ভ্রমণ:-হঠাৎ করে মিয়াজির ঘাট নদীর কূলে ঘুরতে যাওয়া।
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
হঠাৎ করে মিয়াজির ঘাট নদীর কূলে ঘুরতে যাওয়া। |
---|
বন্ধুরা টাইটেল দেখে বুঝে গিয়েছেন কি বিষয় আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি। মূলত আজকে একটি ভ্রমণ পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে যাচ্ছি। সপ্তাহে একটি করে ভ্রমণ পোস্ট করার ইচ্ছে রয়েছে তবে অনেক সময় করতে পারি না। তাই আজকে চিন্তা করলাম ভ্রমন পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করি। তো বন্ধুরা কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক।
আমরা প্রায় সময় মিয়াজির ঘাটে ঘুরাঘুরি করতে যাই।আর বিশেষ করে সেখানে বসার সুন্দর প্লেস রয়েছে তাই কথাবার্তা বলার জন্য হলেও সেখানে চলে যেতাম। আমার ওয়াইফ বৃষ্টি সব সময় বলতো সেটা কোথায় কোন জায়গাতে অবস্থিত তার দেখার খুব শখ ছিল। সেজন্য তাকে নিয়ে একদিন হঠাৎ করেই বের হয়ে গেলাম। এদিক থেকে নিভৃতের ও ঘুরাঘুরি হবে। তাই রেডি হয়ে বিকেল বেলায় বের হয়ে গেলাম ঘুরতে।
Location
#Device:S-G,M32
আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে এই জায়গাটি অবস্থিত।একটি নদীর উপরে বড় একটা ব্রিজ রয়েছে।আর সেই ব্রিজের নিচেই নদীর কূল নামে একটি কাবাব হাউজ আছে। কাবাব হাউজ টি আসলেই নদীর পাশে যার কারণে এটাকে কেন্দ্র করে নামকরণ করা হয়েছে। সেই কাবাব হাউজটি বেশ চমৎকার এবং সুন্দর করে সাজিয়েছে।
মূলত এই জায়গাটি একটা সময় জমি আর খাল ছিল এবং একটা দড়ি বেঁধে সেই দড়ি ধরে ধরে নৌকা দিয়ে মানুষ পারাপার হত । একটা সময় আমরা সেখানে গিয়ে বসে থাকতাম এবং আমরা কথাবার্তা বলতাম। কিন্তু সেখানে এখন ব্রিজ হয়ে গিয়েছে তাই জায়গাটা দেখতে বেশ চমৎকার লাগে ব্রীজের কারণে। সন্ধ্যাবেলায় অনেক লোকসামাগম হয় সেখানে। মাঝে মাঝে সন্ধ্যায় আমরা নিজেরাও গিয়ে সেখানে বসে আলাপ করি।
Location
#Device:S-G,M32
যাই হোক আমরা সেই মিয়াজির ঘাটে এসে ব্রিজের উপরে গিয়ে পৌঁছে গেলাম এবং আমরা সেখান থেকে নদীর কূল কাবাব হাউজের দিকে নেমে গেলাম। কারণ এটি রাস্তা থেকে অনেক নিচে তাই সিড়ি বেয়ে নামতে হয়। যাই হোক সেখানে ঘোরাঘুরি করলাম ঘুরাঘুরি করে কিছু ফটোগ্রাফিও করে নিলাম।
তারপর সেখানে একটি লোককে ডেকে কাবাবের জন্য অর্ডার দিলাম। লোকটি আমাদেরকে বলে যে এখানে এখনো কাবাব প্রস্তুত হয়নি, আরো এক ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে। তখন মেজাজটা খারাপ হয়ে গেল সাড়ে চারটা বাজে কিন্তু তাদের কাবাব এখনো রেডি হয়নি। এদিকে মনপুরাতে গেলে তিনটা বাজেও কাবাব পাওয়া যায়। যাই হোক পরে নিজেদের মনকে বুঝালাম যে হয়তো তাদের এখানে এই সময় কাস্টমার আসে।আর তাই তারা অনেক লেটে কাবাব বানায় এবং তখন বিক্রি করে।
