lifestyle:- পরিবারের সবাইকে নিয়ে বিরিয়ানি খাওয়ার মুহূর্ত
ABB 7 জানুয়ারি ২০২৪ রবিবার
আসসালামু আলাইকুম। সবাই কেমন আছেন? আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো সুস্থ আছি। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে নতুন ব্লগ শুরু করলাম। আজ আমি আপনাদের মাঝে খুব চমৎকার খুব সুন্দর একটি মুহূর্তের কথা শেয়ার করব। এই মুহূর্তগুলোর কথা মাঝে মাঝে শেয়ার করতে পারলে অনেক ভালো লাগে। চলুন শুরু করা যাক।
আসলে পরিবারের সবাইকে নিয়ে যেকোন অনুষ্ঠান করতে ভীষণ ভালো লাগে। আজ কয়েক দিন যাবত ভাবতেছি সবাইকে নিয়ে বিরিয়ানির আয়োজন করার কথা। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে তা করা হচ্ছিল না। প্রথমে চিন্তা করেছিলাম আমরা সবাই, রেস্টুরেন্টে গিয়ে এই আয়োজনটি করব। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে তা সম্ভব হয়নি। পরে প্রথমে আমার মাকে বললাম বিরিয়ানি খাবার কথা। কিন্তু মা রাজি ছিল না বাহিরে যাওয়ার কথা।
বলল এখন সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে প্রচুর ঠান্ডা বাহিরে। রেস্টুরেন্টে গিয়ে আসতে ঠান্ডা লেগে যাবে। বিশেষ করে আমাদের রাস্তাটির কাজ চলতেছে । এজন্য বাজারে যেতে হলে অনেক কষ্ট করে যেতে হবে। শুধু মোটরসাইকেল নিয়ে খুব সহজে যাওয়া যায়। রিকশায় করে যেতে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। তারা অনেক দূর ঘুরে নিয়ে যায়। এবং সেই রাস্তাটি অনেক ভাঙ্গা।
রিকশায় করে যেতে শরীর ব্যথা হয়ে যায়। এজন্যই মা তার জন্য রাজি হলো না। এজন্য পড়ে চিন্তা করলাম মোটরসাইকেল নিয়ে পার্সেল নিয়ে আসে। তাহলে আমরা পরিবারের সবাই একসাথে বসে খেতে পারব। বিশেষ করে আমার ছোট বোন বাসায় ছিল না, এবং ছোট ভাই ও বাসায় ছিল না। তারা দুজন বেড়াতে চলে গিয়েছিল। এজন্য মানুষ খুব কম ছিল। শুধু আমি সোনিয়া নাসিয়া আমার মা । আমরা আমরা খুবই সুন্দর আয়োজনটি করি।
এরপরে হঠাৎ করে চলে গেলাম বাজারে কাচ্ছি বিরিয়ানি আনার জন্য। খাসির কাচ্ছি বিরিয়ানি আমার খুব পছন্দের। এবং আমার পরিবারের সবারও খুব পছন্দ। এর আগেও কয়েকবার আমরা বাড়িতে কাচ্চি বিরিয়ানির আয়োজন করেছিলাম। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে যখন আমি রেস্টুরেন্টে গেলাম বিরিয়ানি আনার জন্য, তখন খাসির কাচ্ছি বিরিয়ানি পেলাম না। মনে খুব কষ্ট পেলাম। কিন্তু বিরিয়ানি খাওয়ার কথা ভেবেছিলাম। এজন্য চিন্তা করলাম অন্য যায়নি হলেও নিয়ে যাই।
এজন্য অন্য বিরিয়ানি নিয়ে আসলাম। চিন্তা করেছিলাম আজ ভিন্ন টা খেলে হয়তো আরো বেশি ভালো লাগবে। কিন্তু সত্য যে কাচ্চি বিরিয়ানির মত স্বাদ পেলাম না। সবার কাছেই এত বেশি ভালো লাগে নাই। সবাই খেয়েছিল সত্য কিন্তু তৃপ্তি ফেলো না। বিরিয়ানির চাউল গুলো শক্ত রয়ে গিয়েছিল। এত দামী দামী প্রতিষ্টান হাজী বিরিয়ানি থেকে এনেছিলাম শুধু সুস্বাদু পাওয়ার জন্য। কিন্তু আমাদের কারো কাছেই তা মনে হয় নাই। তখন সবাই আমাকে অনেক বকাঝকা করল। কারণ কাচ্ছি বিরিয়ানি যখন পেলাম না। তখন কাবাব নিয়ে আসার জন্য বলল।
