নিভৃতের জন্য কিছু কেনাকাটা করতে বসুরহাট বিজয় মেলায় একদিন ঘুরাঘুরি।পর্ব এক।
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
নিভৃতের জন্য কিছু কেনাকাটা করতে বসুরহাট বিজয় মেলায় একদিন ঘুরাঘুরি। |
---|
Location
#Device:S-G,M32
নিভৃতের জন্য কিছু কেনাকাটা করতে বসুরহাট বিজয় মেলায় একদিন ঘুরাঘুরি। আসলে নিভৃতের জামা এবং প্যান্টের প্রয়োজন ছিল, তাই ভাবলাম মেলাতে বিভিন্ন রকম কালেকশন থাকে। সেখান থেকে ভালো কিছু জামা কিনে নিয়ে আসবো। রীতিমতো আমরা বের হতে হতে সন্ধ্যে হয়ে গেল। তবুও চলে গেলাম আমরা মেলায় ঘুরতে।
এই বিজয় মেলা অনেক বেশি জনপ্রিয়। বসুরহাটের এই মেলাতে প্রচুর লোকজনের সমাগম হয়। আর আপনারা যেনে অবাক হবেন এই মেলায় সুন্দর সাবলীল ভাবে হেঁটে চলাফেরা করা সম্ভব হয় না অনেক সময়। কেননা মানুষের ভিড়ে একজন একজনের সাথে ধাক্কাধাক্কি করে চলতে হয় এখানে। সেজন্যই আমি ভেবেছিলাম আমার ওয়াইফকে সেখানে নিব না।
Location
#Device:S-G,M32
যাক তারপরও আমি যেহেতু যাচ্ছি তাই ভাবলাম নিয়ে যাই। তবে আমরা যেদিন গিয়েছি সেদিন বেশি একটা মানুষ আসে নাই মেলায়। যার কারণে অনায়াসে হাঁটাচলা করতে সমস্যা হয়নি। যাইহোক পুরো মেলা ঘোরাঘুরি করে দেখতে পেলাম অসংখ্য দোকান। কাপড় দোকান, কসমেটিক দোকান, খাওয়ার দোকান, বিভিন্ন রকম আচারের দোকান, অনেক কিছু সেখানে আছে।অনেক অনেকে দোকান যেটা আসলে বলে শেষ করা যাবে না।
মেলার একাংশে এরকম কাপড় গুলোর দোকান বা অন্যান্য দোকানগুলো ছিল। তবে আরেকটি অংশে ছিল নাগরদোলা এবং নৌকাদোলা সহ আরো অন্যান্য জিনিস। যেগুলো বাচ্চাদেরকে আনন্দ দিবে। আমরা যে এরিয়াতে হেঁটে দেখছিলাম বা নিভৃতে এর জন্য কিছু জামা আর প্যান্ট নিলাম যেখান থেকে, সেখানে প্রচুর গরম। তাই ভাবলাম এখানে বেশিক্ষণ দাঁড়ানো যাবে না। তখন জলদি আমাদের কাজটা সেরে সেই এরিয়া থেকে বের হয়ে গেলাম।
Location
#Device:S-G,M32
তারপর আমরা চলে গেলাম অন্য আরেকটা এরিয়াতে। যেখানে অনেক রকমের খাবারের দোকান রয়েছে। বিশেষ করে সবার চোখে বেশি আকর্ষণীয় যেটি সেটি হল পথের পাশে খাবার গুলো। পথে এ ধরনের খাবার গুলো দেখতে খুব আকর্ষণীয় লাগে। দেখে মনে হবে কি পরিমান সুস্বাদু হবে এই খাবারগুলো সেটা না খেয়ে কল্পনাও করা সম্ভব নয়। কিন্তু বিষয়টি তার উল্টোটা। যদিও কিছুটা সুস্বাদু হয়ে থাকে তবে এটি শরীরের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকারক।
যাই হোক আমি আমার ওয়াইফ কে একটু বললাম এগুলো খাবে? সে মোটামুটি হা অথবা না এর মধ্যে ছিল। আমি যখন বললাম যে এসব খাবারের কোন গ্যারান্টি নেই, বা এগুলো ভালো হয় না। তখন সে বলে না তাহলে এগুলো খাবো না। তখন আমি বললাম আমরা ভালো কোন রেস্টুরেন্টে গিয়ে নাস্তা করব, এখানে এগুলা না খাওয়াই ভালো।এদিক থেকে গরমের মধ্যে আমি ও নিভৃত অনেক ঘেমে গেছি।আর গরমের মধ্যে তাকে কোলে করে নিয়ে চলাফেরা খুবই কষ্ট হচ্ছিল।
যাই হোক চিন্তা করলাম মেলা থেকে বেরিয়ে চলে যাব।পরবর্তীতে যাওয়ার আগে আমরা কিছু শুকনো খাবার সেখান থেকে কিনে নিলাম। যেমন তিলের টপি, মোয়া, আরো কিছু কিনতে চাইলে আমার ওয়াইফ বলে, না বেশি কেনার প্রয়োজন নাই। এগুলো ভালো হয় না খারাপ হয় এটার কোন গ্যারান্টি নেই। তাই আর আমিও কিনলাম না। আমার আবার সমস্যা যেকোনো কিছু কিনতে চাইলে একসাথে অনেকগুলো কিনতে ভালো লাগে। তাই সে আমাকে বারণ করে দিল যে বেশি কিছু নেওয়ার দরকার নেই। তাই দুটো আইটেম নিয়েই আমরা মেলা থেকে বেরিয়ে পড়লাম।
Location
#Device:S-G,M32
তো বন্ধুরা এই ছিল আজকের ব্লগ যেটি আমার মত করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।বাকিটা আগামী পর্বে শেয়ার করব। আর কষ্ট করে ব্লগটা যারা পড়েছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আজ আর নয়, আপনার নিকটতম এবং প্রিয়জনদের সাথে সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন, নিজের যত্ন নিন। আপনার দিনটি শুভ হোক।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | মেলায় ভ্রমণ |