এরপর কি আর করা সেখান থেকে বের হয়ে চলে গেলাম। তারপর আরেকটি ব্রিজ ছিল সেখানে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করলাম। ঘোরাঘুরি শেষে ফাজিল ঘাটের দিকে একটি দোকান ছিল সেই দোকানে এসে ক্ষীর মোহন, আর ক্ষীরের বানানো দধি খেলাম । তারপর আমরা সেখান থেকে নিজেদের গন্তব্যে ফিরে গেলাম। তবে সত্যি বলতে হুট করে কোন প্ল্যান করলে সেটি আসলে অনেক মজা হয়। কারণ আমরা আসলে সেদিন জানতামই না যে আমরা বের হব।
Location
#Device:S-G,M32
হুট করে মাথায় আসলো আবার হুট করেই বের হয়ে চলে গেলাম ঘুরাঘুরি করতে।ঘুরাঘুরি শেষে আবার পুনরায় নিজেদের বাসস্থানে ফিরে এলাম।এজন্য আপনারাও প্ল্যান নয় বরং হুট করেই বের হয়ে যাবেন দেখবেন এটার মজাটা অন্যরকম। যাইহোক আজকে আর কথা না বাড়িয়ে সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানে বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো ও সুস্থ থাকবেন এই কামনায় বিদায় নিলাম আল্লাহ হাফেজ।
তো বন্ধুরা এই ছিল আজকের ব্লগ যেটি আমার মত করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন।আর কষ্ট করে ব্লগটা যারা পড়েছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | ভ্রমণ। |
ক্যামেরা.মডেল | এম ৩২ |
ক্যাপচার | @nevlu123 |
সম্পাদনা | রিসাইজ &সেচুরেশন। |
অবস্থান | বাংলাদেশ |
আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার।২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে আমি স্টিমিট এ কাজ করি।আর এই প্লাটফর্মে জয়েন করি শখের বসে। আর সে থেকেই আজ অব্দি ভালোলাগা থেকেই কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি,আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।
অনেক সুন্দর একটি লোকেশনে ঘোরাঘুরি করতে গেছিলেন ভাইয়া। আপনার এ বর্ণনা আর ফটোগ্রাফি দেখে অচেনা সুন্দর জায়গা সম্পর্কে বেশ ধারণা পেয়ে গেলাম এবং জানতে পারলাম। মাঝেমধ্যে বাইরের পরিবেশে এমন ঘোরাঘুরি করতে যাওয়াটা ভালো। এদের নিজের যেমন ভালো লাগে তেমন মন মানসিকতার ফ্রেশ থাকে।
সত্যি বলেছেন কোথাও ঘুরতে গেলে মন মানসিকতা ফ্রেশ হয়।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
💤🌿💥
আপনি এবং আপনার ওয়াইফ সহ মিয়াজির ঘাটে ঘুরতে গিয়েছিলেন।মিয়াজির ঘাটের দৃশ্য গুলো দেখে বুঝতে পারলাম জায়গা টি অনেক সুন্দর একটি জায়গা। পরিবেশ টাও একদম মনোরম। বসে আডডা দেয়া এবং গল্প গুজব করার জন্য একটি সেরা জায়গা। আপনারা মিয়াজির ঘাটে বেশ একটা সময় উপভোগ করেছেন।
জি ঠিক বলেছেন ভাই একদম মনোরম পরিবেশ।
আসলে ভাইয়া ভ্রমণগুলো যদি হঠাৎ করে হয় তাহলে আমি মনে করি খুবই ভালো হয়। কিন্তু আগে থেকে প্ল্যান করা ভ্রমণটাও কিন্তু দারুন হয়ে থাকে। যাইহোক হঠাৎ আপনার ভ্রমণ করার ইচ্ছা জাগলো আর মোটর বাইক নিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে পড়লেন। আপনি অবশ্যই নদীর খুলেছে হিমেল হাওয়া সেটা অনুভব করতে মিস করেন নি। ঘোরাঘুরি শেষে আপনারা দুধে ক্ষীর সহ দই খেয়ে নিলেন এতে একটু প্রশান্তি পেয়েছেন যা আপনার পোস্ট দেখে বুঝতে পারলাম। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জায়গাটির বেশ কিছু আলোকচিত্র দেখে খুবই ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি যখন ইচ্ছে জাগে তখনই ঘোরাঘুরি করতে বের হয়ে যাই ধন্যবাদ।
