ভ্রমণ : মুসাপুরে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত
Abb 30 এপ্রিল 2024 বুধবার ✅
আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন? আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো সুস্থ আছি। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে নতুন ব্লগ শুরু করলাম। আজ আমি আপনাদের মাঝে ভ্রমণ করার একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। প্রায় সময় বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আজ ও আমি একটি জায়গায় ঘুরতে গিয়েছি। মাঝে মাঝে ঘুরতে গেলে মন এবং শরীর দুটোই ভালো থাকে। আশা করি আপনাদের সবার অনেক বেশি ভালো লাগবে।
বেশ কিছুদিন আগে ঘুরতে যাওয়ার কথা ভেবেছিলাম। প্রত্যেক সপ্তাহে আমরা ঘুরার চেষ্টা করি। আমি এবং সোনিয়া দুইজন অনেক বেশি ভ্রমণ করে থাকি। এক কথায় বলতে পারেন ভ্রমণ প্রিয় মানুষ। আমাদের আশেপাশে ঘুরাঘুরি করার জায়গা একেবারে কম বললে চলে। যার কারণে কিছু কিছু জায়গা রয়েছে সেগুলোতে আমরা প্রত্যেক সময় যাওয়ার চেষ্টা করি। এক সময় একেক ভাবে উপভোগ করার চেষ্টা করি।
আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় 40 কিলোমিটার দূরে মুসাপুর ক্লোজার অবস্থান করতেছে। অনেক বেশি সুন্দর একটি জায়গা এটা। এই ভ্রমণ জায়গাটি নোয়াখালী তে অবস্থিত। অর্থাৎ নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ অবস্থিত। অনেক বড় পরিসরের মধ্যে এটি অবস্থিত। প্রতিদিন অসংখ্য পর্যটক সেখানে ঘুরতে যান। নোয়াখালী অঞ্চলের মিনি কক্সবাজার নামেও পরিচিত হয়েছে এটি। একই জায়গার মধ্যে অনেকগুলো জায়গা রয়েছে ঘুরার জন্য।
যা আমাদের সবাইকে অনেক বেশি মুগ্ধ করে। ফেনী ছোট নদীর উপর দিয়ে এই মুসাপুর অবস্থিত হয়েছে। এখানে একটি বেরিবাঁধ রয়েছে। বর্ষার মৌসুমে বাঁধটি খুলে দেওয়া হয় এবং গরমের সময় বন্ধ করে রাখা হয়। এছাড়াও নদীর কূল গুলো দেখতে অনেক বেশি সুন্দর হয়। এবং পাশে অনেক বড় একটি ঝাউ বাগান রয়েছে। তাছাড়াও অনেক বড় পরিসরে একটি জঙ্গল রয়েছে। জঙ্গলটা এত বড় যে একদিক থেকে অন্য দিকে যাওয়ার জায়গা নেই। মানুষ ভয়ে ভিতরে যায় না জঙ্গলের। বর্তমানে ধীরে ধীরে গাছপালা কাটায় জঙ্গলটিও অনেক ছোট হয়ে যাচ্ছে।
হয়তো কয়েকটি বছর পরে এই জঙ্গল আর থাকবে না। আমি এবং সোনিয়া মোটরসাইকেল নিয়ে গিয়েছিলাম সেখানে। গিয়ে প্রথমে ঝাল মুড়ি খেয়েছিলাম অনেক মজা করে। সেখানে ঝালমুড়ি অনেক জনপ্রিয়। আর আমার অনেক বেশি পছন্দের এই ঝাল মুড়ি। প্রায় সময় বিভিন্ন জায়গায় গেলে আমি ঝাল মুড়ি খাওয়ার চেষ্টা করি। এবং বাড়িতেও প্রায় সময় ঝাল মুড়ি খাই।
নদীর পাশেই অবস্থান করতেছিল অনেক সুন্দর একটি ছোট নদী। একপাশের সমুদ্রের অপরিষ্কার পানি এবং এক পাশে রয়েছে অনেক বেশি পরিষ্কার পানি। পরিষ্কার পানি খুবই সুন্দর ভাবে রয়েছে। এবং সেখানে মাছ চাষ করা হয়। অনেক বড় আকারের নদীটির মধ্যে বিভিন্ন নৌকা দেখা যায়। এবং মাছ ধরতেও দেখা যায়। যা আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। নৌকাতে ওঠার অনেক বেশি ইচ্ছে ছিল কিন্তু সন্ধ্যার সময় হয়ে যাওয়ার কারণে আমরা আর উঠতে পারিনি। কিন্তু পরবর্তীতে যদি আবার কখনো যাই তাহলে অবশ্যই নৌকায় উঠবো। এবং আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। আশা করি আজকের এ ভ্রমণ পোস্টটি আপনাদের সবার অনেক বেশি ভালো লাগবে।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | ভ্রমণ |
