ভ্রমণ : নাশিয়াকে নিয়ে শিশু পার্কে ঘুরাঘুরি করার মুহূর্ত।

in আমার বাংলা ব্লগ11 days ago

Abb 30 জুন 2024

বিসমিল্লাহি ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলাইকা ইয়া রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।

20240325_122407.jpg

আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন? আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো সুস্থ আছি। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে নতুন ব্লগ শুরু করলাম। আজ আমি আপনাদের মাঝে ভ্রমণ করার একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। প্রায় সময় বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আজ ও আমি একটি জায়গায় ঘুরতে গিয়েছি। ‌মাঝে মাঝে ঘুরতে গেলে মন এবং শরীর দুটোই ভালো থাকে। আশা করি আপনাদের সবার অনেক বেশি ভালো লাগবে।

20240325_122300.jpg

আপনারা ইতিমধ্যে জানেন আমি প্রতিনিয়ত ঘুরাঘুরি করতে অনেক বেশি পছন্দ করি। প্রায় সময় সোনিয়াকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাই। অনেক জায়গায় যাওয়ার সময় মেয়েটাকে নেওয়া হয় না। তাই কিছুদিন আগে হঠাৎ করে শুধু মেয়েকে নিয়ে কোথাও যাওয়ার চিন্তা করলাম। আশেপাশে কোথাও কোন জায়গা খুঁজে পাচ্ছিলাম না। হঠাৎ করে ফেনীতে একটি শিশু পার্কের কথা মনে পড়লো।

20240325_122304.jpg

শুধু মেয়েটাকে নিয়ে রওনা দিয়ে দিলাম। কি হবে তা বুঝতেছিনা। সেখানে যাওয়ার পর যদি কান্না করে তাহলে কি করব। তারপরও মেয়েকে আনন্দ দেওয়ার জন্য চলে গেলাম ফেনী শিশু পার্কে। প্রথমত ১৫ টাকা করে দুইটি টিকেট কিনে নিলাম। এরপর ঢুকে গেলাম শিশু পার্কের ভিতর। ঢোকার পর শিশু পার্কের পরিবেশ দেখে ভীষণ ভালো লাগলো।

20240325_122317.jpg

মেয়েটা আমাকে ছেড়ে দৌড়াতে শুরু করল। অনেকগুলো দোলনা সহ বিভিন্ন রাইড গুলোতে উঠতে লাগলো। একবার এক একটাতে ওঠার জন্য অনেক বেশি বায়না করতেছিল। মাঝে মাঝে কান্নাও করে যেন অন্যদিকে নিয়ে যাই। অর্থাৎ দোলনায় ওঠার পর অন্য জায়গায় চলে যেতে চায়। এক জায়গায় বেশিক্ষণ বসে থাকতে চায় না। কিছুক্ষণ পর দেখলাম দোলনার মধ্যে অনেকক্ষণ সময় কাটাচ্ছিল। অনেক বেশি খুশি ছিল দোলনায় উঠে।

20240325_122329.jpg

আসলে দোলনা আমার নিজের কাছেও অনেক বেশি ভালো লাগে। প্রায় সময় সোনিয়াকে নিয়ে একটি জায়গায় গিয়ে দোলনায় বসে সময় কাটায়। বিশেষ করে বিকেল বেলা। মাঝে মাঝে বিকেলে অনেক বেশি খারাপ লাগে। তখন পার্কের মধ্যে বসে দোলনায় সময় কাটাতে অনেক ভালো লাগে আমাদের কাছে। মেয়েটার আনন্দ দেখে অনেক বেশি আনন্দিত হলাম।

20240325_122359.jpg

আসলে সবকিছু তো তাদের খুশির জন্যই করা হয়। কিন্তু তাদের আনন্দটা সঠিকভাবে ফুটে উঠে না। প্রায় সময় বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার সময় তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। আর তার আনন্দ দেখলে ভীষণ ভালো লাগে। কিছুক্ষণ পার্কের মধ্যে ঘুরাঘুরি করার পর হঠাৎ করেই একটি দোকান চোখে পড়ল। দোকান দেখেই তো বায়না গুলো শুরু হয়ে গেছে।

20240325_122636.jpg

যখন তার মা নেই পাশে তাই জন্য সব আবদার আমার কাছে। আমি আর কি করবো। গেলাম দোকানের মধ্যে। প্রথমত চিপস নিয়েছিল, দোকানদার যখন চিপস দিয়েছিল এরপরে চকোলেট দিতে বলল। দোকানদার যখন চকলেট দিল, সে লিচুর জন্য বায়না শুরু করলো। অর্থাৎ একটি জিনিস চাওয়ার পর যখন দোকানদার তাকে দিচ্ছে তখন অন্য আরেকটি জিনিস যাচ্ছিল। কিনে না দিলে আবার কান্না করার ভাব।

