জেনারেলন রাইটিং : - যে যা করে অন্যকে তাই ভাবে
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি ।
জেনারেলন রাইটিং : - যে যা করে অন্যকে তাই ভাবে
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটা জেনারেল রাইটিং পোস্ট নিয়ে। সত্যি বলতে আমাদের সমাজে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যা বলার মতো নয়। আসলে আমরা নিজেরা যা করি আমরা ভাবি অন্যেরা তাই করে। যেমন কেউ যদি চুরি করে সে ভাবে তার মতো আরেক জন ও চোর। আসলে কারো সম্পর্কে কিছু না জেনে কখনো ভালো মন্দ মন্তব্য করা ঠিক নয়। আর কাউকে নিজের মতো করে ভাবাও ঠিক নয়। কথায় আছে না একচোর আর একজন সাধু দুজনে সকালে নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল। আসলে সাধু রাতভরে আল্লাহ ইবাদত করেছে তাই সে গোসল করে ফজর নামাজ পড়ে ঘুমাবে।অন্য দিকে চোর সারারাত চুরি করে গোসল করে ঘুমাবে।তাই চোর সাধু কথা বলে উনি আমার থেকে বেশি চুরি করেছে তাই সকাল সকাল গোসল করছে।অন্য দিকে সাধু ভাবে উনি আমার থেকে বেশি নামাজ আদায় করেছে
।তেমন একটা ঘটনা গঠেছে আমাদের এক ভাতিজির সাথে।
ভাতিজির নাম রিনা। তার সবেমাত্র বিয়ে হয়েছে। আসলে বিয়ের সময় আগের ব্যবহার করা ফোন নিয়ে গিয়েছিল।প্রায় তিনচার মাস হয়ে গেল বিয়ে হয়েছে। তাই সে আগের ফোন ব্যবহার করতো। তবে কয়েক দিন হলো তার স্বামী তাকে একটা নতুন ফোন কিনে দিয়েছে। আসলে কি ফোন কিনেছে তা আমার জানা নেই তবে দাম নিয়েছে ৫০,০০০ টাকা। তবে দাম যাইহোক নতুন ভালো একটা ফোন কিনেছে এটাই অনেক। রিনা তার স্বামীর সাথে ঢাকায় থাকে। একদিন রিনার স্বামীর বন্ধু তার বাসায় বেড়াতে গিয়েছিল।বন্ধু যাবার পর থেকেই রিনা ও তার স্বামীকে বলতেছে চল আমরা আজ পুরাতন ঢাকায় খেতে যাব।তারপর রিনা ও তার স্বামী দুজনেই রাজি হয়ে গেল। তারা তিনজন মিলে খেতে চলে গেল।।।
তারা গিয়ে একটা রেষ্টুরেন্ট খাবার অর্ডার করলো।আসলে কিছু সময়ের মধ্যে তাদের খাবার আসলে তারা তিনজন গল্প করছে আর খাচ্ছে। ইতিমধ্যে একজন লোক তাদের অনেক সময় ধরে ফলো করছে। তারপর তারা যখন গল্পে আসক্ত ছিল তখন রিনার পকেট থেকে একজন ফোন নিয়ে চলে গেল। আসলে ফোন বের করার পরপরই রিনা টের পেয়েছে। তারপর যে লোকটি রিনাদের ফলো করেছিল সে সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠছে। সাথে সাথে রিনারা সবাই মিলে লোকটির পিঁছু নিল। লোকটা দোতলায় গিয়ে একটা রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিল।এদিকে রিনার স্বামী ও তার বন্ধু রিনাকে নিচে গিয়ে বসতে বললো। আর তারা দরজা দিয়ে লোকটিকে ডাকতে লাগলো।লোকটি ভয়ে দোতলা থেকে ফোনটা নিচে ফেলে দিল। আর রিনা নিচে এসে ফোন দেখে আগে ফোন তুললো।