---|---|
ক্যামেরা | Samsung S23 Ultra |
পোস্ট তৈরি | narocky71 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
নিজেকে নিয়ে কিছু কথা
আমার নাম নুরুল আলম রকি। আমার steemit I'd narocky71। আমি বাংলাদেশী নাগরিক । বাংলাদেশে বসবাস করি। তার সাথে সাথে আমি বিশ্বনাগরিক। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি। বাংলা ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করি। আমি বাংলা ভাষাকে ভালবাসি। আমি ফটোগ্রাফি করতে ও ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে জল রং দিয়ে পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। যখনই আমার সময় এবং হাতে টাকা থাকে তখন ভ্রমণ করতে বেরিয়ে পড়ি। বিশেষ করে আমি ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি অনেক বছর আগ থেকে ফটোগ্রাফি করে থাকি। কিন্তু বিশেষ করে ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি বেশি করা হয়। বর্তমানে তার সাথে আর্ট করতে অনেক ভালোবাসি। বর্তমানে আমি বেশি সময় কাটাই আর্ট শিখতে। বর্তমানে আমার স্বপ্ন, আমি একজন ভালো ফটোগ্রাফার, ও একজন ভালো আর্টিস্ট হব। ( ফি আমানিল্লাহ)
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
https://twitter.com/NARocky4/status/1785149006244692136?t=1E6YdgDz-_PvKAznnD0vgQ&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভ্রমণ করতে আমারও ভীষণ ভালো লাগে। আপনারা দুজনেই ভ্রমণ প্রিয় মানুষ। দুজনের পছন্দ এক রকম হলে তো আর কথাই নেই। খুব সুন্দর একটি জায়গায় ঘুরতে গিয়েছেন। ফেনী ছোট নদীর ওপরে এই মুসাপুর অবস্থিত জেনে ভালো লাগলো। জায়গাটা আসলেই খুব সুন্দর এবং মনোরম একটা পরিবেশ। আপনাদের কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
হ্যাঁ আপু জায়গাটা অনেক বেশি সুন্দর।
আসলে ঘুরাঘুরি করলে মন মাইন্ড খুবই ভালো থাকে। সেজন্য প্রায়ই বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাই। বিশেষ করে নিজের জেলার আশপাশ অঞ্চলে যে সকল জায়গায় বসে সুন্দর মুহূর্ত পার করা যায় । আপনি দেখছি ছোট্ট নদীর বেড়িবাঁধের পাশে বসে দারুণ সময় কাটিয়েছেন। মাঝে মাঝে এরকম সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করা সবারই উচিত। তাহলে ভালো লাগবে প্রচন্ড গরমে সবাই খারাপ অবস্থায় রয়েছে। তার মধ্যে এরকম সুন্দর মুহূর্ত সত্যিই অনেক বড় পাওয়া।
আসলে এরকম মুহূর্ত উপভোগ করা উচিত আমাদের এখন। সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
