আমরা শোকাহত
হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন?
আজকের এই পোস্টটা যে এভাবে লিখতে হবে। এটা যেনো কখনো কল্পনাতেও আসেনি। কারণ কোনো মানুষ যখন আমাদের ছেড়ে চলে যায়। তখন সেটা যে কতোটা মৃত্যু যন্ত্রণার সম সেটা আমরা সকলেই জানি। কিন্তু আমরা এটা জানি না যে, যার পরিবারের মানুষেরা চলে যায়। তার সেই মুহূর্তে মনের অবস্থা কেমন থাকে।
জীবন কতোটা অনিশ্চিত, সেটা এখন ভাবতেই যেনো ভয় লাগছে। কারণ যে লোকটা সুস্থ ছিলো দুটো দিন আগেও। যে মানুষটা নিজের পায়ে হেঁটে নিজের পরিবারের মানুষদের সাথে হাঁটাচলা করেছে, কথাবার্তা বলেছে। সে মানুষটাই নাকি হুট করে আমাদের সকলের মাঝ থেকে হারিয়ে গেলেন, এক অজানার উদ্দেশ্যে।
আমরা কেউই দাদার এবং ব্লেক্স ভাই, তনুজা বৌদি, স্বাগতা আপু উনাদের কষ্টটা ভাগ করতে পারবো না। কখনোই সম্ভব নয়। কারণ আমাদের যদি এতোটা খারাপ লাগে। তাহলে উনাদের কতোটা খারাপ লাগছে সেটা ভাবতেও যেনো শরীরটা কেঁপে উঠছে। তার উপরে আমাদের বৌদি অসুস্থ। সব মিলিয়ে উনাদের পরিবারের কতোটা দুর্বিষহ একটা দিন নেমে এসেছে। সেটা সত্যি ভাবতেও আমার ভয় করছে। আর সবচেয়ে বেশি ভয় লাগছে, আন্টির কথা ভাবতে। অর্থাৎ দাদার মায়ের কথা ভাবতে। কারণ আমাদের জীবনে আমরা একটা পর্যায়ে গিয়ে যে মানুষটার উপরে ভরসা করি, জীবনের সবটা মিশিয়ে ফেলি। সে মানুষটা হলো জীবনসঙ্গী। আর এভাবে মাজ রাস্তায় যদি জীবনসঙ্গী হাত ছেড়ে চলে যায়। তাহলে মনটা যে কতোটা টুকরো টুকরো হয়ে যায়, সেটা আসলে আমরা সকলেই জানি।
মৃত্যু এমন একটা ব্যাপার যে ব্যাপারটাকে কেউ আমরা কখনোই আটকে রাখতে পারবো না । হয়তো আজ আছি কাল নেই। হয়তো আজকে হাসিমুখে আছি আর কালকে আমার নাম হয়ে যাবে লাশ। এই শব্দটার সাথে পৃথিবীর কোনো কিছুই যায় না। শুধুমাত্র আমাদের জীবনের ভালো কাজগুলো ছাড়া। আর এটা আমরা সকলেই জানি এবং নানা সময় নানান রকমের গল্প শুনেছি যে, আমাদের দাদার বাবা আসলে কতোটা ভালো একজন মানুষ ছিলেন।কথায় আছে কীর্তিমানের মৃত্যু নেই। এই কথাটিও তাই, উনি পৃথিবী ছেড়ে চলে গিয়েছেন এটা ঠিক। কিন্তু তবুও বেঁচে রইবেন আমাদের মাঝে আজীবন।
দাদাকে কিংবা দাদার পরিবারের সকলকে কিভাবে কোনো ভরসার কথা বলবো কিংবা কিভাবে ধৈর্য ধারণ করার কথা বলবো সেটা আমরা কেউই জানিনা। শুধু একটা কথাই জানি যে, দাদার এখন অনেক বেশি ধৈর্য ধরতে হবে। হাজার কষ্ট হলেও পরিবারকে আগলে রাখতে হবে, যেহেতু উনি বড়। কারণ বড়দের যতো কষ্টই হোক না কেনো। কখনোই উনারা ছোটদের সামনে উনাদের নিজেদের কষ্টটা দেখাতে পারেন না। এটা আসলে অনেকটা বোঝার মতো হয়ে যায়। কারণ না নিজের কষ্ট দেখাতে পারবে, না ছোটদেরকে কষ্টে দেখতে পারবে।সত্যিই দাদার অবস্থাটা কল্পনা করতেও ভয় লাগছে ।
এইসব কখনোই কাটিয়ে উঠার নয়।পিতা চলে যাওয়ার শোক এমন একটা ব্যাপার। যে শোকটা আজীবন মানুষকে কুরে কুরে খায়। কিন্তু না কেউ দেখতে পারে, না চোখের জলটা লুকানো যায়। আমরা আমার বাংলা ব্লগ পরিবার এই মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। এটাই চাওয়া যেনো, সৃষ্টিকর্তা উনার ভালো কাজের পুরষ্কার গুলো উনাকেও ওপারে দেন। ভালো থাকুক আড়ালে থাকা আমাদের সকলের প্রিয় মানুষটি। ভালো থাকুক উনার পুরো পরিবারটি। আজকে আর সত্যিই কিছু বলার নেই।
আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।
This is your beloved @nusuranur.