আমি চিন্তা করলাম কাবাব সব সময় খাওয়া হয়। আমার জীবনে অসংখ্য বার কাবাব খেয়েছি। যা গুনে শেষ করতে পারবো না। কারণ সবাই জানে আমি কাবাব খুব পছন্দ করি। এজন্য যে কেউ ট্রিট দিলেও আমাকে কাবাব খাওয়াই শুধু। আমিও আর নিষেধ করি না। কিন্তু বর্তমানে কাচ্ছি বিরিয়ানি খেতে খুব বেশি পছন্দ করি। এজন্য বর্তমানে খেয়ে থাকি। হল আজকের এই পরিবারের সবাইকে নিয়ে খাওয়ার মুহূর্ত। মাঝে মাঝে পরিবারের সবাইকে নিয়ে খেতে ভীষণ ভালো লাগে। আমার কাছে যেমন ভালো লাগে তেমনি পরিবারের অন্য সবার কাছেও ভীষণ ভালো লাগে। আমি আশা করি আপনাদের সবার কাছেও আজকের এই মুহূর্তটা অনেক বেশি ভালো লাগবে।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | লাইফ স্টাইল |
---|---|
ক্যামেরা | Samsung S23 Ultra |
পোস্ট তৈরি | narocky71 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
নিজেকে নিয়ে কিছু কথা
আমার নাম নুরুল আলম রকি। আমার steemit I'd narocky71। আমি বাংলাদেশী নাগরিক । বাংলাদেশে বসবাস করি। তার সাথে সাথে আমি বিশ্বনাগরিক। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি। বাংলা ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করি। আমি বাংলা ভাষাকে ভালবাসি। আমি ফটোগ্রাফি করতে ও ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে জল রং দিয়ে পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। যখনই আমার সময় এবং হাতে টাকা থাকে তখন ভ্রমণ করতে বেরিয়ে পড়ি। বিশেষ করে আমি ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি অনেক বছর আগ থেকে ফটোগ্রাফি করে থাকি। কিন্তু বিশেষ করে ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি বেশি করা হয়। বর্তমানে তার সাথে আর্ট করতে অনেক ভালোবাসি। বর্তমানে আমি বেশি সময় কাটাই আর্ট শিখতে। বর্তমানে আমার স্বপ্ন, আমি একজন ভালো ফটোগ্রাফার, ও একজন ভালো আর্টিস্ট হব। ( ফি আমানিল্লাহ)
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/NARocky4/status/1743858171972927841?t=3a_jH3rmtSOATVsnLurm-w&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাহ পরিবার নিয়ে চমৎকার বিরিয়ানি খাওয়া মূহুর্ত উপভোগ করেছেন। আসলে এধরনের আয়োজন পরিবারের সবার মাঝে আনন্দের নতুন মাত্রা যোগ করে। আপনাদের সবাইকে একসাথে দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাই মুহূর্তটা ভাগ করে নেয়ার জন্য।
বিরিয়ানি খাওয়ার মুহূর্তটা সত্যি বেশ ভালোভাবে উপভোগ করেছিলাম সবাই মিলে।
পরিবারকে নিয়ে একসাথে খাওয়ার মুহূর্তটা সত্যি অসাধারণ। আপনি অনেকদিন হলো ভাবতে ছিলেন পরিবারের সাথে ভালো একটা সময় উপভোগ করবেন। যাই হোক সন্ধ্যা এবং প্রচন্ড শীত থাকার কারণে বাইরে রেস্টুরেন্টে গিয়ে খেতে পারেন নি আপনার মা-ও নিষেধ করেছে। তারপরেও মোটরসাইকেল নিয়ে পার্সেল করে এই বিরিয়ানি নিয়ে এসে বাড়িতে সবাইকে সাথে নিয়ে খাওয়ার মুহূর্তটা কিন্তু অনেক বেশি ভালো লেগেছে। তবে আপনার ছোট ভাই ও বন্ধু ছিল না তারা থাকলে আরো বেশি মজা হত।
