ঈদের কেনাকাটা তৃতীয় পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
ঈদের কেনাকাটা তৃতীয় পর্ব
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি ঈদের কেনাকাটা তৃতীয় পর্ব নিয়ে। এবার রমজান মাসে শেষের দিকে ও বেশ গরম পড়েছিল। তারপর আবার রোজা রেখে কেনাকাটা করা অনেক ঝামেলার কাজ।তবে বছর ঘুরে আসে ঈদ তাই একটু কেনাকাটা না করলে কেমন হয়। যাইহোক বাচ্চাদের কসমেটিকস বাদে অন্য সব কেনা হয়েছে। আসলে ঈদ মানে সবারই টুকিটাকি কেনাকাটা থাকে, তবে বাচ্চাদের একটু বেশি থাকে।আর আগের পর্ব গুলো আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে জেনে আজ আবার তৃতীয় পর্ব নিয়ে এসেছি । আসলে কেনাকাটা করতে অনেক ভালো লাগে তবে এবার ঈদের কেনাকাটা করতে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। তারপর আবার সব কিছুর দাম অনেক। কি আর করা ঈদ বলে কথা। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
আমরা বাচ্চাদের জামা কেনা শেষ হলেই নিজের জামা দেখতে শুরু করলাম। আসলে যেহেতু ঈদের আর বেশি দিন বাকি ছিল না তাই রেডিমেড জামাগুলো কিনতে চেয়েছিলাম। আসলে রেডিমেড জামাগুলোর অসুবিধা হলো জামা পছন্দ হলে সাইজ মতো পাওয়া যায় না। আর যেগুলো পাওয়া যায় সেগুলো পছন্দ হয় না। তাই অনেক সময় ঘুরে বেশ কিছু জামা দেখলাম কিন্তু সাইজ মতো হলো না।
তারপর আড়ং থেকে চলে আসলাম। তবে মার্কেটে অনেক ভীর। সেখানে বসে থ্রি পিস কেনা কষ্টের ছিল। কিন্তু কষ্ট হলেই কি ঈদ বলে কথা। তবে
রেডিমেড ছাড়া অন্য কোনো জামা গুলো আমার কেনার মতো ইচ্ছে ছিল না। কারণ জামা গুলো বানাতে পারবো না ঈদের আগে। তবে অনেক দোকানে নিলেও নষ্ট করে বেশির ভাগ সময় তাই জামা কেনার ইচ্ছে ছিল না।কিন্তু আমার বড় জা নাছোরবান্দা সে বলছে পরে ভালো জাম থাকবে না। তাই এখন কিনে রাখলে পরে বানানো যাবে। তারপর আমার বড় জা একটা জামা কিনে দিয়েছে। তবে জামাটা এখনো দর্জির দোকানে।
তারপর জামা কেনা শেষ হলে আমার মায়ের জন্য একটা শাড়ি দেখতে লাগলাম। আসলে কিনতে তেমন ঝামেলা পোহাতে হয়নি।দুটি দোকান দেখেই একটা শাড়ি পছন্দ হয়ে গেল তবে কালার দিতে পারছে না। তারপর আর একটি শাড়ি দেখতে লাগলাম। আসলে কথায় আছে না একবার একটা শাড়ি পছন্দ হলে বারবার তারদিকেই মন চলে যায়।তারপর আর একটু দেখে একটা শাড়ি কিনলাম। তবে শাড়িটা বেশ ভালো লেগেছে।
তারপর আমার বড় জা আরো দুটি শাড়ি কিনবে। আসলে আমার জয়ের চাচি ও আমাদের চাচি শাশুড়ির জন্য। তারপর আর একটু দেখে আরো দুটি শাড়ি কিনলো।তবে শাড়ি গুলো দামের তুলনায় বেশ ভালো হয়েছে।
তারপর আসলাম একটা ব্যাগ কেনার জন্য। সত্যি বলতে বাচ্চাদের মতো নতুন ব্যাগ ছাড় ঈদ হবে না এমন কিন্তু নয়। আমার ব্যাগের প্রয়োজন তাই আবার আমার জায়ের সাথে দেখতে বসলাম। আসলেও পছন্দ হয় দাম 2000 টাকার উপরে। কিন্তু বাজেট ছিল হাজারের ভিতরে। একবার দেখতে থাকলাম। পছন্দ হলেই দাম বেশি হাজারের ভিতরে কোন ব্যাগ পাওয়া গেল না। ১৫০০ টাকা দিয়ে একটা ব্যাগ কেনা হলো তবে ব্যাগটা মোটামুটি ভালোই পছন্দ হয়েছে। যাইহোক অবশেষে মনের মত একটা ব্যাগ পেয়েছি এটাই অনেক।আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে ।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এটা একদম ঠিক বলেছেন আপু কোন কিছু একবার পছন্দ হয়ে গেলে সেই শাড়ি কিংবা জামার দিক থেকে চোখ ফেরানো যায় না। যাই হোক অবশেষে শাড়ি পছন্দ হয়েছিল জেনে ভালো লাগলো। আর ঈদের সময় রেডিমেড জামা কাপড় না কিনলে ঝামেলায় পড়তে হয়।
জি আপু অনেক ঝামেলায় পড়তে হয়,ধন্যবাদ আপু।