কেনাকাটা করার মূহুর্ত
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আজকের পোস্ট ।
কেনাকাটা করার মূহুর্ত
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি কেনাকাটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আমাদের প্রতি দিন বিভিন্ন ধরনের জিনিস এর প্রয়োজন পড়ে। তবে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো আমাদের খুবই দরকার । আসলে বেশ কয়েক দিন বাড়ি থেকে বের হবার মতো কোন সুযোগ ছিল না।কিছু প্রয়োজন হলে কিনতে পারিনি। তবে গত বৃহস্পতিবারে দাঁতের ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম, তাই ভাবলাম কিছু বাজার করে নিয়ে যায়। । আসলে কারফিউ থাকা কালীন সত্যি বাইরে বের হওয়া ভয় লাগে।তাই ভাবলাম যেহেতু বের হয়েছি তাই কিছু কেনাকাটা করে নিয়ে যায় । যাইহোক বেঁচে থাকতে হলে তো খাবারের জিনিস গুলো কিনতেই হবে।কিন্তু বর্তমান সবজির দাম অনেক। তারপর কারফিউ দেওয়ার জন্য সব সবজি ঠিক মতো পাওয়া সম্ভব হয় না।আশেপাশে যা আছে তার আবার দাম ডাবল।তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
আসলে আমি গিয়েছিলাম বিকেল বেলা। যেহেতু অনেক বড় বাজার তাই সকাল ও বিকেলে বেলা সব সময় টাটকা সবজি পাওয়া যায়। আসলে ভালো জিনিসের দাম অনেক। আর সবজির দাম বর্তমান অনেক । তবে অনেক জায়গায় দাম বেশ হলেও ভালো সবজি পাওয়া যায় না। এখানে আবার বিভন্ন ধরনের সবজি পাওয়া যায়।। যাইহোক এক সপ্তাহ পরে সামনে এমন টাটকা সবজি দেখে মনে হচ্ছে বেশি করে কিনি। আসলে দাম শুনে সবজি আর কেনার ইচ্ছে হারিয়ে গিয়েছিল।কোন সবজি ১০০ টাকার নিচে নয়।তারপর বেশ কিছু সময় ঘুরে একটা লাউ কিনলাম। একবার ভেবেছিলাম চলে আসি কিন্তু এই কারফিউ এর মধ্যে বারবার আসা সত্যি ঝামেলার কাজ। তারপর আর একটু দেখতে লাগলাম।
আসলে কথায় আছে না আকাশে চাঁদ উঠলে ঘরে বসে দেখা যায়। তাই দাম বাড়লে আমরা যতই ঘুরে দেখি না কেন সব জায়গায় একই দাম। তারপর বেশ কিছু দোকান ঘুরে কয়েক ধরনের সবজি কিনলাম। আসলে কিছু সবজি একটু কম হলেও করলার দাম অনেক। তবে করলা গুলো অনেক ভালো। তারপর একশ টাকা দিয়ে এককেজি করলা কিনলাম। আসলে শুধু করলা না আরো বিভিন্ন ধরনের সবজি কিনলাম। সত্যি যেহারে দাম তাতে আমাদের সবজি কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আর দরিদ্র মানুষ কিভাবে কিনবে। তবে দাম একটু বেশি হলেও সবজি গুলো ভালো।
তারপর সবজি কেনা শেষ হলে ভাবলাম বাচ্চাদের জন্য কিছু খাবার কিনি।আসলে তাদের খাবারের তো আর শেষ নেই। তারা সাথে গেলে অনেক কিছুই কেনে।আর কিছু কেনা বাদ পড়লে কান্না করতে করতে আসে।তারপর কিছু চিপস আর পাপড় কিনলাম যে কোন সময় ভেজে খেতে পারে। এখন প্রায় আমের সিজন শেষের দিকে। তাই ভাবলাম কিছু আম নিয়ে যায়। তারপর কয়েক কেজি আম কিনে আনলাম। আসলে বাড়ির আসার পরে আম পেয়ে অনেক খুশি বাচ্চারা। তবে বাজারে থাকতে অন্য কিছু কেনার দিকে নজর বেশি ছিল। যাইহোক বেশ ভালো কেনাকাটা করেছি। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1817151621174087709?t=7gJ5hzGduTksqPLVtzhssQ&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