20240325_122653.jpg

আমি নিজেও পড়ে গেলাম বিপদে। এমনিতে দুপুরের সময় এগুলো খেলে তো শরীর খারাপ করতে পারে। একে একে অনেকগুলো জিনিস কেনার পর একটি প্যাকেটের মধ্যে রাখলাম। এরপর একে একে বিভিন্ন রাইড গুলোর মধ্যে, তাকে উঠাতে লাগলাম। একটি মধ্যে উঠলে কিছুক্ষণ পর নেমে যেতে চায়। দূর থেকে অন্য আরেকটা দেখিয়ে দেয়। যখন ওইটাতে নিয়ে ওঠায় তখন অন্য আরেকটাতে উঠবে বলে। এভাবে যতক্ষণ ছিলাম ততক্ষণে একবার এক একটা আর মধ্যে উড়তে চায়।

20240325_122816.jpg

এ বিষয়টা একটু খারাপ লেগেছিল। কিন্তু কি করার কিছু বললেই তো কান্না করে দিবে। এরপরেও তার ইচ্ছা মত সবগুলো রাইড এর মধ্যে উঠালাম। অনেক বেশি খুশি ছিল। তার খুশি দেখে আমার নিজের কাছেও অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। আসলে মাঝে মাঝে বাচ্চাদেরকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় গেলে তারা অনেক বেশি খুশি হয়। আর যখন তারা খুশি থাকে তখন তাদের মাইন্ড অনেক বড় হতে থাকে। যার কারণে সব সময় বাচ্চাদের হাসিখুশি রাখা খুব প্রয়োজন। এরপর শিশু পার্ক থেকে বের হয়ে আমরা একটি হোটেলের মধ্যে খাওয়া-দাওয়া করে নিলাম। খাওয়া দাওয়া করার পর আমরা পুনরায় বাড়িতে চলে আসলাম। এভাবে কাটিয়ে দিলাম মেয়েকে নিয়ে শিশু পার্কের মধ্যে। কেমন লেগেছে অবশ্যই মন্তব্য করে বলবেন। আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল।

20240325_122817.jpg

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীভ্রমণ
ক্যামেরাSamsung S23 Ultra
পোস্ট তৈরিnarocky71
লোকেশনবাংলাদেশ

নিজেকে নিয়ে কিছু কথা

আমার নাম নুরুল আলম রকি। আমার steemit I'd narocky71। আমি বাংলাদেশী নাগরিক । বাংলাদেশে বসবাস করি। তার সাথে সাথে আমি বিশ্বনাগরিক। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি। বাংলা ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করি। আমি বাংলা ভাষাকে ভালবাসি। আমি ফটোগ্রাফি করতে ও ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে জল রং দিয়ে পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। যখনই আমার সময় এবং হাতে টাকা থাকে তখন ভ্রমণ করতে বেরিয়ে পড়ি। বিশেষ করে আমি ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি অনেক বছর আগ থেকে ফটোগ্রাফি করে থাকি। কিন্তু বিশেষ করে ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি বেশি করা হয়। বর্তমানে তার সাথে আর্ট করতে অনেক ভালোবাসি। বর্তমানে আমি বেশি সময় কাটাই আর্ট শিখতে। বর্তমানে আমার স্বপ্ন, আমি একজন ভালো ফটোগ্রাফার, ও একজন ভালো আর্টিস্ট হব। ( ফি আমানিল্লাহ)


3W72119s5BjVs3Hye1oHX44R9EcpQD5C9xXzj68nJaq3CeF5StuMqDPqgYjRhUxqFbXTvH2r2mDgNbWweA4YGBo825oLh4oqEqeynn5EZL11LdCrppngkM (1).gif


VOTE @bangla.witness as witness

witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_proxy_vote.png

আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ,
💖ধন্যবাদ💖

Sort:  
 11 days ago 

মাঝে মাঝে আপনি সোনিয়া আপুকে নিয়ে দোলনায় বসে সময় কাটান জেনে সত্যি খুবই ভালো লাগলো। সত্যি বলতে গেলে দোলনায় চড়তে আমার কাছেও ভীষণ ভালো লাগে। নাশিয়া কে নিয়ে রাজাঝির দিঘীর পাড় শিশু পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে অনেক সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আর আপনার ফটোগ্রাফি গুলোর মধ্যে জায়গাটিকে বেশ সুন্দর লাগলো। ফটোগ্রাফির মধ্যে নাশিয়া কে দেখতেও বেশ ভালো লাগছে অনেক হাসিখুশি। আপনার পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

 8 days ago 

দোলনায় চড়তে আপনার কাছেও ভালো লাগে জেনে খুশি হলাম।

 11 days ago 

আমি তো জানি ভাইয়া আপনি যেমন খেতে পছন্দ করেন, তেমনি করে ঘুরতেও পছন্দ করেন। এবার তো দেখছি নাশিয়া কে নিয়ে শিশু পার্কে আপনি ভালোই ঘুরে বেড়িয়েছেন। তবে নাশিয়ার দুষ্টুমি কিন্তু আমার বেশ ভালো লেগেছে। একটায় উঠে বেশক্ষন ভালো লাগে না তার। ঠিক আমার মত। তবে অপেক্ষায় রইলাম হোটেলে কি খেলেন আর কি খেলেন না সেটা জানার জন্য।

