ভুট্টা ভাঙানো দেখার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি ।
ভুট্টা ভাঙানো দেখার অনুভূতি
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি ভুট্টা ভাঙানোর অভিজ্ঞতা নিয়ে। আসলে ভুট্টা সম্পর্কে আমার তেমন ধারণা ছিল না বা নেই। তবে আমি জানতাম না যে ভুট্টা আমাদের ফসলের জমিতে চাষ করা হয়। আসলে আপনদের ভাই এবার দুই বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছে। যদিও আমি আগে কখনো ভুট্টা চাষ করা দেখিনি তবে এবারো দেখা হয়নি।যেহেতু ভুট্টা চাষ করা দেখা হয়নি তাই ভুট্টা ভাঙানো দেখার অনেক ইচ্ছে ছিল। অবশেষে সেই ইচ্ছে পূর্ণ হলো।আসলে আমার কখনো মাঠে যাওয়া হয়নি তাই আপনার ভাইকে বলেছি ভুট্টা ভাঙানো দেখবো।আর যেহেতু আমাদের স্কুল মাঠে ভাঙাবে তাই দেখা'র সুভাগ্য হয়েছে। আসলে না দেখা জিনিস এর প্রতি ইচ্ছে বেশি থাকে।যাইহোক তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
প্রথমে যখন আমরা মাঠের ভিতরে গেলাম। তখন গিয়ে দেখতে পেলাম অনেক ভুট্টা বস্তা ভরে ভরে এভাবে সাজিয়ে রেখেছে। আসলে অনেক জন ভুট্টা গুলো খোসা ছাড়িয়ে দেয় কিন্তু আমাদের ভুট্টা গুলো এভাবে এনেছে। তবে ভাঙানোর লোকজন বলেছে এভাবেই ভাঙানো যাবে। তারপর আমরা অনেক সময় ধরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। ভুট্টা গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো।
তারপর মেশিন চলে আসলো। মেশিন আমি আগে দেখিনি। তবে বড় মেশিনে ভুট্টা ভাঙ্গালে কোন ময়লা থাকে না। আসলে এই রোদের ভিতরে এভাবে বস্তা ভরে ভুট্টা গুলো মেশিনে দিচ্ছে। আসলে দরিদ্র মানুষের কষ্টের শেষ নেই। তবে এই মানুষ গুলোকে তাদের ঘাম শুকানোর আগেই পারিশ্রমিক দেওয়া উচিত। তবে ভাঙানোর জন্য উনাদের অনেক লোকের প্রয়োজন। যাইহোক একজন মেশিনের ভিতরে বস্তা ভরে দিচ্ছে। আর মেশিনের নিচে আর একজন বসে ভুট্টা বের করেছে।
তারপর এভাবে গামলা ভরে ভরে রাখলো।সত্যি ভুট্টা যখন মেশিন থেকে বের হল তখন দেখতে কত না সুন্দর দেখাচ্ছিলো।আসলে আমি আগে কখনো দেখিনি তার জন্য মনে হয় আমার কাছে একটু বেশি সুন্দর লাগছিল। তবে সবচেয়ে বেশি কষ্ট লেগেছে উনাদের রোদের ভিতরে এভাবে কাজ করার দেখতে। আসলে কি আর করা যাবে যার কাজ যা তা তো করতেই হবে কষ্ট হলে কি করা। তবে ভুট্টা গুলো ছিল ভেজা তাই রোদে দেওয়ার জন্য এভাবে বস্তা করে রেখেছিল।
যাইহোক তারপর উনারা গামলা ও বস্তা রেখে দিল। আমাদের একজন কৃষেণ ছিল সে বস্তা গুলো নিয়ে ত্রিফলের ওপর ছড়িয়ে দিল। এভাবে শুকানো শেষ হলে, লোকটি আমার বস্তা ভরে রেখে দিল। তারপর অটোতে করে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসলো।যাইহোক কৃষক না থাকলে আমাদের সবার ফসল ঘরে আসতো না। তবে আমরা কখনো কৃষকদের সম্মান দিতে জানি না। তবে আমাদের সবার উচিত কৃষকদের সম্মান দেওয়া। আসলে কৃষক আছে বলে আমরা দুবেলা দুমুঠো ভাত খেতে পারি।যাইহোক আমাদের ভুট্টা বেশ ভালোই হয়েছে। মোট ৬০ মণের মতো হয়েছে। তবে এখন দাম এগারো শত টাকা করে।যাইহোক ভুট্টা গুলো দেখে আমার বেশ ভালোই লেগেছিল।