আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি ।

বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আমাদের সমাজে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যা বলার মতো না।আসলে আজ কয়েক দিন ধরে অনেক ব্যস্ত থাকার জন্য তেমন সময় দিতে পারছি না। আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে বিকেল বেলা পোস্ট করার জন্য কিন্তু আজ ব্যস্ততার জন্য অনেক দেরি হয়ে গেল । যাইহোক শত ব্যস্ততার পরেও আপনাদের মাঝে এসেছি। তাহলে আসল কথা শুরু করি।আজ এসেছি একটা বাস্তব কাহিনি নিয়ে। আসলে আমাদের হঠাৎ করে বেশি টাকা হলে হুশ থাকে না। এমনই এক বাস্তব ঘটনা ঘটেছে কয়েকদিন আগে আমাদের এলাকায়। আসলে আপন জনের সাথে তখনি সম্পর্ক খারাপ হয় যখন কারো স্বার্থে আঘাত লাগে। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।

কামাল ও শাহিন দুই চাচাতো ভাই। এদের বাবা দাদা থেকে শুরু করে কখনো কোনদিন কারো সাথে ঝামেলা লাগেনি। তবে এখন কারো বাবা ও দাদা বেঁচে নেই। কিছু তাদের মধ্যে ও ভালো সম্পর্ক ছিল। তবে কামালরা দুই ভাই আর শাহিন একা। শাহিনের বাবার বেশ ভালো সম্পত্তি আছে। শাহিন নিজেও একটা সরকারি চাকরি করে। এদিকে কামালরা দুই ভাই বাবার সম্পত্তি মোটামুটি ছিল কিন্তু কামালের ছোট ভাই বিদেশে গিয়ে বেশ বড় লোক হয়েছে। আসলে মানুষের টাকা পয়সা বেশি হলে যা হয় আরকি।এখন কামালরা বাড়ি বিল্ডিং করবে। তবে কামালের বাড়িটা রাস্তার পাশে হওয়ায় কামালের সুবিধা অনেক। তবে কামালের উঠানের সামনে দিয়ে শাহিনরা যাওয়া আসা করে।

এখন কামাল বিল্ডিং করবে তাই আর বিল্ডিং এর সামনে পথ রাখবে না। আসলে সামনে পথ না রাখলে পিঁছনের মানুষ কিভাবে যাওয়া আসা করবে। এদিকে কামালের বিল্ডিং এর ভিতরে শাহিনের জায়গা চলে গেছে। কামাল যখন বিল্ডিং করলো তখন জায়গা মাপ করেনি বাবা দাদার মাপ ছিল ।যেহেতু কামাল পথ দেবে না তাই শাহিন জায়গা মাপ করবে।সেই অনুযায়ী চেয়ারম্যান মেম্বার দিয়ে মাপ করল। মাপ করার পরে দেখা গেল কামালের বিল্ডিং এর ভিতরে শাহিনের জায়গা রয়েছে। তখন শাহিন বললো যেহেতু বিল্ডিং করে ফেলেছে তাহলে আমি জায়গা নেব না। সেই জায়গায় পরিবর্তে আমাকে সামনে দিয়ে পথ দিতে হবে।যখন চেয়ারম্যান মেম্বাররা মিট করে দিল বিল্ডিং এর জায়গা শাহিন নেবেনা তবে তাকে পথ দিতে হবে। তখন কামাল সব মেনে নিল।

কিছুদিন যাবার পর কামাল আর পথ দেবে না। আসলে কামাল নিরবে মেনে নিয়েছিল কারণ কামাল এর ভাই বিদেশ থেকে আসার অপেক্ষায় ছিল। কামালের মনে মনে ইচ্ছা ছিল যখন বিদেশ থেকে আমার ভাই আসবে তখন আমরা রাস্তা উঠে দেব। যেহেতু কামালের ভাইয়ের বিদেশে থেকে আসার সময় হয়েছে। আর সেই কামাল রাস্তার ইট তোলা শুরু করলো।এদিকে শাহিন পড়ে গেল মহা বিপদে।আসলে পিঁছের মানুষের রাস্তা না দিলে সত্যি ঝামেলা হয়।আর যাদের কিছু থাকে না তারা ও রাস্তা দেবার জন্য বাধ্য থাকে। আর কামাল এটা খুব খারাপ করলো শাহিনের সাথে।

শাহিন কামালকে বললেও কামাল শোনবে না। কামালের আবার পায়ে সমস্যা। একদিন কামাল রাস্তা থেকে ইট তুলতে লাগলো।এদিকে শাহিন তার অন্য চাচাতো ভাইদের নিয়ে ইট তোলা বাঁধা দিল।আর সাথে সাথে কামালের বউ ও শাহিনের বউ এসে ঝড়গা লাগিয়ে দিল।আসলে ঝড়গা থেকে শুরু হলো মারামারি। তারপর দুজনের মধ্যে অনেক মারামারি হলো।সবাই মিলে হসপিটালে ভর্তি হলো।তারপর দুই জনের মধ্যে কেস হলো।এখন পুলিশ এসে সবাইকে খুঁজছে। এদিকে কামাল ও শাহিনের বাড়িতে কোন লোকজন নেই। তবে কামালের তেমন সমস্যা হচ্ছে না। কিন্তু শাহিনের অনেক সমস্যা হচ্ছে। আসলে শাহিন একটা সরকারি চাকরি করে। তাই শাহিন বলছে ঝামেলা মিটাতে যত টাকা লাগে কিন্তু কামাল কিছুতেই মিটাবে না।আসলে কামালের একটু বেশি টাকা হয়েছে তাই কামাল সব করার চেষ্টা করছে। কামাল চাচ্ছে যাতে শাহনের চাকরিটা না থাকে।আসলে একজন চাইলে তো আর সম্ভব হয় না। আর মানুষকে ক্ষতি করতে গেলে সেই ক্ষতি নিজের হয় এটা বাস্তব। এখন কামাল শাহিনের সাথে না পেরে বাড়ি বিক্রি করতে চাইলো। আসলে শাহিনের এখানে তেমন দোষ ছিল না কিন্তু কামাল ইচ্ছে করে এমন কাজ করলো।অন্যনের ক্ষতি করতে চাইলে নিজের ক্ষতি হবে এটাই স্বাভাবিক। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।