VOTE @bangla.witness as witness OR || আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সত্যি আপু কিছু বলার নেই আমাদের নিজেরও। আসলে প্রিয় মানুষকে হারালে কতটা কষ্ট হয় যে হারায় সেই বোঝে। মা বাবার জন্য কতটা মায়া সেটা যার মা বাবা নাই সেই অনুভব করতে পারে। আসলে দাদার বাবা হঠাৎ মারা যাওয়ার খবরটা শুনে কালকে নিজের কাছেও বেশ খারাপ লাগলো। কালকে রাতেও আমার এটা নিয়ে ভীষণ মন খারাপ ছিল। কাছের মানুষকে হারিয়ে জানিনা তারা কতটাই কষ্টে আছে। হয়তো আমাদের কাছ থেকে দূরে আছে পুরো পরিবারটি। কিন্তু আমরা সকলেই চাই দাদার পরিবার যাতে নিজেকে সামলে এই শোক থেকে কাটিয়ে উঠতে পারে। দাদার বাবার জন্য অনেক দোয়া রইল যাতে ওপারে ভালো থাকে।
আমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় সত্য হচ্ছে মৃত্যু। চাইলেই কেউ মৃত্যুকে ফাঁকি দিতে পারেনা, এটাই চিরন্তন সত্য। তবে আমরা সবাই শোকাহত এমন একটি মৃত্যুতে। সবার ধৈর্যধারণের জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া রইল।
আমার বাংলা পরিবারের জন্য গতকালের দিনটি খুবই কষ্টের একটি দিন ছিল।দাদাকে শান্তনা দেওয়ার মতো আসলেই কোনো কিছু নেই। পিতৃ শোক কাটিয়ে উঠুক দাদা এমনটাই দোয়া করি।দাদা তার নিজের সবচেয়ে কাছের মানুষ হারিয়ে ফেললেন।যতই শান্তনা দেওয়া হোক না কেন যার হারাই সেই আসলে বুঝে আপনজন হারানোর দুঃখ।দাদার বাবার আত্মার শান্তি কামনা করি।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
নিমিষের মধ্যেই যেন আমার বাংলা ব্লগে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আসলে আমাদের জীবনটা অনিশ্চিত। কখন কে এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবে এটা আমরা কেউই বুঝতে পারি না। দাদা বাবার মৃত্যুর খবরটা যখন শুনেছিলাম তখন সত্যি অন্যরকম হয়ে গিয়েছিলাম। যে মানুষটা আমাদের সাথে হাসিখুশি ভাবে কথা বলেছিল, তার এখন কি অবস্থা বিষয়গুলো ভাবতেই কষ্ট লাগতেছে অনেক বেশি। দাদার বাবার আত্মার শান্তি কামনা করি।
আসলেই হঠাৎ করে এমন একটি সংবাদ শুনবো,সেটা কল্পনাতেও ভাবিনি। আগের দিন রাতে হ্যাংআউট এর সময় দাদা কথা বললেন আমাদের সাথে। তখন তো উনাদের বাড়িতে সবকিছুই স্বাভাবিক ছিলো। কিন্তু পরের দিন দুপুরবেলা দাদার বাবার মৃত্যুর খবরটা শুনে, আমি একেবারে হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলাম। মানে এতটাই অবাক হয়েছিলাম যে,বারবার অ্যানাউন্সমেন্ট চ্যানেলের লেখা গুলো পড়ছিলাম। আমাদের দাদার মতো উনার বাবাও ভীষণ পরোপকারী ছিলেন। ভালো মানুষগুলো আসলেই পৃথিবী থেকে তাড়াতাড়ি বিদায় নেয়। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
কালকের দিনটি আমাদের সবারই খুব খারাপ ভাবে কেটেছে।কোন কিছু বুঝে উঠতে পারছিলাম না।দাদা আর দাদার পরিবারের সকলের মনের অবস্থা খুব খারাপ।দাদা খুব কঠিন সময় পার করছেন।খারাপ লাগছে ভেবে দাদাকে কে স্বান্তনা দেবে সেই স্বান্তনার ভাষা আসলে কারো জানা নেই।এই অভাব পূরণ হবার মতো নয়।দাদা তার পরিবারের সবাইকে আল্লাহ ধৈর্য ধারন করার শক্তি দান করুন এটাই চাওয়া।
এই বিষয়ে আসলে কি বলব সেটা জানা নেই আপু। শুধু প্রার্থনা করা ছাড়া এবং দাদার পরিবার কে ধৈর্য্য ধরতে বলা ছাড়া আর কিছু করার নেই। মৃত্যু অনিবার্য একটা সত্য আমাদের জীবনে। আর এটা যেকোন সময় আমাদের জীবনে নেমে আসতে পারে। উনাদের পরিবারের জন্য খুবই কঠিন সময় এটা।