সখিনার জীবন যুদ্ধের জয়ী হবার গল্প ১ম পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি ।
সখিনার জীবন যুদ্ধের জয়ী হবার গল্প ১ম পর্ব
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছিএকটা গল্প নিয়ে। আমি সপ্তাহে একটি করে গল্প শেয়ার করি।গল্প লিখতে ও পড়তে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর গল্প মানে আমাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনা। আসলে কার জীবনে কখন কি হয় বুঝা মুশকিল। আজ এসেছি আমার বান্ধবীর জীবনের গল্প নিয়ে।যদিও এখানে আমি আমার বান্ধবীর আসল নাম উল্লেখ করছি না। আসলে এটা একটা বাস্তব গল্প। আমি ক্লাস সিক্স থেকে তার সাথে পড়াশোনা করেছি। কয়েক দিন আগে যখন হঠাৎ করেই বান্ধবীর সাথে দেখা হলো।তারপর দু'জন অল্প সময়ে অনেক কথা বললাম। সত্যিই জীবন কখন কেমন হয় বুঝা মুশকিল। একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই জানেন কার জীবনে কি হবে।তবে মানুষ তার চেষ্টা আর পরিশ্রম এর মাধ্যমে নিজের জীবনের চাকা ঘুরাতে পারে। সত্যি সৃষ্টিকর্তা কাউকে নিরাশ করেন না।তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
আমি যখন ক্লাস সিক্স এ ভর্তি হয় ঠিক তখন প্রথম ক্লাসে সখিনার সাথে আমার পরিচয় হয়। আসলে একদিনে তো কখনো কাউকে চেনা সম্ভব নয়। সখিনা প্রথম থেকেই আমার সাথে মেলামিশা করতো।এভাবে বেশ কিছু দিন চলে গেল দুজনের মধ্যে বেশ ভালো সম্পর্ক তৈরি হলো।একদিন সখিনা তার জীবনের কথা বললো।আবার কয়েক দিন আগে যখন দেখা হলো তখন অতীতের সকল কথা বললো।সত্যি মানুষের জীবন পরিবর্তনশীল।যাইহোক সখিনারা ছিল চার ভাইবোন। তবে সখিনা ছিল একা। সখিনা যখন এক বছরের তখন তার মা মারা গিয়েছে।সখিনার মা যখন মারা যায় তখন সখিনার বাবা বিদেশে ছিল। তারপর সখিনাকে তার চাচা ও দাদি দেখাশোনা করতো।সখিনার মা মারা যাবার কিছু দিন পরে সখিনার বাবা বিদেশ থেকে এসে আবার বিয়ে করে।
তবে সখিনাকে তার দাদি দেখাশোনা করে। সখিনার যখন দুই বছর পার হলো তখন তার সৎ মায়ের একটা ছেলে বাবু হলো।তবে সখিনার সৎ মা কখনো সখিনাকে দেখতো না।তারপর সখিনার বাবা আবার বিদেশে চলে গেল। তবে সখিনার যত খরচ তার বাবা আলাদা করে পাঠিয়ে দিত।এভাবে পেরিয়ে গেল বেশ কয়েক বছর। এর মধ্যে সখিনার আর একটা ভাই ও দুই বোন হলো।এভাবে সবাই বড় হতে লাগলো। আবার অন্য দিকে সখিনার দাদি অসুস্থ হয়ে পড়লো।এদিকে সখিনা এসএসসি পাশ করলো।তারপর আমরা একই কলেজে ভর্তি হলাম।সখিনা এখন কোথায় থাকবে তার দাদি আর পারছে না।তারপর সখিনা তার সৎ মায়ের কাছে রইল অন্য ভাই বোনদের সাথে মিলেমিশে।
যেহেতু সখিনা কলেজে পড়ে সে অনেকটাই বড়। সখিনা এখন সব কিছু বুঝতে পারে। সখিনা সকালে কলেজে আসবে তখন তার মা রান্না বসায় না আর রান্না করলেও ভালো কোন কিছু রান্না করে না। আর দুপুরে কলেজ শেষ করে প্রাইভেট পড়ে যেতে যেতে বেজে যায় চারটা পাঁচটা। এদিকে সখিনা একেবারে রাতে গিয়ে পেট ভরে খেতে পারতো।কিন্তু রাতে খাবারের সময় দেখা যায় দুপুরে ভালো কিছু রান্না করলে অন্য ভাইবোনদের সঙ্গে আবার ভাগ করে খেতে হয়।যেহেতু সখিনা নিজে অনেকটাই বুঝে।এভাবে কিছু দিন যাবার পরে সখিনা সিদ্ধান্ত নিল তাদের সাথে আর থাকবে না।আসলে তারা তাকে যেতে বাধ্য করছে। তবে ভাইবোন গুলো মোটামুটি ভালো ছিল সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো সখিনার সৎ মা তাকে ঠিক মতো খাবার দিত না।তারপর সখিনা কলেজ হোস্টলে চলে যেতে চাইল।আসলে সখিনার বাবা তো টাকা পয়সা দেই কিন্তু দেখাশোনা তো করতে পারে না।অবশেষে সখিনা কলেজ হোস্টলে চলে গেল। [চলবে]
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1812855958470881420?t=erUZAcoCpVZMw-XUz6uL8A&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাস্তবভিত্তিক গল্পগুলো পড়তে আমার অনেক ভালো লাগে এবং আমিও মাঝে মাঝে গল্প লিখতে অনেকটাই স্বাচ্ছন্দ বোধ করি। তবে আজকের আপনার এই গল্পটি পড়ে আমারও একটি বান্ধবীর কথা মনে পড়ে গেল। যাই হোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষা করছি, সখিনা হোস্টেলে যাওয়ার পরেই কি কি ঘটনা ঘটবে সেই বিষয়ে অধীর আগ্রহ প্রকাশ করছি।
জি আপু চেষ্টা করবো তারাতাড়ি পরবর্তী পর্ব নিয়ে আসার জন্য। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার বান্ধবী সখিনার গল্পটি ভালো লাগলো। এরকম বাস্তব গল্পগুলো খুব ভালো লাগে পড়তে।সখিনার মা মারা যাওয়ার কারণে দাদার কাছে বড়ো হওয়া সখিনার হোষ্টেল জীবন কেমন হবে এবং পরবর্তীতে কি আছে সখিবার গল্প তা পরবতী পর্বে জানার আগ্রহে রইলাম।
জি আপু পরবর্তী পর্ব তারাতাড়ি নিয়ে আসবো, ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে একটা সন্তানের জীবনে দুঃখ-কষ্ট সব থেকে বেশি তখনই আসে যখন সৎ মা আসে। সখিনার জীবন যুদ্ধের বিষয়টার প্রথম পর্ব আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। দুই সখিনার জন্য অনেক খারাপ লাগতেছে। বিশেষ করে সখিনার উপর তার মায়ের এরকম অত্যাচার শুনে অনেক খারাপ লাগলো। আমি তো মনে করি সখিনা কলেজ হোস্টেলে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে ভালোই করেছে। এখন দেখা যাক সখিনার জীবনে কি হয়। অপেক্ষায় থাকলাম পরবর্তী পর্ব পড়ার জন্য। আশা করছি তাড়াতাড়ি শেয়ার করবেন পরবর্তী পর্বটা।
আসলে আপু পৃথিবীতে মা না থাকলে যা হয় আরকি, চেষ্টা করবো পরবর্তী পর্ব তারাতাড়ি নিয়ে আসার জন্য। ধন্যবাদ আপু।