এদিকে দরজা খুলে লোকটি রিনা ও স্বামীকে রুমে মধ্যে ঢুকালো। আর বললো আপনারা তলাশি করুন না পেলে আপনাদের খবর আছে। এই বলে লোকটি দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে পুলিশকে ফোন দিল।সাথে সাথে পুলিশ আসলো এদিকে রিনা এসে সেই দরজার সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে কিছুতেই দরজা খুলছে না। ইতিমধ্যে পুলিশ এসে সেই রুমে ঢুকলো।তারপর এক মহিলা বললো আমার রুম থেকে উনারা ৫০,০০০ টাকা নিয়েছে। তখন পুলিশ তাদেরকে জেলে নিয়ে যাবে টাকা না দিলে। এদিকে সত্য কথা কেউ বিশ্বাস করছে না। তারপর পুলিশ বললো আপনার ওয়াইফের ফোন তার কাছে আছে কিন্তু আপনার কেন ওনাদের রুমে ঢুকে চুরি করলেন। রিনার স্বামীরা হাজার বললেও পুলিশ বিশ্বাস করলো না। তখন পুলিশ তাদেরকে থানায় নিয়ে গেল।তারপর রিনার স্বামী এক পরিচিত নেতা ছিল তাকে ফোন দিল। সাথে সাথে থানায় চলে গেল আর তাকে দেখে পুলিশ নরম হয়ে গেল। তারপর রিনার স্বামীকে ছেড়ে দিল। সত্যি মানুষ কতটা খারাপ হলে নিজে চুরি করে অন্যকে ফাঁসিয়ে দেয়। আশাকরি আমার লেখাটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
খুব দুঃখজনক ঘটনা আপু।আপনার ভাতিজির ফোন চুরি ও এতো কাঙ্খিত ঘটনা।আসলে এরকম সাধুবেশী চোরের অভাব নেই দুনিয়ায়।ভাগ্যিস আপনার ভাতিজির বরের পরিচিত নেতা ছিলো নইলো তো পুরা ৫০হাজার টাকা দেয়া লাগতো সাথে ভোগান্তি ও জেল জরিমানা। ধন্যবাদ আপু পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
জি আপু এমন সাধু চোর আমাদের দেশে অভাব নেই, ধন্যবাদ আপু।
হয়তো ওই চোরটা ধরা পড়লে যেন বাঁচতে পারে তাই এরকম প্লান সাজিয়ে রেখেছিল। আর যখনই দেখেছে ধরা পড়ে যাবে তখন উল্টো ওনাদেরকে ফাঁসিয়ে দিয়েছিল। আপনার ভাতিজির বরের সাথে যদি ওই নেতার পরিচিত না থাকতো তাহলে হয়তোবা উনারাই ফেঁসে যেতেন। আসলে পুলিশদেরও উচিত ছিল না ঠিকভাবে যাচাই-বাছাই না করে তুলে নিয়ে আসার।
জি ভাইয়া ভালো মানুষ এভাবেই বিপদে পড়ে, ধন্যবাদ আপনাকে।
খুবই খারাপ একটা পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে রিনা আর তার হাসবেন্ড গেলো।পরিচিত নেতা না থাকলে অন্যায় না করেও জেল খাটতে হতো।আমাদের সমাজটা একদম যা ইচ্ছে তা হয়ে যাচ্ছে।যে যেমন সে তেমন ভাবে সবাইকে।
সত্যি আপু আমাদের সমাজটা এমনি, ধন্যবাদ আপু।
আপনার লেখা পুরো বিষয় পড়ে বুঝতে পারলাম যে খুব জঘন্য একটি কাজ হয়ে গেল। কারণ রিনার ব্যাগ থেকে মোবাইলটি নিয়ে গেলো আবার নিচে ফেলে দিলো সেই নিজে বেঁচে গেলো। অবশেষে রিনারা নিজেরাই দোষী প্রমাণ হয়ে গেলো। কারণ তাদের হাতে কোন প্রমাণ ছিল না তাই। আসলে মানুষ কেমন জানি হয়ে গেলো দিন দিন। নিজে দোষ করে আবার তাদের উপরে চাপিয়ে দিল সেই লোকটি।
আসলে আপু এরা মানুষ নামে পশু, ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ আপু এমন ঘটনা আমাদের সমাজে প্রায় ঘোটে থাকে। মানুষ দিন দিন কত রকমের ভয়ংকর কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে তাই একজন আরেকজনের বাড়িতে যাওয়ার বড়। এক দিকে চুরির ভয় আরেকদিকে মান-ইজ্জতের ভয়। তবে এই সমস্ত মানুষগুলো সমাজের জন্য বেশ হুমকিস্বরুপ।
ধন্যবাদ আপু গঠন মূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।