নোয়াখালি জেলার মিনি কক্সবাজার খ্যাত মুসাপুর ভ্রমণ নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনার বর্ণনা ও ছবি দেখে মনে হচ্ছে জায়গাটি অনেক সুন্দর। আসলে আমাদের দেশের আনাচে কানাচে অনেক দর্শনীয় স্থান আছে, যা প্রচারের কারণে অনেকেই তা জানিনা। আপনার পোস্টের মাধ্যমে মুসাপুর সম্পর্কে ধারণা পাওয়া গেল। পোস্টের ছবি গুলোও অনেক সুন্দর হয়েছে। মুসাপুর ভ্রমণ নিয়ে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার পোষ্টের মাধ্যমে মুসাপুর সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন শুনে খুব ভালো লাগলো।
অনেক সুন্দর একটি স্থানে পরিবারসহ ঘুরতে গেছিলেন। আর সে জায়গাটা আমাদের মাঝে খুব সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে শেয়ার করেছেন। বেশ ধারণা পেয়ে গেলাম আপনাদের এই অচেনা জায়গা ভ্রমণ দেখে। ভালো লাগলো আপনাদের মূল্যবান সময়টা আমাদের মাঝে ব্যক্ত করেছেন দেখে।
চেষ্টা করেছি ঘুরাঘুরি করার মুহূর্তটা আপনাদের মাঝে সুন্দর করে শেয়ার করার জন্য।
প্রথমে আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই ভাইয়া ভ্রমণ বিষয়ক একটি সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য। আপনার আজকের পোষ্টের মধ্য দিয়ে নতুন একটি জায়গা সম্পর্কে বেশ ধারণা পেলাম। অনেক সুন্দর উপস্থাপনা ছিল আপনাদের আজকের পোস্টে। যেখানে মুসাপুরে ঘুরতে গিয়ে বেশ অনেকগুলো চিত্র ধারণ করেছেন। আর সে চিত্রগুলো বর্ণনার সাথে উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে। খুবই ভালো লাগলো আপনার এই ভ্রমণ পোস্ট পড়ে।
মুসাপুর ঘুরাঘুরি করার পাশাপাশি সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফিও করার চেষ্টা করলাম।
আপনার মতো আমিও ঘুরাঘুরি করতে ভীষণ পছন্দ করি। তাইতো বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া হয় ঘুরাঘুরি করতে। যাইহোক বিকেল বেলা এমন জায়গায় সময় কাটাতে খুব ভালো লাগে। তাছাড়া এমন জায়গায় গিয়ে ঝালমুড়ি এবং বিভিন্ন ধরনের স্ট্রিট ফুড খেতে দারুণ লাগে। নৌকায় চড়তে পারলে হয়তোবা আরও বেশি ভালো লাগতো আপনাদের। ফটোগ্রাফি গুলো দারুণভাবে ক্যাপচার করেছেন ভাই। সবমিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম। যাইহোক মুসাপুর ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে ঘুরাঘুরি করতে ভালো লাগে তাই মাঝে মাঝেই ঘুরতে বের হয়ে যাই। চেষ্টা করলাম আপনাদের মাঝে মুহূর্তটা ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
আপনাদের মুসাপুর ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত টা দেখে বেশ ভালো লাগলো ভাই। ঠিকই বলেছেন, মাঝে মধ্যে ঘুরতে গেলে শরীর আর মন দুটোই খুব ভালো থাকে। আপনি আর সোনিয়া আপু মাঝেমধ্যে ঘুরতে যান দেখছি। এর আগেও বেশ কয়েকটি সুন্দর সুন্দর ভ্রমণ পোস্ট দেখেছি আপনাদের। ঝাল মুড়ি টা দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু ছিল।
আমরা বেশিরভাগ সময় ঘুরতে যাই। আর সেগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করে থাকি, যার কারণে দেখেছেন।
মুসাপুরের জায়গাটি খুবই সুন্দর তো। বিশেষ করে নদীর সাইডে বিকালে বাতাস থাকে অনেক। এমন জায়গায় গিয়ে বসে খাওয়া-দাওয়া করতে পারলে ভালো লাগবে। নাশিয়া মামনি ও সোনিয়া আপুকেও নিয়ে গিয়েছিলেন তাহলে। সময়টা উপভোগ করেছেন ভালো করে।
হ্যাঁ নদীর পাশে অনেক বাতাস থাকে বিকেল বেলায়, তাই আরো ভালো লেগেছিল।