ঠিক বলছেন ভাই হুট করে কোথাও বের হলে সেটার মজাই আলাদা। আপনি যেমন হুট করে খুবই সুন্দর একটা জায়গা ভ্রমণ করলেন। যাইহোক আমরাও চেষ্টা করবো আপনার মত করে হুট করে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার। আপনি এবং বৃষ্টি আপু আপনারা দুইজনেই খুবই সুন্দর একটা জায়গা ভ্রমণ করছেন।নদীর কূল জায়গা টা দেখতে খুবই ভালো লাগলো। আপনি সুন্দর ভাবে সব গুলো বিষয় আমাদের মাঝে উপস্থাপন করছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
আমিও মনে করে হুট করে বের হয়ে যাওয়ার মজাই আলাদা।
কোথাও ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করলে অনেক সময় সেটা হয়ে উঠে না। তার চেয়ে হুটহাট করে কোথাও ঘুরতে চলে গেলে সেটা ভালো হয়। আমরাও মাঝেমধ্যে হুটহাট করে বাসা থেকে বের হয়ে যাই ঘুরতে। যাইহোক মিয়াজির ঘাট নদীর কূলে ঘুরতে গিয়ে বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছেন ভাই। এমন জায়গায় আড্ডা দিতে বেশ ভালো লাগে। আমাদের এখানেও এমন জায়গা রয়েছে। তবে নদীর কূল কাবাব হাউজে কাবাব খেতে পারলে হয়তো আরও ভালো লাগতো। যাইহোক পরবর্তীতে ফাজিল ঘাটের দিকের একটি দোকানে গিয়ে ক্ষীর মোহন এবং ক্ষীরের বানানো দধি খেয়ে মেজাজ ঠান্ডা করেছেন ভাই 😂। সবমিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জি ভাই আসলেই সেই দধি আর ক্ষীর মোহন খেয়েই মেজাজটা ঠান্ডা হলো।
https://x.com/Nevlu123/status/1785477492759023737
হঠাৎ ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা। এটা নতুন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হওয়া যায় আর মনটা খুবই আনন্দ পায়। পাশাপাশি প্রিয়জনদের সাথে করে নিয়ে গেলে ভালোলাগাটা আরেকটু বেশি থাকে। দেখ বেশ ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার এই সুন্দর স্থানে ঘোরাঘুরি করার মুহূর্ত দেখে। বেশ অনেক কিছু জানতে পারলাম আপনার পোষ্টের মধ্যে দিয়ে।
আসলে আপনাদের সাবলীল মন্তব্য পেলে খুব ভালো লাগে।
এটা আপনি ঠিক কথা বলেছেন ভাই। যাইহোক, আপনি এবং বৃষ্টি আপু হঠাৎ করেই মিয়াজির ঘাট নদীর কূলে ঘুরতে গিয়েছিলেন, জেনে খুব ভালো লাগলো। তাছাড়া জায়গাটা দেখতেও কিন্তু বেশ সুন্দর। কিন্তু একটা জিনিস জেনে একটু কষ্ট লাগলো যে, আপনারা ওখান থেকে কাবাব টা খেয়ে আসতে পারলেন না। আর একটু তাড়াতাড়ি কাবাব টা বানালে হয়তো আপনারা সেটা খেয়ে আসতে পারতেন।
জি ভাই তারা যদি আর একটু তাড়াতাড়ি কাবাব টা বানাতো আমরা সেটা খেয়ে আসতে পারতাম।
কি আর করা যাবে ভাই, কপালে ছিল না সেদিন কাবাব খাওয়া, সেটাই মেনে নিতে হবে।
হাহাহা ঠিক ভাই ঠিক।।
হুটহাট কোথাও ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা। কারন প্লান করে কোথাও যেতে গেলে বিভিন্ন বাধা বিপত্তির সম্মখিন হতে হয়। নদীরকুল কাবাব হাউজটা দেখতে সুন্দরই লাগছে। তবে তাদের কাবাব রেডি করতে দেরি হওয়ার কারনটা হতে পারে,কাস্টোমার লেইট করে আসে এই জন্যই। যায়হোক ক্ষীর মোহন,আর দধিটা দেখে দারুন লাগছে। ধন্যবাদ।
আসলেই এটা খুব সুন্দর ভাই।