হ্যাঁ ভাই তারা থাকলে আরো বেশি মজা হত।
পরিবারের সবাইকে নিয়ে বিরায়ানি খাওয়ার মজাই আলাদা। যদিও আন্টি রেস্টুরেন্ট জেতে রাজি হলোনা । এই কারণে বাজার থেকে বিরায়ানি নিয়ে আসলেন। তবে ভাইয়া কাচ্ছি বিরিয়ানি না পেলে কি হয়েছে অন্য বিরায়ানি নিয়ে আসলেন এটাই বড় কথা। আর সবাই মিলে একসাথে বসে খেতে আলাদা একটা ভালো লাগে। তবে নাশিয়া অনেক খুশি হয়েছে তার হাঁসি দেখে বোঝা যাচ্ছে। অনেক সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ ভাই নাশিয়া অনেক বেশি খুশি হয়েছিল।
পরিবারের সবাইকে নিয়ে বিরিয়ানি খাওয়ার মুহূর্ত অসাধারণ। বাড়ির সবাই মিলে বাইরে যেতে চেয়ে ছিলেন।তবে আনার মা না রাজি হওয়াতে বাসাই নিয়ে এসে একসাথে খাওয়ার মুহূর্ত অসাধারণ ছিলো।
বাসায় আসার কারণে ভালো লাগছিল।
তাহলে ভাইয়া পরিবারের সবাইকে নিয়ে মজা করে বিরিয়ানি খেয়ে ফেলেছেন। তবে শুনেছি আপনাদের ওদিকে রাস্তাগুলোর কাজ চলতেছে। এই কারণে আংটি রেস্টুরেন্টে যেতে রাজি হয় নাই। তবে আপনি ভালই করেছেন রেস্টুরেন্ট থেকে বিরিয়ানি বাড়িতে নিয়ে আসলেন। তবে দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুব মজা করে বিরিয়ানি গুলো খেয়েছেন। এবং আমাদের প্রিয় নাশিয়া বিরায়ানি দেখে অনেক খুশি হয়েছে মনে হয়। খুব সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
হ্যাঁ নাশিয়া যেমন অনেক বেশি খুশি হয়েছিল, তেমন মজা করে খেয়েছিল।
বিভিন্ন জায়গার হাজী বিরিয়ানি বাংলাদেশে খুব ফেমাস আমি যতদূর শুনেছি । যদিও আপনার কিনে নিয়ে যাওয়া বিরিয়ানির টেস্ট ভালো ছিল না যা পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ে জানতে পারলাম। যাইহোক, পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে আপনার বিরিয়ানি খাওয়ার অনুভূতি জেনে অনেক ভালো লাগলো ভাই। পরিবাররের সাথে মাঝে মাঝে এরকম অনুষ্ঠান করতে সত্যি বেশ ভালো লাগে। এমনটা আমরাও মাঝে মাঝে বাড়িতে করে থাকি। খাসির কাচ্চি বিরিয়ানি আপনার খুব পছন্দের পোস্টটি পড়ে জানতে পারলাম তবে কাচ্চি না পেয়ে অন্য বিরিয়ানি খেতে হলো শেষ পর্যন্ত আপনাকে, এটা একটু আফসোসের বিষয়।
আপনারা ও মাঝে মাঝে এরকমটা করে থাকেন জেনে ভালো লাগলো।
পরিবার নিয়ে এমন স্পেশাল খাবার একসাথে খাওয়ার মজাই আলাদা। হোক সেটা বাহিরের কোনো রেস্টুরেন্টে কিংবা বাসায়। যাইহোক হাজীর বিরিয়ানি বিখ্যাত হলেও,সব জায়গার হাজীর বিরিয়ানি খেতে ভালো লাগে না। আমার নিজের কাছেও বেশ কয়েকবার বিভিন্ন জায়গার হাজীর বিরিয়ানি খেয়ে ভালো লাগেনি। আসলে হাজীর বিরিয়ানি এখন নামে চলে। তার চেয়ে নান্নার বিরিয়ানি এবং কাচ্চি ভাই এর বিরিয়ানি আরও সুস্বাদু। যাইহোক বিরিয়ানি খেতে খারাপ লাগলেও,সবাই একসাথে বসে সময় কাটিয়েছেন, এটাই বা কম কিসের। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ঠিক বলেছেন ভাই কথাটা। খেতে ভালো না লাগলেও ভালো একটা সময় কাটিয়েছি। সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।