আশাকরি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভুট্টা ভাঙ্গানোর মেশিন আমি অনেক আগেই দেখেছি মনে হয় ২০২১ সালের দিকে প্রথম এই মেশিন দেখেছিলাম দেখে বেশ অবাক হয়েছিলাম কারণ আমরা অনেক কষ্ট করে হাত দিয়ে মুখটা ভাঙাতাম তাতে যেমন সময় লাগতো তেমনি কষ্ট বেশ হতো। কিন্তু এই মেশিন নিমিষেই সবকিছু ভাঙিয়ে অল্পতেই কাজ সেরে ফেলে যেটা অনেক সুন্দর একটা বিষয়। যাই হোক অনেক সুন্দর এবং সাজিয়ে গুছিয়ে আপনার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
জি ভাইয়া বর্তমান ডিজিটাল প্রযুক্তি এর মাধ্যমে সব কিছু অনেক সহজ করে দিয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু ভুট্টা যখন মেশিনের মধ্যে থেকে বের হয় তখন দেখতে সত্যি খুবই ভালো লাগে। তবে আপনি প্রথম দেখছেন যে কারণে আপনার কাছে হয়তো আরও বেশি ভালো লেগেছে। আমরা প্রতি বছরই দেখি কিছুদিন আগেও দেখলাম। তবে ভুট্টা মেশিনের সাহায্যে মাড়াই করলে গামলা ভর্তি করে করে ভুট্টা দিতে অনেক কষ্ট হয়। যাই হোক ভুট্টা ভাঙ্গানো সুন্দর অনুভূতি আছে আমাদের সাথে শেয়ার করলেন ধন্যবাদ আপু।
আসলে আপু এই সব কাজ বাইরে করে তাই হয়তো আমরা দেখতে পারি না,ধন্যবাদ আপু গঠন মূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আজ আপনি খুব সুন্দর একটি অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। ভুট্টা, অনেক ভাবে খেয়েছি কিন্তু এটা কিভাবে ভাঙ্গানো হয় তা কখনো স্বচক্ষে দেখা হয়নি। আজ আপনার পোষ্টের মাধ্যমে আমি ভুট্টা ভাংগানোর মেশিনটি দেখতে পেলাম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আমি ও ভুট্টা ভাঙানো প্রথম দেখলাম, পোস্ট পড়ে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
এর আগে আপনি যেহেতু এটা দেখেছিলেন না তাই প্রথমবারের মতো দেখতে পেরে খুবই ভালো লেগেছে এটা জানতে পেরে ভালো লাগলো। যেহেতু আমাদের এলাকাতে এই ফসলটা চাষ করা হয় তাই আমরা কিভাবে চাষ করে এবং কিভাবে ভাঙ্গাই সেটা খুব ভালোভাবে দেখেছি। এটা দেখতে আসলেই অনেক ভালো লাগে।
ভুট্টা মাড়াই করার মুহূর্তটা বেশ ভালো লাগে তবে ইট ভেঙ্গে খোয়া বানানোর মুহূর্তে যেমন শব্দ হয় ঠিক তেমনি শব্দ হয় এই কাজেও। এই কারণে শব্দটা একটু বিরক্তি ফিল মনে হলেও কার্যক্রমটা কিন্তু দারুণ। ঠিক তেমনি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বেশ সুন্দর অসাধারণ করে দেখানোর চেষ্টা করেছেন দেখে অনেক ভালো লেগেছে।
মেশিনে একটু শব্দ তো হবেই তবে আমাদের কাজ অনেক সহজ করে দিয়েছে,ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভুট্টা ভাঙ্গানো মেশিন আমি আগে গ্রামে দেখতাম। আজকে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে অনেক দিন পর আবার দেখলাম। তবে এই মেশিনগুলোতে প্রচন্ড শব্দ হয়, এজন্য বেশ খানিকটা বিরক্তিকর লাগে। যাইহোক, আপনাদের জমিতে কিন্তু এবার ভুট্টার ভালোই ফলন হয়েছে যা দেখছি আপু।
আসলে ভাই শব্দ হলেও লোকদের কষ্ট কম লাগেে।ধন্যবাদ আপনাকে
লোকদের কষ্ট কম লাগাটাই বেশি ইম্পরট্যান্ট আপু।