ক্যামেরা.মডেল | এম ৩২ |
ক্যাপচার | @nevlu123 |
সম্পাদনা | রিসাইজ &সেচুরেশন। |
অবস্থান | বাংলাদেশ |
আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আর Nevlu123 নামে আমার একটি ডিসকোর্ড অ্যাকাউন্ট আছে।বর্তমানে আমার তিনটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, আর সেই তিনটি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি আমি স্টিমিট এ কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি, তাই ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
💐💐💥🙏🙏💐
https://x.com/Nevlu123/status/1719532057838424339?s=20
মেলায় ভ্রমণ করতে আমারও ভালো লাগে ভাইজান কারণে এখানে বিভিন্ন প্রকার জিনিস খুঁজে পাওয়া যায় নিজের প্রয়োজন মত। আর আপনার ফটোগ্রাফি দেখে তো বুঝতেই পারছি কত প্রকার আইটেমের জিনিস এখানে জুটে ছিল। ভালো লাগলো কেনাকাটার উদ্দেশ্যে মেলায় গিয়েছিলেন আর তার পাশাপাশি সুন্দর ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করেছেন দেখে।
ঠিক ভাই বিভিন্ন প্রকার জিনিস খুঁজে পাওয়া যায় নিজের প্রয়োজন মত।
মেলায় ঘুরতে আমার কাছে ও অনেক ভালো লাগে। আপনি নিভূতের কাপড় চোপড় কেনার জন্য মেলায় গিয়েছেন।সত্যি ভাইয়া মেলায় বিভিন্ন ধরনের কাপড় চোপড় পাওয়া যায়। আপনারা ঠিক করেছেন, আসলে মেলার এই খোলা খাবার গুলো না খাওয়ায় ভালো। তবে শুকনো খাবার গুলো কিনে এনে অনেক ভালো করেছেন। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
বিভিন্ন রকম কালেকশন মেলায় দেখতে পাওয়া যায় তাই গেলাম আর কি ধন্যবাদ।
ছেলের জন্য জামা কাপড় কিনতে গিয়ে মেলায় খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। এই মেলায় অনেক ভিড় হয়।তবে আপনারা যেদিন গেলেন ওই সময়টাতে খুব একটা ভিড় ছিল না।তাই আপুকেও সাথে নিয়ে গেলেন।আসলে মেলায় গেলে নানা রকমের দোকান দেখলে বেশ ভালোই লাগে।তবে পথের এই খাবারগুলো খুব লোভনীয় লাগলেও স্বাস্থ্যসম্মত নয়।তাই নিভৃতের জন্য কেনাকাটা শেষ করে কোন ভালো রেস্টুরেন্টে খাবেন কিছু ঠিক করলেন।সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
অসংখ্য ধন্যবাদ ব্লগটি পড়ার জন্য।।
বুঝতে পারলাম যে ভাবীর কথা বেশ মানা হয়। যাক নিভৃতের জন্য কেনাকাটা করতে বিজয় মেলায় তো বেশ ভালোই ঘুরাঘুরি করলেন। আমার কিন্তু ভাইয়া মেলায় ঘুরতে বেশ ভালো লাগে। তবে মেলায় যে লোভনীয় খাবার গুলো থাকে সেগুলো কিন্তু শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকারক। তাই আমার মনে হয় না খাওয়াই ভালো।
মানতে তো হবেই কি বলেন 🤣🤣?
মেলায় ঘুরাঘুরি করতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। তবে মেলার বেশিরভাগ জিনিসপত্র কিছুটা নিম্নমানের হয়ে থাকে। মেলায় গিয়ে ভাজাপোড়া দেখলে আসলেই খেতে ইচ্ছে করে, তবে এগুলো শরীরের জন্য বেশ ক্ষতিকর। অতিরিক্ত ভিড় হলে মেয়ে মানুষ নিয়ে মেলায় না যাওয়া উত্তম। যাইহোক সেদিন তেমন ভিড় ছিলো না বলে, বেশ ভালোই ঘুরাঘুরি করতে পেরেছেন। কেনাকাটা এবং ঘুরাঘুরি করে চমৎকার সময় কাটিয়েছেন আপনারা। যাইহোক এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
একদম ঠিক বলেছেন ভাই তবে দেখেশুনে কিনতে হয় আর কি।।
এধরনের মেলায় মানুষের ঢল থাকাটা খুব স্বাভাবিক। তবুও নিভৃতকে নিয়ে বেশ ভালোই কেনাকাটা করেছেন দেখলাম। আর এধরনের মেলায় বিভিন্ন নতুন ধরনের কালেকশন দেখা যায়। খাবারের দোকানগুলো দেখতে ভালো লাগছিল।
জি ভাই ঠিক বলেছেন ভালো থাকবেন।।
আপনাদের বসুরহাটের ঐতিহ্যবাহী মেলার অনেক গুনগান শুনেছি। যদিও কখনো যাওয়া হয়নি। আমার এক ক্লাস ফ্রেন্ড ছিল তাদের বাড়ি ফেনী। তার কাছেই এই মেলার সম্পর্কে শুনেছিলাম। নিভৃতের একটি ছবি দিলে ভালো হতো।দেখতাম আপনার বাবা নিভৃত কি করে। মেলায় গেলে খাবারের জিনিষই বেশি চোখে পড়ে। ধন্যবাদ।
জি ভাই মেলায় গেলে খাবারের জিনিষই বেশি চোখে পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে।