গ্রিল খাব কিন্তু আমার ভাগ্নে লাচ্ছি পরোটা খাবে। তারপর আমরা গ্রিল, নান ও লাচ্ছি পরোটা অর্ডার করলাম।

1000011998.jpg

1000011997.jpg

তারপর আমরা খাবার অর্ডার করে টেবিলে বসে রইলাম। আসলে লোকজন তেমন ছিল বিধায় আমরা হয়তো একটু তারাতাড়ি পেয়েছি। তারপরও প্রায় দশ মিনিট পরে এসেছে খাবার। আসলে বিকেল চারটা দিকে তো তাই হয়তো লোকজন একটু কম ছিল। কারণ কিছু সময় আগেই সবাই লাঞ্চ করেছে। যাইহোক আমার ভাগ্নের কাছে দশ মিনিট অনেক সময়। দশ মিনিটে না হলে দশবার বলছে কেন খাবার আসে না ।

1000012001.jpg

1000012000.jpg

যাইহোক খাবার আসার সাথে সাথে আগে ভাগ্নেকে খেতে বললাম। আসলে আমরা তিনজনে দুটি অর্ডার করেছি।তবে ভাগ্নে প্রথম দিকে বেশ ভালোই খেল কিন্তু অর্ধেকটা শেষ করতে পারলো না।আসলে বাচ্চারা খাবার দেখে যত খুশি হয় কিন্তু খেতে পারলে আরো আনেক ভালো লাগে। যাইহোক মোটামুটি সবাই মিলে বেশ ভালো খাওয়া দাওয়া করেছি।খাবারটা ও বেশ ভালো ছিল। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।


প্রয়োজনীয়তথ্য
ফটোগ্রাফার@parul19
ডিভাইসredmi note 12
লোকেসনফরিদ পুর

আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

1000000175.png

আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।

1000000177.gif

1000000178.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 3 months ago 

আমরা যেখানেই যাই না কেন , যদি আমাদের সাথে বাচ্চারা থাকে তাহলে পরিবেশটা যেন অন্যরকম মনে হয়। আর বাচ্চারা আসলেই রেস্টুরেন্ট কিংবা রেস্তোরা দেখলেই তাদের জন্য খিদা দ্বিগুণ হয়ে যায়। যাই হোক আপনার ভাগ্নেকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে খাওয়া করার সুন্দর অনুভূতি এবং চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপু দেখে বেশ ভালো লাগলো।

 3 months ago 

ধন্যবাদ আপনাকে

 3 months ago 

ঠিক বলেছেন আপু বাচ্চারা বাহিরে গেলে যা চায় তা দিতেই হয়। না হলে বাচ্চাদের মন খুবই খারাপ হয়। ভাগিনা কে নিয়ে রেস্টুরেন্টে খাওয়ার দারুন একটি মুহূর্ত শেয়ার করেছেন আপু। আপনারা নান আর গ্রিল খেয়েছেন দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 3 months ago 

সাবলীল মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।

 3 months ago 

রেস্টুরেন্ট দেখলে সবারই একটু ক্ষুধা লাগে। আর ও তো ছোট মানুষ। ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছেন সবাই মিলে। রেস্তরার পরিবেশটা তো খুবই সুন্দর। দারুন মুহূর্ত কাটিয়েছেন সেখানে। খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে তো লোভনীয় লাগছে। মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।

 3 months ago 

জি আপু খাবার গুলো অনেক লোভনীয় ছিল, ধন্যবাদ আপু।

 3 months ago 

বর্তমানে আমাদের এদিকে অনেক গরম পড়েছে। কয়েকদিন থেকে গরম আবার বেড়ে গেছে। গরমে অবস্থা খুবই খারাপ। আপু আপনি আপনার ভাগ্নের সাথে বাহিরে খেতে গিয়েছেন দেখে অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্ট সবার মাঝে তুলে ধরার জন্য।

 3 months ago 

ধন্যবাদ আপনাকে সাবলীল মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

 3 months ago 

পরোটা গুলো দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু ছিল। মার্কেটে গেলে একটু খাওয়া দাওয়া করতে হয় না হয় ভালো লাগেনা। বিশেষ করে বাচ্চারা তো বায়না ধরে কিছু না কিছু খাবে। যাক অবশেষে আপনার ভাগ্নের প্রিয় খাবার চলে আসলো। সবাই মিলে বেশ মজার করে খাওয়া দাওয়া করলেন। সুন্দর একটি মুহূর্ত আপনি আমাদের সাথে ভাগ করে নিলেন ধন্যবাদ।

 3 months ago 

জি আপু বাচ্চা মানুষ একটু দেরি হলে যা বলে আরকি,ধন্যবাদ আপু।

 3 months ago 

রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়ার খুব সুন্দর মুহূর্ত আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। বেশি ভালো লেগেছে আপনার সুন্দর এই মুহূর্ত দেখে। বেশ অসাধারণ ছিল আজকের এই ব্লগ।

 3 months ago 

আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ধন্যবাদ ভাইয়া।

 3 months ago 

ভাগ্নের সাথে রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়ার সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আপনি। আপনার আজকের এই পোস্ট করার মধ্য দিয়ে আপনার শেষ ভালো লাগার সুন্দর মুহূর্তটা জানতে পারলাম। খুব সুন্দরভাবে বর্ণনার সাথে তুলে ধরেছেন দেখে ভালো লেগেছে।

 3 months ago 

আপনাদের ভালো লাগাই আমার কাজের স্বার্থকতা, ধন্যবাদ আপু।

 3 months ago 

ভাগ্নের সাথে সুলতানী ভোজ রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়ার করে খুব সুন্দর কিছু মূর্হত ক্যামেরা বন্দী করেছেন। আসলে বাচ্ছারা খাবার দেখলেই খাবো খাবো করে। কিন্তুু তেমন খেতে পারে না। আপনার ভাগ্নে খাবার আসার আগে কতবার জিঙ্গেস করেছে,খাবার আসার পরে অর্ধেক খেয়েই শেষ। আসলে বাচ্ছারা এমনই। ধন্যবাদ।

 3 months ago 

ধন্যবাদ ভাইয়া গঠন মূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য

 3 months ago 

আপু বাচ্ছারা এমনই খাবার দেখলেই তাদের খিদা লাগে। তারপর খেতে দিলেই একটু খেয়ে খিদা শেষ। যায়হোক রেস্টুরেন্টের নামটা কিন্তুু অনেক সুন্দর, সুলতানী ভোজ রেস্টুরেন্টে। নামের সাথে খাবারের মানও ভালোই দেখলাম। যদিও মানুষ কম পরিবেশ ভালো। ধন্যবাদ।

 3 months ago 

ধন্যবাদ আপু সাবলীল মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.17
JST 0.032
BTC 63626.54
ETH 2727.44
USDT 1.00
SBD 2.56