আগন্তুক নাটকের রিভিউ।
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
আগন্তুক নাটকের রিভিউ। |
---|
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
নাটকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য |
---|
নাটকের নাম | আগন্তুক |
---|---|
পরিচালক | মাহমুদুর রহমান হিমি |
অভিনয় | ফারহান আহমেদ জোবান, কেয়া পায়েল সহ আরো অনেকে |
ভাষা | বাংলা |
মুক্তির তারিখ | ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ |
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
আপনারা এই নাটকের নাম শুনেই বুঝে গিয়েছেন যে নাটকটি কেমন হতে চলেছে। যখন আমি নাটকটি দেখে নিলাম তখন বুঝতে পারলাম যে নাটকটি আসলে কিরকম হয়েছে। আপনারা যদি এই নাটকটি দেখে নেন তাহলে আপনাদের অনেকটাই ভালো লাগবে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক। প্রথমে নায়ককে দেখানো হয় এবং সে বাসা থেকে বের হচ্ছিল। কারণ সে তার ছোটবেলার একমাত্র এবং শেষ বন্ধুকে নিয়ে আসছিল৷ সে তাকে অনেক পছন্দ করতো৷
ছোট থেকে তাকে আগলে রাখার চেষ্টা করতো৷ তাই যখন সে এখন ঢাকা শহরে আসতে চলেছে তার সাথে থাকার জন্য, তাই নায়ক তাকে নিয়ে আসার জন্য বাসস্ট্যান্ডে যায়৷ সেখান থেকে তাকে নিয়ে আসে৷ যখন তার বাসায় আনে তখন নায়িকা বলতে থাকে যে সে তার সাথে এরকম একা বাসায় থাকবে৷ তখন বাড়ির মানুষ কি মনে করবে৷
তখন সে বলে যে এই বাড়ির যে বাড়িওয়ালারা রয়েছে তারা অনেক ভালো৷ তাদেরকে সে সব কিছুই বলে রেখেছে এবং সে যখন নায়িকাকে তাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। তখন নায়িকা তাদেরকে অনেকটাই পছন্দ করে৷ উনাদেরও নায়িকাকে অনেকটাই ভালো লাগে৷
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
এরপর যখন নায়ক অফিসে যায় তখন নায়িকা তাকে ভালোভাবে বিদায় দিয়ে দেয়৷ এরপর যখন সে বাসায় আসে তখন দেখা যায় নায়িকা ও বাড়িওয়ালারা সবাই একসাথে বসে গল্প করছে। তখন নায়ক বলে সে কি তার নিজের বাসায় এসেছে নাকি নায়িকাদের বাসায় এসেছে। যে কিছুতেই সেটি বুঝতে পারছে না।
তখন বাড়িওয়ালারা বলে যে নায়িকা অনেক ভালো এবং সে সবার সাথে খুব ভালোভাবেই সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। এভাবে সম্পর্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে সে সকলের প্রিয় হয়ে গিয়েছে৷ যখন নায়ক এই বিষয়টি শুনতে পারে তখন সে অনেকটাই খুশি হয়ে যায় এবং সে ফ্রেশ হয়ে তাদের সাথে বসে আড্ডা দিতে থাকে৷
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
এরপর একদিন নায়ক তার কলিগের সাথে হাসপাতালে গিয়েছিল৷ যখন সে হাসপাতালে একটু সামনের দিকে এগিয়ে যায় তখন সেখানে সে নায়িকাকে দেখতে পায়৷ নায়ক নায়িকাকে দেখে একেবারে অবাক হয়ে যায় এবং নায়িকাদের জিজ্ঞাসা করে কি হয়েছে৷ তখন তারা দুজন একটি স্থানে গিয়ে বসে এবং সেখানে নায়িকা তাকে সবকিছু খুলে বলে।
যখন নায়িকাকে নায়ক এই অবস্থায় দেখতে পায় তখন নায়ক এতটাই ব্যথিত হয়েছিল যে সে আর কিছুই বলছিল না৷ সে চুপচাপ সেখানে বসেছিল৷ নায়িকা সব কথা তাকে বলছিল এবং সে বলছিল সে এখানে এসেছে শুধুমাত্র একটি কাজ করার জন্য আর সেই কাজটি হল তার যে সন্তান রয়েছে সেই সন্তান যাতে আর এই পৃথিবীতে না আসতে পারে। এই কাজটি করার জন্য সে বাসা থেকে বলে এসেছে সে এখানে চাকরি করার জন্য এসেছে।