 8 days ago 

হ্যাঁ, আমি খেতে এবং ঘুরতে দুটি অনেক বেশি পছন্দ করি।

 11 days ago 

নিয়ে শিশুদের নিয়ে ভ্রমণ করলে তারা অনেক আনন্দিত হয়
নাশিয়াকে নিয়ে আপনি খুবই দারুণ একটি সময় পার করেছেন। আর এই শিশু পার্কে এগিয়ে না সে অনেক খুশি হয়েছে। ওর ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লাগলো।

 8 days ago 

আমার মেয়ে আসলে অনেক খুশি হয়েছিল শিশু পার্কে গিয়ে।

 11 days ago 

আসলে মা সাথে না থাকলে বাবা কেই সেই আবদার গুলো পূরণ করতে হয়। আপনি আপনার মেয়ে কে ফেনী শিশু পার্কের মধ্যে ঘুরতে নিয়ে গিয়েছিলেন।আর সেই পার্কের মধ্যে ঘুরতে গিয়ে আপনার মেয়ে অনেক বায়না ধরেছিল, আর আপনি আপনার মেয়ের প্রতিটি আবদার পূরণ করেছিলেন।বাবা এবং মেয়ের ভালোবাসা দেখে বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে।

 8 days ago 

হুম চেষ্টা করলাম এবারে বাবা মেয়ে দুজনে একা যাওয়ার জন্য।

 11 days ago 

নাশিয়াকে নিয়ে শিশু পার্কে ঘুরাঘুরি করার মুহূর্ত সত্যিই অসাধারণ ছিল। ওকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে পাই আমি মুগ্ধ হলাম।নাশিয়া অনেক বড় হয়ে গিয়েছে। আর বাবা মেয়ে মিলে খুবই সুন্দর সময় পার করেছেন।

 8 days ago 

আসলেই মুহূর্তটা অনেক বেশি অসাধারণ ছিল। নাশিয়া ও আনন্দ করেছিল অনেক বেশি।

 11 days ago 

আসলেই মাঝে মাঝে ঘুরতে গেলে শরীর এবং মন দুটোই ভালো থাকে। নাশিয়াকে নিয়ে খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন। পার্কের টিকিটের মূল্য তুলনামূলক কম ছিল আর পরিবেশটাও ভীষণ সুন্দর। নাশিয়াকে প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফিতে ভীষণ খুশি দেখাচ্ছে। আসলে বাচ্চারা এরকম খোলামেলা পরিবেশে দারুন ইনজয় করে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য।

 8 days ago 

হ্যাঁ আপু এই পার্কের পরিবেশটাও অনেক বেশি সুন্দর ছিল।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 11 days ago 

নাশিয়া পার্কের মধ্যে গিয়ে বিভিন্ন রকম রাইডে চড়তে এমনিতেই অনেক বেশি ভালোবাসে। আর ঐদিন তো দেখছি তোমার সাথে একা একা গিয়েও অনেক ভালো মুহূর্ত কাটিয়েছিল। তার আনন্দ দেখে সত্যি অনেক বেশি ভালো লাগতেছে। যখন সে বাড়িতে এসেছিল তখন তো আমাকে বারবার করে বলছিল, আম্মু আজকে অনেকগুলো রাইডে চড়েছি। অনেক বেশি মজাও করেছিল নাকি। আর এটাও বলেছিল তুমি ওকে অনেক কিছু কিনে দিয়েছো। আসলে এমনিতেই সে দোকানের খাবার খেতে পছন্দ করে। আর ওই দিন তো আরো বেশি করে কিনে দিয়েছিলে কান্না করে দিবে বলে। যাইহোক মেয়ের আনন্দই আমাদের আনন্দ। মুহূর্তটা শেয়ার করলে দেখে ভালো লাগলো।

 8 days ago 

হ্যাঁ নাশিয়া অনেকগুলো রাইডে চড়েছিল। আর দোকান থেকে তার পছন্দমত সবকিছু কিনে দেওয়ার পর তো আরো খুশি হয়েছে।

 11 days ago 

বাচ্চাদেরকে নিয়ে বাইরে ঘোরাঘুরি করার মজাই আলাদা। বিশেষ করে বাচ্চাকে দের কে নিয়ে পার্কে গেল অনেক খুশি হয়। সেখানে খুব সুন্দর খেলাধুলার আইটেমস থাকে। এছাড়াও থাকে বিভিন্ন ধরনের পশু পাখির দৃশ্য। পার্কের প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলো খুব মনোরমভাবে সাজানো থাকে। মেয়েকে নিয়ে ঘোরাঘুরি করলেন অনেক ভালো লাগলো মুহূর্তটি শেয়ার করার জন্য।

 8 days ago 

আসলেই আপু বাচ্চাদেরকে নিয়ে ঘুরাঘুরি করার মধ্যে আলাদা মজা রয়েছে।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.13
JST 0.029
BTC 58000.61
ETH 3105.20
USDT 1.00
SBD 2.42