কারফিউর মধ্যে বাইরে বের হওয়া আসলেই রিক্সের ব্যাপার। ডাক্তার দেখিয়ে একসাথে কেনাকাটা করে নিয়েছেন। বেশ ভালো হয়েছে। দেশের এই পরিস্থিতির মধ্যে সবকিছুর দাম অনেকটাই বেশি। অনেক কিছু একসাথে কেনাকাটা করলেন। শেষে আবার কিছু ফল কিনলেন বাচ্চাদের জন্য। কেনাকাটার মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জি আপু অনেক কিছু কেনাকাটা করা হয়েছে, ধন্যবাদ আপু।
আপনি সুন্দর একটা কথা বলেছেন আপু আকাশে চাঁদ উঠলে ঘরে বসেও দেখা যায়। এমনিতেই দ্রব্যমূল্যের অনেক দাম তারপরে আবার কারফিউয়ের জন্য মনে হচ্ছে সবকিছুর দাম আরো বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। আমি এটা জেনে সত্যি অবাক হয়ে গেলাম যে সবজির দাম ১০০ টাকার নিচে নেই। এভাবে জিনিস এর দাম বৃদ্ধি পেতে থাকলে দরিদ্র ও গরিব মানুষের জন্য সত্যি অনেক কষ্ট হয়ে যাবে। তবে আপনি যে টাটকা সবজি পেয়েছেন এটা জেনে বেশ ভালো লাগলো। ভালো লাগলো আপু আপনার কেনাকাটার মুহূর্ত জানতে পেরে।
জি আপু সবজি গুলো অনেক টাটকা ছিল, ধন্যবাদ আপনাকে।
দেশের এই পরিস্থিতিতে সব কিছুর দাম ই আকাশ ছোঁয়া।আর বাইরে যেহেতু ডাক্তার দেখাতে গিয়েছেন তাই এক ই সাথে সবজি নিয়ে এসে ভালো ই করেছেন। দাম বেশি হলে সব জায়গাতেই বেশি।১০০ টাকার নীচে কোন সবজি নেই।আপনি লাউ,করলা,আম কিনলেন।আমিতো দেখি চারিদিকে শুধু আম আর আম।আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে ভালো ধারনা পেলাম ঢাকার বাইরের সব্জির দরদামের।ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু পোস্ট পড়ে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য
ঠিক বলেছেন আপু এই পরিস্থিতে সব কিছু পাওয়া যায় না।আর যদিও পাওয়া যায় দ্বিগুণ দামে কিনতে হয়।কেনাকাটার দারুন একটি মুহূর্ত শেয়ার করেছেন আপু।যা দেখে বেশ ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
জি আপু অনেক সময় দাম হলেও সবজিগুলো পাওয়া যায় না। ধন্যবাদ আপু।
কারফিউ থাকাকালীন সময়েও আপনি বাইরে বেড়িয়েছেন এবং কেনাকাটা করেছেন জেনে ভালো লাগলো।আসলেই সবজিগুলো আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় হয়।কারফিউ থাকাকালীন সময়ে জিনিসের দাম বৃদ্ধি পাওয়াটা স্বাভাবিক।কিছু ছবি যদিও অস্পষ্ট যাইহোক ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ আপু
আপনাদের বাজারে তো অনেক ধরনের জিনিষ দেখলাম। সেখানে দেশি শশা আর গাজর দেখে বেশি ভালো লেগেছে। গত পরশুদিন আমি ৫০ টাকা দিয়ে একটি লাউ কিনেছিলাম। জিনিষ পত্রের যা দাম বাজারে গেলে চোখ দিয়ে জল পড়ে। কিন্তুু নিত্যপন্যের দিকে কারো কোন খেয়াল নেই। ধন্যবাদ।
সত্যি ভাইয়া বাজারে গেলে দাম শোনে আর কিনতে ইচ্ছে করে না।আপনি তো তাহলে কম দামে লাউ পেয়েছিলেন।
আপু বাজার তো আমিও মাঝেমধ্যে করতে যাই, তখন বাজারে গেলে মনে হয় যে সবকিছুর দাম কেমন আকাশ ছোঁয়া। আমাদের এখানেও সবজির দাম এখন অনেক বেশি। কারণ বর্ষাকালে সব জায়গা তলিয়ে যায়, এজন্য শাকসবজির দাম অনেকটাই বেড়ে যায়। তবে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে যতটা মনে হচ্ছে যে, শাকসবজি গুলো খুব ফ্রেশ। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
জি ভাইয়া শাকসবজি গুলো অনেক ফ্রেশ ছিল খেতে ও অনেক মজার ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।