তবে সে কোনোমতে এখানে চাকরি করার জন্য আসেনি৷ নায়িকা যে গ্রামে থাকত সেখানে একটি ছেলেকে সে ভালবেসেছিল এবং তাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল৷ তবে শেষ পর্যন্ত সেই ছেলে তাকে ধোঁকা দিয়ে চলে গিয়েছিল৷ এর ফলে নায়িকা অনেকটাই দুঃখে কষ্টে ভুগতে থাকে। সে কিছুতেই চাচ্ছিল না যে তার সন্তান কোন ধরনের পিতৃ পরিচয় ছাড়া এই পৃথিবীতে আসুক। তাই সে হাসপাতালে এসেছিল যাতে করে তার সন্তান এই পৃথিবীতে আর না আসতে পারে৷ তখন নায়ক অনেকটাই তাকে ধমক দিয়ে কথা বলতে থাকে এবং নায়ক একদমই চুপচাপ সেখানে বসে থাকে। সে কিছুই বলে না৷
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
এর ফলে নায়িকা একেবারে ভেঙে পড়ে এবং সে কোনভাবেই কোন কিছু মেনে নিতে পারছিল না। সে যেভাবেই হোক তার এই সন্তান যাতে পৃথিবীতে না আসতে পারে সে চেষ্টা করছিল। তবে নায়ক যখন বাসায় গিয়ে তাকে সবকিছু বোঝাতে থাকে তখন সে কোনভাবেই বুঝতে চেষ্টা করছিল না৷ তখন নায়ক তাকে ভালোভাবে বোঝানোর চেষ্টা করে এবং বলে যে এখানে তো তার কোন দোষ নেই।
তাকে যেহেতু পৃথিবীতে আসার জন্য সৃষ্টিকর্তা পাঠিয়েছেন তাহলে সে অবশ্যই পৃথিবীতে আসবে৷ তার যে সকল দায়িত্ব রয়েছে সব কিছু নায়ক নিবে৷ এরকম প্রতিশ্রুতি নায়ক দিচ্ছিল৷ কারণ নায়ক তাকে অনেক ভালবাসত এবং ছোট থেকে তার প্রতি একটি দুর্বলতা ছিল। তবে সে কখনোই নায়িকাকে বলতে পারেনা৷
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
এরপর শেষ পর্যন্ত যখন সে পৃথিবীতে চলে আসে এবং সেখানে একটি কাগজের উপরে তাদের দুজনের সাইন দেওয়া হয় পিতা এবং মাতার পরিচয়ের জন্য৷ যখন নায়ক তার বাবার পরিচয় দেয় তখন সে অনেকটাই খুশি হয়ে যায়। নায়িকাও অনেকটাই আনন্দিত হয়। তাদের দুজনের এভাবে মিল হয়ে যায়৷ তাদের সন্তানকে নিয়ে তারা সামনের দিকে এগিয়ে চলতে থাকে৷
নায়ক অনেকটাই খুশি হয়ে যায়। সে তার ভালোবাসার মানুষকে পেয়েছে এবং সে অনেক সময় ধরে নায়িকাকে তার ভালোবাসার কথা বলার চেষ্টা করছিল, তবে সে কোনভাবে এই বিষয়টি বলতে পারছিল না। এখন শেষ পর্যন্ত যখন সে এই বিষয়টি বলে দেয় এবং তাদের দুজনের ভালোবাসা এভাবে পূর্নতা পেয়ে তাদের মিল হয় এবং এই নাটকটি শেষ হয়ে যায়৷
আমার ব্যক্তিগত মতামত।
খুবই সুন্দর এবং অসাধারণ একটি নাটক ছিল এটি। আসলে এরকম নাটক দেখা একটি শিক্ষা আমাদের জন্য৷ কেননা অনেকেই আছেন যারা এরকম সম্পর্কে তাদের আগন্তুক যে সন্তান রয়েছে সে সন্তানকে আর এই পৃথিবীতে আসার জন্য দেয় না। এর ফলে অনেক বাচ্চাদের অনেক জায়গায় পড়ে থাকতে দেখা যায়৷ আবার এমন অনেক হয়েছে কিছুদিন আগে আমরা দেখেছিলাম যে বাচ্চাদেরকে ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় বাচ্চাদেরকে ফেলে দিতে দেখা গিয়েছে। আসলে এই নাটক থেকে আমাদের একটি শিক্ষা নেওয়া উচিত সেটি হল যারা এই পৃথিবীতে আসার জন্য মনোনীত হয়ে গিয়েছে তারা এই পৃথিবীতে আসবেই৷ তাদেরকে আমাদের হাসিমুখে গ্রহণ করে নেওয়া উচিত৷ সেটিই হোক পিতৃ পরিচয় ছাড়া৷ এই নাটকের মধ্যে এই বিষয়টিকে খুব ভালোভাবে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। এই নাটকের নামের মধ্যেও এই নাটকের আসল বিষয়টিকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
আমার ব্যক্তিগত মতামত অনুসারে নাটকের রেটিংঃ |
---|
৯.৯/১০
সমাপ্ত
ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের মত এখানে বিদায় নিচ্ছি।আগামিতে অন্য কোন নাটকের রিভিউ নিয়ে আবারও হাজির হবো।ভালো থাকবেন সবাই।আর কষ্ট করে রিভিউটি যারা পড়ছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আজ আর নয়, আপনার নিকটতম এবং প্রিয়জনদের সাথে সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন, নিজের যত্ন নিন। আপনার দিনটি শুভ হোক।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | নাটক রিভিউ । |
অবস্থান | বাংলাদেশ |
আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার।২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে আমি স্টিমিট এ কাজ করি।আর এই প্লাটফর্মে জয়েন করি শখের বসে। আর সে থেকেই আজ অব্দি ভালোলাগা থেকেই কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি,আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভালোবাসাটা বর্তমান সময়ে এমন হয়ে গিয়েছে যে লালসার চাহিদা মেটানো যেন একে অপরের দায়িত্ব। আর এরকম অবস্থান থেকেই তৈরি হয় বিভিন্ন রকমের সমস্যা। আমি মনে করি প্রেম ভালোবাসায় বিয়ের আগে না জানার যথেষ্ট বুদ্ধিমানের কাজ। গল্পের নায়িকা যেভাবে প্রতারিত হয়েছে ঠিক তেমনটাই ভাবে আমাদের সমাজেও প্রতিনিয়তই এরকম ঘটনা ঘটে যাচ্ছে যেগুলো সত্যি অনেক নিন্দনীয়। যাইহোক অবশেষে বাচ্চাটি পৃথিবীতে এসেছে এবং নায়ক তাকে বাবার পরিচয় দিয়েছে শুনে ভালো লাগলো। অপরদিকে দুজনের ভালোবাসা পূর্ণতা পেয়েছে এটা দেখেও ভীষণ ভালো লাগলো। যাইহোক নাটকটি জনসচেতনতামূলক একটি নাটক ছিল আমাদের এই বিষয়টি খেয়াল করে চলা উচিত। সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আগন্তুক নাটক টা আমার এখনো দেখা হয়নি।কয়েকটি ক্লিপ্স দেখেছিলান ফেচবুক থেকে।আজকে আপনার রিভিউ পরে অনেকটা বুঝতে পারলাম সময় করে দেখে নিবো।সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া জোভান এবং কেয়া পায়েল দুইজনের নাটক আমার কাছে কিন্তু বেশ দারুন লাগে। তবে আগন্তুক নাটকটি এখনো পর্যন্ত দেখা হয়নি। কিন্তু আপনার রিভিউ পড়ে বুঝতে পারলাম এই নাটকের মধ্যে একটি শিক্ষা নিয়ে বিষয় রয়েছে। আসলেই বর্তমানে এই ধরনের কাজগুলো অনেক বেশি দেখা যাচ্ছে। কিন্তু আমি মনে করি ছোট্ট শিশুটির প্রতি অন্যায় করা একদমই উচিত নয়। আর এই বিষয়টা আমাদের সবারই বোঝা উচিত। অনেক ভালো লেগেছে আপনার নাটকের রিভিউটা পড়ে।
জোভান এবং কেয়া পায়েলের জুটি টি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনি আজকে কেয়া পায়েল এবং জোভান এর আগন্তুক নাটক টি রিভিউ করেছেন। আসলে বর্তমান সময়ে প্রেম ভালোবাসার জন্য অনেক সন্তান পৃত্রহারা।মূলত সন্তান তো আর জানে না সে কিভাবে পৃথিবীতে এসেছে। আসলে আমার মতে যারা বাবার পরিচয় ছাড়া পৃথিবীতে এসেছেন তাদের কে সুন্দর ভাবে মানিয়ে নেয়া উচিত।
নাটকটির ট্রেইলার যদিও কয়েকবার দেখা হয়েছে। কিন্তু নাটকটি দেখা হয়ে উঠেনি। আপনি বেশ সুন্দর করে পুরো নাটকটির একটি রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা নাটকটির রিভিউ আমার কাছে দারুন লেগেছে। ধন্যবাদ সুন্দর করে নাটকটির রিভিউ শেয়ার করার জন্য।
জোভান ও কেয়া পায়েলের নাটক গুলো আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আপনি আজকে অনেক সুন্দর একটি নাটক আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যদিও নাটকটি আমি দেখিনি তবে সময় পেলে অবশ্যই দেখার চেষ্টা করব। নাটক রিভিউ পড়ে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া।
এই নাটকটা যদিও আমার দেখা হয়নি তবে আপনার রিভিউ পড়ে বেশ ভালো লাগলো। খুব সুন্দর ভাবে পুরো নাটকের রিভিউ দিয়েছেন। নাটকের মূল বিষয়বস্তু সত্যিই দারুন ছিল। আসলে এই নাটক থেকে অনেক কিছু শিখার রয়েছে। ভালো লাগলো আপনার রিভিউ টা পড়ে। সময় করে নাটকটা দেখার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ।
নাটক খুব একটা দেখা হয়ে ওঠে না। মাঝে মাঝে নাটক রিভিউ করার জন্য নাটক দেখা হয়। তবে আপনার এই নাটকটি আমার দেখা হয় নাই। আপনার নাটকের রিভিউ পড়ে বুঝতে পারলাম নাটকটি বেশ সুন্দর। রিভিউ পড়ে নাটকটি দেখার ইচ্ছা জাগছে। সময় পেলে অবশ্যই নাটকটি দেখার চেষ্টা করব।
নাটকটি বেশ চমৎকার আমিও নাটকটি দেখেছিলাম তবে আজকে তোমার রিভিউ দেখে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য।