ভালোবাসার স্মৃতি ২য় পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি ।
ভালোবাসার স্মৃতি ২য় পর্ব
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি গল্পের ২য় অংশ নিয়ে। সত্যি বলতে গল্প লিখতে ও পড়তে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে ভালোবাসার গল্প গুলো পড়তে। আসলে ভালোবেসে যদি মিলন হয় তাহলে আরো বেশি ভালো লাগলো। যাইহোক আমাদের সমাজে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যায় যা বলার মতো নয়। আগে দেখতাম শুধু সিনেমায় এমন ঘটনা হতো। কিন্তু এখন দেখি বাস্তবে এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। আসলে আমরা গল্প, সিনেমা যায় বলি না কেনো সব বাস্তবতা থেকেই আসে। তবে কিছু কিছু ঘটনা দেখলে সত্যি অনেক খারাপ লাগে, তবে কিছু করার থাকে না। যাইহোক তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
অন্তরা যখন জানতে পারলো অন্তরার বাবা স্ট্রোক করেছে, ঠিক তখনি অন্তরা আবিবের বাসার সবাইকে বলে তার বাবার বাড়িতে চলে গেল।এতে আবির কিংবা আবিরের বাবা মা কোন আপত্তি করেনি।অন্তরা যখন তার বাবার বাড়িতে এসে পৌঁছে গেল তখন তার মাকে দেখে জড়িয়ে ধরলো আর কান্না করতে লাগলো। কিন্তু অন্তরার মা অন্তরাকে দেখে রীতিমতো অবাক হয়ে গেল। আসলে অন্তরার মা জানতো না অন্তরার বাবা অন্তরাকে মিথ্যা বলেছে বাড়িতে আনার জন্য। তাই অন্তরার মা ভেবেছে হয়তো অন্তরা আবিরের সাথে রাগ করে চলে এসেছে। যাইহোক অন্তরা যখন বাসায় আসলো তখন তার বাবা বাসায় ছিল না।
কিছু সময় পরে অন্তরা তার বাবার কথা জিজ্ঞাসা করলো, মা বাবা কেমন আছে তখন অন্তরার মা বললো ভালো আছে।অন্তরা জিজ্ঞেস করলো বাবা এখন কোথায় তার মা বললো বাজারে গিয়েছে তখন অন্তরা অবাক হয়ে গেল। বললো বাবা না অনেক অসুস্থ মুমূর্ষু অবস্থা। তখন অন্তরার মা সব বললো।আসলে মা তোর বাবার কিছুই হয়নি। শুধু তোকে ফিরে পাবার জন্য এই সব নাটক করেছে। তবে তুই বিশ্বাস কর আমি এই সবের কিছুই জানি না। তোর কাছ থেকে সব শুনলাম। যাইহোক কিছু সময় পরে অন্তরার বাবা এলো। এসে মেয়েকে দেখে অনেক ভালো মনে করলো।আর বললো দেখ আমার মেয়ের আমার জন্য কতো দরদ আমি অসুস্থ জেনে সাথে সাথে চলে এসেছে। আসলে আবির ওকে বুঝিয়ে নিয়ে গেছে তাই ও কিছু বলতে পারে নাই। বাবার মুখের কথা শোনে অন্তরা কি করবে তাই ভাবছে।
অন্তরার বাবা বললো খেয়ে রেস্ট নাও।অন্তরা এখন পড়ে গেল মহাবিপদে। অন্তরা তার বাবার কথা শোনে শুধু ভাবছে এখন থেকে কিভাবে পালাবে।আসলে তার বাবা তাকে আবার বিয়ে দেবে তার বন্ধুর ছেলের সাথে। সত্যি বলতে এই সব কথা তার বন্ধুর ছেলে অন্তরার বাবাকে বলেছে বলতে যে সে অসুস্থ। অন্তরার বাবা যখন জানতে পারলো সে পেগনেন্ট তখন অন্তরার মাকে বললো এটা নষ্ট করাতে হবে তারাতাড়ি। কিন্তু অন্তরার মাও রাজি না নষ্ট করতে। এখন পাঁচ মাস চলে গেছে। তারপর অন্তরার বাবা মা অন্তরাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেল।তবে অন্তরার মা ডাক্তারকে আগে বলে দিল এখন বাচ্চা নষ্ট করালে অন্তরাকে বাঁচানো যাবে না।ডাক্তার অন্তরার বাবাকে তাই বলে দিল। এখন অন্তরা আবিরকে সব ঘটনা খুলে বললো।অন্তরা আবিরকে বললো আমি হসপিটাল থেকে তোমার কাছে চলে যাব। তুমি আমার জন্য অপেক্ষা করবে।আবির বললো শুধু কয়েক মাস কেন আমি সারাজীবন তোমার জন্য অপেক্ষা করবো।তবে অন্তরার বাবা তার বন্ধুর ছেলের সাথে অন্তরাকে আবার বিয়ে দেবে। তবে অন্তরা ও রাজি তবে বাচ্চা হবার পরে। আসলে অন্তরার রাজি না হয়ে কোন উপায় ছিল না। তবে অন্তরা অনেক বার তার জীবন শেষ করতে চেয়েছিল কিন্তু আবির বলেছে তোমার যতকষ্ঠ হোক তুমি আমার বাচ্চার জন্ম দেবে।তারজন্য অন্তরা নিজেকে বাঁচিয়ে রেখেছে। তাছাড়া বাবার বাড়িতে প্রতিটি দিন যেন অন্তরার অনেক কষ্টে যাচ্ছে। যাইহোক একদিন অন্তরা তার মাকে জানিয়ে আবিরের সাথে দেখা করতে গেল।[চলবে]
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
গল্পটা পড়ে ভালো লাগলো আপু। তবে এভাবে তার বাবা তাকে অসুস্থতার কথা বলে নিয়ে এসেছে,এটা তো এক ধরনের প্রতারণা করেছে মেয়ের সাথে। আর অন্তরা যেহেতু বাচ্চা হবার পরে বিয়ের কথা বলেছে তাহলে পরবর্তী পর্যায়ে কি হয় সেটা জানার অপেক্ষায় রইলাম।
জি আপু এটা অনেক বড় ধরনের প্রতারণা কিন্তু বাবা খারাপ হলে কিছু করার থাকে না।
অন্তরার বাবা এবং অন্তরার বাবার বন্ধুর ছেলে কেমন টাইপের লোক, সেটাই ভাবছি। আবিরের সাথে অন্তরার বিয়ে হয়েছে এবং অন্তরা প্রেগন্যান্ট, এটা জেনে আবারও কিভাবে অন্তরাকে বিয়ে করতে চায়,সেটাই বুঝলাম না। অন্তরা তো বাড়িতে গিয়ে পুরোপুরি ঝামেলায় পরেছে। তাছাড়া আবিরও বেশ ঝামেলায় পরেছে। দেখা যাক পরবর্তীতে কি হয়। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম আপু। যাইহোক গল্পটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জি ভাইয়া পরবর্তী পর্ব তারাতাড়ি নিয়ে আসার চেষ্টা করবো।ধন্যবাদ ভাইয়া।